বর্ণবাদ কানাডার কর্মস্থলে সম্পর্কের ক্ষতি করছে

এ বিষয়ে সিইও-রা পদক্ষেপ নেবেন বলে আশাবাদ, সমীক্ষা

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : বর্ণবাদ কানাডার কর্মস্থলে গতিশীলতার ক্ষতি করছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক নতুন সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, কৃষ্ণাঙ্গ কানাডীয়দের ৮০ শতাংশ বলেছেন, বর্ণবাদ নিয়োগদাতাদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। খবর দি কানাডিয়ান প্রেস এর।

সাধারণ জনগণের মতামতের চেয়ে কৃষ্ণাঙ্গদের এই বক্তব্য প্রায় দ্বিগুণ এবং এর খুব কাছাকাছি থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশীয় কর্মচারীরা। এদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বলেছেন, কর্মস্থলে বর্ণবাদের কারণে নিয়োগদাতার সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ক্ষতি হয়েছে।

২০০০ এর বেশি কানাডীয়র ওপর পরিচালিত এক অনলাইন সমীক্ষার ভিত্তিতে এই ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২০২১ সালের এডেলম্যান ট্রাস্ট ব্যারোমিটার স্পেশাল রিপোর্ট: কানাডায় ব্যবসায় ও জাতিগত ন্যায়বিচারও অন্তর্ভুক্ত।

কৃষ্ণাঙ্গ কানাডীয়দের ৮০ শতাংশ বলেছেন, বর্ণবাদ নিয়োগদাতাদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ছবি: Pexels

গবেষণায় দেখা যায়, বর্ণবাদ কানাডায় ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের বিষয়, তবে সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের প্রতি তিনজনের মধ্যে মাত্র একজন বলেছেন, বর্ণবাদ মোকাবিলায় গত এক বছরে দেশটি অগ্রগতি অর্জন করেছে।

৬০ শতাংশের বেশি মানুষ বলেছেন, বর্ণবাদী অবিচারের সমাধানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, বর্ণবাদী লোকজনের মনোভাব পাল্টানো, অন্যদিকে প্রায় ৪০ শতাংশ বলেছেন, বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হলো, বর্ণবাদী ব্যবস্থাগুলোর পরিবর্তন সাধন।

এদিকে, গবেষণায় দেখা যায়, ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ কানাডীয় আশা করেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগণ (সিইও) বর্ণবাদ ও বর্ণবাদী অবিচার নিরসনের ক্ষেত্রে কোনও ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

এতে আরও দেখা যায়, যেসব ব্রান্ড ও করপোরেশন বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের অবস্থান নিয়েছে, ভোক্তাদের আস্থা হারানোর চেয়ে বরং আস্থা অর্জনের দিক থেকে তারা অনেক এগিয়ে রয়েছে।

এর পরও, সমীক্ষায় অংশ নেওয়া অর্ধেকেরও বেশি মানুষ বলেন, যেসব ব্রান্ড ও কোম্পানি জাতিগত সমতার নীতির সমর্থনে বিবৃতি দেয় তাদের এমন বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমে সেগুলি অনুসরণ করা উচিৎ যাতে ভোক্তারা সেগুলিকে ফায়দা ওঠানোর বা সুবিধাবাদের নমুনা হিসাবে দেখতে না পায়।

যেসব পদক্ষেপ কোনও কোম্পানির সুনাম বাড়িয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, বর্ণবাদী লোগো, জিঙ্গেল বা পণ্যের নাম পাল্টে বর্ণবাদী নয় এমন নতুন নামকরণ এবং পদ্ধতিগত বর্ণবাদ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য দেশজুড়ে প্রচারণা চালানো।

প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কানাডীয় বলেছেন, পদ্ধতিগত বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও জাতিগত ন্যায়বিচারের আহবান সম্পর্কে সাড়া দানের প্রেক্ষিতে গত এক বছরে তারা একটি ব্রান্ডের পণ্য ব্যবহার বন্ধ করেছেন বা বন্ধ করতে যাচ্ছেন।