অন্যস্বর টরন্টো এর “দ্রোহ এনেছে বিজয় ৭১” 

ড. জান্নাতুল ফেরদৌস 

ঘুম থেকে আজ জেগেই দেখি শিশির ভেজা ঘাসে, সারা রাতের স্বপন আমার মিঠেল রোদে হাসে। যে স্বপ্ন মিঠেল রোদে হাসে সেই স্বপ্ন আমরা দেখি, যে স্বপ্ন মাটির কথা বলে, যে স্বপ্ন আমাদের জন্মের দিনক্ষণ ও জন্মের আতুর ঘর ভুলতে দেয় না সেই স্বপ্ন আমরা লালন করি, ধারণ করি। আমাদের রয়েছে হাজার বছরের ঐতিহ্য, রয়েছে বঙ্গের ভান্ডারে যে কতরকম মনিমানিক। কবির মতো আমরাও নির্বোধ- “হে বঙ্গ ভান্ডারে তব বিবিধ রতন তা সবে (অবোধ আমি) অবহেলা করি” – মাইকেল মধুসূদন আর এই সব মনিমানিক্যের উৎস কোথায়, কোথা থেকে আসে এতো কবিতা, গান, গল্প, পালা, পার্বণ। ইতিহাস তো ভুলে গেলে নিজেকেই ভুলতে বসে মানুষ। নির্যাতিত নিপীড়িত হওয়ার পর একমাত্র আমরাই তো ঘুরে দাঁড়াবার মতো সাহস রেখেছি, কি ছিলো আমাদের, কারা সোনার ফসল উৎপাদন করে? সোনার ফসল তো সোনার হাতেই ফলে, যে হাত মুষ্টিবদ্ধ হাত মিছিলে স্লোগান দেয়, যে হাত নিপীড়িতের পাশে দাঁড়ায় খড়গ হয়, যেই হাত রাত জেগে সেবা করে অসুস্থ জননীর আর যে হাত আগলে রাখে তার অস্তিত্ব, তার শেকড়। রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যদিয়ে মুক্তিকামী মানুষ ছিনিয়ে আনে বিজয় পতাকা। লাল সবুজের পতাকা। সমুদ্র মন্থন করে যে বিজয়, হলাহল বুকে নিয়ে যারা এনে দিল অমৃত সুধা, আমরা মাতৃদুগ্ধ পান করি নিরাপদ জন্মভূমিতে। 

 যেভাবে শুরু : 

এই বিজয়ের মাসে সেই মহান বিজনী সেনাদের সেই মুক্তি সেনাদের আত্মত্যাগের যে দৃষ্টান্ত তা সবর্দা অন্তরে ধারণ করে এই প্রবাসে তাঁদের স্মৃতিতে ধরে রাখতে আমাদের অন্যস্বর টরন্টো ও অন্য থিয়েটার টরন্টো, ২০১৯ এ প্রথম বারের মতো টরন্টো শহরে আয়োজন করে ডিসেম্বর ১ থেকে ডিসেম্বর ১৬ পক্ষকাল ব্যাপি বিজয় উৎসব ” দ্রোহ এনেছে বিজয় ১৯৭১ “। মিজান কমপ্লেক্সের একটি ছোট কক্ষকে স্টুডিও বানিয়ে শুরু হয় পক্ষকালের যাত্রা। যথাসময়ে প্রতিদিন প্রচারিত হতে থাকে বিজয়ের কথা , কবিতা, গান। সেখানে প্রায়শই উপস্থিত থাকতেন বরেণ্য কবি আসাদ চৌধুরী , নাট্যকর্মী হাবিবুল্লাহ দুলাল, রেখা হাবিব, কবি ইকবাল হাসান , কথাসাহিত্যিক আকতার হোসেন, কবি দেলওয়ার এলাহী প্রমুখ। শায়লা এবং কিশোয়ারা জন্যে সৌজন্যে হয়েছিল ২০১৯ এর দ্রোহ এনেছে বিজয় ১৯৭১। 

