ছারপোকার কারণে কানাডার জঘন্যতম শহর হিসাবে চিহ্নিত হলো টরন্টো

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক॥ ৭ মার্চ ২০২২ : কানাডার জঘন্যতম শহর হিসাবে চিহ্ণিত হয়েছে টরন্টো। আর সেটা হয়েছে বিছানার ছারপোকার কারণে। আবার এটাই প্রথম নয়, টানা দ্বিতীয় বছরের মত টরন্টো দেশের জঘন্যতম শহরের আখ্যা পেলো। খবর সিটিভি নিউজের। রিপোর্ট করেছেন  অ্যাবি নিউফিল্ড।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অরকিন কানাডা (ঙৎশরহ ঈধহধফধ) নামের একটি প্রতিষ্ঠান তথ্য প্রকাশ করে যে, টরন্টো হচ্ছে সেই শহর যেখানে সবচেয়ে বেশি টেলিফোন কল করা হয়েছে ছারপোকা দমনের পরিষেবা পাবার জন্য। কোম্পানিটি এই ছারপোকার জন্যই গত বছরও টরন্টোকে কানাডার সবচেয়ে বাজে শহর বলে আখ্যা দিয়েছিলো।

টানা দ্বিতীয় বছরের মত টরন্টো দেশের জঘন্যতম শহরের আখ্যা পেলো ছারপোকার কারণে। ছবি : বেডবাগএওস.সিএ

অরকিন কোম্পানি ২০২১ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাণিজ্যিক বা আবাসিক কল পেয়ে ছারপোকা দমনের যতগুলো পরিষেবা দিয়েছে সেই সংখ্যার ভিত্তিতেই এই ঘোষণা দেয়। 

ছারপোকার কারণে সবচেয়ে বাজে শহর হিসাবে চিহ্ণিত পাঁচটি শহরের তিনটিই অন্টারিও প্রদেশে। শীর্ষে রয়েছে টরন্টো। দ্বিতীয় অবস্থানে সাডবারি এবং পঞ্চম অশোওয়া। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে যথাক্রমে ভ্যাঙ্কুভার এবং সেন্ট জন’স।

ষষ্ঠ থেকে দশম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে স্কারবরো, মঙ্কটন, সেন্ট জন, উইনিপেগ ও এডমন্টন।

ছারপোকা পাওয়াটা নিশ্চয়ই খুব একটা সুখকর আবিষ্কার নয়, কিন্তু অরকিন বলেছে, এগুলি সচরাচর দৃষ্ট হয় এবং এরা “স্থানান্তর গমনে অতিশয় দক্ষ।”

কোম্পানির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এরা মাত্র এক রাতের মধ্যেই রুমের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যেতে এবং বিছানায় রাখা ব্যাগ বা অন্য যে কোনও জিনিসের মধ্যে উঠে পড়তে পারে।”

ছারপোকা এড়ানোর জন্য অরকিন বিছানায় কাপড়চোপর বা মালপত্র না রাখা, কাপড় ও আসবাবপত্র বাড়িতে আনার পর পরই ধুয়ে নেয়া এবং ছারপোকার লক্ষণ দেখার জন্য নিয়মিত ঘরবাড়ি বা আবাসনস্থল পরীক্ষা করে দেখার পরামর্শ দেয় (বিশেষ করে ভ্রমণ থেকে ফেরার পর)।