টরন্টো সিটির কর্মচারী পরিচয়ে কারো বাড়িতে ঢোকার চেষ্টাকারী প্রতারক থেকে সাবধান থাকার সতর্কবার্তা
প্রতারকরা বাড়ির মালিকদের ফোন দিয়ে বলছে বাড়ির সাম্প পাম্প ও ব্যাকওয়াটার ভাল্ব টেস্ট করতে হবে
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : সিটির কর্মচারী পরিচয় দিয়ে প্রতারণাকারীদের সম্পর্কে রিপোর্ট পাবার পর টরন্টো নগর কর্তৃপক্ষ কাকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়া যাবে সে বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে। খবর সিবিসি নিউজের।
টুইটারে এক পোস্টে সিটি কর্তৃপক্ষ বলেন, তারা রিপোর্ট পেয়েছেন যে, বাড়ির মালিকরা তাদের বাড়ির “সাম্প পাম্প ও ব্যাকওয়াটার ভালব” পরীক্ষা করা দরকার বলে দাবি করা লোকেদের কাছ থেকে ফোনে কল পাচ্ছেন।
সিবিসি নিউজের কাছে পাঠানো এক ই-মেল বার্তায় সিটি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, তারা কখনও “বেসমেন্টে পানি নিষ্কাষণ যন্ত্র বা পরিষেবা অথবা ড্রেনের লাইনের হুকআপের মত পণ্য টেলিফোন করে ঘরে ঘরে বিক্রি করেন না।”
ই-মেলে বলা হয়, “সিটি কর্তৃপক্ষ কোনও বেসরকারি কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবা অনুমোদন করে না।”
টরন্টোর সিবিসিকে সিটির কর্মকর্তা বলেন, তারা বাড়ি পরিদর্শনে যাওয়া সম্পর্কিত ছয়টি টেলিফোন কল পেয়েছেন, তবে এগুলি ওই নির্দিষ্ট প্রতারণার সঙ্গে জড়িত কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেননি। তারা এ বিষয়ে উদ্বেগ রয়েছেন অথবা কোনও প্রশ্ন রয়েছে এমন যে কাউকে সিটির ৩১১ নম্বরে যোগাযোগ করা এবং প্রতারিত হলে টরন্টো পুলিশ সার্ভিসের ৪১৬-৮০৮-২২২২ নম্বরে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।
সিটি কর্তৃপক্ষ বাড়ির মালিকদের জন্য বৃষ্টির পানি নামার পাইপ বা ডাউনস্পাউট স্যুয়ারেজ লাইন থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা বাধ্যতামূলক করেছে তবে সাম্প পাম্প ও ব্যাকওয়াটার ভালবের ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য নয়। তারপরও কিছু লোক সেসব যন্ত্র লাগিয়েছেন যাতে বেসমেন্ট প্লাবিত না হয়। আর প্রতারকরা এরই সুযোগ নিয়েছে।
গত গ্রীষ্মে টরন্টো ওয়াটার-এর কর্মচারী পরিচয়ে বাড়িতে ঢোকা ও ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টাকারী প্রতারকদের সম্পর্কে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পায়।
সিটি কর্তৃপক্ষের একজন কর্মচারী প্রতারকদের খপ্পরে পড়ার উপক্রম হলে সিটি তড়িঘড়ি করে সতর্কতামূলক টুইট করে। ওই কর্মচারী একটি বিভ্রান্তিকর টেলিফোন কল পান যাতে টেলিফোনকারী নিজেকে সিটির স্যানিটেশন বিভাগের কর্মচারী বলে পরিচয় দেয়। টেলিফোনকারী সিটির কর্মচারীর বাড়ি কোন সড়কে তা জানতো এবং সে ব্যাকওয়াটার ভালব ও সাম্প পাম্প পরীক্ষা করার জন্য আসতে চায়। সে জানায়, এতে মাত্র ১০ মিনিট সময় লাগবে। বাড়িতে অন্য কেউ আছে কিনা তা-ও জানতে চায় লোকটি।
সিটির একজন মুখপাত্র জানান, সিটির কর্মচারী টেলিফোনকারীকে প্রশ্ন করতে শুরু করলে সে দ্রুত ফোন রেখে দেয়।