অন্ধ হলে কী প্রলয় বন্ধ থাকে: 

মহামারি আমাদের ঘর বন্দী করলো। বাইরে অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ হলেও বন্ধ থাকে নাই দলের অনুষ্ঠান। সে সময়ে অনলাইনে প্রচুর সাফল্যজনক অনুষ্ঠান করেছে অন্যস্বর টরন্টো।

২০২৩ সালের আবার দ্রোহ এনেছে বিজয় ৭১ :

বছর তিনের বিরতি নিয়ে ২০২৩ সালে অন্যস্বর টরন্টো ও অন্যথিয়েটার টরন্টো আবার ফিরে আসে বিজয় উৎসব নিয়ে। টরন্টোর ৩০০০ ড্যানফোর্থ এভিনিউ এর শ্রেজাজ বুটিকের ( গোপা চৌধুরী এবং অলোক চৌধুরী এর সৌজন্যে ) একটি কক্ষ থেকে প্রচারিত হয় পক্ষকালব্যাপী দ্রোহ এনেছে বিজয় ৭১ এর দ্বিতীয় বর্ষের অনুষ্ঠানমালা। সেবার আর্থিক সহযোগিতা করেছিলেন আমিন ট্যাক্স এণ্ড একাউন্টটিং সার্ভিসেস। 

 ২০২৪ এর “দ্রোহ এনেছে বিজয় ৭১ :

তৃতীয় বারের মতো এই শহরে অন্যস্বর টরন্টো সাফল্যজনকভাবে সমাপ্ত করলো তাদের বিজয়ের অনুষ্ঠান। ১ থেকে ১২ ডিসেম্বর প্রতিদিন রাত ৮ থেকে ৯টা পর্যন্ত এক ঘন্টার এই অনুষ্ঠান প্রতিরাতে সরাসরি ফেসবুক লাইভ ও অন্যস্বর পেজে এবং আহমেদ হোসেন এর ভেরিফাইড পেজে সরাসরি প্রচার করা হয়েছে। অনুষ্ঠান মালার ধারাবাহিকতায় প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত ছিলো কবিতা, গান, কথামালা, গুণীজনের সাথে আলাপচারিতা। 

আমাদের এই আয়োজনের প্রায় প্রতিটি পর্বে ছিলেন একজন করে আমন্ত্রিত আবৃত্তিকার, সংগঠক, শুভান্যুধায়ী।

১ ডিসেম্বর ২০২৪ – প্রথম দিন 

অন্যস্বর টরন্টো ও অন্যথিয়েটর টরন্টোর দলনেতা আহমেদ হোসেন ও আমাদের দুজন সহযাত্রী মুনিমা শারমিন এবং ফারজানা হক বেবী। দলনেতা আহমেদ হোসেন শুরুতেই কৃতজ্ঞতা জানান খাজানা কুইন্সকে , বদরুদ্দোজা সিদ্দিকীকে এবং “সাহেদ এন্ড আনান” টিমকে। তিনি আরো কৃতজ্ঞতা জানান দলটির অন্যতম সদস্য ফারিহা রহমান যিনি, পোষ্টার এবং আনুসঙ্গিক সকল ছোট বড় কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন করেছে। ফারিহা রহমান অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে কাজটি সুন্দর ভাবে সমাপ্ত করেন। বীর শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে আহমেদ হোসেন তার কথা অমৃত দিয়ে শুরু করেন অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ। তিনি বলেন আমরা একটি স্বাধীন পতাকা পেয়েছি রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের ভেতর দিয়ে। লাখো শহীদের প্রাণ ও হাজার নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা। তিনি বলেন আমরা স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি কারো দানে পাওয়া নয়। আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে অনেক চড়াই উৎরাই ভেতর দিয়ে। এই প্রসঙ্গে তিনি বিখ্যাত কবি সৈয়দ শামসুল হকের “অন্তর্গত” কাব্য গ্রন্থের ভূমিকা অংশ উদাহরণ হিসেবে নিয়ে আসেন। এবং সেই কথাগুলো যে একদম অন্তরের গভীর থেকে অনুধাবনকৃত তা উপস্থিত দর্শক স্রোতার কানের ভিতর দিয়ে মর্মে প্রবেশ করে। একজন মানুষ হিসেবে একজন বাঙালি হিসেবে এ বড় গর্বের আমাদের জন্য। এ পর্যায়ে মুনিমা শারমিন ও ফারজানা হক বেবি, কথা, কবিতা ও গান দিয়ে বিজয়ের মাসকে বরণ করেন।বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে বিজয়কে স্মরণের ভিতর দিয়ে আনন্দ বেদনার মধ্য দিয়ে কেটে যায় ১টি ঘন্টা চোখের পলকে। 

