মহানায়িকা সুচিত্রা সেন

চলচ্চিত্রের পর্দা থেকে সুচিত্রা সেন কালে-কালে প্রবেশ করেছেন বাঙালির অন্তরমহলে। গত ১৭ জানুয়ারি বাংলা ছবির এই মহানায়িকার মহাপ্রয়াণ হয়েছে। জীবদ্দশায় তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাঙালির স্বপ্ন আর সৌন্দর্যবোঁধের এক ললিত প্রতীক। বহুকাল গোপনচারিণী হয়ে থাকলেও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বিস্তৃত হয়েছে তার মহিমা…
১৯৭৮ সালে সাংবাদিকদের সঙ্গে তার শেষ কথাবার্তা। তারপর থেকেই তিনি নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন লোকচক্ষুর অন্তরালে। সেই আড়াল সরিয়ে মহানায়িকা সুচিত্রা সেন বিভিন্ন সময়ে ধরা দিতেন একজনের কাছেই। তিনি বিশিষ্ট সাংবাদিক অমিতাভ চৌধুরী। সেই ঐতিহাসিক সাক্ষাৎকার নন্দনের পাঠকদের জন্য তুলে ধরেন সমকালের কলকাতা প্রতিনিধি রক্তিম দাশ।
রমা, তোমার একটা ইন্টারভিউ নিতে লোক আসবে। টেলিভিশনের জন্য।
সুচিত্রা : ইমপসিবল, ওইসব ইন্টারভিউ-ফিন্টারভিউ ছাড়। [কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে] আমি কোনো কাগজই পড়ি না। কী বললে! টেলিভিশন? ওই নামে কোনো কাগজ আছে নাকি? বাহ্, এই তো এনেছ। দেখব পড়ে। কিন্তু ইন্টারভিউ হবে না। কী বললে, মেয়ে রিপোর্টার কাউকে পাঠাবে? না না, মেয়ে রিপোর্টার হলে আমি রাজিই হবো না। যাক গে, কী খাবে বলো?’
আচ্ছা, যদি কেউ তোমার সম্পর্কে কিছু লেখে?
সুচিত্রা : তা লিখুক না, যা খুশিথ আমি তো কাগজ দেখবই না। সুতরাং যে যা পারে লিখুক আমার সম্পর্কে।’
এ কথা শুনে আমি নির্বিকার বলেই পৃথিবী বিখ্যাত হাসির একরাশ ফুল ছড়িয়ে দিল আমার সামনে। রমা মানে সুচিত্রা সেন। আমি মজা করে বলি, ‘রমা আমার’, উল্টে দিলেও একই কথা। কিন্তু ওকে ‘সুচিত্রা সেন’ বলি। এ নামেই তার পরিচিতি। অনেকদিন গিয়েছি ওর বাড়িতে। আমার বাড়িও এসেছে। কিন্তু নোট রাখিনি কোনো কথার। স্মৃতি থেকে নানাদিনের কথা তুলে দিলাম।
এই কি তোমার বেডরুম? এত সাধাসিধে? আর ছোট্ট একফালি তক্তপোশ কার জন্যে?
সুচিত্রা : আজ্ঞে আমার জন্যে। জানো না বোঁধহয় আমার স্পন্ডেলাইটিস আছে। খটখটে বিছানায় শোয়া অভ্যাস। পাশের পালঙ্কখানা দেখছ, ওটা শুধু সাজিয়ে রাখার জন্য। আর ওপাশে ঠাকুর ঘর।
বাহ্, চমৎকার ঘর তো। একটা বেডরুমের মতোই বড়। রোজ পূজাথ আচ্চা কর নাকি?
সুচিত্রা : দূর, কে পূজা করে। তবে আমি মন্ত্র নিয়েছি রামকৃষ্ণ মিশনে। ভরত মহারাজের কাছে। মাঝে মধ্যে যাই তার কাছে। ভোরবেলা। যদি কোনো প্রশ্ন জাগে, উত্তর খুঁজতে যাই। আর যাই গোলপার্কে কানাই মহারাজের কাছে। তারা আমায় ভালোবাসেন।
আচ্ছা, তুমি বোলপুর-শান্তিনিকেতনে আর যাও না?
সুচিত্রা : যাই। কদাচিৎ। ট্রেনে যাওয়া যায় না। কামরায় লোকজন উত্ত্যক্ত করে। স্টেশনে স্টেশনে লোক উঁকি-ঝুঁকি মারে। তাই গাড়িতে যাই প্রয়োজন পড়লে।
একেই বলে খ্যাতির বিড়ম্বনা। আচ্ছা, তোমার বাইরে বেরুতে ইচ্ছা করে না?
সুচিত্রা : ইচ্ছে করে। কিন্তু যাওয়া হয় না। আমার ভালো লাগে পাহাড়। তোমার?
