কানাডায় বাঙ্গালীদের সর্ববৃহৎ মিলনমেলা ‘দি টেস্ট অব বাংলাদেশ’ ফেস্টিভাল অনুষ্ঠিত
দশ সহস্রাধিক বাঙ্গালীর পদভারে প্রকম্পিত হলো ড্যানফোর্থ এর বাংলা টাউন
“টেস্ট অব বাংলাদেশ” ফেস্টিভাল নিজ শিকড়ের সঙ্গে বাংলাদেশী কানাডিয়ানদের পুনঃসংযোগ স্থাপনের এবং নিজেদের ঐতিহ্য উদযাপনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ – জাস্টিন ট্রুডো
প্রবাসী কণ্ঠ রিপোর্ট : চমৎকার এক উৎসবমুখর পরিবেশ আর নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট টরন্টোতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশীদের সর্ববৃহৎ মিলন মেলা ‘দি টেস্ট অব বাংলাদেশ’ ফেস্টিভাল। ইতিপূর্বে প্রবাসী বাংলাদেশীদের এতবড় গণসমাবেশ কানাডার আর কোথাও হয়নি। ফেস্টিভাল উপলক্ষে প্রায় দশ সহস্রাধিক বাঙ্গালীর পদভারে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল বাঙ্গালী অধ্যুষিত ড্যানফোর্থ এ্যাভিনিউর বাংলা টাউন এলাকাটি। ড্যানফোর্থ এভিনিউর শিবলি রোড থেকে শুরু করে পূর্বদিকে ভিক্টোরিয়া পার্ক এভিনিউ পর্যন্ত প্রায় কোয়ার্টার মাইল এলাকা জুড়ে বসেছিল প্রবাসী বাঙ্গালীদের এই মিলন মেলা। মাত্র দুই সপ্তাহের প্রস্তুতিতে এতবড় আয়োজন ছিল অভাবনীয়।
মেলা উপলক্ষে কানাডার প্রধান মন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক বাণী প্রদান করেন। বাণীতে তিনি বলেন, “টেস্ট অব বাংলাদেশ” ফেস্টিভাল নিজ শিকড়ের সঙ্গে বাংলাদেশী কানাডিয়ানদের পুনঃসংযোগ স্থাপনের এবং নিজেদের ঐতিহ্য উদযাপনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।”
দিনব্যাপী এই উৎসব অনুষ্ঠানে সকাল থেকেই লোকজন শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেন। আবহাওয়া ছিল অনুকুলে। তবে উৎসবস্থলে বাঙ্গালীদের ভীড় জমতে থাকে বিকেল ৪টার পর যখন রোদের তাপ কিছুটা কমে আসে। ৬টা নাগাদ উৎসবস্থল এক জনসমুদ্রে পরিনত হয়।
ড্যানফোর্থ এ্যাভিনিউর দক্ষিণ পাশে ভিক্টোরিয়া পার্ক এ্যাভিনিউ থেকে শুরু করে পশ্চিমে শিবলী রোড পর্যন্ত সারিবদ্ধভাবে বসানো হয়েছিল স্টলগুলো। আয়োজকদের একজন আবু জুবায়ের দারা এই প্রতিবেদককে জানান, উৎসবস্থলে ৭২টি স্টলের অনুমোদন দেয়া হয়েছে অফিসিয়ালী। অনুমোদনের বাইরেও রাস্তার উত্তর পাশে বেশ কিছু স্টল বসানো হয়েছিল। সব মিলিয়ে স্টলের সংখ্যা ছিল শতাধিক। এর মধ্যে শাড়ী-গয়নার স্টলই ছিল সবচেয়ে বেশী। এর পরে ছিল খাবারের স্টল। বিচেস-ইস্ট ইয়র্কের এমপি নেথেনিয়েল স্মিথ ও স্কারবরো সাউথওয়েস্ট এর এমপি বিল ব্লেয়ার এর দুটি স্টল বসানো হয়েছিল উৎসবস্থলে। ছিল শিশুদের খেলার ব্যবস্থা।
‘দি টেস্ট অব বাংলাদেশ’ ফেস্টিভাল এ আগত বাঙ্গালীদের সবার চোখে মুখেই ছিল আনন্দ উচ্ছাস আর ভাললাগার এক নির্মল অভিব্যক্তি। এক ধরনের নির্ভরতাও যেন সবার অভিব্যক্তিতে প্রকাশ পাচ্ছিল। নির্ভরতা এই কারণে যে, সুদূর এই প্রবাসে আজ আমরা আর দুর্বল নই, নই শক্তিহীন। আমরা সংখ্যায় এখন বিপুল। এই সংখ্যা এতদিন শুধু কাগজে কলমে দেখেছি। আজ বাস্তবে দেখলাম। প্রবাসে ঐক্যবদ্ধ থাকলে এই বিপুল সংখ্যক বাঙ্গালী অনেক কিছুই করতে সক্ষম। এই বার্তাটিই যেন সবাই দিয়ে গেলেন।
‘দি টেস্ট অব বাংলাদেশ’ ফেস্টিভাল উপলক্ষে অনুষ্ঠানস্থলে নির্মান করা হয়েছিল একটি অস্থায়ী মঞ্চ। ড্যানফোর্থ এবং ভিক্টোরিয়া পার্ক এ্যাভিনিউর সংযোগস্থলে নির্মিত এই মঞ্চে স্থানীয় শিল্পীগণ বিরামহীন নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করে মাতিয়ে রাখেন দর্শকদের। সন্ধ্যায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের দুই জনপ্রিয় শিল্পী তপন চৌধুরী ও নগরবাউল জেমস।
সন্ধ্যায় মঞ্চে আসেন ‘দি টেস্ট অব বাংলাদেশ’ ফেস্টিভাল এর আয়োজকবৃন্দের কয়েকজন। সময়ের স্বল্পতাহেতু তারা প্রত্যেকেই সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
প্রথমেই বক্তব্য রাখেন ফেস্টভাল এর কনভেনিং কমিটির চেয়ারম্যান শক্তিদেব। তিনি বলেন, ড্যানফোর্থে প্রথমবারের মতো আমাদের এই বৃহৎ আয়োজন এর অন্যতম কারণ, আমরা চাই কানাডার মূলধারার সঙ্গে আমাদের পরিচিতি ঘটুক। এর পাশাপাশি এই কানাডায় যাতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের বাংলাদেশের সংস্কৃতি, আমাদের কৃষ্টি, আমাদের সভ্যতা সম্পর্কে জানতে পারে সে কারণেও আমাদের এই আয়োজন।
বাংলাদেশী অধ্যুষিত ড্যানফোর্থের এই অংশকে টরন্টো সিটি কর্তৃপক্ষ যেন ‘বাংলা টাউন’ হিসাবে স্বীকৃতি দেয় সেই আবেদনও জানান শক্তি দেব তার বক্তব্যে।
এর পর বক্তব্য রাখেন চীফ এ্যাডভাইজার সৈয়দ ছামসুল আলম। সময়ের স্বল্পতার জন্য তিনি বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করে উপস্থিত সবাইকে এ ধরণের আয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবার আহ্বান জানান এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান।
ফেস্টভাল এর কনভেনিং কমিটির কনভেনর ফরিদা হক তার বক্তব্যে বলেন, ডাইভার্সিটি ইজ দি ইউনিটি অব টরন্টো, কানাডা এ্যান্ড অলওভার দি ওয়ার্ল্ড। তিনি বলেন ড্যানফোর্থে আজ আমরা এত মানুষ একত্রিত হয়েছিল কারণ, ঐক্যই আমাদের শক্তি। আমরা টরন্টোতে একটি বৃহৎ কমিউনিটি।
ফরিদা হক টেস্ট অব ড্যানফোর্থ ফেস্টিভালকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য টরন্টোর বাংলাদেশী ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, সকল সংগঠক ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন এটা আমাদের সকলেরই উৎসব। এটা আমার গর্ব আপনার গর্ব আমাদের সকলের গর্ব। আমরা চাই আগামী বছর এর চেয়ে বড় করে এবং আরো সুন্দর করে এই উৎসব পালন করবো। আর এর জন্য আপনাদের সকলের সহযোগিতা আমাদের দরকার।
ফেস্টিভাল কমিটির মেম্বার সেক্রেটারী এ কে আজাদ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন আগামীতে আমরা এই ড্যানফোর্থকে বাংলা টাউন হিসাবে ঘোষণা দিব। তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, টরন্টোর মেয়র জন টরি ইতিপূর্বে তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই এলাকাকে আনুষ্ঠানকভাবে বাংলা টাউন হিসাবে ঘোষণা দেয়া হবে।
ফেস্টিভাল কমিটির চীফ কোঅর্ডিনেটর রাসেল রহমান তার বক্তব্যে বলেন, অনেক কষ্ট আর পরিশ্রমের পর আজ আমরা ড্যানফোর্থে এমন একটি বিশাল উৎসবের আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনারা না আসলে আমাদের এই উৎসব স্বার্থক হতো না। উৎসব কমিটিতে যারা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে অনুষ্ঠানকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তাদেরকেও তিনি ধন্যবাদ জানান।
ফেস্টিভাল কমিটির কর্মকর্তাদের বক্তব্য শেষ হলে মঞ্চে আসেন মূলধারার কয়েকজন বিশিষ্ট রাজনীতিক ও স্থানীয় দুই কাউন্সিলর। এদের মধ্যে প্রথমেই বক্তব্য রাখেন টরন্টো প্রবাসী বাঙ্গালীদের অতি পরিচিত কানাডার সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক এমপি (লিবারেল) মারিয়া মিন্না। তিনি তার বক্তব্যে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, সেই ৯৩ /৯৪ সালের দিকে ড্যানফোর্থে মাত্র হাতে গোনা কিছু বাঙ্গালী ছিলেন। কিন্তু আজ দেখুন, টেস্ট অব বাংলাদেশ ফেস্টিভাল পরিনত হয়েছে বাঙ্গালীদের এক জনসমুদ্রে! এটি সত্যি চমৎকার। আমি খুবই আপ্লুত।
মারিয়া মিন্না বলেন, অতীতে বাংলাদেশী কমিউনিটির সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত ও আনন্দিত। এই কমিউনিটি এখন অনেক বড় হয়েছে। তিনি উৎসব আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
এর পর বক্তব্য রাখেন বাঙ্গালী অধ্যুষিত বিচেস-ইস্ট ইয়র্ক এলাকার এমপি (লিবারেল) নেথনিয়েল আরস্কিন স্মিথ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সত্যিকার অর্থে আমি ড্যানফোর্থ এ্যাভিনিউকে এতটা ব্যস্ত হতে আগে কখনো দেখিনি। তিনি উৎসব আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
নেথনিয়েল বলেন, পার্লামেন্টে বিচেস-ইস্ট ইয়র্ক এ বসবাসকারী শক্তিশালী বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
উল্লেখ্য যে, এমপি নেথনিয়েল মঞ্চে এসেছিলেন তার কোলের শিশুকে সাথে নিয়ে। তাকে কোলে নিয়েই তিনি বক্তব্য রাখছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি ‘টেস্ট অব…’ স্লোগানটি অর্ধেক বলে মাইক্রোফোনটি তার কোলের শিশুর মুখের কাছে নেন এবং শিশুটি স্লোগানের বাকী অংশ ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি মোটামুটি স্পষ্টভাবেই উচ্চারণ করে। এই সময় হাজারো দর্শক বিপুল করতালি দিয়ে শিশুটিকে অভিনন্দন জানান।
এমপি নেথনিয়েল আরো বলেন, আজ আমি এখানে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর প্রতিনিধি হিসাবেও এসেছি। তিনি উৎসব উপলক্ষ্যে একটি বাণী দিয়েছেন। এ কথা বলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বাণীটি দর্শকদের উদ্দেশ্যে পড়ে শুনান।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে আজ টেস্ট অব বাংলাদেশ ফেস্টিভালে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি।
কানাডা ভাগ্যবান এই কারণে যে, এ দেশটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী আছেন। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশী কমিউনিটর লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তারা কানাডিয়ান সমাজে ব্যাপকভাবে অবদান রাখছে। অন্যদিকে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করছে যে দেশটি তাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে গড়ে তুলেছে।
“টেস্ট অব বাংলাদেশ” ফেস্টিভাল নিজ শিকড়ের সঙ্গে বাংলাদেশী কানাডিয়ানদের পুনঃসংযোগ স্থাপনের এবং নিজেদের ঐতিহ্য উদযাপনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। এই উৎসব একই সঙ্গে সব ব্যাকগ্রাউন্ডের কানাডিয়াদের সামনে একটি সুযোগ বাংলাদেশী সংস্কৃতি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার এবং একে প্রশংসা করার।