২ ডিসেম্বর ২০২৪ – দ্বিতীয় দিন 

ফারিয়া শারমিন, ড. জান্নাতুল ফেরদৌস ও এই শহরের খুবই পরিচিত মুখ কবি সাহানা চৌধুরী ছিলেন দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে । এই দিনে থাকে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের স্মৃতিকথা, থাকে দ্রোহের কবিতা ,থাকে স্বাধীনতার আনন্দের কথা। কবি সাহানা চৌধুরী তাঁর রচিত ” আমার দুঃখ সুখের গল্প” থেকে পড়ে শোনান মুক্তি যুদ্ধের সময়ের নিজ অভিজ্ঞতায় বাস্তব ঘটনা।সেই সাথে তিনি তার স্বরচিত একটি স্বাধীনতার কবিতা পড়ে শোনান। ড. জান্নাতুল ফেরদৌস অনুষ্ঠানের শুরুতে দেশের গানের দুটি লাইন দিয়ে দেশ বন্দনা শুরু করেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের “বাংলাদেশ ” কবিতার ভাষায়। ফারিয়া শারমিন পরিচয় তুলে ধরেন আমাদের বাঙালি জাতির। যে জাতির একজন জনক থাকে সে জাতি পথ ভ্রষ্ট হয় না ভুলে না নিজের পরিচয়। ফারিয়া শারমিন কবিতার সুরে সুরে কবি শামসুল হকের ” আমার পরিচয় ” পড়ে শোনান। এভাবে কথামালা, কবিতা, স্মৃতিচারণে পুরো সময়টাতে মুগ্ধতায় কেটে যায়। 

৩ ডিসেম্বর ২০২৪ – তৃতীয় দিন 

বিজয়ের মাসের এই সন্ধ্যা রাতে শীতের তীব্রতাকে উপেক্ষা করে একটি মনোরম পরিবেশেনা উপহার দেন অন্যস্বরের তিন সদস্য মুনিমা শারমিন, ইলোরা সাঈদ ও মেহজাবিন বিন ওসমান। এই পর্বে নির্ধারিত কোন বিশেষ অতিথি না থাকলেও অনুষ্ঠানটি বিশেষ করে তোলেন এই দলের দক্ষ মাঝিরা। “দ্রোহ এনেছে বিজয় ৭১”অনুষ্ঠানের সব চেয়ে উল্লেখ যোগ্য দিক হলো প্রতিটি পর্বের গত কাল কারা ছিলেন এবং আগামী কাল কারা থাকবেন তা প্রতিটি অনুষ্ঠানের শেষে বা মাঝে বা শুরুতে যে কোন সময়ই জানিয়ে দেয়া হয়। এ থেকেই বোঝা যায় কতটা গোছালো ও নিয়মানুবর্তিতা রয়েছে যদিও আপাতত দৃষ্টি দেখলে খুব সোজাসাপ্টা মনে হতে পারে। ঠিক যেন অমিত্রাক্ষর ছন্দ। মিল নাই মিল আছে। বোঝার মতো বোদ্ধাও তো চাই। 

