ইউরোপ ভ্রমণে কানাডীয়দের শিগগিরই পারমিট লাগবে- ভিসা নয়
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : আগামী বছর যেসব কানাডীয় ইউরোপ সফরে যাবেন তাদের ভিসা নয়Ñ ভ্রমণের অনুমতি নেবার জন্য ফি দিতে হবে। কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে যাচ্ছে। খবর সাবা আজিজ – গ্লোবাল নিউজ।
২০২৪ সালে ব্যবস্থাটি চালু হবে। কানাডার পাসপোর্টধারীরা যদি ইইউর ৩০টি দেশের যে কোনওটিতে যে কোন ১৮০ দিনের মেয়াদের মধ্যে অন্তত ৯০ দিন অবস্থান করতে চান তাহলে তাদেরকে ইউরোপিয়ান ট্রাভেল ইনফরমেশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সিস্টেম (ঊঞওঅঝ) এর কাছে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
বর্তমানে কানাডার নাগরিকরা ভ্রমণের অনুমতি বা ভিসা ছাড়াই ইউরোপে ঢুকতে এবং তিন মাস পর্যন্ত অবস্থান করতে পারেন। তবে তারা যদি তিন মাসের বেশি অবস্থান করতে চান তাহলে ভিসা নিতে হবে।
আগামী বছর থেকে কানাডীয় পর্যটকদের একটি ফরম পূরণ করতে হবে যাতে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য, ভ্রমণের বিস্তারিত নথিপত্র, শিক্ষার স্তর ও বর্তমান পেশা, কতদিন থাকতে চান সে বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ এবং একইসঙ্গে অপরাধজনিত শাস্তি পেয়ে থাকলে সেটিও উল্লেখ করতে হবে।
ঊঞওঅঝ এ আবেদনের জন্য ফি দিতে হবে ১০ ডলার।
১৮ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের ফি দিতে হবে না। ইইউর নাগরিকদের পরিবারের সদস্য অথবা ইইউর নাগরিক নন এমন যারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বত্র অবাধে চলাফেরা করতে পারেন তাদেরও এই ব্যয় বহন করতে হবে না। যদিও বেশিরভাগ আবেদনকারী যথেষ্ট দ্রুততার সঙ্গেই পারমিট পাবেন তবে অন্যদের জন্য কিছু বেশি সময় লাগতে পারে।
ঊঞওঅঝ-এর সরকারী ওয়েবসাইটে ইইউ সতর্ক করেছে যে, “যদি আপনার কাছে অতিরিক্ত তথ্যাবলি অথবা নথিপত্র চাওয়া হয় তাহলে পারমিট পেতে ১৪দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে; আর যদি আপনাকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয় তাহলে ৩০ দিন পর্যন্ত লাগতে পারে।”
ইইউ বলেছে, আবেদন নাকচও করা হতে পারে এবং এর কারণ ই-মেলে জানিয়ে দেয়া হবে। তবে যাদের আবেদন নাকচ হবে তারা এ বিষয়ে আপিল করতে পারবেন।
২০১৮ সালে ইউরোপীয় কাউন্সিলের গৃহীত এই নতুন কর্মসূচি ৬০টির বেশি দেশের প্রায় ১৪ কোটি পর্যটকের ওপর প্রযোজ্য হবে যাদের ইউরোপে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভিসার দরকার হতো না।
ঊঞওঅঝ-এর ভ্রমণ পারমিট তিন বছর অথবা পাসপোর্টের মেয়াদ থাকার মধ্যে যেটি আগে ঘটে সে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
ইউরোপিয়ান বর্ডার অ্যান্ড কোস্টগার্ড এজেন্সি ফ্রন্টেক্স তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, “ঊঞওঅঝ ইউরোপের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাও আরও জোরদার করবে। এজন্যে তারা ভিসা ছাড়া ভ্রমণকারীরা নিরাপত্তা, অবৈধ অভিবাসন অথবা জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি কিনা সে বিষয়ে ভ্রমণের আগেই পরীক্ষা করবে।”
ঊঞওঅঝ ব্যবস্থা অনুমোদনের পর বেশ কয়েক দফায় এর বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়। এখন সেটি ২০২৪ সালে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।