কানাডায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত

জুন ২৬, ২০১৭

টরন্টোর ডেন্টোনিয়া পার্কে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাতে মুসল্লিদের ভীড়। ছবি : মাহবুব রেজা

প্রবাসী কণ্ঠ : যথযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে গত ২৫ জুন রোববার টরন্টোসহ কানাডার অন্যন্য শহরে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার পর প্রবাসের ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা টরন্টো, মন্ট্রিয়ল, অটোয়া, ক্যালগারী, ভেঙ্গুভার, সাসকাচুন, মেনিটোবাসহ আরো বেশ কিছু শহরের বিভিন্ন মসজিদ ও খোলা মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে বিশ্বর সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
টরন্টোতে বাংলাদেশী মুসলমানদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় বাঙ্গালী অধ্যুষিত ড্যানফোর্থ ও ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় অবস্থিত ডেন্টোনিয়া পার্ক এর বিশাল ময়দানে। চার সহাস্রধিক মুসল্লী অংশ নেন এই জামাতে।
ডেন্টোনিয়া পার্ক ছাড়া স্থানীয় অন্যান্য মজিদেও মুসলিমদের ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কোন কোন মসজিদে একাধিক জামাতও অনুষ্ঠিত হয়।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং অন্টারিওর প্রিমিয়ার ক্যাথলিন উইন মুসলমানদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এদিকে ঈদের দিন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পায়ের মোজা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছুটা আলোড়ন সৃষ্টি হয়। জাস্টিন ট্রুডো ঈদের দিন পায়ে যে মোজা পড়েন তাতে লেখা ছিল ঈদ মোবারক। এই মোজা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি টরন্টোতে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানের নাম ‘হালাল সকস’। ঐ মোজা পড়ে তিনি টরন্টোর ডাউন টাউনে অনুষ্ঠিত প্রাইড প্যারেডেও যোগ দেন। প্রাইড প্যারেড হলো সমকামীদের বাৎসরিক একটি উৎসব।
তবে জাস্টিন ট্রুডো কর্তৃক ঈদ মোবারক লেখা মোজা পড়ে সমকামীদের প্যারেডে যোগ দেয়ার বিষয়টি ব্যপকভাবে প্রশংশিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কিন্তু রক্ষণশীলরা বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখেননি। কারণ, ইসলাম ধর্মে সমকামীতাকে খারাপ চোখে দেখা হয়। মুসলিম ধর্মমতে সমকামীতা একটি গুরুতর অপারাধ। অনেক মুসলিম দেশে প্রমান পেলে সমকামীদের গুরু দন্ড দেয়া হয়।
ডেন্টোনিয়া পার্কে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাতে উপস্থিত হয়ে মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মূলধারার কয়েকজন রাজনীতিক যাদের মধ্যে ছিলেন, স্কারবরো সাউথ ওয়েস্ট এলাকার এমপি বিল ব্লেয়ার এবং বিচেস ইস্ট ইয়র্ক এলাকার এমপি নেথানিয়েল স্মিথ।
দিনটি রবিবার হওয়াতে প্রবাসী মুসলিমগণ সর্বতোভাবে ঈদ উৎসবে মেতে উঠার সুযোগ পান। বার কয়েক বৃষ্টির সামান্য ঝাপটা এলেও সারাদিনের আবহাওয়া ছিল বেশ চমৎকার ও উপভোগ্য। বাড়িতে বাড়িতে ছিল অতিথি আপ্যায়নের আন্দমুখর পরিবেশ। নানা রং এর শাড়ি আর পায়জামা পাঞ্জাবী পরে সবাই ঈদ আনন্দকে করে তুলেন বর্ণাঢ্য।