৪ ডিসেম্বর ২০২৪ – চতুর্থ দিন 

গান কবিতা করেন ফারিয়া শারমিন, মৈত্রেয়ী দেবী ও মাসুদ পারভেজ চতুর্থ দিনের অনুষ্ঠানে। মাসুদ পারভেজ এর দলে অভিষেক হয় এইদিনে । এ পর্বে দেশের গান সহ বিজয়ের গান, দ্রোহের কবিতা পড়ার সাথে আলাপ চারিতা থাকে মাসুদ পারভেজের সাথে। সাংবাদিক মাসুদ যুদ্ধ শিশুর খুঁজে পাওয়ার ঘটনা জানান , প্রতিবেদন করেন এবং সেই কারণে পরে বাংলাদেশের প্রথম যুদ্ধ শিশু মেরিনা খাতুনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা দেয়া হয়। 

৫ ডিসেস্বর ২০২৪- পঞ্চম দিন 

পঞ্চম দিনের এই পর্বে ছিলেন অন্যস্বরের সদস্য ফ্লোরা শুচি ও শ্যামল মাহমুদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন কণ্ঠশিল্পী সুমন সাইয়েদ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ” বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ,বাংলার খ্রিষ্টান, বাংলার মুসলমান” এই গানটির মধ্যদিনে শুরু করেন অতিথি সুমন সাইয়েদ। মাতৃভূমি স্বর্গেরও চেয়ে শ্রেষ্ঠ তা মাইকেলের কবিতা বুঝেছিলেন। প্রবাস জীবনে সেই অনুভূতি আর একবার মনে করিয়ে দেয়। জন্মভূমি থেকে হাজার মাইল দূরে থাকলেও মাতৃভাষার প্রতি মমত্ববোধ এতোটুকু কমে না বরং বাড়ে। দেশের ভাষা ও সংস্কৃতি প্রতি নিখাদ ভালবাসা রয়ে যায় একজন বাঙালির যতদূরেই থাকে না কেন মানুষ। এই কথাটি বলার প্রয়াস পেয়েছেন ফ্লোরা শুচি। ফ্লোরা শুচি ও শ্যামল মাহমুদ দ্রোহের কবিতা, বিজয়ের কবিতা এবং একাত্তরের চিঠি পড়ে শোনান। সুমন সাইয়েদ বেশ কয়েকটি জাগরণের গান শোনান অনুষ্ঠানে। 

 ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ – ৬ষ্ঠ দিন 

এ পর্বের মৈত্রেয়ী দেবী, ফারজানা হক বেবি ও বাচিনিকের সদস্য ও গুণীশিল্পী মেরি রাশেদিন। তিনি প্রথমেই পড়ে শোনান “সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড” এলেন গিন্স বার্গের লেখা মৌসুমী ভৌমিক এর বাংলা অনুবাদ “যশোর রোড” আবৃত্তি করে শোনান। সেই সাথে মুক্তি যুদ্ধের সময়ের কিছু বাস্ত ঘটনা তুলে ধরেন যা তিনি তাঁর গুরুজনের কাছে থেকে শুনে এসেছেন। অন্যস্বরের সদস্য ফারজানা হক বেবী পড়ে শোনান দ্রোহের কবিতা ও মৈত্রেয়ী দেবী দেশের গান শহীদেদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে গান করেন। সেই সাথে মানুষ যে জাত পাত নিয়ে সবর্দা অস্থির সেই দিকটি সাঈজি বলেছেন তাঁর গানে ” জাত গেল জাত গেল বলে” চমৎকার এই গানটিও গেয়ে শোনান মৈত্রেয়ী দেবী। কান্না– হাসির যুগলে, দুঃখ স্মৃতির মিশলে একটি ঘন্টা পার হয়ে যায় এভাবেই। 

