৫টি সহজ পদ্ধতিতে ইমিগ্রেন্টদের ব্যর্থতা কাটানোর উপায়
মায়াঙ্ক ভাট : সাফল্য ও ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়া সবার জন্যই কঠিন, বিশেষ করে নতুন আসাদের জন্য আরো বেশি। আমাদের জন্য ব্যর্থতাগুলো নিয়ে কাজ করাই মূল ইস্যু- এটাই সবচেয়ে আলোচিত অভিজ্ঞতা।
ব্যক্তি ভেদে ব্যর্থতার উদাহণে পার্থক্য দেখা যায়, পার্থক্য রয়েছে একই ব্যক্তি ভিন্ন সময়ের অভিজ্ঞতায়ও। এসব নিয়ে কাজ করার জন্য নিশ্চিতভাবেই উপায় রয়েছে, তবে এই পাঁচটি উপায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
১. পরিস্থিতি মেনে নেয়া
পরিস্থিতি মেনে নেয়া মানে পরাজয় মেনে নেয়া নয়, সারাজীবনের জন্য এটা মেনে নেয়া হয়েছে তাও নয়। আপাতত মেনে নেয়া; ভালো কিছু হওয়া পর্যন্ত কাজ করে যাওয়া। বর্তমান অবস্থা মেনে নিলে সাময়িক হতাশা থেকে মুক্তি মেলে।
২. ইতিবাচক থাকা
ইতিবাচক থাকা মানেই হলো নেতিবাচক দিকগুলো ত্যাগ করা- হোক তা মানুষ বা অবস্থা। এটা অবশ্যই বলা সহজ হলেও করা বেশ কঠিন, তবে একে প্রতিদিনের চেষ্টায় পরিনত করতে হবে প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করার মত।
৩. ছোটখাট বিষয়ে আনন্দ খুঁজে নেয়া
শীতের বিকেলে সাবওয়ে স্টেশন বের হয়েই বাস পেয়ে যাওয়া ক্ষুদ্র আনন্দ। অনেক তথ্য আর যোগ্যতার একটি সিভিকে এক পৃষ্ঠায় আটানো হতে পারে এমন আরেকটি উদাহরণ। এটা সবসময় ঘটে না, এমন আনন্দ উপভোগ করতে নিজেকে প্রতিদিনের কাজের মাঝেই নিজেকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে
৪. স্থায়ী পরিবর্তন আনা
এটা অনেকের কাছেই আশ্চর্যজনক হতে পারে কারণ পরিবর্তণ মানেই ক্ষনস্থায়ী এবং তা দুটি স্থায়ী বিষয়ের মাঝামাঝি অংশ। এটাই গতানুগতিক জীবনবোধ। সারা জীবনের জন্য কানাডায় আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা নিজেদের পাল্টে ফেলেছি। শিখেছি জীবনের সবচেয়ে কঠিন পাঠ- স্বতস্ফূর্ত ভাবে পরিবর্তন গ্রহণ। ফলে পরিবর্তিত হওয়ার ক্ষমতা আমাদের কখনোই হারানো উচিত নয়।
৫. চেষ্টা থামানো যাবেনা কখনোই
এখন কাজ হচ্ছে না তার মানে এই নয়, আর কখনোই কাজ হবে না। আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবেই, আমাদের মনে করতে হবে, আমাদের জন্য যোগ্য চাকরি আশ-পাশেই আছে, শুধুমাত্র ধরা যাচ্ছে না।
সৌজন্যে : কানাডিয়ানইমিগ্রেন্ট.সিএ