আমার জীবনের নানা কথা

সাইদুল হোসেন

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

বিয়ে, তালাক, আবার বিয়ে

আজ সকালে লন্ড্রি রূমে গিয়ে দেখা হলো এক বয়স্কা মহিলার সংগে। তার চেহারা, মাথার চুল, দেহের আকৃতি, চামড়ার রং ঠিক একজন Ethiopian-এর মত। জানতে চাইলাম তিনি ইথিওপিয়ান কিনা। মহিলা হাসলেন, তারপর বললেন:

আজীবন আমি ঠিক একই প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি, নূতন কিছু নয়। তবে সত্যি কথাটা হচ্ছে যে আমি একজন গায়ানীজ ক্যাথলিক, ইথিওপিয়ান নই। আমার বাবা ছিলেন চাইনীজ, মা ছিলেন ইন্ডিয়ান। অথচ আমার চেহারা-আকৃতি ইত্যাদি ঠিক একজন জন্মগতভাবে ইথিওপিয়ানের মত। কেন এমনটা হলো এই রহস্যের কোন কিনারা হলো না আজো।

তারপর নিজেই বলে চললেন: আমি বহুদিন ধরে ক্যানাডাবাসী, আমার দুই সন্তান, ওরাও ক্যানাডাতেই থাকে। ওরা ক্যাথলিক, যদিও ওদের বাবা, আমার প্রথম হাজব্যান্ড, ছিল মুসলিম। আমাদের গায়ানাতে inter-religious marriage একটা অতি প্রচলিত tradition. যা হোক আমাদের দুই সন্তান জন্মের পর নানা কারণে আমাদের divorce হয়ে যায়। আমি চলে আসি ক্যানাডাতে, ও চলে যায় USA. ওখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছে।

আমাদের মাঝে কোন communication নেই, তবুও খবরবার্তা এসে যায়। শুনেছি সে একেএকে আরো ৫টি বিয়ে করেছে, পাঁচটি সন্তানও আছে। ওর সর্বশেষ ওয়াইফের বয়স ওর ছোট মেয়েটার চেয়েও কম।

Marriage, divorce; again marriage, again divorce! Disgusting! But I never married again.

এবার থামলেন মহিলা।

ডিসেম্বর ২১, ২০১৭

হাসপাতালে দান ১০০ মিলিয়ন ডলার, দাতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

গতকাল Metro News (Toronto) পত্রিকায় (Page 4) খবর পড়লাম যে কোন একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দাতা (donor) CAMH (Centre for Addiction and Mental Health) Toronto–কে তাদের research and development  জোরদার করার উদ্দেশ্যে One hundred million Canadian dollars দান করেছেন।

This donation is by far the largest ever given to a mental health centre in Canada. President & CEO of CAMH Dr. Catherine Zahn এই দানের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন যে এই টাকাটা তাঁরা endowment fund-এ রাখবেন এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে সরাসরিও খরচ (direct spending) করবেন। -জানুয়ারী ১৩, ২০১৮

শয়তানের ইবাদতকারী জনগোষ্ঠী

YAZIDIS of Iraq and Syria, Worshippers of the Shaitan (Devil)

পৃথিবীর সব ধর্মই মোটামুটিভাবে Allah, God, Jehovah, Elohim, ভগবান ইত্যাদি মহাশক্তির পূজা/ইবাদত করে থাকে, একথাটা জানা ছিল। আরো জানা ছিল যে বৌদ্ধ ধর্ম এবং জৈন ধর্ম God-এর অস্তিত্ব বা শক্তিতে বিশ্বাস করে না।

ইরাকে ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের ধর্মীয় নববর্ষ পালন করছে। ছবি: আন্দ্রেয়া ডিসেঞ্জো/ ইউরোপিয়ান প্রেসফটো এজেন্সী

কিন্তু গত সপ্তাহে Public Library থেকে loan এনে The Girl Who Beat ISIS (My Story) বইটা পড়ে এই প্রথম বারের মত জানলাম যে Syria এবং Iraq-এ বসবাসকারী এক বিশাল জনগোষ্ঠী শয়তানের পূজা করে- ওরা ethnically Kurds, Kurdish ভাষায় কথা বলে (তবে আরবীও জানে), স্বাধীন Kurdistan প্রতিষ্ঠার জন্য আপ্রাণ সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে বহুদিন ধরেই।

