কানাডায় পারিবারিক সহিংসতা : বেশি নাজুক অবস্থায় পড়েন নবাগতরা

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : বেশিরভাগ দিন একটি অ্যাপার্টমেন্টে আটকে থাকা প্রিয়া দেখছিলেন কানাডায় তার নতুন জীবনের প্রতিটি বিষয় কীভাবে দ্রুত নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিচ্ছেন তার স্বামী।

তার সেল ফোন ও পাসওয়ার্ড, সবই ছিল স্বামীর কব্জায়। ছোটখাটো কাজ করে প্রিয়া যা কিছু অর্থ আয় করেন সবটুকুই চলে যায় স্বামীর পরিবারের কাছে।

সময়টা ছিল ২০১৮ সাল, এই দম্পতির বিয়ের দুই বছর পেরিয়েছে তখন। তাদের বিয়ে হয় ভারতে পারিবারিক পছন্দে, তখন প্রিয়ার বয়স ২৬।

প্রিয়ার ওপর পীড়ন শুরু হয় বিয়ের ক’দিন পরই। তিনি বলেন, এ নিয়ে স্বামীকে কখনও প্রশ্ন করলে বা তাকে ‘না’ বললেই স্বামী তাকে লাথি মারতেন।     

একবার তিনি প্রিয়াকে রুমের মধ্যে টেনে ছেঁচড়ে নিয়ে যান, তার হাত ভেঙে দেন এবং এক সপ্তাহেরও বেশি সময় তার কোনও রকম চিকিৎসা না করে ফেলে রাখেন ঘরে। কখনও প্রিয়ার গায়ে ছুঁড়ে দিয়ে কাঁচের জিনিসপত্র ভাঙেন।

কানাডায় সব জাতিগত পরিচয় ও আয়ের স্তর নির্বিশেষে সব ধরণের পরিবারেই পারিবারিক সহিংসতা কমবেশি আছে, তবে বিশেষভাবে নবাগতরা এক্ষেত্রে বেশি নাজুক অবস্থায় পড়েন। প্রতীকী ছবি : সাটারস্টক

শিক্ষিত ও ইংরেজিতে সাবলীলভাবে কথা বলতে সক্ষম প্রিয়া সহজেই ভাষার টেস্টে পাশ করেন এবং তাকে স্বামীসহ কানাডায় আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়।

তিনি আশা করছিলেন, কানাডায় অভিবাসন তার জীবনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। পরিবর্তে অত্যাচার অবাধে চলতে থাকে।

প্রিয়া বলেন, কানাডায় তার পারমানেন্ট রেসিডেন্সি পাবার অল্প কিছুদিন পর এক রাতে স্বামী তাকে আক্রমণ করেন উন্মত্তের মত- তাকে আঘাত করতে থাকেন, চড় চাপর মারতে থাকেন, মাটিতে ফেলে দিয়ে লাথি মারতে থাকেন।

‘তোকে আমার দরকার নেই, যা, তুই মর।’ 

প্রিয়া বলেন, রাগের সময় তার স্বামী দাবি করেন যে, তিনি শুধু কানাডায় আসার জন্য প্রিয়াকে ব্যবহার করেছেন। এখন তিনি চান সে মরে যাক।

তার কথাগুলো স্মরণ করেন প্রিয়া, “তোকে দিয়ে আমার আর কোনও কাজ নেই, তুই যদি নিজে মরতে না পারিস, আমার সাহায্য নিতে পারিস।”

এটা প্রিয়ার আসল নাম নয়। সিবিসি নিউজ নিরাপত্তাজনিত কারণে তার আসলে নাম ও ঠিকানা গোপন রেখেছে।

সেই রাতে প্রিয়া শরীরে ক্ষত ও নাকে রক্ত ঝরা অবস্থায় পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।

সিবিসি নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি পুরো মর্মাহত স্তম্ভিত হয়ে পড়ি,  কারণ এখানে আমার বেঁচে থাকার কোনও অবলম্বন ছিল না।”

সব পশ্চাদপট, জাতিগত পরিচয় ও আয়ের স্তর নির্বিশেষে সব ধরণের পরিবারেই পারিবারিক সহিংসতা কমবেশি আছে, তবে বিশেষভাবে নবাগতরা এক্ষেত্রে বেশি নাজুক অবস্থায় পড়েন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রান্তিক নারীদেরকে সম্ভাব্য জীবনরক্ষাকারী সহায়তার সাথে সংযোগ করে দেয়ার জন্য শুধু এই বিষয়ের পরিষেবা থাকা দরকার।

ওইসব অভিবাসী, উদ্বাস্তু এবং পারমানেন্ট রেসিডেন্টরা বৃহত্তর টরন্টো এলাকার জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশ, বিশেষ করে পিল অঞ্চলের, যেখানে প্রিয়া কানাডায় এসে প্রথম আশ্রয় নিয়েছিলেন।

২০১৬ সালের হিসাবে অভিবাসীরা এই অঞ্চলের জনসংখ্যার প্রায় ৫২ শতাংশ এবং এখানকার অশে^তাঙ্গ জনগোষ্ঠীর অর্ধেকেরও বেশি দক্ষিণ এশীয়-  আর অতি সম্প্রতি অভিবাসীরা আসছেন ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, চীন এবং ইরাক থেকে।       

সামরা জাফর নামে একজন পাবলিক স্পিকার, লেখক এবং অধিকারবাদীর মতে, এসব নবাগত ভাষা ও সাংস্কৃতিক বাধা, পারিবারিক সহায়ক ব্যবস্থার অভাবের মত সমস্যার মুখে পড়তে এবং অর্থনৈতিক বা মানসিক উভয় দিক থেকে হয়তো তার পরিবারের অন্য সদস্যদের ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়তে পারেন। সামরা জাফর নিজেও পারিবারিক পছন্দের বিয়ের পর পারিবারিক সহিংসতার মুখে পড়েন এবং উদ্ধার পান।

তিনি বলেন, “কেউ যখন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, যখন তার কোনও কমিউনিটি থাকে না, সে লজ্জিত ও কলঙ্কিত বোধ করে, আর তার পরিবার তাকে পরিত্যাগ করার হুমকি দিতে থাকে… তখন সেটি তাকে একেবারেই দুর্বল করে দেয়।”

২০১৯ সালে গ্রেটার টরন্টোতে ১৬টি পারিবারিক হত্যা

পিল এলাকার পুলিশ জানায়, ২০১৯ সাল ছিল পারিবারিক ও ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের প্রতি সহিংসতার দিক থেকে রেকর্ড সৃষ্টির বছর। এর চার বছর আগে থেকে পুলিশ ওই এলাকায় পারিবারিক সহিংসতার বিষয়ে নজরদারি শুরু করে।

এর আগে ২০১৬ সালে এখানে পারিবারিক পর্যায়ে কোনও হত্যার ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ জানায়, গত বছর পিলে সাতটি হত্যাকাণ্ড ঘটে।

সিবিসি নিউজের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আরও বৃহত্তর পরিসরে গ্রেটার টরন্টো এলাকায় ২০১৯ সালে পারিবারিক হত্যাকাণ্ড ঘটে ১৬টি। এর মধ্যে একটি ছাড়া সবগুলোতেই হত্যার শিকার হন নারীরা- আর নয়জন নারী নিহত হন তাদের স্বামীর হাতে। হত্যার শিকার ও হত্যাকারীদের মধ্যে কতজন

এদেশে নবাগত তা স্পষ্ট না হলেও অনেকগুলো হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা ছিলেন সংখ্যালঘু-  হত্যার শিকার আটজন ছিলেন পূর্ব এশীয় অথবা দক্ষিণ এশীয় পটভূমির।    

তাদের মধ্যে একজন, ২৭ বছর বয়সী থারশিকা জেগানাথন তার সাবেক স্বামীকে ছেড়ে নতুন করে নিজের জীবন গড়ে তুলতে যাচ্ছিলেন। এটা তার পরিচিত জনের ভাষ্য। ওই বন্ধুরা এর আগে সিবিসি নিউজকে জানান যে, জেগানাথন তার স্বামীর সঙ্গে মিলিত হবার জন্য কয়েক বছর আগে শ্রীলঙ্কা থেকে কানাডায় আসেন।

থারশিকা জেগানাথন। ১১ সেপ্টেম্বর ডলারামার কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দেয়া হয়। ছুরি দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যার জন্য তার প্রাক্তন স্বামী সসিকরণ থানাপালাসিংগমকে দায়ী করা হয়।  (ছবি : গোফান্ডমি)

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার জন্য তার প্রাক্তন স্বামী সসিকরণ থানাপালাসিংগমকে দায়ী করা হয়। তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ 

মাত্রার হত্যার (ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডার) অভিযোগ আনা হয়।

পারিবারিক আইনজীবী অর্চনা মেধেকর বলেন, পারিবারিক সহিংসতার ব্যাপারে সাহায্য পাবার ক্ষেত্রে অনেক নতুন অভিবাসী ও নবাগত ব্যক্তিই এদেশে সমস্যার মুখে পড়েন। মেধেকর টরন্টো ও পিল এলাকায় পারিবারিক সহিংসতা থেকে বেঁচে আসা লোকেদের জন্য কাজ করেন।

তিনি বলেন, “এসব নারী সত্যিই এমন অনুভব করেন যে, তারা এই নতুন কমিউনিটির  কেউ নন।”

তিনি আরও বলেন, সঙ্গীরা যখন ওই নারীদের দৈনন্দিন জীবনের ওপর সার্বিক নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে, যখন কানাডার সব রকম সহায়তা পরিষেবা পাওয়া থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলে তখন ওই নারীরা সহিংসতার মুখে অসহায় হয়ে পড়েন।

কিশোরী বধূ হিসাবে কানাডায় আসা সামরা জাফর-এর মতে, ওইরকম পরিস্থিতিতে একজন নারীর পক্ষে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা বা একটি ট্যাক্সি ডাকার মত সাধারণ কাজও প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। জাফর এদেশে এসে ১০ বছরের জন্য নিপীড়নমূলক বিয়ের ফাঁদে আটকে পড়েন। পরে তিনি টরন্টো ইউনিভার্সিটিতে আন্ডারগ্রাজুয়েট কোর্সে পড়ার সময় থেকে নিজের সন্তানদের সঙ্গে বসবাস করতে থাকেন।

জাফর বলেন, “নবাগতদের হাতে অর্থ থাকে না, সামাজিক পরিমণ্ডলে ঢোকার সুযোগ নেই, কোনও বন্ধু নেই। তাহলে তারা কোথায় যাবে?” তিনি বলেন, “আমার কথাই বলি, আমি এসেছি বাচ্চা বয়সে, নিজের কোনও বন্ধু ছিল না। দরজা খোলা ছিল, হেঁটে বেরিয়ে আসতে পারতাম –  কিন্তু তারপর কী হতো?”

অভিবাসীদের জন্য আরও সহায়তা দরকার

মেধেকর ও জাফর উভয়েই বলেন, নতুন অভিবাসী নারীদের সহায়তার জন্য আরও বেশি সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা আছে, যাতে ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সহিংসতা প্রাণঘাতী পর্যায়ে পৌঁছার আগেই পালিয়ে আসা নারীরা সাহায্য পেতে পারেন।

জাফর ব্যাখ্যা করে বলেন, “অনেক অনেক নারী আমার কাছে এসে বলেছেন যে, ‘আমার কাউন্সিলরকে যখন বলি, বিয়ে ভেঙ্গে বেরিয়ে এলে আমার বাবা লজ্জায় মরে যাবেন’ তখন তিনি সত্যি বুঝতে পারেন না, কারণ তারা এর সাথে জড়িত সংস্কৃতির বিষয়টি ধরতে পারেন না।”

পিল এলাকার ইন্ডাস কমিউনিটি সার্ভিসেস অভিবাসী নারীদের সেবা দানকারী সংগঠনগুলোর একটি। অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটির পাঞ্জাবি ও হিন্দিসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন ভাষায় বক্তব্য গ্রহণের ব্যবস্থা আছে। তারা সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারিবারিক সহিংসতার ইতিহাসও জেনে নেয়। 

সংগঠনের সিইও গুরপ্রীত মালহোত্রা বলেন, তার দল সহিংসতার শিকার নারীকে আইন-আদালতের বিষয়ে সহায়তার জন্য সাংস্কৃতিক দিক থেকে উপযুক্ত এমন সহায়তাকারী সংগঠনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং সমাজে ভালোভাবে একাত্ম হতে সহায়তার জন্য ইংরেজি ভাষাকোর্স পরিচালনা করে।

সামরা জাফর একটি পুরনো ছবি ধরে আছেন, যখন তিনি সদ্য মা হন। পরিবারের পছন্দে নির্যাতনমূলক এক বিয়ে করে কিশোরী বধূ হিসাবে তিনি কানাডায় আসেন। আর এখন তিনি পারিবারিক সহিংসতার শিকার নারীদের সাহায্য করেন। (ছবি : লরেন পেলে/সিবিসি নিউজ)

শুধু গত বছরই ১,৪০০ জনের বেশি মানুষ এসব সার্ভিস গ্রহণ করেছে। মালহোত্রা সতর্ক করেন যে, “আমরা ক্রমশ এমন একটি চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে যাচ্ছি যখন আমাদের আর সেবা দেয়ার মত অবস্থা থাকবে না।”

তিনি জনসংখ্যা বেড়ে যাবার বিষয়ে জোর দেন – আর সহিংসতার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা কমে আসার কোনও লক্ষণ নেই –  প্রকৃত চাহিদা এত বেশি যে অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষে সাহায্য করা সামর্থের বাইরে। মালহোত্রা বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি ভয়ঙ্কর শিরোনামগুলি, যেখানে নারীরা তাদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর হাতে খুন হচ্ছেন, এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।”

‘অন্তত আমি শ্বাস নিতে পারছি’

প্রিয়া যে বেঁচে আছেন তাতেই খুশি। কিন্তু একটি উন্মত্ত বিবাহিত জীবন থেকে বেঁচে গিয়েও তিনি এখনও নানা বাধার মুখে।

২০১৮ সালে পালিয়ে আসার পর তিনি পরিচিতদের কাছে আশ্রয় নেন এবং শিখদের একটি গুরুদুয়ারায় লুকিয়ে ছিলেন। প্রিয়া বলছিলেন, এরই মধ্যে তার স্বামী দ্রুত তার হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপগুলি ডিলিট করে দেয় এবং প্রিয়ার জি-মেল পাসওয়ার্ড পাল্টে দেয়।

গ্রুপ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় প্রিয়া তার প্রতি স্বামীর মৌখিক হুমকির প্রমাণাদি এবং যোগাযোগের সামান্য উপায়ও হারিয়ে ফেলেন।

৩০ বছর বয়সী প্রিয়া এখনও সেই ট্রমায় ভুগছেন এবং কানাডায় নিজের মত একটি কর্মসংস্থানের জন্য লড়াই করছেন, ভারতে তিনি মাস্টার্স করেছিলেন। এখন তিনি যে চাকরি করছেন তা দিয়ে কোনওরকমে ঘরের ভাড়া দেয়া সম্ভব, তা-ও আবার একজন রুমমেটকে সাথে নিয়ে। তারপরও মুক্তির এক নতুন স্বাদ তিনি খুঁজে পান।

প্রথম বেতন পাবার পর –  যা প্রথমবারের মত তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে এবং তা সঙ্গীর পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়নি-  প্রিয়া টরন্টোর ইউনিয়ন স্টেশনে যান এবং লাঞ্চের জন্য একটি ব্যাগেল (ক্রিম ও পনির দেয়া রুটির রোল) কেনেন। জীবনে প্রথম নিজের টাকা ব্যয় করতে পারার বিস্ময় ও ক্ষুধার যুগপৎ মিশ্রণে অশ্রুসিক্ত চোখে তিনি সেটি খান।

তিনি বলেন, “আমি অন্তত বাতাসে শ্বাস নিতে পারছি, কোনওরকম অপরাধবোধ ছাড়া, দুশ্চিন্তা ছাড়া, মারধরের শিকার না হয়েই বুক ভরে বাতাস নিতে পারছি।”

———

কারও সাহায্যের দরকার হলে এবং সমূহ বিপদের মধ্যে থাকলে ৯১১ নম্বরে কল করুন। নিজের এলাকায় সাহায্য পেতে sheltersafe.ca বা endingviolencecanada.org/getting-help সাইটে ভিজিট করুন।  

আপনার পরিচিত কেউ সঙ্গীর হাতে সহিংসতার শিকার হতে পারেন বলে যদি উদ্বিগ্ন থাকেন তাহলে আপনার জন্য কানাডিয়ান রেডক্রসের সুপারিশ করা কিছু সতর্ক সঙ্কেত:

–   ভিকটিম বলেন, সঙ্গীরা তার ইচ্ছা ও অনুভূতিগুলো উপেক্ষা করেন।

–    তাদের গালি দেয়া বা সমালোচনা করা হবে।

–    তাদের আর্থিক, আবেগগত অথবা শারীরীকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

–    সঙ্গীরা ভিকটিমকে তার বন্ধুদের থেকে দূরে রাখে।

–    চাওয়া পূর্ণ না হলে সঙ্গী ভিকটিমকে আঘাতের হুমকি দেয় বা রাগ দেখায়।

–     সঙ্গী ভিকটিমকে অনুসরণ করে।

–   ভিকটিম জানান, তাকে আগেও মৌখিক, মানসিক, শারীরীক অথবা যৌনভাবে পীড়ন করা হয়েছে।

সূত্র : লরেন পেলে, কিরতানা সসিসরণ  –  সিবিসি নিউজ