ইউকন-এর প্রথম মসজিদ কানাডার জন্য একটি মাইলফলক

নভেম্বর ৪, ২০১৮

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : ইউকনের প্রথম মসজিদ গত ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার উদ্বোধন করা হয়েছে এবং নেতারা বলছেন, এটি কানাডার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।

ইউকন মুসলিম সোসাইটির সভাপতি মুহাম্মদ জাভেদ মসজিদের খোলা অন্দরে উপস্থিত জনতাকে স্বাগত জানান এবং তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে কফি পান করান। উপস্থিত জনতার মধ্যে অনেক অমুসলিমও ছিলেন যারা যাত্রাপথে থেমে মুসলিমদের অভিনন্দন জানান।

জাভেদ বলেন, “আজকের দিনটি হোয়াইট হর্সের মুসলিম কমিউনিটির জন্য সত্যিই একটি ঐতিহাসিক দিন।” খবর সিবিসি।

মসজিদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন ইউকন মুসলিম সোসাইটির প্রেসিডেন্ট মোঃ জাভেদ। ছবি :সিবিসি

তিনি বলেন, মুসলিম কমিউনিটির লোকেরা ২০০৫ সাল থেকে একটি উপাসনালয়ের খোঁজ করছিলো। তখন হোয়াইট হর্সের ইউনাইটেড চার্চ মুসলিমদের স্বাগত জানিয়ে ওই জায়গাটি নামাজ আদায়ের জন্য ব্যবহার করতে দেয়। এরপর ২০০৯ সালে তারা নামাজের জন্য একটি ছোট অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নেন।

জাভেদ উল্লেখ করেন, এখন কানাডার প্রতিটি প্রদেশ ও টেরিটোরিতে অন্তত একটি করে মসজিদ আছে।

ম্যানিটোবার থম্পসনে একটি মসজিদ স্থাপনে সহায়তাকারী একটি ক্ষুদ্র দাতব্য প্রতিষ্ঠান জুবাইদাহ তাল্লাব ফাউন্ডেশনের হুসেইন গুয়েস্তি বলেন, “এই মসজিদ স্থাপনের ফলে উত্তরের সব প্রদেশে এবং সব টেরিটোরিতে মসজিদ হলো। আমি এটিকে বলি স্টার ট্রেক মসজিদ।”

ইউকনের কমিশনার অ্যাঞ্জেলিক বার্নার্ড বলেন, “ট্রাক রাখার একটি গুদামকে মসজিদ বানিয়ে নেওয়ায় আপনাদের অভিনন্দন। দারুণ কাজ করেছেন।” এসময় উপস্থিত জনতা উল্লাস প্রকাশ করে।

মসজিদের নির্মাণকারী অন্টারিওর হ্যামিল্টনের ফারাজাত বলেন, ভবনটির সংস্কারের জন্য একসঙ্গে চার ব্যক্তিকে কাজ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, “এটি এখন সম্পন্ন হয়েছে। সবকিছু সম্পন্ন হয়েছে। আমি এখানে কাজ করতে পেরে খুবই সুখি এবং এখানকার মুসলিম কমিউনিটিও সুখি।” ফারাজাত কাস্টমসের গুদাম তৈরির মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং পরে মসজিদ নির্মাণেও কাজ করেন। তার পরের প্রকল্প হলো ইয়েলোনাইফে একটি মসজিদ নির্মাণ করা।

ফারাজাতের মেয়ে হাল্লা ফারাজাত বাবার কাজ দেখার জন্য পরিবারের সঙ্গে হোয়াইটহর্সে আসেন। তিনি বলেন, “আমরা আমার বাবাকে নিয়ে গর্বিত।”