সুইডেনে বারবার অবমাননার শিকার হচ্ছে ইসলাম ধর্ম

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক, ১০ জুলাই ২০২৩:  সুইডেনে আবারও অবমাননার শিকার হলো ইসলাম ধর্ম। গত ২৮ জুন পবিত্র ঈদুল আজহার দিন দেশটির রাজধানী স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে দুই ব্যক্তি পবিত্র কোরআনের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেন। এমন ন্যক্কারজনক কাজের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব, ইরানসহ অন্য মুসলিম দেশ। প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশও। অনেক অমুসলিম দেশও সুইডেনে পবিত্র কোরআন অবমাননার নিন্দা জানিয়েছে।

সুইডেনে পবিত্র কোরআনের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব, ইরানসহ অন্য মুসলিম দেশ। ছবি : এএফপি

কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন খ্রীষ্ট ধর্মের সবোর্চ্চ গুরু পোপ ফ্রান্সিস-ও। তিনি বলেন, বাক-স্বাধীনতাকে কখনোই অন্যদের অবজ্ঞা বা অবমাননা করার উপায় হিসাবে ব্যবহার করা উচিত নয়। এই ধরনের অবমানাকর কর্মকাণ্ড পরিচালনার অনুমতি দেয়া নিন্দনীয়।

কিন্তু পোপ ফ্রান্সিস কোরআন অবমাননার নিন্দা জানালেও এই ঘৃণ্য কাজের অনুমোদন দেয় সুইডেনের আদালত। সুইডেনের বাক স্বাধীনতার আইনে এ ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি বৈধ বলে জানায় আদালত। তবে আদালত এ কথাও বলে যে, কোরআন পোড়ানোর ঘটনা সুইডেনের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করেছে বলেই আমরা দেখতে পাচ্ছি।”

আল-জাজিরা জানায়,  আদালতের অনুমতির পর গত ঈদুল আজহার দিনে সুইডেনে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানো হয়। ইরাক থেকে আসা অভিবাসী সলমন মোমিকা মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে কোরআন পোড়ান।  সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সে সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, ইউরোপের শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে খ্যাতি আছে সুইডেনের। কিন্তু তারপরও প্রায়ই দেশটিতে ইসলাম ধর্মের অবমাননার ঘটনা ঘটে। বিবিসি’র এক খবরে বলা হয়, সুইডেনে প্রকাশ্যে কোরআনের অবমাননার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এরও আগেও বেশ কয়েকবার সুইডেনে কোরআন পোড়ানো হয়েছে। গত এপ্রিল মাসে মালমো শহরে স্ট্রাম কুর্স নামের একটি কট্টর ডানপন্থী সংগঠন কোরআন শরিফ পোড়ায় এবং এর জেরে সে দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ চলে।

সুইডেনের ইসলামিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওমর মুস্তাফা বলছেন, সুইডেনে ইসলাম বিদ্বেষ ক্রমশই বাড়ছে। আর সেটার বহিঃপ্রকাশ শুধু ইন্টারনেটে নয়, বাস্তবে মুসলমানদের জীবনে প্রতিনিয়ত তা ঘটছে। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি নানা ধরনের বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ডের বিবরণ দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে রাস্তাঘাটে মুসলমান নারীদের হেনস্থা, মুসলিমদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া এবং মসজিদের ওপর চোরা হামলার ঘটনা।