আত্মকথামূলক এই বইটার লেখিকা Farida Khalaf (ছদ্মনাম) জানিয়েছে যে ওরা Arab নয়, ওরা Muslim-ও নয়, ওদের tribe (সম্প্রদায়)-এর নাম Yazidis, ওরা Melek Taus নামক god-এর পূজারী যে প্রথম মানব Adam-কে সিজদা করতে Allah’র আদেশকে অমান্য করেছিল। Sheikh Adi নামে এক ব্যক্তি বহু শতাব্দী পূর্বে এই Yazidi ধর্ম প্রচার করেছিল। Iraq এর Mosul শহরের অদূরে Lalish নামক স্থানে ওরা প্রতিবছর একটা নির্দিষ্ট সময়ে Pilgrimage করতে যায়। ওরা নিজেদের মাঝেই বিয়েশাদী করে, Muslim-দের বিয়ে করে না। Muslim জনগণ Yazidi-দের কাফের বলে, ঘৃণা করে, ওদের খাবার খায় না। আরবী ভাষায় ওদের পরিচয় হচ্ছে ওরা, abadat ash Shaitan, meaning, the worshippers of the Shaitan, Lord of the Hell. Their language and culture are completely different from the Arab culture and language. ওদের মেয়েরা মুসলিম মেয়েদের মত Hijab পরে না। তবে নাম সচরাচর আরবী ভাষাতেই রাখা হয়। দেশের (Iraq and Syria) অন্যান্য নাগরিকদের মত ওরা আরবী ভাষাতেই লেখাপড়া করে থাকে। -জানুয়ারী ১৩, ২০১৮

আমার ব্যাংক থেকে টাকা চুরি

আজ ব্যাংকে বিল পেমেন্ট করতে গিয়ে বড় ধরনের একটা মানসিক ধাক্কা খেলাম- কোন এক criminal আমার অজান্তে আমার একাউন্ট থেকে ৩০০০ (তিন হাজার) ডলার উঠিয়ে নিয়ে গেছে গত ১২ই মার্চ, ২০১৮। পরিচিত এক Investment Advisor (Rosemarie Smith)-কে bank teller এসে ডলার চুরির ঘটনাটা জানালে তৎক্ষণাৎ তিনি আমার bank card-টা বদলে নূতন একটা pin number সহ নূতন একটা bank card দিলেন। এই transaction আমি করিনি সেই মর্মে একটা note আমাকে দিয়ে sign করিয়ে নিলেন এবং বললেন যে case-টা Head Office-এ পাঠাবেন investigation-এর জন্যে। দশদিন সময় লাগবে, ফলাফল কি হয় তিনি আমাকে সময়মত জানাবেন। তবে তিনি জানালেন যে এধরনের ডলার চুরির ঘটনা নূতন নয়, মাঝে মাঝে ঘটে থাকে।

বড় অস্থিরতার মাঝে আছি। আশা করি ডলারগুলো ফেরত পাবো। আল্ল­াহ তুমি আমাকে সাহায্য কর।

(মন্তব্য: তাদের investigation শেষে ব্যাংক আমার ডলারগুলো আমাকে ফেরত দিয়েছে।) -এপ্রিল ২, ২০১৮

Me, Myself and I

আজ দুপুরে গ্রোসারি শপিং শেষ করে গ্রোসারি কার্টটাসহ আমাদের বিল্ডিংয়ের এলিভেটরে ঢুকতে যাচ্ছি এমন সময় আমার পাশে দাঁড়ানো এক বৃদ্ধ ক্যানাডিয়ানকে বলতে শুনলাম, at my age it’s pretty difficult to look after three persons.

একজন জিজ্ঞাসা করলো: Who are the other members of your family?

বৃদ্ধ হাসতে হাসতে জানালেন: My family consists of me, myself, and I.

বোঝলাম, তিনি একজন রসিক ব্যক্তি। -এপ্রিল ৪, ২০১৮

ভলান্টিয়ারিং জীবনের ইতি

আজ সকালে হসপিটালে Volunteer Services department-এ গিয়ে Louisa এবং Christine-এর সংগে দেখা করলাম আমি ও সাহারা দু’জনে মিলে। বললাম যে আমরা আগামী শনিবার মিসিসাগা চলে যাচ্ছি টরোন্টো ছেড়ে, তাই আমাদের আর ভলান্টিয়ারিং করার কোন সুযোগ নেই। ডিপার্টমেন্টের দেয়া Uniform এবং Badge ফেরত দিয়ে দিলাম। একটা Note of appreciation-ও লিখে দিলাম দু’জনের সহযোগিতা, গাইডেন্স ইত্যাদির জন্য। আমাদের departure-এ দু’জনই খুব দুঃখ প্রকাশ করলেন, আমাদের দীর্ঘ দিনের sincere service-এর উল্লে­খ করে ধন্যবাদ জানালেন। সুদীর্ঘ ১৪টি বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে দিয়ে অশ্রুভারাক্রান্ত হৃদয়ে ঘরে ফিরে এলাম। -জুন ১৯, ২০১৮

