রৌদ্রে পোড়া মুখ
কামনা সীমা
বিকেলের রৌদ্রটা আজ তীব্র। গাড়ির সামনের গ্লাস দিয়ে ত্রমন ঝলকানি সূর্যের আলো ত্রসে চোখে লাগছে যে বাইরের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। কিছু কিছু জায়গায় ছায়া পরে আছে দাড়িয়ে থাকা বয়স্ক গাছের ডালপালার কারণে।
আর কিছু জায়গায় ঘর বাড়ি না থাকার কারণে। রৌদ্রের প্রকটে হলুদ রঙ ছড়িয়ে আছে মাটির গায়ে।
মহিমা আর তাহান দুজন স্বামী-স্ত্রী। তাহান ড্রাইভ করতে পছন্দ করে। তারা দুজন কাজের ফাকে সময় পেলেই ঘুরতে যাবে কোথাও না কোথাও লং ড্রাইভে। অগাধ প্রেম তাদের মধ্যে, প্রেম ভালোবাসার মধ্য দিয়ে তারা ইয়ে করে বিয়ে করে, তাদের বাবা মা দুইপক্ষ রাজি না থাকাতে দুজন দুজনার হাতে হাত রেখে পালিয়ে যায় বিশ্বাসের ঠিকানায়, নতুন ঘর বাধার স্বপ্নে।
শিকড় থেকে আরেকটা শিকড় গজায় প্রাপ্তির লোভে, মস্তিষ্ক থেকে নির্গত ভালোবাসা জমা হয় হৃদয়ের ঘরে, মায়া থেকে জন্ম নেয়া শিহরণ জড়িয়ে রাখে তৃপ্তির গভীরতা।
মহিমা, তাহান দুজনের কথা বলা যেনো শেষ হয়না,। দুজন দুজনার দিকে তাকায়, হাসে, প্রাণবন্তে।
তাহানের ড্রাইভিংয়ের সময় মাঝেমধ্যে মহিমা তাহানের হাত ধরে এক দুই লাইন গান গাওয়ার চেষ্টা করে ….
সূর্যের কাছে দিন,
চাঁদের কাছে রাত
তোমার কাছে আমি,
তুমি আমার ভালোবাসার দিনরাত।
মহিমার গানে গানে তাহান খুব উৎসাহ নিয়ে মহিমার কানের কাছে নিজের মুখটা গুজে দিতেই
হটাৎ কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলে ট্রাকের ধাক্কায়।
গাড়ি থেকে ছিটকে বাইরে পরে যায় মহিমা রাস্তার পাশে। রাস্তার দুই ধারে কোনো দোকানপাট, ঘরবাড়ি নাই, চারিদিকে শুধু জঙ্গল আর বড় বড় গাছপালা। বিধ্বস্ত হয়ে পরে থাকে মহিমা ঘাসের উপর, তারপর পাঁচ সাত মিনিট পর হাতের ত্রকটা, দুটা আঙুল নড়েচড়ে ওঠে। আস্তে আস্তে করে ওঠার চেষ্টা করে কিন্তু মহিমা পা দুটো নাড়াতে পারেনা। রক্তাক্ত আঙুলে ঘাস কামড়ে অনেক কষ্টে মাথা তোলে, তারপর দূর থেকে হৈচৈ শুনে দ্যাখে গাড়ির পাশে সব পুলিশরা ছুটাছুটি করছে, মহিমা চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করে, গাড়ির ভিতরে তাহানকে বসা অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাহানকে ডাকতে থাকে, তাহান তাহান শুনতে পাচ্ছো? আমি এখানে,

তাহান ত্রই যে আমি এখানে।
দারোগা বাবুর চেহারা দেখতে ত্রকদম নায়ক নায়ক ভাব, কথাবার্তায় ঝংকার দিয়ে ওঠে, পুলিশ বাহিনী তার সততার দাপটে ভয়ে থাকে।
দারোগা বাবু গাড়ির কাছে এসে দ্যাখে তাহানের মুখটা স্টেয়ারিংয়ের উপর হেলে আছে।
দারোগা বাবুর ত্রকটাই অভ্যাস, যাকেই দেখবে তাকেই বলবে আমি ঘুষ খাইনা তোমাকেও খেতে দেবোনা।
তাহানকে দেখেও দারোগা বাবুর ত্রকই ডায়ালগ আমি ঘুষ খাইনা, তোমাকেও খেতে দেবোনা।
কি হিরো তোমার ত্রই অবস্থা কি করে হলো?
