কানাডীয় কর্মকর্তাদের জন্য অভিবাসীদের ব্যক্তিগত তথ্য জানার সুযোগ দিয়ে নতুন আইন
মে ১০, ২০১৫
প্রবাসী কন্ঠ ডেস্ক : অটোয়ার প্রস্তাবিত আইনী পরিবর্তনের অধীনে কানাডার অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তারা দেশের অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকে পার্মানেন্ট রেডিডেন্ট ও নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যাদি জানার সুযোগ পাবেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত এই পরিকল্পনার আওতায় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী, কানাডার কর্মসংস্থান ও সামাজিক উন্নয়ন বিভাগ, কানাডীয় রাজস্ব সংস্থা, আরসিএমপি এবং অভিবাসন কনসালট্যান্টদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে নাগরিক ও পারমানেন্ট রেসিডেন্টদের ব্যক্তিগত তথ্য ভাগাভাগি করে নেয়ার সুযোগ পাবেন।
প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, “সিআইসি (সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন কানাডা) কর্তৃপক্ষের জন্য এর দায়িত্ব পালনের ধারায় বিভিন্ন সহযোগী ও শরিকদের সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্য স্পষ্টীকরণের জন্য তা ভাগাভাগি করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।”
“কিছু তথ্য ভাগাভাগির জন্য সিআইসি প্রাইভেসি অ্যাক্টের ওপর নির্ভর করছে। তবে কোন কোন তথ্য ভাগাভাগি করা হবে সে নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে এবং সিআইসির আইন প্রয়োগের সক্ষমতাকে সীমিত করেছে।”
পরিকল্পনা অনুযায়ী, নতুন তথ্য প্রশাসনে রাজস্ব সংস্থা মূল ভূমিকা পালন করবে। আইনগত পরিবর্তনের পর অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে সিআইসির জন্য জমা দেয়া আবেদনপত্রে ‘সম্ভাব্য ভুয়া প্রতিনিধিত্ব’, প্রতারণা, বস্তুগত পরিস্থিতি গোপন করা বা অসামঞ্জস্য’ ইত্যাদি চিহ্নিত করার উৎস হিসাবে ইনকাম ভ্যারিফিকেশন প্রোগ্রামের তথ্যসমূহ দেখার সুযোগ দেয়া হবে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, তথ্য ভাগাভাগির অর্থ হলো কর্তৃপক্ষকে প্রতারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারি সেবা পাওয়ার জন্য নাগরিকত্বের মর্যাদা স্থায়ীকরণ ব্যক্তিবিশেষের পরিচিতি বা মর্যাদার যথাযোগ্যতা প্রতিপন্ন করা এবং তাদের অভিবাসন মর্যাদা পরিবর্তনে অন্যান্য কর্মকর্তাদের সক্রিয়ভাবে সতর্ক করে দেয়া।
এতে বলা হয়, “এটি সার্বিকভাবে অভিবাসন ব্যবস্থার বিশুদ্ধতার উন্নয়ন এবং নাগরিকত্ব ও সরকারের অন্যান্য ক্ষেত্রে গ্রাহক সেবার উন্নয়নে সহায়ক হবে।”
প্রস্তাবে তথাকথিত ‘হারানো কানাডীয়’ যারা নাগরিকত্ব আইনে পরিবর্তনের পর গৃহীত ব্যবস্থার শিকার হয়েছে এবং সেইসঙ্গে দত্তক ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব দেয়ার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়েছে। – টরস্টার নিউজ সার্ভিস