একাধিক স্ত্রী রয়েছে যাদের তারা কানাডায় আসতে পারবে না

জোর করে বিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে কানাডায় নতুন আইন হতে যাচ্ছে

ডিসেম্বর ১, ২০১৪

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক: জোর করে বিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে কানাডা কঠিন আইন করতে যাচেছ। গত ৫ নভেম্বর কানাডার ইমিগ্রেশন মন্ত্রী ক্রিস আলেজান্ডার পার্লামেন্টে এ বিষয়ে একটি বিল উত্থাপন করেছেন। মন্ত্রী বলেন, যারা কানাডায় আসতে চান তাদের কাছে আমরা এ বিষয়ে সুষ্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিতে চাই যে এ দেশে কারো মানবাধিকার লংঘন মেনে নেয়া হবে না। যারা বহু বিবাহের সংস্কৃতি লালন করেন তারাও কানাডায় প্রবেশ করতে পারবেন না। এ বিষয়ে কানাডা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করবে।
ক্রিস আলেজান্ডার বলেন, কানাডায় যে সকল মেয়ে বা মহিলা ইমিগ্রেন্ট হয়ে আসবেন তাদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্যই এই আইন।
নতুন বিলে কানাডায় মহিলাদের বিয়ের বয়স সর্বনিম্ম ১৬ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বর্তমানে বিয়ের সর্বনিম্ম বয়স প্রভিন্স টু প্রভিন্স ভিন্ন। অন্টারিওতে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ম বিয়ের বয়স ১৮। তবে বয়স ১৬ বা ১৭ হলে পিতা-মাতার অনুমোদন প্রয়োজন হয়। কুইবেকে সর্বনিম্ম বিয়ের বয়স ১৬ বছর। তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৬-১৭)  যারা তাদের বেলায় পিতা-মাতার অনুমোদন প্রয়োজন হয় বিয়ে করতে হলে।
কানাডায় ইমিগ্রেন্ট মহিলাদের অল্প বয়সে জোর করে বিয়ে দেয়ার একটি সংস্কৃতি বহুদিন ধরেই চলে আসছে। এতে করে মহিলাদের মানসিক ও শারীরিক সমস্যাসহ নানান পরিবারিক ও সামিজিক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করার জন্যই নতুন আইনের প্রস্তাবনা।
নতুন আইনে অনার কিলিং এর বিরুদ্ধেও কঠোর নীতি অনুসরন করা হবে। কানাডায় এ জাতীয় বর্বরতাও অনেকদিন ধরে চলে আসছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি অনার কিলিং এর ঘটনা ঘটেছে। -ন্যাশনাল পোস্ট