আকাশের ঠিকানায়

ফারহানা পল্লব

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

১২- সৌম্যের চিঠি

প্রিয় রাধা,

অত্যন্ত দুঃখিত যে তোমার সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি কতগুলো মাস। আসলে আবারো এক রোড এক্সিডেন্টে আমি অনেক আহত হয়ে হাসপাতালে ছিলাম। ফোনটা ভেঙে চুড় মাড়। তোমার সাথে যোগাযোগের কোনো পথই ছিল না। তোমার পরিচিত বানু আপা আমাকে ফেসবুকে খুঁজে বেড় করে কল করেছিলেন। তার কাছ থেকে তোমার নম্বর নিয়েছি। বলো তুমি কেমন আছো? কেমন ছিলে?

জানি অনেক মন খারাপ করেছো, কিন্তু আমি পুরাই লস্ট ছিলাম। বলতে গেলে পৃথিবী থেকেই বিচ্ছিন্ন ছিলাম। সেই যে বাস দুর্ঘটনার পর তোমাকে হারিয়ে ফেলেছিলাম! তেমনি অসহায় লাগছিল। আমি আবার তোমার সাথে যোগাযোগের কোনো উপায় পাচ্ছিলাম না। মনে হচ্ছিল জীবন মৃত্যুর মাঝে ঝুলে আছি। এরকম আমার আগেও দু’বার হয়েছে। একবার সেই বাস এক্সিডেন্টে আরেকবার যখন ওপেন হার্ট সার্জারী হল। আমি মৃত্যুর দোর গোড়া থেকে বার বার ফিরে এসেছি। এর তো কোন একটা কারণ আছে। আমি জানি তুমি শুনে হাসবে, আমার কিন্তু বিশ্বাস আমাদের দুজনার আবার দেখা হবে বলেই আমি বেঁচে আছি। তোমাকে পাবো বলেই আমার এরকম বার বার জন্ম হচ্ছে।

তোমার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেই আমার বিপদ হয়। অসুখ হয়। দুর্ঘটনা হয়। আরো কত কি। তোমাকে পেলেই আবার সব শান্ত। এগুলোর কি যুক্তি দেবে তুমি? তুমি মন খারাপ করো আমি সংসারী হই নি বলে। কিন্তু তুমি তো জানো না আমি তোমার সাথেই সংসার করে গিয়েছি পুরো জীবন-“আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ সুরের বাঁধনে–

তুমি জান না, আমি তোমারে পেয়েছি অজানা সাধনে॥”

জান রাধা, তোমাকে হারানোর পরে মনের মধ্যে তোমার এক মূর্তি বানিয়ে নিয়েছিলাম। জানি, যে কোনো লোক এরকম কথা শুনতে নির্ঘাত আমাকে পাগল ভাববে। কিন্তু তোমার কাছে স্বীকার করতে লজ্জা নেই। আমি সত্যি সামাজিক নিয়মে যদি ধরো, তাহলে পাগলের মতই ভেবেছি। তোমার সাথে ঘর সংসার, রাগ অভিমান, একা থাকলে কথপোকথনও চালাতাম। এজন্যই নিজেকে কখনো একা ভাবিনি। আমার পরিবার আর বন্ধুরা অনেকেই বলেছে তোমাকে ভুলার জন্য হলেও সংসার করতে। আমি বলেছি তোমাকে ভুলে যাওয়া যেহেতু সম্ভব নয়, অন্য একজনের সাথে সংসারের অভিনয় করলে তাকে ঠকানো হবে। তাই তুমি ছাড়া আমার জীবনে আর কাউকেই স্থান দিতে পারিনি, সমঝোতা করিনি কোথাও। আমি খুব সুখে আছি তোমাকে নিয়ে। তোমাকে ফিরে পেয়ে যেমন আনন্দিত হয়েছি, বিস্মিত হইনি একটুও। আমার চিরকাল বিশ্বাস ছিল তোমাকে পাবোই। তোমাকে খুঁজে পাওয়া তার প্রথম অধ্যায়।

একসময় তোমাকে আবার জয় করতে পারবো, তুমি মানতে চাও না, কিন্তু আমি জানি, সমাজ সংসার কিছুই আমাদের বাঁধা হবে না। জগৎ সংসার যখন দেখবে আমাদের ভালোবাসার এই শক্তি, তখন সকল নিয়মের শৃঙ্খল শিথিল করে তোমাকে আমার হাতে সমর্পণ করবে। আমার অপারেশন থেকে বুকে যে কাটা দাগটা ছিল সেটা দিনে দিনে হালকা হয়ে যাচ্ছে। আমার সকল ক্ষত, ব্যথা বেদনা হালকা হয়ে যাচ্ছে তোমাকে পাওয়ার পর থেকে।

এখন শুধু দিন গুনি কবে কোভিডের বন্দিদশা কাটবে আর আমরা আবার সামনাসামনি হতে পারবো। কতকালের তৃষ্ণার্ত বুকটা আমার জুড়াবে তোমাকে কাছে পেলে। ভাবতেও পারি না সেদিন আমি কি করবো। তুমি কেমন হয়েছো সামনাসামনি দেখতে, ভাবনার জাল বুনি। শুধু সেই ছোটবেলার দুরন্ত তোমাকেই দেখতে পাই। তুমি কি সেই আগের মত আছো?

