শিবসেনাদের দাবী : ভারতের আজমীর শরীফ ভেঙে মন্দির বানাতে হবে
৩১ ডিসেম্বর ২০১৭
ভারতের আজমীর শরীফে অবস্থিত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহ.)-এর ঐতিহাসিক দরগাহকে ‘হিন্দু মন্দির’ বলে দাবি করেছে ‘শিবসেনা হিন্দুস্তান’ নামের একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি খাজা গরীব নওয়াজের দরগাহকে মন্দির দাবি করা হয়। ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সেখানে কড়া পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি এক বিবৃতিতে দরগাহ ভেঙে ফেলে সেখানে মন্দির তৈরি করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত এক ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
ওই ঘটনার পরে দরগাহের খাদেম ও সেখানকার ব্যবসায়ীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে শিবসেনা হিন্দুস্তান সংগঠনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে।
ভারতের আজমীর শরীফে অবস্থিত খাজা গরীব নওয়াজের দরগাহ গত ৮০০ বছর ধরে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের কাছেই শ্রদ্ধার স্থান বলে বিবেচিত হয়ে আসছে।
এ ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে দারুল উলুম রশিদিয়ার মুহতামিম মাওলানা মাসরুর আহমদ কাশেমি বলেন, ‘হাজার বছরের পুরোনো আজমীর শরীফ দরগাহ সম্পর্কে এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এই প্রথম এ ধরণের দাবি করেছে। এর আগে তাজমহল সম্পর্কেও তারা এরকম দাবি করেছিল যে, সেখানে মন্দির আছে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আমাদের আবেদন, যেন এ ধরণের সংগঠনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয় এবং তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হয়।’
জামিয়ুল মারিফ দেওবন্দের চেয়ারম্যান মুফতি আহমদ বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী সকলের সঙ্গে সবার উন্নয়নের কথা বলে সরকার গঠন করেছেন। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে আমাদের এবং আমাদের মুসলিম সংস্থার বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে দিচ্ছে এবং তা ভেঙে ফেলার হুমকি দিচ্ছে, সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি যে, এ ধরণের সংগঠনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হোক।’
এদিকে, ওই ঘটনার পরে দরগাহ কমিটির আবেদনে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কঠোর পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করাসহ সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পুলিশ এ ব্যাপারে বিতর্কিত ভিডিওসহ একটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।