গ্রেটার টরন্টোর মধ্যে সবচেয়ে অশিষ্ট শহর যেগুলি

প্রবাসী কন্ঠ ডেস্ক : নতুন এক জরিপে কানাডার সবচেয়ে অশিষ্ট বা অভদ্র ১০টি শহরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে পাঁচটিই অন্টারিওতে। খবর র‌্যাচেল গুডম্যান-নাউটরন্টো.কম।

কোনটি সবচেয়ে মুখ-খারাপ করা লোকদের শহর সেটি নিরূপণের উদ্দেশ্যে প্রিপ্লাই নামের একটি ভাষা শিক্ষার অ্যাপ এবং ই-লার্নিং প্লাটফরম কানাডার বৃহত্তম ৪৪টি নগরীর দেড় হাজারের বেশি বাসিন্দার মধ্যে জরিপ চালিয়েছে।

জরিপে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তারা কত ঘন ঘন কাউকে সচরাচর দৃষ্ট অশিষ্ট আচরণ করতে দেখেন, কত ঘন ঘন তারা কসম কাটে এবং কানাডীয়রা সুশীল বলে যে প্রচলিত ধারণা সে সম্পর্কে তাদের মূল্যায়ন কী?

গ্রেটার টরন্টোর মধ্যে সবচেয়ে অশিষ্ট বা অভদ্র তিনটি শহরের শীর্ষে আছে ভন (Vaughan)। ছবি : নারসিটি

কানাডায় যেসব আচরণকে সবচেয়ে অশিষ্ট বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে তার মধ্যে আছে, “জনসমক্ষে ফোনালাপে নিমগ্ন হয়ে থাকা, জনসমক্ষে শোরগোল করা এবং যান চলাচলের লেনে গাড়ি নিয়ে ঢুকতে কাউকে বাধা দেয়া।”

জরিপে পাওয়া উপাত্তগুলো পরে মিলিয়ে দেখা হয় এবং কোন শহরটি সবচেয়ে অশিষ্ট তা নির্ধারণের জন্য ১ থেকে ১০ পর্যন্ত একটি পরিমাপকের ভিত্তিতে সেগুলোর বিশ্লেষণ করা হয়। ১০ পাওয়া মানে সবচেয়ে অশিষ্ট। সবচেয়ে অপ্রিয়দর্শন কোন আচরণটি প্রায়শ ঘটে এবং কোথায় ঘটে জরিপের ফলাফল সে বিষয়েও আলো ফেলেছে।

নির্দিষ্ট মানদণ্ডের নিরিখে কানাডার সবচেয়ে অশিষ্ট বা অভদ্র তিনটি শহর হলো অন্টারিওর ভন (Vaughan), ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার কোকুইটলাম (Coquitlam) এবং অন্টারিওর ব্রামটন (Brampton)।

জরিপে দেখা যায়, “অশিষ্টতার গড় স্কোর যেখানে ৫.২২ সেই তুলনায় এই তিনটি শহরের স্কোর অনেক বেশি; যথাক্রমে ৮.০৫, ৭.৯৫ এবং ৭.০৫।”

এর পরেই খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে মিসিসগা এবং রিচমন্ড যথাক্রমে ৫.২৫ এবং ৪.৮৯ স্কোর নিয়ে।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, “৭,১২৪ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে অবস্থিত হলেও গ্রেটার টরন্টো এলাকার শহরগুলির আপেক্ষিক অভদ্রতার মাত্রায় ব্যাপক পার্থক্য আছে।” মার্কহ্যাম (Markham) ও ওকভিল (Oakville) যথাক্রমে ২.৯১ এবং ৪.৪৬ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে ভদ্র শহর হলেও, টরন্টো জাতীয় গড় স্কোর ৫.৪১ এর চেয়ে সামান্য ওপরে আছে। টরন্টোর স্কোর ৫.৯১।

জরিপে দেখা যায়, কানাডীয়রা প্রতি দিন গড়ে নয় বার কসম খায় বা কিরা কাটে, আবার প্রতিদিন তারা গড়ে নয় বারই ক্ষমা চায়।

দিব্যি দিয়ে কথা বলার দোষ সবচেয়ে বেশি, দিনে ১৫ বার, বার্লিংটনের বাসিন্দাদের। পরের অবস্থানে গুয়েলফ, গড়ে ১৪ বার এবং চেথাম-কেন্ট-এর বাসিন্দারা দিনে ১৩ বার কসম খায়। বার্লিংটনের মানুষ মাফও চায় সবচেয়ে বেশি, দিনে গড়ে ১৮ বার “সরি” বলে।

এছাড়া, জরিপে দেখা গেছে, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে চারজনেরও বেশি কানাডীয় এমন ধারণার সাথে একমত পোষণ করেন যে, জাতি হিসাবে আমরা বিশেষভাবে বিনয়ী। এক্ষেত্রে মার্কহ্যাম ২.৯১, সাগুয়েন ৩.৮৭ এবং কেপ ব্রেটন ৩.৮৮ স্কোর নিয়ে যথাক্রমে সবচেয়ে সভ্য শহরের মর্যাদা পেয়েছে।

জনসমক্ষে ফোনালাপে নিমগ্ন হয় এমন মানুষের শহর হিসাবে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসাবে গণ্য করা হয়েছে ভন শহরকে, যখন গুয়েলফ শহরটি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক এমন মানুষের শহর হিসাবে বিবেচিত হয়েছে যারা সবার আগে কুকুরের আবর্জনা পরিষ্কার করে।

জরিপে বলা হয়, কানাডার দ্বিতীয় সবচেয়ে অসভ্য শহর কোকুইটলামে, “এমনটা দেখার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি যে, লোকেরা চেকআউটে ফোনে কথা বলে যাচ্ছে অথবা সবার সামনেই থুতু ফেলছে।”     

অন্য যেসব অশিষ্ট আচরণ সচরাচর দেখা যায় এবং যেসব শহরে সেগুলি সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান সেগুলি হলো:

*             নেতিবাচক বডি ল্যাঙ্গুয়েজ  – থান্ডার বে

*           কেউ গাড়ি নিয়ে তার লেনে ঢোকার সুযোগ করে দিলে তাকে ‘ধন্যবাদ’সূচক হাত না নাড়ানো – ভন

*             গণপরিবহন থেকে নামার আগে চালককে ‘ধন্যবাদ’ না বলা – থান্ডার বে