টরন্টোর ৫০টি সড়কে বসানো হচ্ছে স্পীড ক্যামেরা
ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
সম্প্রতি ইটোবিকোক-এ টরন্টোর মেয়র জন টোরি (বাঁয়ে) একটি নতুন সাইনবোর্ড উদ্বোধন করেন যাতে লেখা আছে, “মিউনিসিপ্যাল স্পিড ক্যামেরা শিগগিরই আসছে”। ছবি : সিটিভি নিউজ
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : টরন্টোর সড়কগুলোতে ৫০টি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে “বেপরোয়া গাড়ি চালনা রোধে”।
সম্প্রতি ইটোবিকোক-এ টরন্টোর মেয়র জন টোরি একটি নতুন সাইনবোর্ড উদ্বোধন করেন যাতে লেখা আছে, “মিউনিসিপ্যাল স্পিড ক্যামেরা শিগগিরই আসছে”। ইটোবিকোক-এ টরিংটন সড়কের পাশে এই সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়। নগরীর বিভিন্ন স্থানে যে ৫০টি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে তার মধ্যে একটি বসানো হচ্ছে এই জায়গায়। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কর্মকর্তারা এইসব জায়গা নির্ধারণ করেন। খবর সিটিভি নিউজের।
টরন্টোর প্রতিটি ওয়ার্ডে দুটি করে ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। এসব ক্যামেরা দিয়ে অতিরিক্ত গতিতে ছুটে যাওয়া গাড়ির ছবি রেকর্ড করা হবে।
টোরি বলেন, ইটোবিকোক জায়গাটি বেছে নেওয়া হয়েছে কারণ “এটি বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর স্পট হিসাবে স্থানীয় অধিবাসীদের কাছে সুপরিচিত।”
তিনি বলেন, “এই জায়গাটি হচ্ছে একটি যেখানে তারা স্বয়ংক্রিয় ছবি তোলার এই যন্ত্র (ফটো রাডার) পরীক্ষা করেছেন। এই যন্ত্র বসানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে ওই পরীক্ষা চালানো হয়।”
টোরি বলেন, পরীক্ষার সময় কর্মকর্তারা দেখতে পেয়েছেন যে, “বেশিরভাগ চালক এই নির্দিষ্ট জায়গায় এসে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়, এমনকি একটি গাড়ি ঘণ্টায় ২০২ কিলোমিটার বেগে ছুটে যায়। অথচ এখানে গাড়ির গতিসীমা ঘণ্টায় মাত্র ৪০কিলোমিটার।”
টোরি বলেন, “আমার মনে হয়, এই প্রযুক্তি আমাদের জন্য সহায়ক হবে।”
প্রাদেশিক সরকারের আইন অনুযায়ী এই ক্যামেরা বসানো এবং গাড়িচালকদের টিকেট ধরিয়ে দেওয়ার আগে তাদেরকে পৌরসভার পক্ষ থেকে সতর্ক করতে হবে।
টোরি বলেন, “আজ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে এই কার্যক্রম শুরু হবে এবং আমরা টিকিট ধরিয়ে দিতে শুরু করবো। আমার ধারণা, এই সাইনবোর্ডের কারণেও চালকরা গাড়ির গতি কমাবে।”
সাইনবোর্ড স্থাপনের আগে ডেপুটি মেয়র স্টিফেন হলিডে বলেন, স্কুল, পার্ক, লাইব্রেরি এবং উপাসনালয়সমৃদ্ধ এই এলাকায় গাড়ির গতি কম রাখার জন্য চালকদের পরামর্শ দিতে বিভিন্ন প্রতীক ও সাইন স্থাপন করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, হলিডে এই ইটোবিকোক এলাকারই প্রতিনিধি। তিনি বলেন, “সারা বছর ধরে অসংখ্য মানুষ আমার কাছে এসেছেন এবং এখানে শিক্ষার্থী এবং সড়ক ব্যবহারকারী অন্যান্য বিপন্ন লোকেদের রক্ষায় আমরা কি করতে পারি সে বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন।”
হলিডে ও টোরি বলেন, তারা যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন সেটি নগরীর রোড সেফটি প্ল্যানের অংশ। এই পরিকল্পনায় টরন্টোর সড়কগুলোতে যানবাহনের কারণে হতাহতের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।