বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবাণী : ওমিক্রনকে মৃদু হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক নয়

বিশ্বে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন কে মৃদু হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক হবে না বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এই ধরনে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বের অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।

ডব্লিউএইচও-এর প্রধান ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস জানান, সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, আগের করোনাভাইরাসের ধরনগুলোর তুলনায় ওমিক্রনে মানুষের গুরুতরভাবে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা কম। তবে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ সম্প্রতি শনাক্ত এই ধরনে আক্রান্ত হওয়ায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বড় ধরনের চাপের মুখে ফেলেছে।

বিশ্বে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এর প্রভাবে প্রতিদিন অনেক ফ্লইট ক্যান্সেল হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে। ছবি : এপি

গত ৬ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে ড. গেব্রেইসাস বলেন, ‘যদিও ওমিক্রন ধরনটি ডেল্টার তুলনায় কম গুরুতর বলে মনে করা হচ্ছে, বিশেষ করে যারা টিকা নিয়েছেন তাদের জন্য। তবে এর মানে এই নয় যে এই ধরনটিকে মৃদু হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হবে।’

‘আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর মতোই ওমিক্রনে আক্রান্ত মানুষদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে এবং এর প্রভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে’, যোগ করেন তিনি।

ডব্লিউএইচও প্রধান আরও বলেন, মূলত আক্রান্তের এই ঢেউ এতোই বিশাল এবং এতোটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে; যে এটি বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে প্রবল চাপের মুখে ফেলেছে।

‘ওমিক্রন অত্যন্ত সংক্রামক এবং দুই ডোজ টিকা দেওয়া হলেও মানুষ এতে সংক্রমিত হতে পারে। এরপরও ভ্যাকসিন দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে আপনার গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে, ফলে আপনার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আশঙ্কা কমবে’, বলছেন ড. গেব্রেইসাস।

তিনি আরও বলেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালের সাধারণ শয্যায় চিকিৎসা নিলেও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সময় আইসিইউতে রোগীর চাপ অনেক বেশি ছিল।

সূত্র: বিবিসি বাংলা