কানাডায় ঠকবাজদের দৌরাত্ম্য

নভেম্বর ৪, ২০১৮

খুরশিদ আলম

সপ্তাহ দুই আগে রয়েল ব্যাংক অব কানাডার নাম ও মনোগ্রাম যুক্ত একটি ই-মেইল আসে আমাদের প্রবাসী কণ্ঠ ম্যাগাজিনের ঠিকানায়। তাতে বলা হয় সন্দেহজনক কার্যকলাপের জন্য কানাডিয়ান আইন অনুযায়ী ম্যাগাজিনের ব্যাংক একাউন্ট সাময়িকভাবে block  করে দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যে বা যারা একাউন্টের অনুমোদিত ব্যবহারকারী, তাদেরকে ঐ একাউন্টের তথ্য যাচাই বা ভেরিফাই করতে হবে। অবশ্য ইতিমধ্যে যদি প্রবাসী কণ্ঠের অনুমোদিত কেউ ব্যাংক একাউন্ট এর তথ্য ভেরিফাই করে থাকেন তবে এই ই-মেইল এর বার্তা উপেক্ষা করতে পারেন।

ই-মেইলে একটি লিং দেয়া আছে যেখানে ক্লিক করতে বলা হয়েছে একাউন্ট সম্পর্কে তথ্য দিয়ে তা Unblock  করার জন্য। যদি কেউ Unblock  না করেন তবে নভেম্বর মাসের এক তারিখ পর্যন্ত এই একাউন্টের অর্থকড়ি সব ফ্রিজড অবস্থায় থাকবে। ওতে হাত দেয়া যাবে না।

ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে সন্দেহ জনক কার্যকলাপ করা হয়েছে আর সে কারণে কানাডার আইন অনুযায়ী ব্যাংক একাউন্টও block করে রাখা হয়েছে! এ তো আঁতকে উঠার মত সংবাদ!

চিঠির যে ভাষা এবং ব্যাংক এর যে মনোগ্রাম ব্যবহার করা হয়েছে তাতে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে ই-মেইলটি ব্যাংক থেকেই এসেছে। ব্যাংক এর ওয়েবসাইটের একটি লিং-ও দেয়া আছে ঐ ই-মেইলে। প্রয়োজনে সেখানে ভিজিট করা যেতে পারে এমন কথাও বলা আছে।

ই-মেইল এর বার্তাটি ছিল এরকম :

Account usage notification
Your account has been blocked as required by the Canadian law, we’ve temporarily blocked funds usage. All users that have suspicious activity on their account will require to verify their information to prevent account misuse.
You or other authorized users can unblock your account by verifying your information. If you have already done so, please disregard this message.
Unblock account now
If you or an authorized user does not unblock the funds, the block will remain until November 1st.
To review usage, change data options and manage your notification preferences, visit RBC Online .

কিন্তু শুরু থেকেই আমার সন্দেহ হচ্ছিল। কারণ, রয়েল ব্যাংক এ আমার একাউন্ট অনেক পুরানো। প্রায় ২৩ বছর ধরে এই ব্যাংক এ আমার একাউন্ট। কোনদিন এরকম বার্তা আসেনি ব্যাংক থেকে। অবশ্য বিজনেস একাউন্টের বয়স অত দীর্ঘ সময়ের নয়। বছর পাঁচেক হবে।

ই-মেইলটি যখন আমার নজরে আসে তখন মাঝ রাত। ব্যাংক এর যে শাখায় একাউন্ট সেই শাখার কাউকে এই মাঝ রাতে পাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। তবে ব্যাংক থেকেই এই ই-মেইলটি এসেছে কি না, আর যদি এসেই থাকে তাহলে সন্দেহজনক কি কার্যকলাপ করা হয়েছে তার একটি ব্যাখ্যা চেয়ে ই-মেইল পাঠালাম রয়েল ব্যাংক এ। ইতিমধ্যে অনলাইন ব্যাংকিং-ও চেক করে দেখলাম। সেখানে কোন সমস্যা নজরে আসলো না।

পরে ই-মেইলের উত্তরে ব্যাংক থেকে যা বলা হলো তা নিুরূপ :

“That email isn’t from RBC.
Fraudulent email messages usually ask you to click on a link to type in your personal banking information so your account can be verified or activated. In general, you should not give out confidential and financial information online in response to messages from people you haven’t approached first.
We at RBC will never ask you to give us sensitive information such as your account numbers, PINs, passwords, social insurance number through non-secured means of communication such as regular email, proactive phone call or text messages.
If you believe you have been or may be the victim of fraud, please call us right away at the number below.”

