আগে চিকন ছিলাম এখন মোটাসোটা হয়েছি, একটু শক্তিও হয়েছে! খেলাটা এখন আরও ভালো বুঝি

ডিসেম্বর ২৭, ২০১৩

নউজিল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজ লড়তে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল গিয়েছিল চট্টগ্রামে। ৮ অক্টোবর ২০১৩ আগ্রাবাদ হোটেলে সাকিব আল হাসান মুখোমুখি হয়েছিলেন উৎপল শুভ্রর। কথা ছিল কথা হবে ক্রিকেটের বাইরের বিষয় নিয়ে। কতটুকুন কথা রাখলেন দুজন?

উৎপল শুভ্র: আপনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছয় বছর ধরে আছেন। যদি বলি, ২০০৬ আর ২০১৩ সালের সাকিব আল হাসানের মধ্যে পার্থক্য কী?

সাকিব আল হাসান: আগে কিছুই বুঝতাম না। এখন অনেক কিছু বুঝি। এটা একটা পার্থক্য (হাসি)। আগে ছয়টয় মারতে পারতাম না, এখন পারি।

আগে ছয় মারতে পারতেন না মানে…

সাকিব: আগে অত শক্তি ছিল না। অনেক চিকন ছিলাম তো! এখন মোটাসোটা হয়েছি, একটু শক্তিও হয়েছে। এখন খেলাটা আরও ভালো বুঝি। অবশ্যই ভালো বুঝি।

এই ইন্টারভিউয়ে খেলাটেলা বাদ। আমি খেলার বাইরের পরিবর্তনের কথা জানতে চাইছি…আপনার সামাজিক জীবন, জীবনদর্শন, তারকাখ্যাতি, আপনার চিন্তাভাবনা…

সাকিব: চিন্তাভাবনা অনেক চেঞ্জ হয়েছে। চিন্তাভাবনা প্রতিদিনই চেঞ্জ হয়। মানুষের চাওয়া-পাওয়ার কি শেষ আছে, এটা চেঞ্জ হতেই থাকে। মানুষও চেঞ্জ হতে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এমন সব চেঞ্জ হয় যে আগে কী ছিল, তা ভুলেই যাই। সবকিছুতেই তো চেঞ্জ…খাওয়া থেকে শুরু করে জুতো-স্যান্ডেল-জামাকাপড় কিসে চেঞ্জ হয়নি! সবকিছুতেই তো চেঞ্জ।

এতসব চেঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে ভালো লাগে কোনটা?

সাকিব: (ভাবনায় ডুবে গিয়ে) কোনটা সবচেয়ে ভালো লাগে…হু, কোনটা…

একটু সাহায্য করব, ব্যাংকে এখন প্রচুর টাকা…

সাকিব: (হাসি) ওটা তো ভালো লাগাই স্বাভাবিক। ওটা দরকার। আসলে এমন কিছু তো খুঁজে পাচ্ছি না যেটা খারাপ লাগে। এখন পর্যন্ত যা হয়েছে, সবই আমার কাছে ভালো লাগে।

টাকাটা দুষ্টুমি করে বললাম। ছয় বছরে কোথা থেকে কোথায় এসেছেন…কত কিছু বদলেছে, এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো লাগে, এমন কিছু নেই?

সাকিব: আছে, সবাই চেনে।

এটা খুব এনজয় করেন?

সাকিব: হ্যাঁ, এটা আমার খুব ভালো লাগে।

এটার একটা নেগেটিভ দিকও তো আছে। যেমন আপনি চাইলেই…

সাকিব: (থামিয়ে দিয়ে) না, আমার কাছে তেমন কিছু মনে হয় না। আমি চাইলে যেকোনো কিছুই করতে পারি।

আপনি চাইলেই তো রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খেতে পারেন না…

সাকিব: ওটা আমার দরকারও নেই। আমি ফুচকা বাসায় নিয়ে এসে খাই। আর যেদিন আমার ফুচকা খেতে মন খুব চায়, সেদিন আমি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েও খেয়েছি। সব জায়গায় নয়, কিছু জায়গা আছে, যেখানে আমি যেতে পারি।

কিন্তু একজন সাধারণ ২৪ থেকে ২৫ বছরের ছেলের যে জীবন, সেটি কি কখনোই মিস করেন না?

সাকিব: না, আমি ওটা কখনোই মিস করি না। কারণ, আমি ও রকম কখনোই ছিলাম না যে কোনো কিছু মিস করার কোনো কারণ আছে। ওই যে ফুচকা খাওয়ার কথা বললেন না, গুলশানে কুমুদিনীর ওখানে একটা দোকান আছে, ওখানে গাড়ি রেখে ফুচকা খাই।

ইন্টারভিউ দেওয়া ছাড়া আপনার কাছে সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজ মনে হয় কোনটাকে?

সাকিব: ওই রকম বিরক্তিকর কিছু তো নেই।

আচ্ছা, আগে বলেন, আপনার ইন্টারভিউ দিতে কেমন লাগে?

সাকিব: না, খারাপ লাগে না। দিই না যে তা নয়, ইন্টারভিউ না প্রেস কনফারেন্সে কখনো কখনো এমন হয় যে সেদিন আমার কিছু বলার নেই। বলার নেই তো কী বলব! এই যে সেদিন (চট্টগ্রাম টেস্টের দুই দিন আগে) আমাকে বলা হলো, সাংবাদিকেরা সবাই নাকি আমাকে চেয়েছেন। আমি বললাম, আমার তো কিছু বলার নেই, ওইখানে গিয়ে আমি কী বলব? একজন প্রশ্ন করলেন, ‘বৃষ্টি হওয়ায় তো সমস্যা হলো…’ আরে ভাই, সমস্যা তো হয়েছেই। এটা আমি কী বলব? আমি বললাম, হ্যাঁ, হলো। আরেকজন বললেন, ‘এখন তো ইনডোরে প্র্যাকটিস করতে হবে,’ আমি বললাম, হ্যাঁ, হবে। তো আমি এখন কী বলব? বলব যে না, এখন আমি আকাশে প্র্যাকটিস করব? বৃষ্টি থামিয়ে দেব?

আপনি বলবেন, মাঠে প্র্যাকটিসের তো কোনো বিকল্প হয় না। কিন্তু প্রকৃতির ওপর তো কারও নিয়ন্ত্রণ নেই, এ নিয়ে অভিযোগ করে কী লাভ ইত্যাদি ইত্যাদি। সাংবাদিকদেরও তো কিছু লিখতে হবে…

সাকিব: (হো হো হাসি) না, ওই যে বললাম, যেদিন প্রেস কনফারেন্সে যাওয়া প্রয়োজন, সেদিন যেতে আমার খারাপ লাগে না। ইন্টারভিউ দিতেও সমস্যা নেই।

লোকজনের কোনো নির্দিষ্ট আচরণ কি আপনার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়?

সাকিব: না, বরং যারা একটু স্ট্রেঞ্জ টাইপের মানুষ, এদের কাণ্ডকীর্তি দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। হেব্বি মজা পাই। বিশেষ করে আমি যেহেতু টিমের সঙ্গেই বেশি থাকি, টিম মিটিংয়ে একেকজনের একেক রকম কাণ্ড দেখতে খুব মজা লাগে। সবাই মিলে আড্ডা দেওয়ার সময়, খাওয়ার সময় কে কী করে, এসব খেয়াল করি, এসবে খুব মজাও পাই।

এটা তো টিমমেটদের কথা বললেন। আমি এর বাইরের লোকজনের কথা বলছি। আপনাকে দেখে হয়তো কেউ এমন কিছু করে, যাতে বিরক্ত বোধ করেন।

সাকিব: মাঝেমধ্যে যে এমন হয় না, তা নয়। যদি আমি বুঝি কোথাও গেলে এমন হওয়ার আশঙ্কা আছে, সেখানে আমি যাই না।

বিকেএসপিতে যেহেতু ক্রিকেটেই ভর্তি হয়েছিলেন, তাই বড় ক্রিকেটার হওয়াটাই স্বপ্ন ছিল ধরে নিচ্ছি। কিন্তু আজ যেখানে এসে পৌঁছেছেন, স্বপ্নটা কি এত বড় ছিল?

সাকিব: না, আমি যখন আন্ডার নাইনটিনে খেলেছি, তখনো চিন্তা করিনি যে ন্যাশনাল টিমে খেলব। আমি যখন ‘এ’ টিমে খেলছি, তখন শুনি যে আমাকে নাকি দেখতেটেখতে আসছে, আমার ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছে, তখন মনে হয়েছে, তাই নাকি? এর আগ পর্যন্ত ন্যাশনাল টিমটাই আমার মাথায় আসেনি। বিকেএসপিতে প্র্যাকটিস করতাম আর হোস্টেলে সারা দিন আড্ডা দিতাম…এটাই ছিল আমার মজা। ক্রিকেট নিয়ে আমার বড় কিছুর চিন্তাই ছিল না।

তাহলে আপনাকেই যদি বলতে বলি, এই সাকিব আল হাসান জিনিসটি কীভাবে উৎপন্ন হলো?

