টরন্টোতে শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে ‘সানস মেট্রোমনিয়াল’ এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা
সেবাগ্রহীতাদের গোপনীয়তা রক্ষার নিশ্চয়তা থাকবে শতভাগ
প্রবাসী কণ্ঠ : টরন্টোর বিশ্বস্ত ও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ‘আমাজন ইমিগ্রেশন এ্যান্ড লিগ্যাল সার্ভিসেস ইন্ক.’ এর উদ্যোগে এবার শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে ‘সানস মেট্রোমনিয়াল’ এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা।
কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে বসবাসরত পাত্র-পাত্রীরা বা তাঁদের অভিভাবকরা যোগাযোগ করতে পারেন নতুন এই ঘটকালী প্রতিষ্ঠান ‘সানস মেট্রোমনিয়াল’ এর সাথে। যোগাযোগের ঠিকানা : SANSS Matrimony Inc. 3209 Danforth Ave, Scarborough, ON M1L 1B8. E-mail : info@sanss.ca Phone: (416) 686-2985. Website address : https://www.sanss.ca/
এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার জনাব ওয়াজির হোসেন মুরাদ প্রবাসী কণ্ঠকে বলেন, ‘গ্রাহক সেবা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। তাঁদের গোপনীয়তার নিশ্চয়তাও থাকবে শতভাগ। আমরা প্রধানত কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের পাত্র-পাত্রীদের নিয়ে কাজ করবো। তবে এটি কোনো ভলন্টিয়ার সার্ভিস নয়। গ্রাহকদেরকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান ফি দিতে হবে। ফি এর বিস্তারিত আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। আগ্রহীরা চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন।’ ঠিকানা www.sanss.ca
জনাব মুরাদ আরও বলেন, ‘এটি অন্যসব প্রচলিত বা কনভেনশনাল ব্যবসার মত সাধারণ একটি ব্যবসা নয়। মানুষের প্রয়োজনীয়তার কথা মনে রেখেই SANSS Matrimony এর সৃষ্টি। এখানে গুরুতর মানবিক দিক এবং যত্নশীলতার দিকগুলো বিবেচনায় রয়েছে। জনাব মুরাদের মতে শুধুমাত্র ভলন্টিয়ার সার্ভিস দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন ফিজিক্যাল অফিস, ফুলটাইম প্রফেশনাল এম্প্লয়ী, অনলাইনের সুযোগ ইত্যাদি।’
উল্লেখ্য যে, কানাডায় বাংলাদেশী অভিবাসীদের মধ্যে পাত্র-পাত্রীর তীব্র সংকট রয়েছে। আর এ কারণে প্রবাসে প্রথম প্রজন্মের অভিবাসী বাবা-মায়েরা তাঁদের দ্বিতীয় প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের বিয়ে করাতে বা দিতে গিয়ে একটা বড় ধরনের সঙ্কটের মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করছেন। তাঁদের বিয়ের উপযুক্ত ছেলে থাকলে তার জন্য মেয়ে খুঁজে পান না, অথবা মেয়ে থাকলে ছেলে খুঁজে পান না। এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে পারে স্থানীয় কোন মেট্রোমনিয়াল প্রতিষ্ঠান যার উপর প্রবাসীরা আস্থা রাখতে পারেন।
ভোগান্তি যেমন বাবা-মায়ের তেমনি ছেলে-মেয়েদেরও। উপযুক্ত পাত্র-পাত্রী খুঁজে পাওয়াটা একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সবার জন্যই। আর এই চ্যালেঞ্জের পিছনে রয়েছে অনেক কারণ। ধর্ম, বর্ণ, এথনিসিটি, ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড ও বয়সসহ আরো কিছু বিষয়ে মিল খুঁজে না পাওয়াতে পাত্র বা পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাছাড়া যোগাযোগ মাধ্যমেরও রয়েছে অভাব। নিজ নিজ মাতৃভূমিতে অভিবাসীদের সকলেরই প্রচুর আত্মীয় বন্ধু থাকেন। থাকেন পাড়া-প্রতিবেশী যাদের কাছে পাত্র-পাত্রীর সন্ধান পাওয়া যায়। কিন্তু কানাডা ও আমেরিকায় অভিবাসীদের সেই সুযোগ খুবই সীমিত। অন্যদিকে অনলাইনে অনেক মেট্রোমনির সাইট থাকলেও তার সবগুলোর প্রতি অনেকেরই আস্থা নেই। অধিকাংশের নেই আবার ফিজিক্যাল এড্রেস। ফলে সরাসরি যোগাযোগ করা যায় না তাদের সাথে।
সে ক্ষেত্রে কানাডায় মেট্রোমনি বা ঘটক প্রতিষ্ঠান, যাদের রয়েছে ফিজিক্যাল এড্রেস, তারা গ্রাহকের আস্থা অর্জনে রাখতে পারে বড় ধরণের ভূমিকা।
SANSS Matrimony হতে পারে এমনই একটি প্রতিষ্ঠান। জানালেন এর কর্ণধার জনাব ওয়াজির হোসনে মুরাদ। তিনি বলেন, ‘এর মূল প্রতিষ্ঠান আমাজন ইমিগ্রেশন এ্যান্ড লিগ্যাল সার্ভিসেস ইন্ক. সুদীর্ঘ সময় ধরেই কমিউনিটিতে সুনামের সঙ্গে সার্ভিস দিয়ে আসছে। ফলে প্রবাসীদের আস্থা আমরা ইতিমধ্যেই আর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আর এই আস্থাকে পূঁজি করেই আমরা SANSS Matrimony কে নিয়ে সামনের দিকে এগুতে পারবো। দিতে পারবো প্রয়োজনীয় সেবা।’
উল্লেখ্য যে, জনাব মুরাদ দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর ধরে মুসলিম ম্যারিজ সোসাইটি, কানাডা এর সাথে জড়িত ছিলেন ভলন্টিয়ার হিসাবে। সেখান থেকে সঞ্চিত অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার তিনি SANSS Matrimony এর কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছেন। তার সাথে রয়েছেন মুসলিম ম্যারিজ সোসাইটি, কানাডা এর নির্বাহী পরিচালক জনাব জহুরুল ইসলামসহ আরো বেশ কয়েকজন।
SANSS Matrimony’র এই যাত্রা প্রথম থেকেই সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য জনাব মুরাদ সবার কাছে সহযোগিতা ও দোয়া চেয়েছেন। তিনি মনে করেন, মানুষ দীর্ঘদিন পর একটা আস্থার জায়গা পাবেন। সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ SANSS Matrimony’র সেবা পাবেন।