ভাবতে অবাক লাগে, কি এক টেকনলজির যুগে বাস করছি আমরা যেখানে প্রতারক আর ঠকবাজরা অনায়াসে আমাদের অন্দরমহল পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে প্রতারণার ফাঁদ পাতার জন্য। আর না জেনে বা না বুঝে এই প্রতারণার ফাঁদে পা দিচ্ছি আমরা অনেকে। প্রতারকরাও হাতিয়ে নিচ্ছে মিলিয়নস অব ডলার। এদের ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হলে পুলিশেরও আর বিশেষ কিছু করার থাকে না। কারণ, কোথায় খুঁজবে তাকে? কোন সূত্রইতো ঐ অনলাইন প্রতারকরা রাখে না। আর সে যে কানাডায় বসে এই অপকর্ম করছে সেটিও তাৎক্ষনিকভাবে জানার কোন উপায় নেই। হতে পারে সেই প্রতারক ভারতে বসে এই অপকর্মটি করছে অথবা চীন কিংবা অন্য কোন দেশে বসে এগুলো করছে।

আমার ভাগ্য ভাল যে, ঐ প্রতারকদের কথামত Unblock account now বাটনে ক্লিক করতে যাইনি এবং কোন তথ্যও দিইনি। দিলে চূড়ান্ত সর্বনাশ হয়ে যেত। সন্দেহ সৃষ্টি হওয়াতেই রক্ষা। আর সন্দেহ সৃষ্টির কারণও ছিল যথেষ্ট। প্রথম কারণ হলো, আমি জানি আমার একাউন্টে কোন রহস্যজনক বা সন্দেহজনক লেনদেন হয়নি কখনো। আমার ব্যক্তিগত একাউন্টে নয় এবং বিজনেজ একাউন্টেও নয়। দ্বিতীয় কারণ হলো, আমি জানি অনলাইনে অনেক প্রতারণার ঘটনা ঘটে। একটু অসতর্ক হলেই সর্বনাশ হয়ে যেতে পারে।

ইতিপূর্বে এই প্রতারকরা আমাদের বাসায় ফোন কলও দিয়েছিল রেভিনিউ কানার নাম করে। একবার নয় বেশ কয়েকবার। নানারকম হুমকী-ধামকী দিয়ে চেষ্টা করেছে কিছু অর্থ হাতিয়ে নেবার। কিন্তু সফল হয়নি। উল্টো তাদেরকেই ধমকে দিয়েছি। কিন্তু তাদের এই প্রতারণার বাণিজ্যতো বন্ধ হয়নি। এক কৌশল পুরানো হয়ে গেলে নতুন নতুন আরো কৌশল বের করে নেয় তারা।

‘কানাডিয়ান এন্টি ফ্রড সেন্টার’ সূত্র থেকে জানা যায় ২০১৭ সালে তারা ৭১,৭৯৩ টি জালিয়াতির অভিযোগ পেয়েছে। আর এই জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতারকরা মোট ১ শত ১০ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে।

প্রতারণার কিছু কমন কৌশল : –

ভয়-ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করা : প্রতারকরা তাদের টার্গেটকে নানারকম ভয়-ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করেন এই পদ্ধতিতে। নানানভাবে এই কৌশল প্রয়োগ করা হতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে কমন হলো কানাডা রেভিনিউ এজেন্সির নাম করে ফোন দেয়া এবং ভয় ভীতি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা। প্রধানত ইমিগ্রেন্ট পরিবারের সদস্যরা এই ধরনের ফোন কলের টার্গেট হয়ে থাকেন। টেলিফোনের মাধ্যমে প্রতারকরা সম্ভাব্য শিকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আমরা আপনার টেক্স রিটার্নের ফাইল চেক করে দেখেছি। ফাইল চেক করে আমরা দেখতে পেয়েছি আপনি আপনার আসল ইনকাম গোপন করেছেন টেক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য। এ জন্য আপনাকে কম করে হলেও ৫০ হাজার ডলার জরিমানা গুনতে হতে পারে। এমনকি জেলও হতে পারে। ভয় দেখানোর জন্য তারা আরো হুমকী দেন এই বলে যে, “কিছুক্ষণের মধ্যেই আরসিএমপি এসে আপনার দরজায় কড়া নাড়বে। তাদের কাছে আপনাকে গ্রেফতার করার জন্য ওয়ারেন্ট রয়েছে।”

