প্রবাসে পরহিতকর্ম -৩০

ডিসেম্বর ১০, ২০১৬

রীনা গুলশান ॥

আজ আবীরের বাসায় একটা ছোটখাট জমায়েত বসেছে – আবীরের জন্য। জেরমেইন, প্রীসিলা, দীপক আর প্রীসিলার এক কাজিন হুয়াঙ কার্লোস। এরা সবাই মোটামোটি আজ বেশ গম্ভির এবং গভীর ভাবে চিন্তিত। যদিও সারা ঘরে আলেহান্দ্রোর হুটোপুটিতে ওদের চিন্তাসূত্র মাঝেমধ্যেই ছিন্ন হচ্ছে।

প্রথমে দীপকই নীরবতা ভঙ্গ করলো-

আমি অনেক আগেই আবীরকে বলেছিলাম – এভাবে হবে না, হয় না। বিশেষ করে দেশে যদি বউ থাকে। এই সব কমিটমেন্টের মধ্যে থেকে কোন কিছু স্বচ্ছন্দে করা যায় না।

হু…আমিও এই ব্যাপারে একমত। প্রীসিলাও সহমত প্রকাশ করে বললো, তুমি নিজেই বলেছ আবীর – নবনী ইদানিং অসম্ভব রহস্যময় আচরণ করছে। দেশেও যেতে চাইছে না। তোমাকে খুব প্রেসারের মধ্যে রেখেছে। অতএব আমি মনে করি অন্য কিছু ভাবো।

এবারে হুয়াং কার্লোস কথা বললো (ও একজন এজেন্ট, বাড়ি বেচা কেনা করে)

আবীর… যেহেতু আমাকেও ডেকেছো, আমার অবশ্য এইসব ব্যাপারে খুব একটা জ্ঞান নাই। তবে আমার একজন ক্লায়েন্ট আছে। সম্প্রতি সে ২.৫ মিলিয়ন দিয়ে একটা কন্ডো কিনেছে। মধ্য বয়সী ভদ্রলোক। উনি একজন নামকরা ইমিগ্রেন্ট ল-ইয়ার। আমার সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক। ওদের আগে অনেক বড় হাউজ ছিল। এখন অতবড় হাউজ দরকার নাই, তাই কন্ডো কিনেছে। তুমি চাইলেই আমি উনার সঙ্গে কথা বলতে পারি।

হ্যাঁ, আমিও কার্লোসের সঙ্গে একমত। বললো প্রীসিলা। তুমি কথা বলে দেখতে পারো। তোমার মূলত: একজন খুব ভাল এবং অভিজ্ঞ ল-ইয়ার দরকার।

তোমরা সবাই যখন বলছো, আমি তোমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করছি। জানালো আবীর। কার্লোস, তুমি প্লিজ আমার জন্য ঐ ল-ইয়ারের সঙ্গে দেখা করার একটা সুযোগ করে দাও। উনার নামটা কি?

ক্রিস্টোফার জন। অবশ্যই আমি সেটা করবো আবীর। তুমি আমাদের পারিবারিক বন্ধু। চিন্তা করোনা। আমি নিজ দায়িত্বে সব করবো।

আবীর আগেই মাটন বিরিয়ানী এবং নার্গিসি কোপ্তা বানিয়ে রেখেছিল। সাবাইকে তা পরিবেশন করলো জেরমেইন। খেতে খেতেও অনেক গল্প হলো। মজা হলো। কার্লোস বললো, এরকম মজাদার খাবারের জন্য আমি তোমার সব ধরনের কাজ করে দিতে পারি।

কার্লোসের কথা শুনে সবাই একযোগে হো হো করে হেসে উঠলো।

মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই কার্লোস এক বুধবারের সকালে এপয়েন্টমেন্ট ঠিক করে দিল ল-ইয়ারের সাথে। এবং আবীরকে আস্বস্থ করলো ফোনে : – আবীর চিন্তা করো না। আমিও তোমার সাথে যাবো।