তাহান মহিমার নাম ধরে ডাকার চেষ্টা করতেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
দারোগা বাবু শোনার চেষ্টা করে কিন্তু পরিস্কার কিছু শুনতে পায়না। এ্যাম্বুলেন্সও এসে পরে এর মধ্যে।
দারোগা বাবুর অর্ডারে তাহানকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যায় এ্যাম্বুলেন্সে।
মহিমা ওঠার চেষ্টা করে, কিন্তু পারেনা উঠতে। তাহানের গাড়ি পরে থাকে রাস্তার পাশে। পুলিশের গাড়ি আর এ্যাম্বুলেন্সের চলে যাওয়া দেখে মহিমা কাঁদতে থাকে আর চিৎকার করতে থাকে আমাকে নিয়ে যাও, তোমরা আমাকে নিয়ে যাও।
হসপিটালে ডাক্তার তাহানের বুকের উপর ইলেক্ট্রিক সক দিতে থাকে কিন্তু কোনো রেসপন্স করেনা, দুদিন তাহানের জ্ঞান ফেরেনা।
মহিমা খুব স্টাইলের সাথে রুমে তাহানের কাছে এসে জিজ্ঞেস করে, তুমি ত্রখনো হসপিটালে শুয়ে আছো, আমি তোমার জন্য কত সাজগোজ করে ত্রসেছি।
তাহান কিছুক্ষণ নিজের চোখ কচলায় তারপর মোচড়ামুচড়ি করে বলে, বেডে শুয়ে থাকতে থাকতে গা ব্যাথা হয়ে গেছে।
মহিমা – হুমম, উঠে পড়ো শিগগির, কি সব তার পেচিয়ে রেখেছো গায়ে। কত কাজ পরে আছে, আমি একা সব সামলাতে পারবোনা, চল চল ওঠো ?
তাহান ক্লান্ত হাসি দিয়ে বলে ওরা আমাকে রিলিজ করে নাই কিভাবে যাবো ?
মহিমা – ডোন্ট ওয়ারি, আমি আছি না তোমার সাথে?
চল এখান থেকে আমরা পালিয়ে যাই।
তাহান – উমম আমি খুব উদগ্রিব হয়ে আছি। তোমার সাথে যাবো।
মহিমা তাহানের হাত ধরে কাউকে কিছু না বলে আস্তে আস্তে পা টিপে বেরিয়ে যায় হসপিটাল থেকে।
হসপিটালের বাইরে এসে হুররে বলে তাহান মহিমাকে জড়িয়ে ধরে।
মহিমা আবেগ কন্ঠে জিজ্ঞেস করে, তুমি আমাকে কেন ফেলে ত্রসেছিলে ঐ নির্জন জায়গায় ? আমি ঘাসের উপর পরেছিলাম, তুমি আমাকে নিতে আসোনি।
তাহান – সরি, এইযে আমি কান ধরলাম দেখো? আর ত্রমনটি হবেনা, কেউ আমাদেরকে আলাদা করতে পারবেনা, তুমি আর আমি, আমি আর তুমি, দুটি হৃদয়ের মাঝে কেউ আসবে না। ভালোবাসার কবুতর উড়িয়ে দেবো
আমাদের নামে, আমরা অন্য কারো কথা শুনবো না, আমরা শুধু আমাদের কথা শুনবো।
মহিমা- ভালোবাসার কথা শুনতে শুনতে মন ভরে গেছে কিন্তু পেটটা খালি হয়ে গেছে তো।
তাহান – উমম পিজ্জা খাই চল।
তাহান আর মহিমা পিজ্জার দোকানে এসে পিজ্জা অর্ডার অপেক্ষা করতে থাকে। এই সময় তাহান হটাৎ লক্ষ্য করে টিভি নিউজে তার ছবি দেখাচ্ছে এবং বলা হচ্ছে যে তাহান নামের এক রোগী হসপিটাল থেকে মিসিং। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। কেউ তাহানকে দেখা মাত্র বাংলা ভিশন চ্যানেলে যোগাযোগ করুন *** এই নাম্বারে।
তাহান নিউজ দেখে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করে, লোকজনও সন্দেহের মত তাকায় তাহানের দিকে। তাহান আরো ভয় পেয়ে ত্রদিক-ওদিক বার বার তাকায়, মহিমা আর তাহান একে অপরের দিকে তাকায়।
পিজ্জা রেডি।
তাহান পিজ্জা নিতে যাবে, হটাৎ দুজন পুলিশ দোকানে ঢোকে। পুলিশকে দেখে তাহান পিজ্জা না নিয়ে বাইরে বের হয়ে আসে দ্রুত মহিমার সাথে। এদিকে দোকানদার ডাকে এই যে ভাই আপনার পিজ্জা ?
পরেরদিন সকাল থেকেই বৃষ্টি। বাতাস মনে হয় সব উড়িয়ে নিয়ে যাবে এমন ঢং করে ভয় দেখাচ্ছে আবহমান আকাশ।
একতলা ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে মহিমা হাত দিয়ে বৃষ্টি ধরার চেষ্টা করে, হাতের মুঠো থেকে গড়িয়ে পরে বৃষ্টির পানি, মহিমা ভেজা হাতে নিজের গাল স্পর্শ করে আর বৃষ্টির পানি নিয়ে নিজের গায়ে ছিটায়। তাহান মহিমার কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বলে আমাকেও তোমার সাথে ভিজিয়ে দাও না?
মহিমা তাহানের সাথে উঠোনে ভিজতে থাকে বৃষ্টিতে
আর গানের সুর জেগে ওঠে মহিমার কন্ঠে,
‘বৃষ্টির ফোটা জলে
আমি ভিজি তোমার কোলে,
আমি জল, তুমি তরঙ্গ,
উত্তাল ঢেউয়ে ভাসে অনুরাগের ছোয়া অঙ্গ,
আমি পদ্ম, তুমি পানা,
তোমার পরাণে আমি থাকি দিওয়ানা।
মেঘ থেকে যখন তোমার দুয়ারে নামে প্রবল বৃষ্টি,
সব সুখগুলো ভিজে ওঠে কামনার তপস্বী।
আমি ভাসি শ্রোতের অলংকারে,
তোমার ভালোবাসার নৌঙরে।
তোমার গান, আমার কথা,
তোমার আমার পুরানো গভীরতা
তানপুরাটার তারে তারে বেজে উঠে
সুরের ঝংকারে প্রেমের মধুরতা।
মাতিয়ে তোলে বিনয়ী ঠোটে কুসুম কলির প্রভাত,
মেহেদি রঙীত হাতে ভেসে উঠে চাদ,
তোমার আমার জমিনে প্রেমের বুনিয়াদ।’
ডোর বেল বেজে উঠে। তাহানের বাসার দরজায় কে যেনো নক করছে। তাহান সোফা থেকে উঠতে গেলে মহিমা থামিয়ে দেয়। মহিমা নিজেই আই ডোরে যখন চেক করে,
দ্যাখে দুইজন পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে।
আবারো ডোর বেল বাজাতে মহিমা চমকে যায়।
মহিমা নিজের মুখে হাত চাপা দিয়ে তাহানের কাছে এসে ফিসফিস কোরে বলে পুলিশ!
তাহান – পুলিশ ?
মহিমা- আস্তে বলো, আমার মনে হয় ওরা তোমাকে নিতে এসেছে।
তুমি আমাকে ছেড়ে যাবেনা কোথাও, চলো আমরা অন্য কোথাও পালিয়ে যাই ?
পুলিশ আবারো ডোর বেল বাজায়। আতংক চেহারায় মহিমা ও তাহান জরোসরো হয়ে বসে থাকে ত্রকজন আরেকজনের হাত ধরে।
ত্ররপর মহিমা তাহানের হাত ছেড়ে দিয়ে আস্তে আস্তে পা টিপে এসে আই ডোর দিয়ে দ্যাখে কেউ নাই দরজার ওপাশে। তাহানের মুখের দিকে চেয়ে মহিমা বুকে হাত রেখে ভারী নিঃশ্বাস ফেলে পুলিশ চলে যাওয়াতে। আর তাহানের গলা জড়িয়ে মহিমা বলে এই বাসায় আর এক মূহুর্ত থাকা যাবে না।
মহিমা আর তাহান রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ গাড়ি থেকে ডাক দেয় পুলিশ। মহিমা আর তাহান ডাক শুনে গাড়ির দিকে তাকিয়ে দ্যাখে পুলিশ।
তারা দু’জন ত্রখন কি করবে ভাবতে ভাবতে হাটার গতি বাড়িয়ে দেয় তারপর দেয় দৌড়।
এই সময় দ’ুজন পুলিশ গাড়ি থেকে বের হয়ে পিছু নেয় তাহান আর মহিমাকে ধরার জন্য।
মহিমা আগে আগে দৌড়াতে থাকে, কিছুক্ষণ পর পিছন ফিরে দ্যাখে তাহানের প্রায় কাছাকাছি পুলিশ, তাহান ক্লান্ত হয়ে পরেছে দৌড়াতে গিয়ে।
মহিমা তাহানের কাছে ফিরে আসার চেষ্টা করে। এই সময় হঠাৎ মহিমা রাস্তায় এক ট্রাকের ধাক্কায় হুমড়ি খেয়ে পরে যায় মাটিতে। তাহান চিৎকার করে মহিমার নাম ধরে ডাক দেয়।
হসপিটালে নার্স তাহানকে কোমা থেকে জ্ঞান ফিরতে দেখে ডাক্তার আম্বার আলীকে কল করে। ডাক্তার আম্বার আলী আসার পর তাহান জিজ্ঞেস করে মহিমা কোথায়? আমার স্ত্রী মহিমা কোথায়? বলেই আবার তাহান জ্ঞান হারায়। ডাক্তার আম্বার আলী ও নার্স সংগে সংগে তাহানের জ্ঞান ফিরানোর চেষ্টা করে, তার কিছুক্ষণ পর তাহানের জ্ঞান ফেরে।
ডাক্তার আম্বার আলী তাহানকে দেখে বলে, আপনিতো আমাদের সবাইকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন, আমরাতো আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। ওহ ত্রকটা কথা ? মহিমার কথা জিজ্ঞেস করছিলেন, উনি কোথায়?
তাহান – মানে কি ?
তাহান ফিরে যায় ফ্লাস ব্যাকে, দ্যাখে তাহান মহিমার কানের কাছে আদর করতে গেলে হটাৎ ট্রাকের সাথে ধাক্কা লাগে তাদের গাড়িটির। এরপর আর কিছু মনে করতে পারছেনা সে। তাহান নিজের কান্না ধরে রাখতে পারেনা। চিৎকার করে ওঠে। তারপর বলে ওঠে আমার সাথে গাড়িতে আমার স্ত্রী মহিমা ছিলো ও বেচে আছে তো ?
ডাক্তার আম্বার আলী- আপনে বলছেন আপনার স্ত্রী মহিমা ছিলো গাড়িতে, তাহলে মহিমা কোথায়? এক মিনিট আমি আসছি।
থানার দারোগা বাবু আসে হসপিটালে।
তাহানের রুমে প্রবেশ করেই নার্সকে দেখে বলে, আমি ঘুষ খাইনা, তোমাকেও ঘুষ খেতে দেবোনা।
কি হিরো … আপনার কি অবস্থা, জ্ঞান ফিরেছে তাহলে ?
এ্যাক্সিডেন্টের ব্যাপার তো ভাই, তাই আমাকে আসতে হলো।
নার্স চেয়ার এগিয়ে দেয় দারোগা বাবুকে বসার জন্য।
পাঁচ মিনিটের মধ্যে ডাক্তার আম্বার আলীও রুমে এসে দারোগা বাবুকে দেখে বলে আপনাকে তো ফোনে জানিয়েছিলাম তাহানের জ্ঞান ফিরেছে ত্রবং সেদিন তাহানের স্ত্রী মহিমা নাকি তার সাথেই গাড়িতে ছিলো।
দারোগা বাবু বলে, আজব ব্যাপার তো? আমরাতো কাউকে দেখতে পাইনি, ওখানে গাড়িতে তাহান ছাড়া কেউ ছিলোনা, ট্রাকের ড্রাইভারসহ ওরাতো চম্পট মানে উধাত্ত।
তাহলে আমাদের পুলিশ ফোর্স নিয়ে ত্রখনই সেখানে যেতে হবে যেখানে এ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিল,
সন্ধ্যা হয়ে গেছে। পুলিশ বাহিনী খুঁজতে থাকে হাইওয়ে মেইন রোডের আশেপাশে টর্চলাইট দিয়ে। পরে রাস্তার একদম নিচের দিকে পুলিশের ট্রেইন্ড ডগ ঘেউ ঘেউ করতে করতে ত্রগিয়ে যায় লাশের গন্ধ শুকে। দারোগা বাবু গিয়ে সনাক্ত করে মহিমার ডেডবডি।
টিভি’র খবরে বলা হয়, অন ডিউটিতে পুলিশদের গাফিলতির কারণে মহিমার প্রাণ গেছে, যদি সময়মত ঘটনাস্থল থেকে মহিমাকে উদ্ধার করতো, হয়তো তাহানের মত তার সহধর্মীনি মহিমা বেচে যেতে পারতো।
ত্রকমাস পর। নিস্তব্ধ হয়ে তাহান রাস্তার পাশে বসে আছে, যেখানে মহিমার শরীরটা পরেছিলো।
অগ্নির তেজস্বী মৃত্যু নয়, পানির মধ্যে ডুবে থাকা স্বপ্ন নয়, অস্তিত্বের অধীনে পরাধীনতা নয়, প্রাপ্তির স্বীকারোক্তি কেবলি অভিযোগ নয়, মানবীর সৃষ্টি শুধু আগুনের দ্বীপশিখা নয়। ভুমিষ্ঠ ফসলের চারা যখন ত্রকটু ত্রকটু বড় হতে থাকে, তখন তার শিকড় ছড়াতে থাকে মাটি আক্রে।
আর ভালোবাসায় কেউ যদি নিজের মধ্যে প্রিয় মানুষটিকে বসিয়ে রাখে বুকের জমিনে ভেজা মাটির গন্ধে তার নিঃশ্বাসের উর্বরতায়, সেই ভালোবাসার কোনো মৃত্যু নাই। আর আকাঙ্ক্ষা জীবনকে বাধ্য করে ভালো থাকার জন্য ছোট ছোট স্বপ্নে।
যতই অন্ধকার হোকনা কেন, পূর্ণিমা ঘুরে আসেই রাতের নিশি পথধরে।
আর দিনের আলোতে চলতে হয় মুখোমুখি নিজের গল্প ঘিরে।