কানাডার বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত কানাডিয়ান এন্টি ফ্রড সেন্টার এর কর্মকর্তা ডেনিয়েল উইলিয়াম ইতিপূর্বে বলেছেন, কানাডা রেভিনিউ এজেন্সির নাম করে প্রতারকদের এই ফোন কলের প্রায় সবগুলোই আসে ভারত থেকে। আগে এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা দেশের বাইরে অবস্থিত ভারতীয়দের টার্গেট করে ফোন দিতেন। কিন্তুু এখন তারা প্রতারণায় আরো অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন এবং তাদের কলের সীমানা বাড়িয়ে খোদ কানাডিয়ানদেরকেও জ্বালাতন করছেন।

ফিসিং ই-মেইল : এই প্রক্রিয়ায় প্রতারকরা এমন সব নামী দামী প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙ্গিয়ে ই-মেইল পাঠাবে যে, তাৎক্ষনিক ভাবে কেউ সন্দেহই করতে পারবে না। নামকরা কোন ব্যাংক বা অন্যকোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা রেভিনিউ কানাডার নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারকরা ই-মেইল পাঠাবেন এবং বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য চাইবেন। যদি কেউ সেই সব তথ্য দেন তবে তা ব্যবহার করে টার্গেট করা ব্যক্তির একাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ড এর অর্থ হাতিয়ে নিবেন প্রতারকরা।

আমি যে ই-মেইলটি পেয়েছিলাম সেটি রয়েল ব্যাংক এর নাম ভাঙ্গিয়ে ও তাদের মনোগ্রাম সুনিপুনভাবে ব্যবহার করে পাঠানো হয়েছিল। হুট করে বোঝার উপায় ছিল না যে এটি প্রতারকদের কাছ থেকে আসা ই-মেইল।

মাইক্রোসফট এর টেনিশিয়ান পরিচয়ে প্রতারণা: কিছু কিছু ফোন কল আসে কারো বাসার বা অফিসের কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করেছে এরকম সতর্কবাণী দেওয়ার মাধ্যমে। এরা ফোন দিয়ে বলেন যে, “আপনার কম্পিউটারে বিপজ্জনক ভাইরাস ঢুকে বসে আছে। এটি ঠিক না করালে সমূহ বিপদ অপেক্ষা করছে আপনার কম্পিউটারের জন্য।” এই প্রতারকদের ফোন কলে সাড়া দিয়ে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিলেই বিপদ। আমি নিজেও এরকম কল পেয়েছি বেশ কয়েকবার। তখন আমি এ্যাপল কম্পিউটার ব্যবহার করতাম পত্রিকার কাজের জন্য। কিন্তু প্রতারকরা বলতো আমার পিসি অর্থাৎ পারসনাল কম্পিউটারে নাকি ভাইরাস ঢুকে আছে। অথচ আমার কোন পিসি-ই ছিল না তখন। এদের ইংরেজী উচ্চারণ শুনে স্পষ্টতই অনুমান করা যায় যে এরা ভারত থেকে ফোন কলগুলো দিত। আর সবচেয়ে বড় কথা, আমার বাসায় বা অফিসের কম্পিউটারে ভাইরাস ঢুকে বসে আছে এই খবর তারা জানবে কি করে?

অনলাইনে পণ্য ক্রয় : অনলাইনে পণ্য ক্রয় করার সময় খুব সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেয় কানাডিয়ান এন্টি ফ্রড সেন্টার। অনলাইনে কোন পণ্য ক্রয় করার আগে দেখতে হবে তাদের রেপুটেশন বা সুখ্যাতি আছে কি না। ক্রেতা যদি ঐ অনলাইন প্রতিষ্ঠানকে ভাল করে না জানেন তবে কোন কিছু ক্রয় করার আগে তাদের পরিচয় ও বিশ্বাসযোগ্যতা সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করে দেখা উচিৎ। আর যদি দেখা যায় যে বাজার দর থেকে খুবই কম দামে পণ্যটি বিক্রি করতে চাচ্ছেন বিক্রেতা তবে তাকে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এরকম ক্ষেত্রে সরাসরি নিজের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার না করে ‘পে-পাল’ এর মাধ্যমে পণ্যটি ক্রয় করা যেতে পারে।