সৌম্য।

১৩ রাধার চিঠি

সৌম্য,

পাগল আমার। সেই দিনগুলোর মত পাগলামি গেল না তোমার। তোমার সাথে কথা বল্লে মনে হয় সময়টা থেমে ছিল। ৩০/৩৪ বছর যেন জগৎ সংসার কোন এক বরফ যুগের মত জমে ছিল। হঠাৎ আবার বরফ গলে গেছে আর আমরা সেইখানেই রয়ে গিয়েছি। তোমার তো মনের বয়স বাড়েনি একটুও। বরং মনে হয় আরো দুরন্ত হয়েছো। একেবারে সেই ২১/২২ বছরের যুবক তুমি। তখন যেটুকু সংকোচ ছিল, এখন বড় হয়ে সেটুকুও নেই। কত সহজে সব বলে দাও। আমি শুধু হাসি আর ভয়ে মরি কখন কি হয়। আমি সংসারে এভাবে আঁষ্টে পৃষ্ঠে জড়ানো, যে সমাজ সংসারের ভাবনায় মাঝে মাঝে নি:শ্বাস নিতেও ভুলে যাই। পুত্র কন্যা বড় হয়ে যে যার সংসারে। স্বামী নামের যে সঙ্গী ছিল সেও আজকাল খুব দূরের মনে হয়। মানসিক বন্ধনটা কবে যেন ছিঁড়ে গিয়েছে, বুঝতেও পারিনি। তারপরেও তার মান সম্মান, মন খারাপ বা তার প্রতি কোনো অন্যায় যেন না করা হয়, সে বিষয়ে সচেতন থাকি সবসময়। শত হলেও ১২ বছরের এই সংসার, তার প্রতি অবহেলা বা অযত্ন নিজেকেই ঠকানো হবে। তাই তোমার পাগলামীতে সাড়া দেইনা।

তোমাকে যদিও ফিরাতে পারিনি। তবে বুঝাতে পেরেছি, আমি সংসারে কতটা নিমগ্ন। সংসারটা কোন একজন ব্যক্তি তো নয়। এ একটা জগৎ। সেখানে ঘর বাড়ি থাকে। থাকে হিসেব নিকেশ। স্বামী সন্তান সম্পর্ক। কিছু নাড়ির টান আর কিছু ভালবাসা বা সমঝোতার বন্ধন। সমাজের কাছে জবাবদিহিতা, নিজের অস্তিত্ব, পরিচয়। মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার দাবি। একজন সচেতন নারীর জীবনে সংসার খুব জরুরি। বিবাহ বিচ্ছেদ যতই হোক, সংসার থেকে বিচ্ছেদ হয়না। নারী সংসার গড়ে, সন্তান জন্ম ও প্রতিপালনের জন্য সুন্দর সংসার সাজিয়ে রাখে। সেখানে সন্তানের বাবা, স্বামী বা অন্য পার্টনার থাকলে সংসার সম্পূর্ণ হয়। না থাকলেও সংসার তার নিজ গতিতে চালাতে হয়। আমার সংসার ভেঙেছে, আবার গড়েছি। আমার মা আর সন্তানদের নিয়ে যে সুন্দর সংসার সাজিয়েছি, তাতে যে পার্টনার হয়ে আছে তার সাথে মানসিক সম্পর্কটা আমার সাথে। সময়ের সাথে সে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হওয়ার কথা, কিন্তু সম্পর্কটা যেন খুব নীরবে রোদে জলে পুড়ে রঙ জ্বলা পুরোনো গামছার মত জীর্ণ হয়ে যাচ্ছে।

আমি যতই অস্থির মনের মানুষ হই না কেন, সম্পর্ক টিকাতে আমি খুব ধীর স্থির। আমি পার্টনারের পরিবর্তনগুলো দেখছি। ধৈর্য ধরে সব মেনে নিচ্ছি। একদিন সে হয়তো নিজের ভুল শুধরে নিয়ে আবার সংসারে মনোযোগী হবে।

