দুশ্চিন্তা কমানোর অন্যতম উপায় নিয়মিত ব্যায়াম
অনলাইন ডেস্ক : নিয়ম করে নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম মানুষের দুশ্চিন্তা কমানোর অন্যতম উপায়। মনে রাখতে হবে, ব্যায়াম শুধু শরীরের জন্যই নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। নিয়মিত ব্যায়ামে শরীরে এন্ডোরফিন হরমোন তৈরি হয়। আর এই হরমোন উদ্বেগ হ্রাসের জন্য উপকারী।
এটা সত্যি যে, জীবনের নানা জটিলতা ও ব্যস্ততার মধ্যে দুশ্চিন্তা থেকে পুরোপুরি মুক্ত থাকা বেশ কঠিন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সহজ ও কার্যকর অভ্যাস মেনে চললেই মানসিক চাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। অতিরিক্ত টেনশন শুধু মন নয়, শরীরেও নানা দীর্ঘমেয়াদী অসুখের ঝুঁকি বাড়ায়-যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি। তাই সুস্থ ও স্বস্তির জীবনযাপনের জন্য দুশ্চিন্তা কমানো জরুরি।

আমেরিকার স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘হেলথলাইন’-এর সূত্র উল্লেখ করে আরটিভি নিউজ জানায়, দুশ্চিন্তা কমাতে নিচের ৫টি উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে।
মেডিটেশন বা ধ্যান : প্রতিদিন কয়েক মিনিট সময় বের করে মেডিটেশনের অভ্যাস গড়ে তুলুন। চোখ বন্ধ করে গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া ও মনকে নিরবতা দিতে চেষ্টা করা-এই সাধারণ অভ্যাসই টেনশন দূর করতে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম : ঘুম টেনশন কমানোর সবচেয়ে সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়। দীর্ঘ ও গভীর ঘুম মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দেয়, মনকে করে সতেজ। ঘুমের ঘাটতি মানসিক চাপে আরও ইন্ধন যোগাতে পারে।
মিউজিক থেরাপি : মন খারাপ হলে আনন্দদায়ক, প্রিয় গান শুনুন। দুঃখের বা আবেগতাড়িত সঙ্গীত এড়িয়ে চলা ভালো। হালকা বা প্রেরণাদায়ী গান মানসিক ভারমুক্তিতে সহায়ক।
হালকা ব্যায়াম : শরীর সচল থাকলে মনও সচল থাকে। প্রতিদিন কিছু সময় হালকা ব্যায়াম বা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে মন ভালো থাকে, দুশ্চিন্তা হ্রাস পায়।
ভালো লাগার কাজ ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য : মন খারাপ হলে আপনার পছন্দের কাজটি করুন—হোক সেটা বই পড়া, ছবি আঁকা, রান্না, গার্ডেনিং বা শপিং। কাছের মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান। সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে ভুলবেন না। টক দই, ডার্ক চকলেট, বাদাম, ওটস, রসুন, হলুদ, গ্রিন টি, বেরি জাতীয় ফল ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার দুশ্চিন্তা কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
দুশ্চিন্তা কমানো কোনো ম্যাজিক নয়, বরং অভ্যাসের বিষয়। প্রতিদিন একটু সচেতন হলে এবং নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করলে মানসিক চাপ থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকা সম্ভব।