টরন্টোতে কন্ডোর রমরমার অবসান ঘটবে অর্থনীতির অবনমন ঘটিয়ে

নিউইয়র্ক, লস এঞ্জেলেস এবং শিকাগো এই তিন শহর মিলে যতো ক্রেন দেখা যায় এক টরন্টোর আকাশে আছে তার সমান

জুন ৬, ২০১৯

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : টরন্টোতে কন্ডো নির্মাণে যে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হতে চলেছে তা স্থায়ী হবে না- তবে এই উন্নয়নের ধারা যখন মন্থর হয়ে আসবে তখন তা কানাডার অর্থনীতিতে একটি ক্ষত রেখে যাবে। একজন অর্থনীতিবিদ একথা বলেছেন। খবর হাফিংটন পোস্ট এর। রিপোর্ট করেছেন জশ শেরমান লিভেবল।

আরবানেশন সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বৃহত্তর টরন্টো এলাকায় ২৪২টি প্রকল্পে আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে বেশি ৭১,৩৭৮ টি কন্ডো নির্মাণাধীন ছিলো। আর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাডভাইজরি আরএলবি হিসাব করে দেখেছে, গত জানুয়ারিতে টরন্টোর কেন্দ্রীয় এলাকার স্কাইলাইনে যতো ক্রেন ছিলো তার সংখ্যা নিউইয়র্ক, লস এঞ্জেলেস এবং শিকাগোতে যতো ক্রেন ব্যবহৃত হচ্ছে তার সমান।

টরন্টোতে কন্ডোর রমরমা অবস্থা উপেক্ষা করার উপায় নেই। কিন্তু অর্থনীতি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনোমিকস-এর কানাডা বিষয়ক সিনিয়র অর্থনীতিবিদ স্টিফেন ব্রাউন মনে করেন, নতুন বাড়ি বিক্রির পরিমাণ কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বৃহত্তম এই শহরে বাড়ি নির্মাণ সীমিত হয়ে আসবে।

টরন্টোতে কন্ডো নির্মাণে যে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হতে চলেছে তা স্থায়ী হবে না। ছবি: ৬৮০ নিউজ

তার মতে, কন্ডোর এই বিস্ফোরণ স্তিমিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটি কার্যত অন্যান্য বৃহৎ বাজারে যেমনটা ঘটে তেমনই জাতীয় অর্থনৈতিক-প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার স্তরে নেমে আসবে।

গবেষকরা দেখেছেন যে, গত মার্চ মাসে মোট ১,৪২৮টি কন্ডোমিনিয়াম বিক্রি হয়েছে যা এক বছর আগের তুলনায় ১৩ শতাংশ এবং গত এক দশকের হিসাবে ৩৪ শতাংশ কম।

ব্রাউন বলেন, “অন্টারিও রাজ্যের ভ্যাঙ্কুভারসহ অন্যান্য শহরে এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় একই প্রবণতা দেখা যেতে পারে এবং এমনকি কন্ডোর বিক্রি যদি বাড়তেও থাকে তবুও আবাসন খাতের বিনিয়োগ জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহতভাবে কমিয়ে দেবে।”

চাহিদা স্থিতিশীল হয়ে আসছে

বিএমওর সাম্প্রতিক এক তথ্যে বলা হয়েছে, মধ্যবয়সী, আন্তর্জাতিক অভিবাসী এবং ক্রমশ কমে আসতে থাকা বয়স্ক মানুষদের মধ্যে অন্তত বর্তমান সময়ে সাধ্যের মধ্যে বাড়ি কেনার প্রতিযোগিতা আবাসন খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

যাই হোক, কানাডার অর্থনীতি এরইমধ্যে সম্ভাবনার চেয়ে নি¤œ হারে বিকশিত হচ্ছে। দেশের জিডিপির হার জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে ০.১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।