আজব এক স্বপ্ন

গত রাতে স্বপ্নে দেখলাম: আমার স্ত্রী সাহারার উপর রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে গেছি এবং এক অপরিচিত শহরের রাস্তা ধরে দ্রুত হেঁটে চলেছি। যাচ্ছি তো যাচ্ছিই, দিগবিদিক জ্ঞান নেই। বহুক্ষণ হাঁটার পর দেখলাম একটা বাড়ির পাশে তিনজন লোক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। সেই বাড়িটা একটা মাঠের ধারে। কানে এলো সবচেয়ে প্রবীণ লোকটা তার পাশের লোকটাকে একটু যেন উত্তেজিত স্বরেই বলছে আমার দিকে ডান হাতের আংগুল তুলে (স্পষ্ট বগুড়া জেলার ভাষায়):

ওকে আমার বাড়িতে কিছুতেই ঢুকতে দেবে না, সে সাহারার সংগে রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছে। ওকে সাহারার কাছে ফিরে যেতেই হবে!

আশ্চর্য কান্ড তো! এই অপরিচিত বৃদ্ধ সাহারার নাম জানলো কি করে? আমি রাগ করে ঘর ছেড়ে এসেছি সেকথাইবা কি করে জানলো? তার গলাটাও যেন পরিচিত লাগছে!

দু’পা এগিয়ে কাছে গেলাম, দেখলাম, তিনি হচ্ছেন আমার ৫৮ বছরের বন্ধু বগুড়ার আবদুস সালামের বাবা, যিনি আমাকে ও সাহারাকে খুবই স্নেহ করতেন, সেটা সেই ১৯৫৯-৬১ সনের কথা। ১৯৬২-৬৩’র কোন এক সময় তিনি মারা গেছেন।

ঘটনাটা আমাকে খুবই চমকে দিল। ঘুমটাও গেল ভেংগে। ভাবতে লাগলাম: এ কেমন স্বপ্ন দেখলাম!

স্বপ্নটা আমাকে মনে করিয়ে দিল যে চাচা সত্যিই সাহারাকে আন্তরিক স্নেহ করতেন।

দুপুরে লাঞ্চ খেতে খেতে সাহারাকে স্বপ্নটার বর্ণনা দিলাম। সব শুনে সাহারাও বললো যে চাচা তাকে খুবই স্নেহ করতেন।

আবদুস সালামের এক ছোটবোন জিনু ওর সন্তানদের সংগে আমাদের বর্তমান বাসার খুব কাছেই থাকে। ফোন করে ওকে আমার স্বপ্নের বর্ণনা ও চাচার স্নেহ-আদরের কথা জানালে সে মন্তব্য করলো যে একথাটা ১০০% সত্য যে বাবা সাহারাকে বাস্তবিকই খুব স্নেহ করতেন।

জিনুর দ্বিতীয় মন্তব্য: এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা হলো এই যে আপনাকে সাহারাকে আরো অধিক ভালোবাসতে হবে এখন থেকেই। -সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮

দু’টি জোক্স (Jokes)

(এক)                           

 (মূলতঃ এটা হিন্দি ভাষার Jokes)

একজন চাকরিপ্রার্থীর তার prospective employer-এর সংগে টেলিফোন ইন্টারভিউ হচ্ছে:

চাকরিদাতা: হেল্লো, আপনার নাম কি?

চাকরিপ্রার্থী: MP, sir.

চাকরিদাতা: MPতে কি বোঝায়?

চাকরিপ্রার্থী: Mohan Pandey, sir.

চাকরিদাতা: বাবার নাম?

চাকরিপ্রার্থী: MP, sir.

চাকরিদাতা: MPতে কি বোঝায়?

চাকরিপ্রার্থী: Madhava Pandey, sir

চাকরিদাতা: আপনি কোন State-এর বাসিন্দা?

চাকরিপ্রার্থী: MP, sir.

চাকরিদাতা: MPতে কি বোঝায়?

চাকরিপ্রার্থী: Madhya Pradesh, sir.

চাকরিদাতা: পড়াশোনা কতদূর করেছেন?

চাকরিপ্রার্থী: MP, sir..

চাকরিদাতা: MPতে কি বোঝায়?

চাকরিপ্রার্থী: Matriculation Pass, sir.

চাকরিদাতা: Any job experience?

চাকরিপ্রার্থী: MP, sir.

চাকরি দাতা: মানে কি?

চাকরিপ্রার্থী: Moving Packets at the post office, sir.

(এখানে এসে চাকরিদাতা চুপ করে রইলেন।)

চাকরিপ্রার্থী: I am getting the job, sir?

চাকরিদাতা: No.

চাকরিপ্রার্থী: Why, sir?

চাকরিদাতা: MP.

চাকরিপ্রার্থী: কেয়া মতলব, স্যার?

চাকরিদাতা: Mental Patient!

(দুই)

ক্লাসের টিচার তার এক ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করলেন:

তোমাকে যদি wisdom or wealth offer করা হয় তাহলে তুমি কোনটা বেছে নেবে?