আমি হাল ধরে বসে আছি, মনে হয় একদিন তো আমি পরিপূর্ণ হব। তুমি একদিক থেকে কিন্তু যথাযথ সময় এসেছো। আমার সন্তানরা মানুষ হয়েছে। আমিও যেন পায়ের তলায় মাটি পেয়েছি। কিছুটা হালকা বোধ করছিলাম। এসময় তুমি এলে। আমি জানি তুমি কোনোদিন আমাকে জোড় করনি, করবেও না। তুমি আমাকে সুখী দেখতে চেয়েছিলে। আমি একরকম সুখেই আছি। যে সংসারে সুখ ছিল না সেখান থেকে বের হয়ে এসেছি। নিজের সংগ্রাম বেড়েছে একা চলতে গিয়ে কিন্তু, শান্তি ফিরে এসেছে জীবনে। ৯/১০ বছর একা কাটাবার পর আবারো ঘর বেঁধেছি। বার বার চেষ্টা করেছি সামাজিক নিয়মের মধ্যে ভাল থাকার। সব তো নিজের মনের মত হয় না। কিছু ছাড় দিতে হয়, তাই দিচ্ছি।

তোমার সাথে সংসার না হয়ে ভালোই হয়েছে। নইলে এরকম বিচ্ছেদ হয়ত তোমার সাথেই ঘটে যেত। তখন এমন ৩০ বছরের ইতিহাস সৃষ্টি হত কি করে? এরকম প্রেম আমার জীবনে ফিরে আসবে কখনো কি ভেবেছি? থাকো না আমার চির প্রেমিক হয়ে! কেন ঘর সংসার করতে হবে? শুধু এরকম ভালোবেসেও তো জীবন কাটিয়ে দেয়া যায়! কিন্তু তুমি যখন ডাকো আমি অস্থির হয়ে যাই আরেকবার দেখার জন্য। কেমন দেখতে হয়েছো খুব সামনে থেকে দেখতে ইচ্ছে করে। এ আশা হয়তো কখনোই পূরণ হবে না। কারণ আমি সংসারে আবদ্ধ। এখানে থেকে তোমাকে ভালবাসা বা দেখার জন্য উন্মুখ হওয়া অন্যায়। তাই বার বার নিজের ইচ্ছাকে সংযত করি। আমি নিজের কাছে নিজেকে ছোট করতে পারবো না। আমি প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছি নিজের সাথেই। এক মন বলে দেখা হলে সব শান্ত হবে। আরেক মন বলে দেখা হলেই সর্বনাশ! আমি বিশ্বাস ভঙ্গ করতে পারি না। আমি কি করবো তুমি বলে দাও?

তোমার রাধা।

১৪- সৌম্যর চিঠি

আমার অনু, আমার রাধা,

আমি কি বলবো তুমি জানো। যতবার জিজ্ঞেস করবে আমি তোমাকেই চাই। দেখতে চাই বার বার; সবসম। তোমার আমার সময়টা বরফযুগের মত, স্থির হয়ে আছে, সবটাই আমার পাগলামি মনে হয়। রাধা তুমি জাননা, আমি কেমন ঠান্ডা একজন মানুষ। কতটা ধীর স্থির জীবনে। শুধু তোমার কাছে এলেই আমি অস্থির। তোমার সাথে কথা বল্লে জীবন ফিরে পাই যেন। হ্যাঁ সেই ২১/২২ এর বয়সে আমি রয়ে গিয়েছি তোমার জন্য। অপেক্ষায় আছি তোমাকে সত্যি করে পাওয়ার।

তুমি যে এত বড় কখন হয়ে গেলে, ভাবতেই অবাক হই। সকলের জন্য এত ভাবনা; শুধু আমার কথাই ভাবলে না, তোমার পাশে নিলে না। হয়তো আমাদের সামাজিক সম্পর্কের বিয়ে হয় নি, তবু কি আমি তোমাকে জীবন সঙ্গী ভাবিনি? তুমি কেন চিরকাল এত দূরে সরিয়ে রাখলে? আজ এত বছর পরে তোমার ভগবান, আমার খোদা যদি আমাদের আবার মিলিয়ে দিচ্ছে তুমি তবু পাথর কেন?

