অন্টারিও কানাডার সবচেয়ে রাগী স্থানগুলোর একটি
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : থিঙ্কট্যাঙ্ক এবং কানাডার রিসার্চ ইনসাইটস কাউন্সিলের স্বীকৃত সদস্য পোলারা (Pollara) সম্প্রতি রাগ বিষয়ক তাদের সর্বশেষ সূচক প্রকাশ করেছে।
যেসব অন্টারিওবাসীর মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয় তাদের ৬০ শতাংশের মধ্যেই আবাসন, মূল্যস্ফীতি এবং রাজনীতির মত বিষয়গুলি ক্রোধ ও বিরক্তির জন্ম দেয়। ফলে অন্টারিও প্রদেশ রাগী জায়গা হিসাবে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে। সর্বনিম্নে রয়েছে ৬৩ শতাংশ রাগী মানুষের প্রদেশ আলবার্টা। খবর ব্রুকলিন কনোলি-সিপি২৪।
অন্যান্য যেসব প্রদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি বিরক্ত তার মধ্যে আছে ম্যানিটোবা ও সাসকাচুয়ান, এ দুটি প্রদেশে সমান সংখ্যক ৫৭ শতাংশ মানুষ রাগী, আর আটলান্টিক কানাডায় রাগী মানুষ ৫৮ শতাংশ।
রাগ সম্পর্কিত সূচকে সরকার, অর্থনীতি ও চলমান ঘটনাবলী সম্পর্কে কানাডীয়দের মনোভাব তুলে ধরা হয়।
ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিতে কানাডীয়রা ‘অত্যন্ত’ ক্রুদ্ধ। সমীক্ষায় দেখা যায়, প্রায় অর্ধেকের মত কানাডীয় ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং ইসরাইল-গাজা সংঘাতের মত পরিস্থিতি নিয়ে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ।
সেই সাথে, উত্তরদাতাদের ৭০ শতাংশ বিরক্ত অথবা ক্রুদ্ধ হয়েছেন সম্প্রতি কানাডার পার্লামেন্ট দুর্ঘটনাক্রমে এমন একজন প্রবীণকে সম্মান জানানোর ঘটনায় যিনি নাৎসিদের হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। কানাডীয় একজন শিখ নেতার গুপ্তহত্যায় ভারতের সংশ্লিষ্টতা থাকার বিষয়ে ট্রুডো সরকারের ঘোষণায় বিরক্ত অথবা ক্রুদ্ধ হন পঞ্চাশ শতাংশ কানাডীয়।
অবশ্য রিপোর্টে এটাও দেখা গেছে যে, সরকারগুলোর প্রতি সার্বিকভাবে মানুষের ক্রোধের স্তর সেপ্টেম্বরের চেয়ে নেমে এসেছে।
রাগ সূচকের ৬টি বিষয় নিয়ে কানাডীয়রা এখনও রেগে আছে
অন্য যেসব বিষয়ে কানাডীয়রা বিরক্ত অথবা রেগে আছে সেগুলি ব্যক্তিগত অর্থনীতি, কানাডায় যে ধরণের পরিবর্তন ঘটছে সেসব বিষয় এবং সবশেষ খবরাখবর সম্পর্কিত।
রাগ সূচকের ছয়টি বিষয় – কেন্দ্রীয় সরকার, নিজেদের প্রাদেশিক সরকার, কানাডার অর্থনীতি, ব্যক্তিগত আর্থিক পরিস্থিতি, কানাডায় চলমান পরিবর্তন এবং খবরের সবশেষ ঘটনাবলী বিষয়ে যারা অত্যন্ত ক্রুদ্ধ বোধ করেছিলেন তাদের শতকরা হারের কোনও পরিবর্তন হয়নি।
তবে ওই ছয়টি বিষয়ে বিরক্ত অথবা ক্রুদ্ধ কানাডীয়দের গড় শতকরা হার এক শতাংশ বেড়েছে। ১৮ থেকে ৩৪ বছরের তরুণ কানাডীয়রা দেশের অর্থনীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি হতাশাগ্রস্ত। এদের সংখ্যা ৬৮ শতাংশ। আর নিজের ব্যক্তিগত আর্থিক অবস্থা নিয়ে হতাশায় আছে ৪৭ শতাংশ কানাডীয়।