৭ ডিসেম্বর ২০২৪ – সপ্তম দিন

এই পর্বে অন্যস্বরের তিনজন সদস্য ছিলেন। আসিফ চৌধুরী, শিরিন চৌধুরী ও রিফফাত নূয়েরীন। রিফফাত নূয়েরীন বাঙালি জাতির পরিচয় দেন সৈয়দ শামসুল হকের ‘ আমার পরিচয় ‘ কবিতার মধ্য দিয়ে। শিরিন চৌধুরী ও আসিফ চৌধুরী বেশ কতগুলো দেশের গান শোনান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর দেশ পর্যায়ের ” গ্রাম ছাড়া ওই রাঙ্গা মাটির পথ”গানটির সময় উপস্থিত দর্শক শ্রোতা কণ্ঠ মেলান । কবিতা, গান ও গল্পে আড্ডায় বিজয়ের মাসের এই দিনটিও মুখরিত হয়ে উঠেছেল সেই সন্ধ্যায়। 

 ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ – অষ্টম দিন

মেহজাবিন বিনতে ওসমান, মানবী মৃধা ও বিশেষ অতিথি-অভিনেতা, কবি ও শিক্ষক মেহরাব রহমান ছিলেন অনুষ্ঠানের অষ্টম দিনে ।অন্যস্বরের সদস্য ও অতিথির যুগলে এই পর্বেও চলে কিছু স্মৃতি কথা দ্রোহ ও বিজয়ের গান। আমাদের এই বিজয় যে এক রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তি যুদ্ধের ফসল তা প্রতি পর্বের মতো এখানেও স্বরণ করা হয়। 

৯ ডিসেম্বর ২০২৪ – নবম দিন

আবৃত্তি শিল্পী হিমাদ্রী রায়কে সাথে নিয়ে অন্যস্বরের সদস্য আনিসা লাকী ও ড. জান্নাতুল ফেরদৌস এই পর্বটি সাজান। আনিসা লাকী কবিতায় বিজয়ের জয়গান আর ড. জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তিযুদ্ধের সময়ের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের ভয়াবহ অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরেন। দ্রোহ, বিজয় মানবতা এই পর্বের মূল প্রতিপাদ্য ছিল। 

১০ ডিসেম্বর ২০২৪- দশম দিন 

দশম দিনে ইলোরা সাঈদ ও মৈয়েত্রী দেবী , বিশেষ অতিথি ছিলেন সুমন মালিক ও মামুনুর রশীদ। গানে, কবিতা, বাঁশির সুরে মন্ত্রমুগ্ধের মতো সময় পার হয়ে যায়। 

১১ ডিসেম্বর ২০২৪ -একাদশ দিন 

অন্যস্বরের টরন্টো অন্যতম সদস্য ফারিহা রহমান, মাসুদ পারভেজ ও ফ্রোরা শুচি ছিলেন দ্রোহ ও বিজয়ের কবিতা নিয়ে দশমদিনের অনুষ্ঠানে। ফারিহা রহমান বাংলা কবিতার পাশাপাশি একটি চমৎকার ইংরেজি কবিতা ” I promise” পড়ে শোনান। প্রতিপর্বের মতো গল্প গাঁথায় কেটে যায় পর্বটি। 

১২ ডিসেম্বর ২০২৪- দ্বাদশ দিন 

সেদিন ছিল ১২ দিন ব্যাপি অন্যস্বর আয়োজিত তৃতীয় বর্ষের ” দ্রোহ এনেছে বিজয় ৭১” এর শেষ দিন।এই পর্বে ছিলেন মেহজাবিন বিনতে ওসমান, আনিসা লাকী, তামান্না ইসলাম এবং অতিথি আমিন মিয়া। এইদিনেও ছিলো কবিতা, গান ও নানা স্মৃতি কথা। 

১২ দিনব্যাপী দ্রোহ এনেছে বিজয় ৭১ এই বছরের সমাপ্তি বক্তব্যে আহমেদ হোসেন আবারও সকল পৃষ্ঠপোষকদের কৃতজ্ঞতা , সকল সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। ধন্যবাদ জানান সকল দর্শকশ্রোতাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *