অন্টারিওর সবচেয়ে ব্যয়বহুল ১০টি বাড়ি

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : কানাডার বিভিন্ন বৃহৎ নগরে অবস্থিত সবচেয়ে মূল্যবান ২৫টি বাড়ির মধ্যে ১০টিই অন্টারিওতে এবং এগুলোর প্রতিটিরই দাম কোটি ডলারের ওপরে। নতুন এক রিপোর্টে এ তথ্য জানা গেছে। খবর সিটিভি নিউজের।

কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্যের হুইসলারে অবস্থিত একটি সমকালীন বাসভবন বিক্রির জন্য বাজারে ৩৯ মিলিয়ন ডলার দাম হাঁকা হয়েছে। (এমা পিটার ও নিক লেহোক্স)

পয়েন্ট২হোমস.কম এর রিয়েল এস্টেট বিশ্লেষকরা দেশের বিভিন্ন ছোট ও বড় শহরে অবস্থিত সবচেয়ে মূল্যবান কিছু সংখ্যক বাড়ির তালিকা করে সেগুলোর বিষয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে দামি দুটি বাড়ি রয়েছে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার হুইসলার এবং অন্টারিওর মিসিসগায়।

হুইসলারের বাড়িটির দাম ৩৯ মিলিয়ন ডলার। এটি পাহাড়ের ভেতরে গড়ে তোলা একটি বিলাসবহুল আধুনিক ধাঁচের বাড়ি। আর মিসিসগার সম্পত্তিটার দাম ৩৭ মিলিয়ন ডলার। বিশালাকারের ম্যানশন ধরণের এই বাড়িটির নকশা ফরাসী প্রাসাদের ধারণা থেকে প্রাণিত।

বৃহত্তম শহরগুলোর মধ্যে মিসিসগার বাড়িটি সারা দেশের সবচেয়ে মূল্যবান বাড়ি। বৃহৎ শহরগুলোতে অবস্থিত যে ২৫টি বাড়ি কানাডার সবচেয়ে দামি বলে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে ১০টি অন্টারিওতে এবং সেগুলি সারা অন্টারিও রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে আছে।

তালিকায় ২৯ মিলিয়ন ডলারের টরন্টোর একটি বাড়ি যেটিকে ম্যানশন বা প্রাসাদ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং ওকভিলের ১৮ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রাসাদের কথা গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। টরন্টোর প্রাসাদটি “সত্যিই ইউরোপের সেরা ভিলাগুলির কথা মনে করিয়ে দেয়।” আর ওকভিলের প্রাসাদটির বৈশিষ্ট্য হলো এটি থেকে লেক অন্টারিওর ঐন্দ্রজালিক দৃশ্য দৃষ্টিগোচর হয়। 

তালিকায় আরও যেসব সম্পত্তি জায়গা করে নিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ১২.৯ মিলিয়ন ডলারের ভন ম্যানশন, ৯.৯ মিলিয়ন ডলারের ব্রামটন ম্যানশন এবং ৮৩৫ ফুট ওয়াটারফ্রন্টসহ ৮.৮ মিলিয়ন ডলারের অটোয়া ম্যানশন।

মিসিসগায় অবস্থিত এই সম্পত্তির দাম ৩৭.৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। (রিয়ালটর.সিএ)

এছাড়াও তালিকায় ৮.২ মিলিয়ন ডলারের মার্কহ্যাম ম্যানশন, ৬.৭ মিলিয়ন ডলারের হ্যামিলটন ম্যানশন, ৩.৯ মিলিয়ন ডলারের উইন্ডসর ম্যানশন, একটি পূর্ণাঙ্গ লাইব্রেরিসহ ৩.৮ মিলিয়ন ডলারের কিচনার হোম এবং সাত একরের বনভূমিসহ ৪.২ মিলিয়ন ডলারের লন্ডন হোমও রয়েছে।

পয়েন্ট২ জানিয়েছে, রিপোর্টে তাদের তালিকাভুক্ত সবগুলো বাড়িই ১৯ জুলাইয়ের বাজার থেকে নেয়া। এতে উল্লেখ করা হয় যে, অনেক বিলাসবহুল বাড়ি নিয়মিত বাজারে তোলা হয় আবার সরিয়েও নেয়া হয়।

টরন্টোতে বাড়ি কেনার কেনার জন্য যত টাকা লাগতে পারে

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : টরন্টোতে বাড়ি কেনার মত সামর্থ অর্জন করতে হলে এই শহরের একজন বাসিন্দার কত টাকা থাকতে হবে সেটা নতুন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যাচ্ছে। রেটহাব.সিএ-র নতুন উপাত্ত অনুযায়ী, টরন্টোতে যারা বাড়ি কিনতে চান ২০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে বাড়ি কেনার জন্য তাদের দুই লাখ ২০ হাজার ডলারের বেশি অর্থ থাকতে হবে। খবর সিটিভি নিউজের। রিপোর্ট করেছন মরিয়ম কাটওয়াজি।

রেটহাব বলছে, আবাসন মার্কেট নমনীয় হয়ে আসছে, কিন্তু ক্রমবর্ধমান মর্টগেজের হারের কারণে চাপ পরীক্ষার উচ্চ হার (stress test rates) বাড়ি কেনার জন্য প্রয়োজনীয় বার্ষিক আয়ের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। 

প্রতিষ্ঠানটির সহ-সিইও জেমস লেয়ার্ড এক বিবৃতিতে বলেন, “প্রতিটি শহরেই মর্টগেজের হার বাড়তে থাকায় চাপ পরীক্ষার উচ্চ হারের কারণে গড়পরতা বাড়ি কেনার জন্য ক্রেতাদের অনেক বেশি আয় থাকার দরকার হচ্ছে।”

“এমনকি যেসব শহরে বাড়ির দাম কমছে সেখানেও এটাই বাস্তবতা।”

রেটহাব.সিএ জানায়, তারা ২০২২ সালের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে রিয়েল এস্টেটের উপাত্তের ভিত্তিতে এই হিসাব করেছে।

টরন্টোতে একটি বাড়ির গড় দাম ১২ লাখ ৪,৯০০ ডলার এবং মর্টগেজের জন্য প্রদেয় নয় লাখ ৬৩ হাজার ৯২০ ডলার ধরে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমান সময়ে কেউ এই নগরীতে বাড়ি কিনতে চাইলে তার ২ লাখ ২৬,৫০০ ডলারের উপার্জন থাকতে হবে।

চাপ পরীক্ষার বা স্ট্রেস টেস্ট-এর হার গত মার্চে ছিল ৫.২৫ শতাংশ এবং জুনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭.২১ শতাংশ। এই বৃদ্ধির পরই মর্টগেজের হার মার্চের ৩.১৪ শতাংশ থেকে জুনে বেড়ে ৫.২১ শতাংশে ওঠে।

উপাত্তে দেখা যায়, টরন্টোতে বাড়ি কেনার জন্য একজন ক্রেতার প্রয়োজনীয় আয়ের পরিমাণ মার্চের তুলনায় ১৫,৭৫০ ডলার বা সাত শতাংশ বেড়েছে।

সুদের হার দ্রুত বাড়ার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে টরন্টোসহ কানাডায় বাড়ির দাম কমে আসছিল। কানাডার রিয়েল এস্টেট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, মে মাসের তুলনায় জুনে বাড়ির দাম গড়ে ১.৯ শতাংশ কমে যায়।

লেয়ার্ড বলেন, “স্ট্রেস টেস্টের রেটের ওপর বাড়তি মর্টগেজ রেটের যে প্রভাব পড়েছে তা প্রশমিত করতে বাড়ির দাম আরও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমা দরকার।”

“এটা যতক্ষণ পর্যন্ত না ঘটছে ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষের বাড়ি কেনার সামর্থের ওপর বর্তমানে ক্রমবর্ধমান পরিবেশের হারের প্রভাব থেকেই যাবে।”