আমি সকল উদ্যোক্তা, সংগঠক এবং স্বেচ্ছাসেবীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি এরকম একটি উৎসবকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য। এই স্মরণীয় উৎসবে যারা অংশ নিচ্ছেন তাদের প্রতিও আমি আহ্বান জানাচ্ছি আমার অন্তরিক ও উষ্ণ অভিবাদন গ্রহণ করুন।
অটোয়া, ২০১৯
ফেস্টিভালে স্কারবরো সাউথওয়েস্ট এর এমপি (লিবারেল) বিল ব্লেয়ার ব্যস্ততার কারণে উৎসবে উপস্থিত হতে পারেন নি। তবে তার একজন প্রতিনিধি উপস্থি থেকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
ফেস্টিভালে আরো বক্তব্য রাখেন স্কারবরো সাউথওয়েস্ট এর এমপিপি (এনডিপি) বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ডলি বেগম। তিনি টেস্ট অব বাংলাদেশ ফেস্টিভাল উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, এতদিন অন্যান্য কমিউনিটির বড় বড় উৎসব অনুষ্ঠান হতে দেখেছি আমরা। কিন্তু বাংলাদেশ কমিউনিটির এরকম একটি বড় মাপের অনুষ্ঠান হওয়টা ডিউ হয়ে ছিল। তিনি আয়োজকদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এরকম একটি উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য। ভূয়সী প্রসংসা করেন স্পন্সরদেরও যারা উৎসব অনুষ্ঠানকে বাস্তবায়িত করার জন্য আর্থিক সহায়তা করেছেন। তিনি বলেন স্পন্সরদের সহযোগিতা ছাড়া এরকম একটি অনুষ্ঠান আয়োজন সম্ভব ছিল না।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী অধ্যুষিত বিচেস-ইস্ট ইয়র্ক (ওয়ার্ড ১৯) এলাকার সিটি কাউন্সিলর ব্রাড ব্রাডফোর্ড বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, আজকে আমরা এখানে যে উৎসব উদযাপন করছি তা এই উৎসব কমিটির সদস্যদের দীর্ঘদিনের সাধনার ফসল। তাদের কঠোর পরিশ্রম ছাড়া এরকম একটি অনুষ্ঠান এর আয়োজন সম্ভব ছিল না। এটি বাংলাদেশীদের একটি স্বপ্ন ছিল। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। আমি খুবই গর্বিত আজ আপনাদের সঙ্গে এই উৎসব পালনে অংশ নিতে পেরে। এটি একটি বিস্ময়কর ও অসামান্য উৎসব আয়োজন।
স্কারবরো সাউথওয়েস্ট এর (ওয়ার্ড ২০) সিটি কাউন্সিলর গ্যারি ক্রফোর্ড বলেন, এরকম একটি বৃহৎ অনুষ্ঠান সহজে হয়নি। সংগঠকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে। আমি এখন থেকেই পরবর্তী উৎসবের কথা চিন্তা করছি। আগামীর উৎসবগুলোতে এই বিপুল সংখ্যক লোকের স্থানসংকুলানের জন্য আমাদেরকে এই স্পেস আরো বাড়াতে হবে। ভিক্টোরিয়া পার্ক এ্যাভিনিউ ছাড়িয়ে আমাদেরকে আরো পূর্ব দিকে যেতে হবে। অন্যদিকে পশ্চিম দিকেও আমাদের সীমানা বৃদ্ধি করতে হবে এই উৎসবের জন্য। আমরা ড্যানফোর্থে একটি বিশাল পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। বিশাল পদক্ষেপ নিয়েছি আমাদের কমিউনিটিতে। গ্যারি ক্রফোর্ড সবাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।
উল্লেখ্য যে, ড্যানফোর্থ এ্যাভিনিউতে বাঙ্গালীদের এই বিশাল আয়োজন এর অনুমোদন প্রাপ্তির কাজটি মোটেও সহজ ছিল না। এ কাজে যথেষ্ঠ সহায়তা করেছেন বিচেস-ইস্ট ইয়র্ক (ওয়ার্ড ১৯) এলাকার সিটি কাউন্সিলর ব্রাড ব্রাডফোর্ড।
ফেস্টিভাল কমিটিতে কো-চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন এমডি. আব্দুল ওয়াহেদ, আনোয়ার শামসুদ্দোহা এবং খোকন আব্বাস। কো-কনভেনর ছিলেন এমডি. কফিল উদ্দিন পারভেজ, খোকন রহমান ও মিজানুর রহমান। সম্মানিত সদস্য হিসাবে ছিলেন আবু জুবায়ের দারা ও জামাল হোসেন।