টরন্টোতে বাড়ি-কন্ডোর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি
অচিরেই বড় রকমের ধ্বস নামবে কি?
মার্চ ১১, ২০১৭
খুরশিদ আলম
গ্রেটার টরন্টো এলাকার বাড়ি ও কন্ডোগুলোতে এখন আগুন জ্বলছে। ধরতে গেলেই হাত পুড়ে যাবে এমনি অবস্থা। আর এই আগুন ছড়িয়ে যাচ্ছে টরন্টোর অনতি দূরের শহরগুলোতে অবস্থিত বাড়ি ও কন্ডোগুলোতেও।
হ্যা, এখানকার বাড়ি ও কন্ডোগুলোর অভাবনীয় আকাশচুম্বী মূল্যের কথাই বলছি। গত আট দশ বছরে গ্রেটার টরন্টো এলাকায় বাড়ির মূল্য যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে শুধু অবাক হওয়া নয়, আতংকিত হওয়ার পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়েছে এখন। সবারই প্রশ্ন, মূল্য বৃদ্ধির এই পাগলা ঘোড়া কোথায় গিয়ে থামবে? বা আদৌও থামবে কি? নাকি অচিরেই একটা বড় রকমের ধ্বস নামবে? যদি ধ্বস নামেই তবে তা সামাল দেয়ার মত শক্তি কি আছে সংশ্লিষ্ট সকলের?
বর্তমান পরিস্থিতির কারণে মধ্যবিত্তদের মধ্যে যারা টরন্টোতে বাড়ি কেনার স্বপ্ন ত্যাগ করেছেন তারা ছুটছেন শহরতলীর দিকে বা আশপাশের অনতি দূরের শহরগুলোতে। ফলে সেখানেও চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ির মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সেই বৃদ্ধিও ইতিমধ্যেই এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, সেখানেও মধ্য আয়ের নতুন ক্রেতাদেরকে থমকে দাড়াতে হচ্ছে।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এখন কন্ডোতে এপার্টমেন্টে ক্রয়ের দিকে ঝুঁকছেন মধ্য আয়ের ঐ নতুন ক্রেতাগণ। ফলাফল যা হবার তাই হচ্ছে। অর্থাৎ কন্ডোর এপার্টমেন্টও এখন নতুন ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারীতে প্রকাশিত টরস্টার নিউজ সার্ভিসের এক খবরে বলা হয়, গ্রেটার টরন্টো এলাকায় নবনির্মিত বাড়ির মূল্য গত জানুয়ারীতে শতকরা ২৫ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে ২০১৬ সালের জানুয়ারী মাসের তুলনায়। অর্থাৎ এক বছরে বৃদ্ধির হার ২৫%। আর সবাই জানেন যে, গত প্রায় এক দশক ধরেই লাগাতার ও অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে গ্রেটার টরন্টো এলাকার বাড়ির মূল্য।
গত জানুয়ারীতে গ্রেটার টরন্টো এরিয়াতে ডিটাচড্ বাড়ির গড় মূল্য ছিল ১.৩ মিলিয়ন ডলার। দশ বছর আগে গ্রেটার টরন্টো এরিয়াতে ডিটাচড্ বাড়ির গড় মূল্য যা ছিল তার চেয়ে বর্তমান এই মূল্য প্রায় তিন গুণ বেশী। দশ বছর আগে গ্রেটার টরন্টো এরিয়াতে ডিটাচড্ বাড়ির সাপ্লাইও ছিল অনেক, প্রায় ১২,২৪২ টি। কিন্তু দেখা গেছে গত জানুয়ারীতে তা কমে এসে দাড়িয়েছিল ৫৩৪ টিতে। এই হিসাব বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রি এন্ড ল্যান্ড ডেভলাপমেন্ট এসোশিয়েন (BILD)এর।