সাগর। ঢেউয়ের পরে ঢেউ। অন্তহীন পাহাড়ের মতো স্থাণু নয়। বেলাভূমিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেওয়া যায়।
সুচিত্রা : আমার কিন্তু পাহাড়ই বেশি ভালো লাগে। যাবে নাকি আমার সঙ্গে পাহাড়ে?
বললাম যে, পাহাড় আমার ভালো লাগে না। ‘তোমার আমার মিল নাই, মিল নাই, তাই বাঁধিলাম রাখি।’
সুচিত্রা : সব বিষয়ে মিল আমারও ভালো লাগে না। আমার বন্ধুকে নিজের প্রটোটাইপ দেখতে ভালোবাসি না।
বাহ্, কী হলে আমাকে তোমার ভালো লাগে।
সুচিত্রা : এতদিনে বুঝলে। আমি পুরুষের রূপ চাই না, চাই বুদ্ধি আর ঝকঝকে কথাবার্তা।
১. ওকে নিয়ে গিয়েছিলাম কলকাতা বইমেলায়। বোঁধহয় ১৯৮৪ সালে। গাড়িতে বসেই জুতা পড়ল শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে। গাড়ির পেছনের সিটের তলায় ১৫-১৬ জোড়া জুতা। তার মধ্যে বাছাই করে একটা পরেই দু’পাশের জানালার কাচ তুলে দিল। ঘষা কাচ। তাই কেউ দেখতে পায় না। গাড়ি থামল ময়দানে, বইমেলার ফটকে। আমি আর সুচিত্রা। আমি খানিকটা রোমাঞ্চিত, খানিকটা গর্বিত। ঢুকে ঘুরে বেড়ালাম বইয়ের দোকান থেকে দোকানে। প্রথমে ওকে চিনতে পারেনি লোকজন। খানিক বাদে টের পেল কে এসেছেন। ব্যস, আর যায় কোথায়! লোকের ভিড় আর ভিড়। ওকে একটু ছোঁয়ার জন্য, ওকে একটু দেখার জন্য কাতারে কাতারে লোক আসতে লাগল। আমরা দু’জন সেদিন পালিয়ে বাঁচি।
২. আর একদিন। ওই সালেই। নেমন্তন্ন করেছিলাম। রাজি হয়ে গেল। রবীন্দ্র সদনে ‘তিনকন্যা’র শুটিংয়ে সুচিত্রা এসেছে শুনে এ পাশ-ও পাশ থেকে উঁকিঝুঁকি আর সামনে প্রসারিত অটোগ্রাফের খাতা। সেদিন ও ছিল ভালো মুডে। সবাইকে অটোগ্রাফ দিল আর অভিনয় দেখল। অভিনয়ের পর নিয়ে গেলাম স্টেজে। সেখানে আরেক দফা ছবি তোলা। আর একদিন। পাঞ্জাবিনীর বেশে। চুড়িদার, কোর্তা এবং উড়নি। হাতে উলের বল আর কাঁটা। নাতনিদের জন্য কিছু বানাচ্ছে। সোজা শোয়ার ঘরে গেলাম দু’জনে। ওর সরু একফালি বিছানার পাশে রামকৃষ্ণ কথামৃত। ও পাশে গোটা তিনেক ইংরেজি বই।
কী গো রাজনন্দিনী, অনেকদিন দেখা নেই, ফোনও তো কর না। কেন?
সুচিত্রা : বাহ্, ফোন আমি করব কেন? তুমিই করবে। তা আছ কেমন বল? কী খাবে? কাটলেট? দাঁড়াও আনিয়ে দিই। এই নাও সিগারেট। ঠিক আছে, প্যাকেটটা তুমি রেখেই দাও।
আজকে দেখছি একবারে দাতা কর্ণ হয়ে উঠলে, কিছু ঘটেছে তোমার জীবনে?
