প্রায় এক-চতুর্থাংশ কানাডীয় দাম বেড়ে যাওয়ায় খাবার কম খাচ্ছে
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক, ০৬ জুলাই, ২০২২ : নতুন এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, পাস্তা, রুটি এবং গোশতের মত নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কানাডার ক্রমবর্ধমান সংখ্যক মানুষ কষ্টেসৃষ্টে চলছেন।
ফুড ব্যাংকস কানাডার এই সমীক্ষায় আভাস পাওয়া যায়, দেশজুড়ে ক্ষুধা ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে। মূল্যস্ফীতির কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্বল্পআয়ের কানাডীয়রা। খবর দি কানাডিয়ান প্রেস এর।
ফুড ব্যাংকস কানাডার সিইও ক্রিসটিন বিয়ার্ডসলে সোমবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “দেশের কত মানুষ কায়ক্লেশে বেঁচে আছে সে তথ্য জানা সত্যি কঠিন।”
মেইনস্ট্রিট রিসার্চ নামের এক সংগঠনের পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা যায়, কানাডীয়দের প্রায় এক-চতুর্থাংশই জানান, তারা প্রয়োজনের চেয়ে কম খাবার খাচ্ছেন। কারণ খাবার কেনার মত যথেষ্ট অর্থ নেই। বছরে ৫০ হাজার ডলারের কম উপার্জন করেন এমন কানাডীয়দের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ।
ফুড ব্যাংকগুলো সামর্থ হারিয়েছে
বিয়ার্ডসলে বলেন, ফুড ব্যাংকগুলোর বেশিরভাগই এরই মধ্যে তাদের সামর্থের সীমা পেরিয়ে এসেছে এবং চলতি গ্রীষ্মকাল সংগঠনগুলোর ৪১ বছরের ইতিহাসে কঠিনতম সময় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “কানাডার বেশিরভাগ অঞ্চলের ফুড ব্যাংকগুলোতে প্রথমবারের মত আসা কানাডীয়দের জোয়ার দেখা যাচ্ছেÑ কিছু অঞ্চলে এধরণের মানুষের সংখ্যা ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।”
“কানাডীয়রা আমাদের বলছেন, বাড়ি ভাড়া, পেট্রোল, বিদ্যুৎ ও খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের হাতে খাবার কেনার মত অর্থ থাকছে না।”
অন্টারিওর ওকভিলির বাসিন্দা ব্রিয়ান্না করডেইরো বলেন, পেট্রোলের দাম বেড়ে যাওয়া এবং তার সঙ্গে বেতনকড়ি না বাড়ার কারণে তার পরিবারকে খাদ্যপণ্য কেনা কমিয়ে দেওয়ার পথে যেতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, “বাজেট করতে গেলে দেখতে হবে, কোথায় আমরা খরচ কিছুটা কমাতে পারি।” তার ভাষায়, “দুর্ভাগ্যজনক যে, অনেক সময়ই এটা করা যায় কেবল খাবারের ক্ষেত্রে।”
তার পরিবার আরও বেশি বেলায় গোশত ছাড়া খাবার খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং বহুলাংশে ছাড়কৃত মূল্যে দেয়া পণ্যের ওপর নির্ভর করছে।
কিন্তু তার পরও দুই সন্তানের ওই মা বলেন, কাজটা কঠিন।
তিনি বলেন, “বুধ ও বৃহস্পতিবার মূল্য ছাড়ের দরপত্র আসে, আর সেটা এমন যে, ‘এটা ছাড়ে দিচ্ছেন? ছাড়ের পরও এত দাম? ছয় মাস আগেও তো ছাড় না দিলেও এই দামে পাওযা যেতো।’”