লটারীর পুরষ্কার : প্রতারকরা অনেক সময় ফোন দিয়ে অথবা ই-মেইল এর মাধ্যমে টার্গেটকে জানান দেন যে তিনি লটারীতে বিরাট অংকের একটি পুরষ্কার পেয়েছেন। ব্যাপারটি বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য প্রতারকরা কোন নামকরা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে থাকেন। যেমন ‘রিডার্স ডাইজেস্ট’ বা এরকম বিখ্যাত কোন প্রতিষ্ঠানের নাম। টার্গেট যদি ফাঁদে পা দেন তখন প্রতারকরা বলেন যে, ঐ পুরস্কারের অর্থ পেতে হলে একটা এ্যাডমিনেস্ট্রেটিভ বা প্রসেসিং ফি দিতে হবে। ঐ ফি না পেলে পুরষ্কারে অর্থ পাঠানো যাচ্ছে না। তখন অনেকেই পুরষ্কারের লোভে তিন চার হাজার ডলার বা তারো বেশী অর্থ দিতে কার্পণ্য করেন না। কয়েক লক্ষ ডলার পাওয়ার জন্য তিন চার হাজার ডলার ফি দিয়ে দেন। কিন্তু ঐ পুরষ্কারের অর্থ আর কোন দিনই আসে না।

ই-মেইল এটাচমেন্ট স্কেম : এই প্রক্রিয়ায় প্রতারকরা তাদের টার্গেট এর কাছে একটি ই-মেইল পাঠায় যার সঙ্গে যুক্ত থাকে একটি এটাচমেন্ট। যার কাছে ই-মেইলটি পাঠানো হয় তিনি যদি কৌতুলহবশত অথবা না বুঝে ঐ ই-মেইলটি ওপেন করেন এবং এটাচমেন্ট এ ক্লিক করেন তখন তার কম্পিউটারে malware অথবা spyware ব ইনস্টল হয়ে যায়। malware অথবা spyware টার্গেটকৃত ব্যক্তির কম্পিউটারে থাকা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে নেয় এবং প্রতারণার কাজে লাগায়। সুতরাং সন্দেজনক বা অপিরিচিত ই-মেইল এবং সেই ই-মেইলের সঙ্গে পাঠানো এটাচমেন্টে কখনোই ক্লিক করা উচিত নয়।

প্রতারণার এরকম আরো বেশ কিছু কৌশল আছে যেগুলো ব্যবহার করে প্রতারকরা তাদের টার্গেট করা ব্যক্তির সর্বস্ব হাতিয়ে নিচ্ছে সুযোগ পেলেই। পথে বসাচ্ছে তাদের টার্গেটকে। আধুনিক টেকনলজীর বদৌলতে এই প্রতারকরা দিনে দিনে আরো বেশী চতুর ও দক্ষ হয়ে উঠছেন।

প্রতারকদের হাত থেকে রক্ষা পেতে কানাডা রেভিনিউ এজেন্সী কিছু টিপস দিয়েছে যা অনুসরণ করা যেতে পারে। টিপসগুলো নিন্মরূপ :

০ কখনোই ইন্টারনেট বা ইমেইলের মাধ্যমে অপরিচিত কাউকে পার্সোনাল ইনফরমেশন দিবেন না। কানাডা রেভিনিউ এজেন্সি কখনোই ইমেইলের মাধ্যমে পার্সোনাল ইনফরমেশন পাঠাতে বলে না।

০ আপনার এক্সেস কোড, ইউজার আইডি এবং পার্সওয়ার্ড গোপন রাখুন।

০ ইমেইলে আসা কোন লিং এ ক্লিক করার আগে সতর্ক থাকুন। প্রতারকরা অনেক সময় এমনসব লিং পাঠায় যেগুলোতে ক্লিক করলে আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন চুরি হয়ে যেতে পারে।

০ টেলিফোনে কলার আইডি দেখে কখনো শতভাগ নিশ্চিত হবে না যে এটি সত্যিই কোন সরকারী প্রতিষ্ঠান বা কোন আসল বা খাঁটি প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছে।

রেভিনিউ এজেন্সীর এই টিপস ছাড়াও অনলাইন প্রতারকদের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে এ বিষয়ে নিজের বিচার-বুদ্ধির প্রয়োগ করাটাও জরুরী। মনে রাখতে হবে, এই প্রতারকদের হাতে একবার অর্থ চলে গেলে তা ফিরে পাবার কোন সম্ভাবনাই নেই আর। পুলিশও কিছু করতে পারবে না। পুলিশের এক কর্মকর্তা রব ভিঙ্গারহোটস ইতিপূর্বে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেই বলেছেন, এটা ওয়ানওয়ে রাস্তা। ও রাস্তায় একবার অর্থ চলে গেলে তার আর ফিরে আসে না।

খুরশিদ আলম

সম্পাদক ও প্রকাশক , প্রবাসী কণ্ঠ