সুচিত্রা : আমার আর কী ঘটবে। সকালবেলার আকাশ, গাছ, ফুল দেখে কাটাই, বিকেলের পড়ন্ত সূর্যের আলো দেখি আর নাতনিরা এলে তাদের সঙ্গে গল্প করি। আচ্ছা অনেকদিন থেকেই তোমায় বলব ভাবছি, বলেই ফেলি। রবীন্দ্রনাথের ‘চতুরঙ্গ’ উপণ্যাসকে নাট্যরূপ দাও না। তাহলে আমি অভিনয় করব। আমি কোনোদিনও পেশাদারি থিয়েটারে নামিনি। অনেক প্রস্তা ছিল আগে। নিইনি। এখন ইচ্ছা করছে, একবার অন্তত নাটকে অভিনয় করি। ঠিক ছিল ‘চতুরঙ্গ’ ছবি হবে। আমি হবো হিরোইন। সব ঠিকঠাক, শুটিং হবে-হবে করছে, এমন সময় রাঁচি থেকে খবর এল প্রযোজক হেমেন গাঙ্গুলি মারা গেছেন। ব্যস, হয়ে গেল! ‘চতুরঙ্গ’ আর সিনেমা হলো না। কিন্তু ইচ্ছেটা যায়নি। এখন কেউ যদি নাট্যরূপ দেয়, আমি তাহলে অভিনয় করতে চাই। অন্তত একবার। এই, হাত দাও না চতুরঙ্গে। রবীন্দ্রনাথের উপণ্যাসগুলোর মধ্যে আমার সবচেয়ে ভালো লাগে এটি।
দেখ, তুমি যত অবলীলায় বলে গেলে, সেভাবে নাট্যরূপ দেওয়া মুশকিল। আমি অন্তত পারব না।
সুচিত্রা : ঠিক আছে, আমার ইচ্ছাটা অপূর্ণ থেকে যাবে।
আর অপূর্ণ কী থাকবে, সবই তো পেয়ে গেছ, দু’একটা জিনিস অন্যের জন্য ছেড়ে দাও।
সুচিত্রা : বেশ, তুমি যখন বললে, তখন ছেড়েই দিলাম। শোনো, আমার আর কোনো বাসনা নেই।
আমাদের তো বাসনা আছে, বিশেষ করে আমার…
সুচিত্রা : কী? তবে সব বাসনা পূর্ণ করতে নেই, দু’একটা অপূর্ণ থাকুক। ভগবান আমাকে সব দিয়েছেন। না চাইতেই সব। না চাইতেই বা বলি কেন, চেয়েছি এবং পেয়েছি। তবে এখন আমার আর কিছুতেই মন নেই। ভালো লাগা, না লাগা, পাওয়া না পাওয়াথ কোনো কিছুতেই আমার আর যায় আসে না।
আচ্ছা বলো তো, উত্তম কুমারের সঙ্গে তোমার ভাব ছিল? এই প্রেম-ট্রেম…
সুচিত্রা : দূর, ওর সঙ্গে প্রেম থাকবে কেন? ও আমার বন্ধু ছিল। উত্তমের সঙ্গে প্রেম না, ছিল গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক।
আচ্ছা সিনেমায় নামলে কী করে?
সুচিত্রা : আমার ইচ্ছা ছিল না। ইচ্ছাটা আমার স্বামীর। প্রথমবার ওরা আমায় বাতিল করে দিল। তারপর জিদ চেপে গেল। আমার স্ক্রিন টেস্ট হলো। পাস করে গেলাম। তারপর এক নাগাড়ে ২৫ বছর সিনেমায় ছিলাম।
তোমার বম্বের কোনো স্মৃতি আছে?
সুচিত্রা : অনেক। অভিনেতা হিসেবে দিলীপ কুমারকে সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করি। পঞ্চাশ দশকে বিমল রায় নিয়ে যান বম্বেতে। তখন ‘দেবদাস’ ছবিতে দিলীপ কুমারের সঙ্গে অভিনয় করি। অসাধারণ অভিনেতা। তবে আমার সঙ্গে বেশি বন্ধুত্ব হয়েছিল সঞ্জীব কুমারের। চমৎকার লোক। অভিনয়ও করত ভালো। ও কলকাতায় এলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করত। আসত আমার বাড়িতে। ওর সঙ্গে ‘আঁধি’ ছবিতে অভিনয় করেছি। বেচারা অল্প বয়সেই তো মারা গেল। হার্টের অসুখ ছিল। জানো, রাজকাপুর এসেছিলেন এ বাড়িতে। ওর খুব শখ ছিল আমায় নিয়ে একটা ছবি করার। কিন্তু হয়নি। আমি রাজি হইনি। স্যুট, সাদা নেকটাই, হাতে একরাশ গোলাপ। আমি তো নমস্কার জানিয়ে বসাতে গেলাম। বসলামও। কিন্তু ও মা, রাজ ততক্ষণে বসে পড়েছেন আমার পায়ের কাছে! গোলাপের তোড়া ওইভাবে তিনি আমাকে দিলেন। এবং তার প্রযোজিত কোনো বইয়ে অভিনয়ের জন্য বললেন। আমি ততক্ষণে ঠিক