ছাত্র: Wealth, sir.

শিক্ষক তখন মন্তব্য করলেন: আমি হলে wisdom চেয়ে নিতাম।

এটা শুনে ছাত্রটি বলল: যার যেটার অভাব সে তো তাই চাইবে!

ডিসেম্বর ২২, ২০১৮

What Is Burning Me Is From Me

মুসলিম সুফী সম্প্রদায়ের চিন্তা-ভাবনা, জীবনপদ্ধতি, আচার-আচরণ নিয়ে লিখিত একটা বই পড়তে গিয়ে বেশ দীর্ঘ একটা গল্পের বর্ণনা পেলাম যার শেষ কথাটা ছিল:  What is burning me is from me!

গল্পের শেষ অংশটা এরকম:

এক সুফী শেইখের সামনে একটা চুলার উপর একটা কেটলিতে কফির জন্য গরম পানি টগবগ করে ফুটছিল। নীচে জ্বলছিল কাঠের আগুন।

শেইখ তাঁর সামনে বসা এক মুরীদকে জিজ্ঞাসা করলেন: বলতে পার কি এই ফুটন্ত গরম পানি কি বলছে?

মুরীদ বললো: না হুজুর আমি জানি না, বলতে পারবো না।

কিছুক্ষণ চুপ থেকে শেইখ বললেন: এই পানি বলছে যে সুদূর অতীতে আমি ছিলাম আকাশে ভেসে বেড়ানো এক খন্ড মেঘ। এক সময়ে আমি জমে গিয়ে বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে দুনিয়ার মাটিতে ঝরে পড়লাম একটা গাছের বীজের উপর। পানির আর্দ্রতা পেয়ে সেই বীজ থেকে জন্ম নিল বিরাট একটা গাছ। একদিন এক কাঠুরে এসে সেই গাছের কিছু ডাল কেটে বাজারে নিয়ে বিক্রি করে দিল। তারই খানিকটা অংশ এখন আগুনের স্পর্শ পেয়ে জ্বলে উঠেছে, সেই উত্তাপে আমি টগবগ করে ফুটছি, অসীম যন্ত্রণা ভোগ করছি। আমি যদি বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে আকাশ থেকে দুনিয়ার বুকে সেই গাছের বীজের উপর ঝরে না পড়তাম, সেই গাছেরও জন্ম হতো না, তার ডালও জ্বালানী (fuel) হয়ে এখন আমাকে এমন করে জ্বালাতে-পোড়াতে পারতো না। তাই ফুটন্ত পানি বলছে: এই যে আমার জ্বলা এর সৃষ্টি মূলতঃ আমা থেকেই,এজন্য আমিই দায়ী।

What is burning me is from me!

এই গল্পের শিক্ষাটা হলো এই যে: আমরা মানুষ জীবনে যত দুঃখ-যাতনা-অপমান-ক্ষতি ভোগ করি তার জন্য অনেক ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের অতীতের আচরণ বা ভুলভ্রান্তিই দায়ী। -ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮

একজন সুফীর প্রার্থনা

এখানে এসে মুসলিম সুফীদের জীবন ও আচার-আচরণ নিয়ে লিখিত একটা বইতে উল্লি­খিত একটা গল্প তুলে ধরছি।

কোন এক মসজিদে ইমামের পেছনে জামাতে নামাজ আদায় করার পর এক বৃদ্ধ সুফী দু’হাত তুলে প্রার্থনা করলেন:

হে আল্ল­াহ! আমার জীবন তো তোমারই জন্য উৎসর্গিত, তুমিই আমার ভরণপোষণের ভার নিয়েছো। গত দু’দিন ধরে সময়টা ভালো যাচ্ছে না, বলতে গেলে প্রায় অভুক্তই আছি। কোন অভিযোগ নেই, সবই তোমার ইচ্ছা।

হে আল্ল­াহ! এখন তুমি আমার রাতের খাবারের জন্য কাবাব-রোটির ব্যবস্থা করে দাও। সংগে এক বোতল মদ!

এমন প্রার্থনা শুনে পাশে বসা এক মুসল্লী সেই সুফীকে তিরস্কারের স্বরে বললেন: তুমি মসজিদে বসে আল্লাহর কাছে হারাম মদ পাঠানোর জন্য প্রার্থনা জানালে! ছি ছি ছি!

সুফী শান্ত স্বরে জবাব দিলেন: চাইবার দায়িত্ব বান্দার, দেয়ার মালিক আল্লাহ। বান্দার যা প্রয়োজন তা সে আল্লাহর কাছেই তো চাইবে।

তাছাড়া প্রার্থনাটা তো আমি তোমার কাছে জানাইনি। তুমি আমাকে ছি ছি করছ কেন? – ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮

(চলবে)

সাইদুল হোসেন। মিসিসাগা