সাকিব: কীভাবে বলি! আমার কাছে মনে হয়, ইন্টেলিজেন্ট আছি (হাসি)। কেন এমন মনে হয় বলি, একজন কোচ অনেক কথাই বলতে পারেন। এর মধ্যে কোন জিনিসটা আমার নেওয়া দরকার, এই নেওয়ার জিনিসটা আমার ভালো ছিল। অনেকে আছে, কোচেরা যা বলেন, সব অন্ধের মতো মেনে চলার চেষ্টা করে। আমি যেটা করে আমার মনে হয়েছে আমার জন্য ভালো হবে, সেটাই শুধু মেনেছি। যেটা ভালো লাগেনি, করিনি।

ঘুরেফিরে কিন্তু সেই খেলাই চলে আসছে। খেলার বাইরে যাই, জীবনে একটা কিছু যদি বদলানোর সুযোগ পান, সেটা কী?

সাকিব: খাওয়াদাওয়া বদলাতে চাই। আমি অনেক মোটা হয়ে যাচ্ছি।

এটা কি যুক্তরাষ্ট্রে শ্বশুরবাড়িতে অনেক দিন কাটানোর ফল?

সাকিব: না না, শ্বশুরবাড়ির দোষ নেই। আমারই একসময় খুব ইচ্ছা ছিল একটু মোটাসোটা হওয়ার। একটু ভুঁড়ি থাকলে নাকি বড় রান করা যায়। এই ইচ্ছায় আমি টানা এক মাস শুধু বিরানিই খেয়েছি। এখন এমন হয়েছে যে না খেলেও মোটা হই। এত খাটছি, শুধু সালাদ খাচ্ছি, তা-ও ওজন কমার নাম নেই। একদিন খেলেই উল্টো আরও বেড়ে যাচ্ছে। এটা বদলাতে চাই।

এই রান-উইকেট, নাম-খ্যাতির ঝলমলে ভুবন থেকে হঠাৎ ছিটকে পড়লেন, কখনো কি মনে এমন ভয় কাজ করে?

সাকিব: না। করে না। সেটির কারণ হলো, আমি সবকিছু এমনভাবে সেট করে নিয়েছি যে তেমন কিছু হলেও যেন আমার কোনো সমস্যা না হয়। আমার ভালো করার এটাও হয়তো কারণ। আমার মাথায় আর কোনো দুশ্চিন্তা কাজ করে না। উদাহরণ হিসেবে বলি, যেহেতু ইনকাম সোর্সটাও একটা বড় ব্যাপার, আমি যদি আজকের পর থেকে আর এক টাকাও কামাই না করি, আগামী ১০ বছর যেন আমার সমস্যা না হয়; আমি সেই ব্যবস্থা করে রেখেছি। আমি এখন শুধু খেলি, খেলাটা এনজয় করি। ফেইল করলে কী হবে, সেই ভয়টা আমার নেই।

বিয়ের পর তো জীবনে বড় একটা পরিবর্তন আসে। আপনার ক্ষেত্রে সেটা কী?

সাকিব: আগে যে সময়টা বন্ধুদের দিতাম, সেটা এখন বউয়ের সঙ্গে কাটাই। বউ আমার বন্ধুর মতো, ওর সঙ্গে সব গল্পই করি। আমি শুনেছি, বিয়ের পরে অনেকেই চেঞ্জ হয়। আমার সে রকম কোনো কিছু হয়নি।

বউ কি আপনার ক্রিকেট-জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পেরেছে?

সাকিব: বউয়ের সঙ্গে আমার ক্রিকেট নিয়ে কোনো কথাই হয় না।

সেটা বলছি না, আমি বলছি, ক্রিকেটারদের জীবনটা তো অন্য দশটা পেশার মতো নয়…

সাকিব: সেটা ও খুব ভালো বুঝে ফেলেছে। একদিন হয়তো সারা দিনই কোনো যোগাযোগ নেই, এমন না যে ও বারবার ফোন করছে, ‘কই আছো, কী করছ,’—এসবের কোনো টেনশন নেই ওর।

খেলার বাইরে আপনি সবচেয়ে ভালো কী পারেন?

সাকিব: ক্রিকেটের বাইরে অন্য সব খেলাও আমি ভালো পারি। এই তো এখানে আমাদের টিমের মধ্যে টেবিল টেনিস টুর্নামেন্ট হয়েছে। ওটাতে আমি চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। চার হাজার টাকা ছিল চ্যাম্পিয়নের প্রাইজমানি। সেমিফাইনালিস্ট পেয়েছে পাঁচ শ, রানারআপ দুই হাজার। ফাইনাল খেলেছি আমি আর মুশফিক ভাই।

আমি কি আপনার সঙ্গে কখনো টেবিল টেনিস খেলেছি?

সাকিব: আপনি মনে হয় আমার সঙ্গে পারেননি। শ্রীলঙ্কায় খেলেছিলাম।

ঠিক আছে, আবার খেললে দেখিয়ে দেব। শুধু ক্রিকেট নয়, সব খেলাই বাদ, এর বাইরে আপনি ভালো কী পারেন? এমন হতে পারে, হয়তো আপনি কবিতা লেখেন…

সাকিব: (হাসি) কবিতা! কবিতা মানুষ কীভাবে লেখে, এটা চিন্তা করেই পাই না। মাঝেমধ্যে ভাবি, ওই যে লাইনটার পর এই লাইনটা আনল, কীভাবে আনল। শুধু কবিতা নয়, গানও…মনে হয়, এই যে এইটার পরে এইটা দিলে মিলবে, এটা কীভাবে ভাবল! আমার অবাক লাগে। জীবনে আর যা-ই হোক, কবিতা লিখতে পারার কোনো সম্ভাবনা নেই।

ব্যক্তিগত জীবনে এমন কিছু আছে, যেটা সব সময় মেনে চলার চেষ্টা করেন?

সাকিব: আমার আশপাশে যেসব মানুষ আছে, কাছের যারা, তারা যেন কখনো অখুশি না হয় এটা খেয়াল রাখার চেষ্টা করি। সব সময় যে পারি তা নয়, তবে চেষ্টা করি।

কারও কাছ থেকে এমন কি কখনো শুনতে হয়েছে, সাকিব এখন স্টার হয়ে বদলে গেছে…

সাকিব: ফ্রেন্ডরা কেউ হয়তো বলবে, ‘কি রে, ভুলে গেলি?’ এই যে সেদিন বিকেএসপিতে আমার এক রুমমেটের সঙ্গে দেখা হলো। বিকেএসপিতেই প্রিমিয়ার লিগে খেলতে গেছি, ও আমার প্রতিপক্ষ দলে খেলছে। ও বলল, ‘রুমমেটকে ভুলে গেলা?’ আমার খুব খারাপ লেগেছে, অবাকও লেগেছে। পরে আমি নাম্বার দিলাম। এমন না যে আমি ভুলে গেছি, তবে ওকে দেখে চিনতেই পারিনি। এমন চেঞ্জ হয়েছে ওর!

কবিতা নিয়ে বিস্ময়ের কথা বলছিলেন। কবিদের কি তাহলে আলাদা চোখে দেখেন?

সাকিব: আমি সবাইকেই আলাদা চোখে দেখি। যে যে কাজটা করে, কোনোটাই তো সহজ না। আমি তো বলি, চোর যে চুরি করে, সেটাও একটা স্কিল। খুব কঠিন একটা স্কিল। যে জুতো সেলাই করছে, সেটিও একটা স্কিল। যে রিকশা চালাচ্ছে…রিকশা একটু জোরে চালাতে গেলে দেখা যায় ব্যালান্স থাকে না। সবকিছুতেই স্কিলের ব্যাপার আছে।

এত কিছু বললেন, এর মধ্যে আপনার কাছে সবচেয়ে বিস্ময়কর লাগে কোনটা?

সাকিব: লাইট জ্বলা! আমার সবচেয়ে বিস্ময়কর লাগে লাইট জ্বলাটা। কেমন করে লাইট জ্বলছে, পাখা ঘুরছে। আমার কাছে বিশ্বের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক লাগে ইলেকট্রিসিটি। এই একটা জিনিস দিয়ে দুনিয়া চলছে, এটা না থাকলে সব শেষ! এটা আমার খুব বিস্ময় লাগে, এটা কীভাবে বানিয়েছে। তারের ভেতর দিয়ে এটাকে কীভাবে নেয়!

দিনের কোন সময়টা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে?

সাকিব: দিনভর মাথায় টেনশন কাজ করে…এই করতে হবে, ওই করতে হবে। যখন দেখলাম সব হয়ে গেছে, আমি রাতে বিছানায় শুয়ে আছি, তখন টিভিতে খবর দেখলাম বা একটা নাটক, তখন খুব ভালো লাগে।

দেখা করতে চান, এমন কয়েকজন লোকের নাম বলতে বললে…অনুমান করছি, এঁদের একজন হবেন লিওনেল মেসি।

সাকিব: একজন মেসি। আর দুজন কে…ও হ্যাঁ, সাঈদ আনোয়ারের সঙ্গে দেখা করার খুব ইচ্ছা ছিল। আমার ছেলেবেলার হিরো। কিন্তু এতজনের সঙ্গে দেখা হলো, ওনার সঙ্গে কখনো দেখা হয়নি।