করে ফেলেছি- না, ওর কোনো ছবিতে আমি কাজ করব না। ও পুরুষ মানুষ নাকি, মেয়েদের পায়ের কাছে বসে। সত্যজিৎ রায় মশাইকে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম অন্য কারণে। ষাটের দশকের শেষ দিকে তিনি আর প্রযোজক আরডি বনশাল দু’জনে হাজির। আমি তো খাতির করে এনে বসালাম। এ কথা-সে কথার পর সত্যজিৎ বাবু জানালেন, তিনি বনশালের প্রযোজনায় বঙ্কিমচন্দ্রের ‘দেবী চৌধুরাণী’ করতে চলেছেন। আমি যদি নায়িকার পার্ট করতে রাজি হই তাহলে তিনি খুশি হবেন। বেশ আমি রাজি হলাম। তিনি তখন বললেন, আপনাকে কিন্তু এক্সক্লুসিভ আর্টিস্ট হতে হবে। আমি বললাম, তার মানে? ‘তার মানে’ তিনি বললেন, ‘আপনাকে অন্য কোনো সিনেমায় অভিনয় করা চলবে না, যতদিন আমার ছবিতে কাজ করবেন।’ আমি জানালাম, তা কী করে হয়? যারা আমাকে আজকের সুচিত্রা সেন বাণীয়েছেন, তাদের তো একেবারে বাদ দেওয়া চলবে না। এখনই আমি দুটো ছবিতে কাজ করছি। তবে হ্যাঁ, আমি কথা দিলাম আপনার ছবিতে বেশি সময় দেব এবং মনপ্রাণ দিয়ে অভিনয় করব। তিনি তখন বললেন, কিন্তু আমার ছবিতে কাজ করার সময় অন্য ছবিতে কাজ করা ঠিক হবে না মিসেস সেন। যা-ই হোক, পরদিন সকালে বনশাল এলেন কনট্রাক্ট ফরম নিয়ে। আমি ফরমটা নিয়ে ‘এক্সক্লুসিভ’ দেখামাত্র ছুঁড়ে ফেলে দিলাম বনশালের দিকে। বললাম, থ্যাঙ্ক ইউ মিস্টার বনশাল, আপনি এখন যেতে পারেন। এ ছবিতে কাজ করব না। ব্যস, হয়ে গেল সত্যজিৎ বাবুর সঙ্গে কাজ করা।
তুমি বড় একগুঁয়ে।
সুচিত্রা : যা খুশি তাই বল। কিন্তু অন্যের এমন শর্তে রাজি হবো কেন? জানো, উত্তমের সঙ্গে আমার এত ছবি কিন্তু আমি প্রডিউসারদের বলেছিলাম, আমার নাম বিজ্ঞাপনে আগে দিতে হবে। তারপর থেকে সব ছবিতে ‘সুচিত্রা-উত্তম’, ‘উত্তম-সুচিত্রা’ নয়।
আচ্ছা, কোন ছবি করতে তোমার ভালো লেগেছিল?
সুচিত্রা : অনেক ছবি। উত্তমের সঙ্গে ‘হারানো সুর’, ‘উত্তর ফালগুনী’, ‘সপ্তপদী’থ অনেক ছবি। তবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘সাত পাকে বাঁধা’ নানা কারণে স্মরণীয়। ওই ছবিতে আমি মস্কো থেকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পাই। তা ছাড়া স্বামীর সঙ্গে তখন আমার ঝগড়া চলছিল। এ সময়ই ওর সঙ্গে আমার ডিভোর্স হয়ে যায়। তা হোক, কিন্তু শুটিং চলার সময় দু’জনের খুব ঝগড়া চলছে। সকালবেলা হয়তো রেগেমেগে স্বামীর শার্টটাই ছিঁড়ে ফেললাম। দুপুরে স্টুডিওতে এসে ওই রকম সিচুয়েশনে বললাম, আমি যদি শুটিংয়ের সময় সিনেমায় স্বামীর জামাটা ছিঁড়ে ফেলি তাহলে কেমন হয়? ডিরেক্টর রাজি। সিনেমায় দেখবে, এক জায়গায় সৌমিত্রর জামাটা রেগেমেগে ছিঁড়ে ফেলেছি। আর মুনমুন সিনেমায় নামুক আমি চাইনি। ও দেখেছে কী পরিশ্রম করতে হতো আমাকে। দিন নেই, রাত নেই শুটিং। কী ক্লান্তি। তার চেয়ে আমার মেয়ে ভালো ছবি আঁকে। ওই লাইনে যদি যেত ও, আমার ধারণা একটু নামডাক হতো। কিন্তু আমার কথা শুনল না।
আচ্ছা, মুনমুন বাবার কথা কিছু বলে না?
সুচিত্রা : এখন তেমন বলে না। তবে ওর বাবা পরে চাকরি নিয়েছিল। শিপিং কর্পোরেশনে। মারা গেল আমেরিকায়। মুনমুনকে বলেছিলাম, তুমি যদি চাও তো প্লেন চার্টার করে বডিটা কলকাতায় নিয়ে আসি! হাজার হোক ওর বাবা।