BILD এর হিসাব মতে দশ বছর আগে গ্রেটার টরন্টো এরিয়াতে বিক্রির জন্য বাড়ির (সব ধরণের) সংখ্যা ছিল ৩১,৪৬১ টি। কিন্তু গত জানুয়ারীতে এই সংখ্যা নেমে আসে ১৩,০৫৩ টিতে। ইওখউ মনে করে গ্রেটার টরন্টোতে প্রতি বছর প্রায় এক লক্ষ নতুন অধিবাসী যোগ হচ্ছেন যার অর্থ হলো এখানে নতুন নির্মিত বাড়ি বা কন্ডো এপার্টমেন্টগুলো কয়েক ঘন্টার মধ্যে না হোক কয়েক দিনের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাবে।
গ্রেটার টরন্টোতে কন্ডো এপার্টমেন্টের মূল্যও বিস্ময়কর ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সবচেয়ে বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে টরন্টো ডাউন টাউনে। আর অবস্থা এমন হয়েছে যে, ডাউন টাউনের কোন কোন এলাকায় কন্ডো এপার্টমেন্ট দেখতে গেলে সাথে চেক নিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, পরের দিন গেলে সেটি পাওয়া যাবে তার কোন গ্যারান্টি নেই।
টরস্টার নিউজ সার্ভিসের সঙ্গে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী এন্ড্রু হ্যারিল্ড বলেন, টরন্টো ডাউন টাউনের ব্রডভিউ এবং রিভারডেল এলাকায় ৯ মাস আগে একটি কন্ডো এপার্টমেন্ট বিক্রি হয়েছিল ৬৪৫,০০০.০০ ডলারে। গত সপ্তাহে এর দাম উঠেছে ৮২৫,০০০.০০ ডলারে! ডাউনটাউনের পোর্টল্যান্ড স্ট্রিটে আরেকটি কন্ডো এপার্টমেন্ট (৯২৩ স্কয়ার ফিট) লিস্টিং এ দেয়া হয়েছিল ৬২৯,০০০.০০ ডলারে। কয়েকদিনের মধ্যেই সেটি বিক্রি হয় ২৫০,০০০.০০ বেশী মূল্যে। অর্থাৎ মোট ৮ লাখ সাতানব্বুই হাজার ডলারে!
গ্লোব এন্ড মেইল পত্রিকা থেকে একটা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। ঘটনাটি গত ফেব্রুয়ারী মাসের। টরন্টোর 69 Muriel Avenue এ অবস্থিত এই বাড়িটি বিক্রির জন্য লিস্টিং এ দেয়া হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে মূল্য ধরা হয়েছিল ৬৯৩,৯০০.০০ ডলার। বাড়িটি খুবই ছোট। লট সাইজ ২০ ফিট ওয়াইড বাই ৭৮ ফিট ডিপ। কিন্তু সেই ছোট বাড়িটিই শেষ পর্যন্ত বিক্রি হয় ১,০৫০,০০০.০০ ডলারে! ৩৫৬,১০০.০০ ডলার বেশী মূল্যে!
এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে, এই পরিস্থিতি কেন সৃষ্টি হলো? মাত্র দশ বছর আগে যেখানে একজন মধ্যম আয়ের লোক বিনা দ্বিধায় চোখ বন্ধ করে একটি বাংলো বাড়ি বা কন্ডো এপার্টমেন্ট কিনে ফেলতে পারতেন এখন সেই একই আয়ের একজন ব্যক্তি বাড়ি কেনার কথা কেন স্বপ্নেও ভাবতে পারছেন না?
প্রশ্ন আরো আছে। গ্রেটার টরন্টোতে বাড়ির মূল্য তিন থেকে চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে সত্যি। এই বৃদ্ধি এখনো অব্যাহত রয়েছে এবং বিভিন্ন ভবিষ্যতবাণীতে বলা হচ্ছে ২০১৭ সালেও এই মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। কিন্তু ক্রেতার অভাব তো দেখা যাচ্ছে না! তাহলে কারা এই ক্রেতা? কি তাদের পরিচয়?
কেউ কেউ বলছেন এই ক্রেতাদের অধিকাংশই বাইরে থেকে আসা এবং এদের হাতে রয়েছে প্রচুর কাল টাকা। এদের প্রয়োজন বাড়ি। এরা বাড়ির মূল্য কত তা নিয়ে মাথা ঘামান না। মূল্য যদি আরো বৃদ্ধি পায় তবু তারা বাড়ি কিনতেই থাকবেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, না। তাদের হিসাব অনুযায়ী বাইরে থেকে আসা এই ক্রেতাদের সংখ্যা শতকরা ৫ ভাগেও কম। এদের কারণে বাড়ির মূল্য এরকম আকাশচুম্বী হয়নি।
আরেক দল বলছেন, কানাডার অর্থনীতি এখন অনেক ভাল। এ কারণে মানুষের আয়ও এখন অনেক ভাল। বেকারত্বের হার অনেক কমে গেছে। ফলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে যারা বাড়ি কেনার কথা ভাবেননি তারাও এখন বাড়ি কিনছেন। এ সমস্ত কারণে বাড়ির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
আসলে বাস্তবতা হচ্ছে, কেউই সঠিক কোন তথ্য দিচ্ছেন না। বরং কোন কোন মহল সাধারণ মানুষকে মিস লিড করছেন বা বিভ্রান্তকর তথ্য দিচ্ছেন এমন অভিযোগও উঠেছে।
যেমন পোস্ট মিডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অন্টারিও রিয়েল এস্টেট এসোসিয়েশন এর চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার টিম হুদাক দাবী করছেন বিদেশী ক্রেতারা গ্রেটার টরন্টোতে বাড়ির আকাশচুম্বী মূল্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী নন। এই ভদ্রলোক একসময় অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন। তিনি অন্টারিও কনজারভেটিভ পার্টির দলীয় প্রধানও ছিলেন। তার দাবীর পিছনে নিশ্চয়ই কোন প্রমাণ থাকার কথা। আর তার মত এরকম একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির কথায় সহজেই বিশ্বাস স্থাপন করার কথা সাধারণ মানুষের। কিন্তু কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় হলো, এরাই আবার বলছেন বিদেশী ক্রেতাদের উপর আলাদা টেক্স বসানো উচিৎ হবে না। কথা হলো, টরন্টোর মার্কেটে যদি বিদেশী ক্রেতা না-ই থাকেন তবে তাদের উপর টেক্স বসালে টিম হুদাকদের সমস্যা কোথায়?
অন্যদিকে টরন্টো রিয়েল এস্টেট বোর্ড এর পক্ষে ‘ Ipsos’ নামের একটি জরীপ প্রতিষ্ঠান জরীপ চালিয়েও নাকি দেখেছে যে টরন্টোতে শতকরা ৫ ভাগেরও কম বিদেশী ক্রেতা বাড়ি কিনছেন।
কিন্তু আমরা অন্য চিত্রও দেখতে পাচ্ছি। পোস্ট মিডিয়ার ঐ প্রতিবেদনেই এক রিয়েলটরের বরাত দিয়ে জানানো হয় যে, সেই ব্যক্তি সম্প্রতি ১৫ টি বাড়ি বিক্রি করেছেন যার মধ্যে ১১ টি বাড়ির ক্রেতাই ছিল বিদেশী।
টরস্টার নিউজ সার্ভিসের সঙ্গে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী এন্ড্রু হ্যারিল্ড বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি টরন্টোতে বিপুুল সংখ্যক বিদেশী ক্রেতা আসছেন যাদের হাতে বিপুল অংকের অর্থ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এশিয়ান ইনভেস্টরগণ টরন্টোর বাড়ির মূল্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছেন। তাছাড়া ভেঙ্কুভারে সম্প্রতি বিদেশী ক্রেতাদের উপর আলাদা ১৫% টেক্স বসানোর কারণেও সেখান থেকে অনেক ক্রেতা টরন্টোর দিকে ঝুঁকেছেন।
উল্লেখ্য যে, গত আট দশ বছরে বাংলাদেশ থেকেও বেশ কিছু ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও উচ্চপদস্থ আমলা কানাডায় এসে বাড়ি কিনেছেন। এদের সংখ্যা কত তার হিসাব পাওয়া দুস্কর। তবে তা নেহায়েত কম নয়। টরন্টোতে একটি এলাকার নাম হয়ে গেছে ‘বেগম পাড়া’যেখানে এই ধনবান বাংলাদেশীদের আবাসস্থল। বেগম পাড়া কোন অফিসিয়াল নাম নয়। এখানকার বাংলাদেশীরা ঐ এলাকাটিকে বেগম পাড়া বলতে ভালবাসেন। কারণ, ঐ বাড়িগুলোতে মূলত বাংলাদেশী ধনবান ব্যক্তিদের বেগমরাই থাকেন তাদের ছেলেপুলেদের নিয়ে। আর সাহেবরা থাকেন বাংলাদেশে তাদের চাকুরী, বাণিজ্য আর রাজনীতির দেখভাল করার জন্য। তাদের ক্রয়কৃত বাড়িগুলোর দামও অনেক। অধিকাংশই লাক্সারী বাড়ি। তবে এরা যে শুধু বেগম পাড়াতেই অবস্থান করেন তা কিন্তু নয়। এই শ্রেণীর বাংলাদেশীরা গ্রেটার টরন্টোর অন্যান্য এলাকাতেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন।
কানাডায় বিদেশী ক্রেতারা বাড়ির মূল্য বৃদ্ধির পিছনে বড় রকমের ভূমিকা রাখছেন বলেই আমারা দেখেছি ভেঙ্গুভারে বিদেশী ক্রেতাদের উপর আলাদাভাবে ১৫% টেক্স বসানো হয়েছে। আর সেই একই পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অন্টারিও সরকারের প্রতিও আহ্বান জানানো হচ্ছে কোন কোন মহল থেকে। টরন্টোতে যদি বিদেশী ক্রেতাদের ভিড় না বাড়তো তবে এ ধরণের আহ্বান নিশ্চই আসতো না।
ভেঙ্গুভারে বিদেশী ক্রেতাদের কারণেই যে বাড়ির মূল্য আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছে তার আরেক প্রমাণ, তাদের জন্য ঐ ১৫% বাড়তি টেক্স বসানোর পর সেখানে বাড়ি বিক্রির হার গত এক বছরে প্রায় ৪০% কমে গেছে। তারপরও যদি বলা হয় বিদেশী ক্রেতাদের তেমন কোন ভূমিকা নেই বাড়ির মূল্য বৃদ্ধিতে তবে সেটা কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে?
আর এই বিদেশী ক্রেতাদের একটা বড় অংশই চীন থেকে আসা। এই তথ্য চীন সরকারের কাছেও আছে। ফলে সম্প্রতি চীন সরকার জরুরী কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যাতে করে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার না হয়। বিশেষ করে বিদেশে বাড়ি কেনা বা অন্য কোন খাতে বিনিয়োগ যাতে বন্ধ হয় সেই চেষ্টা করছে চীন সরকার। কারণ, চীন থেকে বিশাল অংকের অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে বিদেশে। এর ফলে চীনের বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভেও প্রভাব পড়ছে। গ্লোব এন্ড মেইলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পরিবেশিত হয়।
চীনের সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্রপত্রিকাতেও চীনাদেরকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে কানাডায় বাড়ি না কেনার জন্য। চীনাদেরকে হুশিয়ারও করে দেয়া হচ্ছে এই বলে যে, কানাডায় রিয়েল এস্টেট বাজারে ধ্বস নামতে পারে।
টরন্টোর ‘রিয়েলসোফি রিয়েলটি ইনক’এর প্রেসিডেন্ট জন পাসালিস মনে করেন ভেঙ্গুভারের পরিস্থির টরন্টোতেও ঘটতে পারে। টরন্টো স্টার এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন অধিকাংশ রিয়েল এজেন্ট এর উদ্বেগ অবশ্যই ইমিগ্রেন্ট নয়। কিন্তু এটি সত্যি যে যখন বিত্তবান নন-রেসিডেন্ট বিদেশীরা এখানে বাড়ি ক্রয় করেন এবং একে ব্যাংকের সেফটি বক্স হিসাবে ব্যবহার করতে চান তখন তা চিন্তার বিষয়। কারণ, এটি ভাল লক্ষণ নয়। এই প্র্যাকটিস টরন্টোর বাড়ির মূল্য বৃদ্ধি করবে এবং সবকিছুই সামর্থের বাইরে চলে যাবে। তিনি বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে যদি এই সমস্যা সমাধান করা না হয় তবে স্থানীয় ক্রেতারা বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন। কারণ তারা তখন আর বাড়ি কেনার মত অবস্থায় থাকবেন না।
জন পাসালিস তার সাক্ষাৎকারে একটি গুরুত্বপূর্ণ আশংকার কথাও উল্লেখ করেছেন। তার মতে রিয়েল এস্টেট বাজারের এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে টরন্টোতে রক্ষণশীল রাজনৈতিক মনোভাব ও চেতনা বৃদ্ধি পাবে যেটা আমরা ইতিমধ্যেই দেখেছি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং ইউরোপে।
অর্থাৎ সোজা কথায় কানাডায় ইমিগ্রেন্ট বিরোধী কর্মকান্ড আরো বৃদ্ধি পাবে। যদিও বাড়ির মূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে সাধারণ ইমিগ্রেন্টদের কোন ভূমিকা নেই। বরং এই সাধারণ ইমিগ্রেন্টদের কারণে টরন্টো, ভেঙ্গুভার ও মন্ট্রিয়লের রিয়েল এস্টেট বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। চাঙ্গা হয়ে উঠা আর ক্রাইসিস তৈরী হওয়া এক জিনিষ নয়। কিন্তু ঐ বিদেশী ক্রেতাদের কারণে এখনকার যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তার দায় ভারও না বুঝে ঐ সাধারণ ইমিগ্রেন্টদের ঘারেই চাপানো হতে পারে।
আমরা জানি, সাধারণ রক্ষণশীল কানাডিয়ানরা এমনিতেই উদ্বেগের মধ্যে আছেন যে, তাদের চাকুরী ও ব্যবসা ইমিগ্রেন্টরা দখল করে নিচ্ছেন। এখন যদি তারা ভাবেন যে, বাড়িঘরও এই ইমিগ্রেন্টদের যন্ত্রণায় যৌক্তিক মূল্যে ক্রয় না করা যাচ্ছে না, তবে নিশ্চিতভাবেই তাদের মধ্যে ইমিগ্রেন্টবিরোধী মনোভাব আরো বৃদ্ধি পাবে যা সামাজিক অস্থিরতাকে ক্রমেই উস্কে দিবে এবং পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে।
টরন্টো রিয়েল এস্টেট বোর্ড টরন্টোতে বিদেশী ক্রেতাদের সংখ্যা (শতকরা ৫ ভাগেরও কম) বিষয়ে যে তথ্য দিয়েছে সেটি কতটুকু গ্রহণযোগ্য সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন জন পাসালিস। তিনি বলেন, টরন্টো রিয়েল এস্টেট বোর্ড এর হয়ে ‘ Ipsos’ মাত্র ৩,৫০০ রিয়েল এস্টেট এজেন্ট এর কাছ থেকে বিদেশী ক্রেতাদের সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়েছিল। কিন্তু টরন্টো রিয়েল এস্টেট বোর্ড এর সদস্য সংখ্যা ৪৭ হাজার। আর এদের মধ্যে শতকরা ৮০ জনই বছরে ৬টিরও কম বাড়ি বিক্রি করে থাকেন। সুতরাং বিদেশী ক্রেতাদের সম্পর্কে আসলে সঠিক তথ্যটি ঐ জরীপে উঠে আসেনি।
এখানে আরো একটি বিষয় উল্লেখ করা যেতে পারে। বিষয়টি হলো, বিদেশী ঐ ক্রেতাদের সবাই কিন্তু রিয়েল এস্টেট এজেন্টের মাধ্যমে বাড়ি ক্রয় করেন না। দেখা গেছে ডেভলাপাররা অনেক সময় সরাসরি বিদেশী ক্রেতাদের কাছে বাড়ি বিক্রি করে থাকেন।
গত বছর ভেঙ্গুভারে পরিচালিত এক জরীপ থেকে দেখা যায় সেখানকার একটি অভিজাত এলাকায় ৬৬% বাড়ির মালিকই চাইনীজ। জরীপটি চালিয়েছিলন ভেঙ্গুভার প্লানার এন্ডি ইয়ান।
এখন টরন্টো ও আশপাশের শহরগুলোতে বাড়ি ও কন্ডোর মূল্য পরিস্থিতি যে পর্যায়ে গিয়ে দাড়িয়েছে তাতে করে মধ্য আয়ের কানাডিয়ানদের পক্ষে সম্ভব নয় বাড়ি কেনা। অথাৎ যারা প্রথমবারের মত বাড়ি বা কন্ডো এপার্টমেন্ট ক্রয়ের কথা চিন্তা করে রেখেছিলেন তারা ইতিমধ্যেই কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন। এই দলের মধ্যে আছেন তরুন প্রজন্মও যারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জব মার্কেটে প্রবেশ করেছেন।
এই তরুন প্রজন্মের কথাও গুরুত্বসহকারে ভাবতে হবে সকলকেই। যারা অনেক আগে থেকেই বাড়ির মালিক তারা যদি মনে করেন এই সমস্যা আমাদের নয় তাহলে ভুল করা হবে। কারণ, এই তরুন প্রজন্ম তাদেরই সন্তান। উত্তরাধিকার সূত্রে হয়তো এই সন্তানেরা বাড়ি বা এপার্টমেন্ট এর মালিক হতে পারবেন এক সময়। কিন্তু সেটিও এখন থেকে হয়তো আরো দশ বছর, বিশ বছর বা আরো পরে। তাছাড়া দুই তিন বা চারজন ভাই বোন হলে ভাগে কতটুকু পড়বে সেটাও বিবেচনায় রাখতে হবে। আর এরা ইতিমধ্যেই সংসার জীবনে প্রবেশ করেছেন বা করতে যাচ্ছেন। সুতরাং এদের বাড়ি এখনই প্রয়োজন।
এদিকে যারা গত দুই/চার বছরের মধ্যে অতি উচ্চ মূল্যে বাড়ি ক্রয় করেছেন তারা রয়েছেন এক আতংকের মধ্যে। যদি বাড়ির মূল্যে ধ্বস নামে তবে কি হবে? স্থানীয় পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে লেখালেখি কম হচ্ছে না। আর ঐ সমস্ত লেখায় কেউ কেউ ভবিষ্যতবাণী করছেন এই বলে যে ধ্বস নামতেও পারে। আবার কেউ কেউ বলছেন, বাড়ির মূল্য হয়তো আর বৃদ্ধি পাবে না, তবে কমবেও না।
আর যদি ধ্বস নামে তবে কি হবে? গত দুই/তিন বছরের মধ্যে যারা উচ্চ মূল্যে বাড়ি ক্রয় করেছেন তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন সবচেয়ে বেশী। কারণ ঋণ নিয়ে যে উচ্চ মূল্যে তারা বাড়ি কিনেছেন সেই মূল্য তো তাদেরকে পরিশোধ করতে হবে। আর বাড়ি বিক্রি করলেও হ্রাসকৃত মূল্যেই বিক্রি করতে হবে।
কানাডার অর্থমন্ত্রী বিল মরনাও বলেন, সরকার বর্তমান হাউজিং মার্কেটের উপর সতর্ক নজর রাখছে। তবে তিনি মনে করেন ভেঙ্গুভার ও টরন্টোতে বাড়ির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে বেকারত্বের সংখ্যা হ্রাস ও লোকজনের আয় বৃদ্ধির ভূমিকা রয়েছে।
কিন্তু অর্থমন্ত্রীর ঐ বক্তব্যে ষ্পষ্টতই রাজনীতির গন্ধ পাওয়া যায়। তিনি সুযোগ বুঝে দলের ইমেজ বৃদ্ধির জন্য বলে দিলেন কানাডা অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভাল। তাই লোকজন খুব বাড়ি ঘর কিনছেন।
হ্যা, অর্থনীতির চাকা এখন ভালই ঘুরছে। বেকারত্বের সংখ্যাও কমেছে। কিন্তু লোকজনের আয় বেড়েছে কথাটা তিনি কোন হিসাবে বললেন?
১০ বছর আগে টরন্টোতে একটি বাংলো বাড়ি কিনতে খরচ হতো আড়াই থেকে ৩ লাখ ডলার। সেই বাংলোর মূল্য এখন প্রায় ৭ থেকে ১০ লাখ ডলার। তা হলে একজন লোকের আয় কি পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া উচিৎ বর্তমান বাজারে একটি বাংলো ক্রয় করার জন্য? তাদের কি সেই পরিমান আয় বৃদ্ধি পেয়েছে?
অন্টারিতে প্রতি বছর লোকজনের বেতন বৃদ্ধি করা হয় ঘন্টায় ১৫ সেন্ট করে। অর্থাৎ মাসে ২৪ ডলার বেতন বৃদ্ধি। গত তিন বছর ধরে এই হারে বেতন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বর্তমান ন্যূনতম মজুরী হলো ১১.৪০ ডলার প্রতি ঘন্টায়। হ্যা, স্বীকার করি ন্যূনতম আয়ের লোকজন নিশ্চই বাড়ি ক্রয় করার স্বপ্ন দেখেন না। কিন্তু যাদের মধ্যম আয়, তাদের বেতন কি গত কয়েক বছরে তিন থেকে চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে? অর্থাৎ যে ব্যক্তি ৫০/৬০ হাজার ডলার বেতন পেতেন তার বেতন কি দেড় লাখ থেকে দুই লাখে উন্নীত হয়েছে?
রয়েল ব্যাংক অব কানাডার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভ ম্যাক্কে সম্প্রতি বলেছেন, টরন্টোতে বাড়ির মূল্য যে ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা নিয়ে তিনি ক্রমবর্ধমানহারে উদ্বিগ্ন। তিনি মনে করেন ভেঙ্গুভারের মত
টরন্টোতেও বিদেশী ক্রেতাদের উপর বাড়তি টেক্স ধার্য করা উচিৎ। ব্যাংক অব মন্ট্রিয়লের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড্যাগ পর্টার বলেন, এখন সময় এসে গেছে এটি স্বীকার করা যে গ্রেটার টরন্টো এরিয়া ‘হাউজিং বাবল’এর মধ্যে অবস্থান করছে।
বাবল অর্থাৎ বুদ্বুদ যে কোন সময় ফেটে যেতে পারে। গ্লোব এন্ড মেইল আরো জানায়, অন্যান্য অর্থনীতিবিদগণও প্রায় একই রকম সতর্কবাণী শুনাচ্ছেন।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, যারা শুনলে কাজ হবে তারাই শুনছেন না। যেমন অন্টারিওর প্রিমিয়ার ক্যাথেলীন উইন। তিনি স্পষ্টই বলে দিয়েছেন বৃটিশ কলম্বিয়াকে অনুসরণ করে তিনি বিদেশী ক্রেতাদের উপর বাড়তি টেক্স বসাবেন না।
উল্লেখ্য যে, বৃটিশ কলম্বিয়ার প্রিমিয়ার ক্রিস্টি ক্লার্ক প্রথম দিকে রাজী ছিলেন না বিদেশী ক্রেতাদের উপর বাড়তি টেক্স আরোপ করার ব্যাপারে। তার ধারণা ছিল বা এই ধারণা তার উপর স্বার্থন্বেষী মহল কর্তৃক চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল যে, ভেঙ্গুভারে বাড়ির মূল্য বৃদ্ধিতে বিদেশী ক্রেতাদের কোন ভূমিকা নেই। তাছাড়া ক্লার্ক ও তার সহযোগিদের একটি তৃপ্তি ছিল যে, ‘বাড়ির মূল্য বৃদ্ধিতে সমস্যা কি? ভালইতো টেক্স পাওয়া যাচ্ছে এই খাত থেকে।’
কিন্তু ক্রিস্টি ক্লার্ক ও তার সহযোগিরা শেষপর্যন্ত উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে বিষয়টি ক্রমশ খারাপের দিকেই যাচ্ছে। অন্যদিকে এটাও উপলব্ধি করেন যে পরবর্তী প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনে ফলাফল তাদের পক্ষে যাবে না যদি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ প্রশমনের কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করা হয়। ফলে বাধ্য হয়েই বিদেশী ক্রেতাদের উপর বাড়তি ১৫% টেক্স ধার্য করা হয়। কিন্তু এই কাজটি তিনি সময়মত করেন নি।
টরন্টোতে এখন ঠিক একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে যা ছিল ভেঙ্গুভারে। কিন্তু ক্যাথেলীন উইন এখনো ক্রিস্টি ক্লার্ক এর কাছ থেকে শিক্ষা নেননি। অর্থাৎ ষ্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে অস্বাভাবিক হারে বাড়ির মূল্য বৃদ্ধি পেলেও অন্টারিওর রাজনীতিবিদদের কোন মাথা ব্যথ্যা নেই তা নিয়ে। কারণ, এই খাত থেকে সরকারের কোষাগারে টেক্স জমা হচ্ছে ভালই। এখন বাড়তি টেক্স বসাতে গেলে বিদেশী ক্রেতাগণ টরন্টো ছেড়ে অন্যদিকে চলে যেতে পারেন যেমনটা ঘটেছে ভেঙ্গুভারের বেলায়। হয়তো সেই দিকটি বিবেচনা করে সরকার বাড়তি টেক্স আরোপের বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কিংবা বিল্ডার্সদের নেপথ্য লবিং বা চাপের মুখে পড়ে সরকার মধ্যবিত্তের স্বার্থ রক্ষার্থে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কিন্তু এর পরিনতি সম্পর্কে ক্যাথেলীন উইনের লিবারেল সরকার কি কিছু ভোবে দেখেছেন যেমনটা দেখেছিলেন ক্রিস্টি ক্লার্ক? বিভিন্ন জরীপে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, অন্টারিওর বর্তমান প্রিমিয়ার ক্যাথেলীন উইনের জনপ্রিয়তা এখন অনেক নীচে। এ ব্যাপারে সর্বশেষ জরীপটি প্রকাশ করেছে ‘দি মেইনস্ট্রিট রিসার্স’নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সিপি ২৪ কর্তৃক প্রকাশিত ঐ জরীপে দেখা যাচ্ছে ক্যাথেলীন উইনি যে ভাবে তার কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন তাতে শতকরা ৬৫ জন অন্টারিওবাসীই তাকে দৃঢ়ভাবে অথবা কিছুটা হলেও অপছন্দ করছেন।
উল্লেখ্য যে, ক্যাথেলীনের জনপ্রিয়তা শুধু এখন নয়, অনেকদিন ধরেই নিচের দিকে অবস্থান করছে। এদিকে নির্বাচনের দিনক্ষণও ঘনিয়ে আসছে। আগামী বছর জুন মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এর মধ্যে যদি বাড়ির অভাবনীয় মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তবে মধ্যবিত্ত অন্টারিওবাসীরা তার জবাব হয়তো ভোটের মাধ্যমেই দিবেন।
কিন্তু আমাদের কথা হলো, যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, সাধারণ জনগণের স্বার্থ আগে দেখতে হবে। কারণ, তাদের ভোটেই সরকার নির্বাচত হয়। তাদের টেক্স দিয়েই সরকারের ব্যয় নির্বাহ হয়।
আমরা মনে করি, বিদেশী ক্রেতাদের চেয়ে স্থানীয় ক্রেতাদের অধিকার বেশী। তাদের কথা আগে ভাবতে হবে। তাদেরকে বাস্তুচ্যুত করে স্থানীয় বিল্ডার্স আর বিদেশী ক্রেতাদের কদর করলে অর্থনীতিতে ধ্বস নামার সম্ভাবনাই বেশী। আর সেই ধ্বসের ধকল গোটা কানাডাকেই বহন করতে হবে যেটা কারো কাম্য হতে পারে না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য :
সম্মানিত পাঠক, গত ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমরা যখন ম্যাগাজিন প্রেসে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম ছাপানোর জন্য তার ঘন্টা দুই আগে কানাডিয়ান প্রেসের এক খবরে বলা হয় যে, গ্রেটার টরন্টো এরিয়াতে বাড়ির অগ্নি মূল্য শীতল করার জন্য অন্টারিও সরকার নতুন করে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে। অর্থ মন্ত্রী চার্লস সিজা জানান, ভেঙ্গুভারের ন্যায় বিদেশী ক্রেতাদের উপর বাড়তি টেক্স আরোপের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে যাচ্ছে অন্টারিও সরকার।
উল্লেখ্য যে, গত বছর অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন এই টেক্স আরোপের কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। প্রিমিয়ার ক্যাথেলীন উইন-ও বলেছিলেন বিদেশী ক্রেতাদের উপর বাড়তি টেক্স বসানো হবে না।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, অতি সম্প্রতি গ্রেটার টরন্টোতে যে ভাবে বাড়ির মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তা নিয়ে আমি গভীর ভাবে সজাগ। আর শুধু বিদেশী ক্রেতাদের উপর বাড়তি টেক্স আরোপই নয়, বাড়ির অগ্নিমূল্য শীতল করার জন্য আরো কিছু পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
খুরশিদ আলম
সম্পাদক ও প্রকাশক
প্রবাসী কণ্ঠ