বুধবার মোটামুটি বেশ সেজেগুজেই দীপককে সাথে নিয়ে ল-ইয়ারের বাড়িতে হাজির হলো। বাড়ির সামনের গেটেই দেখে কার্লোস হাটাহাটি করছে। ওকে দেখে আবীরের বুক থেকে যেন একটা পাথর নেমে গেল, অস্বস্থির। কারণ, ল-ইয়ার ক্রিস্টোফার আমেরিকান। হয়তো ওর ইংরেজীটা বুঝবে না। ওরা এমনিতেই সাউথ এশিয়ানদের ইংলিশ একসেন্ট সহজে বুঝতে পারে না। একশবার পারডন মি… সরি বলতে থাকে। আর আবীরের ইংরেজী খুব ভাল নয়। জাস্ট চলন যোগ্য। যদিও আমেরিকাতে আসার আগে ইংরেজীর একটা কোর্স করেছিল। আর জেরমেইনের সাথে কথা বলে বলে ইংরেজীটা বেশ খানিকটা উন্নতি লাভ করেছে। তবু সাদা ল-ইয়ার বলে কথা। কি বলতে কি বলবে। হয়তো ল-ইয়ার জিজ্ঞেস করবে একটা, আর আবীর উত্তর দিবে অন্য কিছু।

যাইহোক, বেশ দুরুদুরু বক্ষে হাজির হলো ক্রিস্টোফারের কন্ডোতে। একবারের ডোর বেলেই দরজা খুলে দিল একজন ৬ ফুট লম্বা সাদা মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি। মাথা পুরোটা চকচকে সাদা। হাই, হ্যালো হ্যান্ডশেকের পরেই বসতে বললো। কি সুন্দর এবং স্বচ্ছ ভাবে সাজানো ফরমাল রূম। অরিজিনাল সব পেইন্ট। একটু পর ক্রিস্টোফার নিজেই উঠে গিয়ে ৪ মগ ধুমায়িত কফি নিয়ে এলো। আবার সামনে এক প্লেট ক্রেকার দিল। কেউ অবশ্য তা নিল না। যখন ক্রিস্টোফার কফি আনতে উঠে গ্যালো তখন কার্লোস চাপা স্বরে বললো. ২১০০ স্কয়ার ফুট কন্ডো। দীপক বললো ওয়াও। অবীর কিছুই বললো না। এত সুন্দর এপার্টমেন্ট সে জীবনেও দেখেনি।

কফি খেতে খেতেই হঠাৎ ক্রিস্টোফার বললো, সো… আবীর, আমি মোটামুটি তোমার ব্যাপারে শুনেছি। তবু তুমি একবার গোড়া থেকে সব বল।

আবীর মোটামুটি গড়গড় করে সব বললো আদ্যপান্ত… বাবা মা নবনী কিছুই বাদ গ্যাল না। বলতে বলতে দু/তিনবার তার গলা ধরে গ্যালো… চোখ ভিজে গ্যালো। তবু ক্রিস্টোফার তার কথার মধ্যে একটি বারও নাক গলালো না। একদম নির্বিকার সব শুনে গ্যালো। অনেক্ষণ পর একটু গলা খাকরি দিয়ে সরি বলে বললো…

আমি তোমার ব্যাপারে কিছু ভেবেছি। তুমি তোমার সব সার্টিফিকেটের কপি বিশেষ করে তোমার কুকিং কোর্সের সার্টিফিকেটের কপি এবং যেখানে যেখানে সেফের কাজ করেছো তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা, তোমার ছবি এসব আমাকে দিয়ে যেও। তোমার এখানকার অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেটও পারলে দিয়ে যেও।

ওকে স্যার, আমি কালই দিয়ে যাব।

হ্যাঁ…তোমার সাম্প্রতিক ছবি দিবে। আর যা যা লাগবে আমি তোমাকে ইমেইল করে দিব। ইমেইল আছে?

জি স্যার আছে।

আমি তোমাকে কানাডা পাঠাবার ব্যবস্থা করবো। একদম ইমিগ্রেন্ট হয়ে। আমি ফি নেই দশ হাজার ইউএস ডলার। কিন্তু তুমি যা সব বলেছ… কাজ হবার পর ফি-টা দিয়ে যেও আমাকে। আমি যদিও শুরুতে হাফ নেই। কিন্তু তোমার কাছ থেকে নিবো না। তুমি কাজ শেষে একেবারেই দিও। কার্লোস আমার খুব ভাল একজন বন্ধু। তোমার জন্য কিছু করতে পারলে আমার ভাল লাগবে।

কার্লোস খুব গদগদ ভাবে হাসলো। আবীর তো প্রায় কেঁদে ফেলে। দীপকও উঠে আবার ক্রিস্টোফারের সঙ্গে করমর্দন করলো। ওরা তিনজনই অত্যন্ত আশান্বিত হৃদয়ে উঠে দাঁড়ালো।

“স্বপ্ন হে ঈশ্বরী তুই ফিরে আয়-

এইযে নমিত রক্ত বয়ে যায় শ্যাম স্নিগ্ধ নদী

এই ঘরে সোনালি আগুন হয়ে বোস।

আমার ত্বকের নিচে বড় বেশি নেচে উঠেছিলো

সুখ-সংক্ষিপ্ত সুখ; রে লুব্ধক স্বপ্নের সন্তাপ

আমার দেহের কোষে এইখানে তোর জন্য পেতেছি সংসার।”

পথে যেতে যেতে মনের মধ্যে সুখের উত্তাপ ছড়ালো। রুবী রহমানের এই পংক্তি। আজ আর কিছু করতে ইচ্ছা করছিল না। সোজা বাসায় এলো। খাবার যা ছিল তাই খেয়ে নিলো। রাত ১০ টাতেই বউকে ফোন দিল। অতি আনন্দে বউকে সবিস্তারে সব বললো। অথচ নবনী শুনে গ্যালো খুবই নির্বিকার

ভাবে। ওর ভেতরে কোন উত্তাপ ছড়ালো না। উল্টো খুবই নিরুত্তাপ কণ্ঠে বললো : তার মানে আরো ৩/৪ বছর অপেক্ষা করতে হবে। অতপর আবারো হয়তো বা… কে বলতে পারে?

নবনী, তুমিতো সবই জানতে।

তুমি কোন অশিক্ষিত বালিকাও ছিলে না। আজ এসব অবান্তর কথা কেন বলছো?

কিন্তু আবীর আমারও লাইফ আছে। আমি কি সারাজীবন এই ভাবে বছরের পর বছর অপেক্ষা করেই যাব?

আর আমি কোন সুখের বৈভবে ডুবে আছি?

নবনী কোন জবাব না দিয়ে ফোন কেটে দিল। আবীরের সমস্ত ভাললাগা অন্তর্হিত হলো। আবীর মোটেই বিয়ে করতে চাইছিল না। নবনীই অনেকটা জোর করে আসবার আগে বিয়ে করতে চাইছিলো।

ক্রিস্টোফার সত্যিই কামাল করে দিল। মাত্র দেড় বছরের মাথায়ই তার কাগজ হয়ে গ্যালো। সেফ ক্যাটাগরীতে। আবীর ১০ হাজার ডলারতো দিলোই। এছাড়া জেকসন হাইটস্ থেকে খুবই সুুন্দর একটা গরদের ফতুয়া কিনে দিল আর নিজ হাতে বিরিয়ানী রান্না করে নিয়ে গ্যালো। মি. মিসেস দুজনেই খুব খুশী হলো। বললো, কোন অসুবিধা হলেই ওকে জানাতে।

কানাডা যাবার আগে নিজের ঘরে অনেক খাবার বানালো। সব প্রিয় বন্ধুদের দাওয়াত করে খাওয়ালো। দীপক, প্রীসিলা, জেরমেইন, কার্লোস সবাইকে উপহারও দিল। দীপক ও প্রীসিলার ছেলেকেতো অনেক কিছু দিল। এয়ারপোর্টে নিয়ে এলো দীপক ও জেরমেইন। দুজন ছেলেমানুষের মত কাঁদলো। আবীরের চোখও মোটেই শুষ্ক ছিল না। যদিও মনের মধ্যে এক ধরনের অশান্তির কাঁটা খঁচখঁচ করেই যাচ্ছিল। কারণ, গত ৩/৪মাস ধরে নবনীর সাথে সম্পর্ক খুবই অশান্ত ছিলো।

কানাডা আসার আগে দীপক তার মামাতো ভাই সুজয় দাসকে ফোন করেছিল। আবীরকেও ঠিকানা ও তার ফোন নম্বর দিয়েছিল। সুজয় এমনকি তাকে গাড়ী নিয়ে রিসিভ করতে এসেছিল। অসম্ভব ভাল এবং উষ্ণতায় ভরপুর একটি ছেলে। ২৪/২৫ বছর বয়স। একটা কারখানায় জব করে। আসবার আগে একরামুল হক তার এক মামাকে ফোন করেছিল। টরন্টোতে তার অনেক বড় রেস্টুরেন্ট আছে। আবীর এসে ২/৪ দিন ঘোরাঘুরি করলো টরন্টোতে। ওর খুব ভাল লেগে গেল এখানে। মনে হলো যেন নিজে দেশে এসেছে। এখানকার মানুষজন খুবই ভাল। আলাপী। এবং প্রাণবন্ত। নিউইয়র্কে তার সব মানুষকে মনে হতো খুবই যান্ত্রীক। তারপর এক সকালে একরামুল হকের সেই চিঠি নিয়ে তার মামার কাছে গ্যালো। রেস্টুরেন্টটা একদম ডাউনটাউনে। সামনের দিকে বেশী বড় না। পেছনের দিকে বড়। উনার মামা মাজহারুল ইসলাম সাহেবের অলরেডী খুবই ক্রাইসিস চলছিলো। আবীরকে তাই অনেকটা লুফে নিল। বেতন যা অফার করলো বেশ আকর্ষনীয়। খাওয়াতো অবশ্যই ফ্রি। সুজয়ের সাথেই থাকবে বলে ঠিক করেছে। খুব ভাল ছেলেটা, ঠিক দীপকের মতই। আবীর বলেই নিল মালিককে, আগামী তিন মাস পর সে একবার বাংলাদেশে যেতে পারে।

এরমধ্যেই পরপর কয়েকটি ফোন এলো বাংলাদেশ থেকে। তার ছোট ভাই মা এবং হাসানের। সবাই প্রায় একই কথা বললোÑ নবনীর ব্যাপারে। নবনী নাকি অন্য আর একটি ছেলের সাথে পরকীয়াতে জড়িয়েছে। এবং এটা অনেকদিন ধরেই চলছে। যখন বিশেষ করে হাসান বললো: আমি তোকে দুই বছর আগেই একবার ফোন করে বলেছিলাম যে ঢাকায় সব কিছুই ঠিক যাচ্ছেনা।

এভাবে বললে বোঝা যায়? তুই ক্লিায়ার করে বললি না ক্যানো? তুই না আমার ছোট বেলার বন্ধু?

সে জন্যই তো বলতে পারিনি দোস্ত। চোখে চোখে রেখেছি। কিন্তু ঢাকায় এসে ভাবী খুব দ্রুত গতিতে উপরের সিড়িঁতে উঠছিল। আর ক্রমশই পতনের সিড়িঁতে নামছিল। কারো কিছু করার ছিল না। তোর জন্য আমি কি পরিমানে কষ্ট পাচ্ছি, তুই জানস না?

জানি দোস্ত। আবীর ফোনের মধ্যেই বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের মত হাউমাউ করে কেঁদে ফেললো।

আবীর এয়ারলাইন্সের একজন এজেন্ট এর সাথে কথা বলছিল, বাংলাদেশে যাবার ব্যাপারে। বেশ টুকটাক ফিগটও কিনেছিলো। মনে হলো এই মুহুর্তে সমগ্র পৃথিবীটা ধ্বসে ওর মাথার উপর পড়লো।

দীপককে সবকিছু বললো। দীপক বললো, সরাসরি কথা বলতে নবনীর সাথে। তাই ৩/৪ দিন ধরে অনেক শক্তি সঞ্চয় করে আবীর কাজ শেষে ‘ইউনিয়ন’ স্টেশনে বসে নবনীকে ফোন করলো। কোন ভনিতা না করে সরাসরিই কথা শুরু করলো-

যা সব শুনেছি এসব কি সত্যি নবনী? আমি বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছিলাম। এখন তোমার কি বলার আছে… বল।

নবনী বুঝলো আর ভনিতা করে কোন লাভ নাই।

না আমার কিছুই বলার নাই। আমি আর এই ভাবে অপেক্ষা করতে পারছিলাম না। আমার একটা জীবন আছে। এরকম উদ্দেশ্যহীন ভাবে দিনের পর দিন অপেক্ষা করা যায় না। আমি খুবই সরি। আমি অলরেডী সব গুছিয়ে ফেলেছি। তোমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিচ্ছি। তুমি সই করে দিও।

এটাই তোমার শেষ কথা? আবীরের কণ্ঠ প্রচন্ড বিপন্ন ও ব্যর্থতায় বুজে আসে। বলে, আমি কিন্তু তোমাকে এই জন্য আসবার আগে বিয়ে করতে চাইনি। তুমিই জোর করেছিলে!

হ্যাঁ তা করেছিলাম। তাই বলে এই নির্দিষ্টহীন ভাবে বেশী দিন অপেক্ষা করা যায় না।

তোমার ভালবাসা কি শীতের পাখি? ঠান্ডা লাগতেই উড়ে গেলে উষ্ণতার জন্য?

নবনী কোন কাথা না বলে ফোন কেটে দ্যায়।

আর আবীর ‘গো’ ট্রেনে উঠে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।

কখোন দিনের আলো শুষে নিয়েছে রাতের অন্ধকার। খেয়ালই করিনি। আবীরের কথা শুনতে শুনতে এমনকি আমার স্টেশন ‘এজাক্স’ ছেড়ে ‘উইটবি’ ক্রশ করে ‘অশোয়া’ চলে এসেছি খেয়ালই করিনি। কখন অবুঝ অশ্রু চোখ ভাসিয়ে বুকেও ভেসে গেছে। এখনও এত অশ্রু জমে ছিল…মানুষের দুঃখে?? কি বলবো আমি আবীরকে…কত রমনী তার প্রেমিক পুরুষের জন্য নাকি সাত জনম অপেক্ষা করে! আর নবনী এই কয়টি বছরও অপেক্ষা করতে পারলো না??

“আমার বুকের মধ্যে কিছু বাষ্প রেখেছিলো কেউ

রেখেছিল শিল্প জলÑনিশীথের মতন প্রগাঢ়

গুঢ় বিষ্ময় কেউ রেখেছিলো

আজ আর চৈত্রের পাতার মতো বুকের উপর উড়ে যায়-

আজ এই অপরাহ্ন জানে কেউ আসে

বড় দূর পথ অতিক্রম করে আসে

যা দিতে পারে না আর কেউ কোনদিন

শীতল কঠিন হাতে তাই নিয়ে একদিন আসে।”

অসম্ভব ভাল লাগা রুবী রহমানের এই পংক্তিগুলো মনে করতে করতে নেমে পড়লাম অন্য কোন স্টেশনে।

রীনা গুলশান,

কবি ও লেখক

টরন্টো

gulshanararina@gmail.com