তোমার সংসারের ভালোই সংজ্ঞা দিয়েছো। আমি তোমাকে আমার জীবন সঙ্গী করে একা সংসার করে গেলাম আর তুমি জীবন সঙ্গী ছাড়া সংসার করছো, তাও আবার যেখানে স্বামীর উপস্থিতিও নিয়মিত নেই। জানিনা কি আমাদের পাগলামি। তোমার কেন এত সংশয় আমি বুঝতে পারি না। সেই ছোটবেলায় এত ভিন্নতা থাকতেও আমরা কত সাহসী ছিলাম। নিজেদের ভালোবাসাকে কখনো ছোট করিনি। তোমার মাঝে দৃঢ়তা দেখেছিলাম বলেই না আমার এতখানি জুড়ে শুধুই তুমি। আজও তো সেই ভালোবাসার কোনো কমতি দেখি না। শুধু একটু কথা বলার জন্য কেমন অস্থির থাকি দুজনেই। কোথাও বেড়াতে গেলে আমার পছন্দের শাড়িটা পড়ছো। তোমার সাজুগুজু দেখতে আমার নেশার মত লাগে। ফেসটাইমে আমাকে ফোনে আয়নার সামনে রেখে যখন কাজল পড়- আমি যেন গলে গলে যাই। হালকা একটু সাজের শেষটা টানো ছোট্ট একটা টিপ পড়ে তখন প্রতিবার তোমার কপালের ঐ মাঝখানে একবার চুমু খাই আমি, সেটা কি তোমার জানা আছে? তুমি নুপুর পড়বে ভাবতেই মন উচাটন, মনে হল থাক না ওটা আমার জন্য তুলে রাখো। যেদিন দেখা হবে সেদিন পড়। দেশে গিয়ে যে সবুজ চেকের তাঁতের শাড়িটা পাঠিয়েছিলাম সেটা তো পড়লেনা এখনো। তবে টিপের পাতা গুলো খুব কাজে লাগছে দেখতে পাচ্ছি।

তোমার হাতের সরু সরু কব্জিতে যে স্পাইরাল রাবারের চুলের ব্যান্ডটা, সেটাকে খুব হিংসে হয়। দিন রাত চব্বিশ ঘণ্টা তোমার হাত ধরে থাকে। কতবার বলি ওটা ফেলে দাও ; তুমি আবার ঐটা দিয়ে চুল গুছিয়ে নাও। এরপর অনেক কাঁচের চুড়ি কিনে দেবো। রিনিঝিনি বাজবে ওরা, আর আমার কথা মনে করাবে সেই রিনঝিনে। তুমি কেন এখন আর আগের মত হাত ভরে কাঁচের চুড়ি পড়না? মাঝে মাঝে নখের যত্নও কম দেখেছি। যাক এখন যে রেগুলার নেইল পলিশটা থাকে দেখলেই মনে হয় এই তো আমার প্রিয়তমা আমার জন্য সেজে থাকে। তুমি যেদিন খোঁপায় সাদা ফুল পরে সাদা জামদানীতে সাজলে, সারাদিন আর ফোন ছাড়তে মন চায়নি। মনে হচ্ছিল বুকের মধ্যে পরীটাকে লুকিয়ে ফেলি আর কেউ যেন দেখতে না পায়, নজর না লাগে। আমার নজর কবে যে লেগে যায় সেই চিন্তায় থাকি।

শুনো এত সংশয় রেখে লাভ নেই। নিয়তি আমাদের আবার কাছে এনেছে এরকম করে নিজেকে বঞ্চিত করতে নেই লক্ষীটি। তুমি আসো আমার শহরে। বা আমি আসি তোমার শহরে। তোমার সমাজকে মানুষকে এত ভয় লোকে কি বলবে সে চিন্তা। তাহলে দুজনেই আধা পথ আসি অন্য কোন নতুন শহরে দেখা করি। তোমার আমার উপর বিশ্বাস আছে তো? আমি কখনো তোমার মনের ইচ্ছার বাইরে কিছুই করবো না। দুজন বন্ধুও তো দেখা করতে পারে। এভাবেই না হয় ভাবো। আমরা কাউকে ঠকাচ্ছি না। শুধু একবার দেখা করে আমি আরো ৩০ বছর কাটিয়ে দিব না হয়।

তুমি একবার রাজী হলে দশবার পিছিয়ে যাও। শুনছি কোভিডের পর আমাদের দুই দেশের বর্ডার আবার খুলছে। আমি ফ্লাই করি দু’ঘণ্টা, তুমি ড্রাইভ করো। বর্ডার শহরেই নাহয় দেখা হোক। শুনলাম তুমিতো ওখানে যাও ব্যবসার কাজে। সেরকম একসময় নাহয় আমিও এসে এক ঝলক দেখে যাব। এত কঠিন হয়ো না আমার প্রতি একটু সদয় হও দেবী। তোমার কক্ষনো কোন ক্ষতি হতে দেব না আমি তুমি তা জানো। সমাজ সংসার কোথাও তোমার অসম্মান হবেনা আমি কথা দিচ্ছি। –

মোর প্রিয়া হবে এসো রানী, দেবো খোঁপায় তারার ফুল।

তোমার সৌম্য

(চলবে)

লেখক পরিচিতি

কানাডা প্রবাসী ফারহানা পল্লব একজন লেখক, সঙ্গীত শিল্পী, সাংস্কৃতিক সংগঠক এবং গ্রাফিকস্ শিল্পী। বর্তমানে তিনি অন্টারিও বাঙ্গালী কালচারাল সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *