সঙ্গীত শিল্পী যুথিকা বড়ুয়া’র স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত
প্রবাসী কণ্ঠ : কানাডা প্রবাসী সঙ্গীত শিল্পী যুথিকা বড়ুয়া’র স্মরণে গত ২৮ মে রবিবার টরন্টোতে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় যুথিকা বড়ুয়ার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার স্মৃতিচারণ করেন টরন্টো প্রবাসী বাংলাদেশী লেখক, সাংবাদিক ও শিল্পীরা।
স্মরণ সভাটি আয়োজন করে টরন্টোর বাংলা সাহিত্য পরিষদ। এতে অতিথিদেরকে আপ্যায়নসহ সার্বিক সহযোগিতা করেন শিল্পী সুমী বর্মন ও তার স্বামী পিযুষ বর্মন।
যুথিকা বড়ুয়া কলকাতা সফরকালে গত ১৮ এপ্রিল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তার পিত্রালয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। তার অকাল মৃত্যুর সংবাদে টরন্টোর বাঙ্গালী কমিউনিটিতে নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া।
স্মরণ সভার শুরুতেই যুথিকা বড়ুয়া’র উপর বক্তব্য রাখেন লেখক মোয়াজ্জেম খান মনসুর। তিনি যুথিকা বড়ুয়ার শিল্পীজীবনের উপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন। এরপর একে একে মঞ্চে আসেন রেজাউল হাসান, খুরশিদ আলম, জসিম মল্লিক, পিযুষ বর্মন, ফরিদা রহমান, হাসিনা আক্তার জানু, জালাল কবীর, ফারহানা পল্লব, সুমি বর্মণ, মাহমুদা নাসরীন, সৈয়দ কবীর, মনির বাবু ও গোলাম মহিউদ্দিন।
বক্তারা সবাই যুথিকা বড়ুয়াকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন এবং তার জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন যুথিকা বড়ুয়ার স্বামী লেখক সোনাকান্তি বড়ুয়া ও কন্যা ইন্দিরা বড়ুয়া-ও। মা-কে নিয়ে ইন্দিরার আবেগঘন বক্তব্যে অশ্রুসজল হয়ে উঠেন স্মরণ সভায় উপস্থিত সকলেই। মায়ের মৃত্যুর সময় ইন্দিরাও তার পাশে ছিলেন কোলকাতায়।
সবশেষে বক্তব্য রাখেন যুথিকা বড়ুয়ার স্বামী সোনাকান্তি বড়ুয়া। তিনিও স্ত্রীকে নিয়ে আবেগঘন বক্তব্য রাখেন। স্মৃতিচারণ করেন অতীতের দিনগুলোর কথা।
উল্লেখ্য যে, যুথিকা বড়ুয়া সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে পরিচিতি পেলেও তার আরো কয়েকটি পরিচয় রয়েছে। তিনি ছিলেন সুরকার, গীতিকার, গল্পকার এবং কবি। সর্বভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্নপদক লাভ করেছিলেন। ‘নানা রঙের যাপিত জীবন’ শিরোনামে তার একটি বইও প্রকাশিত হয় ঢাকার গত বই মেলায়। কিন্তু তিনি প্রকাশিত বইটি স্বচক্ষে দেখে যেতে পারেননি।
মৃত্যুর পর যুথিকা বড়ুয়ার মরদেহ টরন্টো নিয়ে আসা হয় এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এখানেই সম্পন্ন হয়।
স্মরণ সভার সঞ্চালনায় ছিলেন মোয়াজ্জেম খান মনসুর। শিল্পীকে স্মরণ করে সঙ্গীত পরিবেশন করেন সুমী বর্মন, গোলাম মহিউদ্দিন ও ফারহানা শান্তা।