বিতর্কিত ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন লাটারী সিস্টেম বাতিলের সিদ্ধান্ত
আগামী বছর ২০ হাজার পিতা-মাতা এবং পিতামহ-মাতমহীর আবেদন গ্রহণ করবে ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট
সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : লিবারেল সরকার বিতর্কিত ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন লটারী সিস্টেম বাতিল করে অধিক আবেদন পত্র গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট আগামী বছর ২০ হাজার পিতা-মাতা এবং পিতামহ-মাতামহীর আবেদন গ্রহণ করবে।
সিবিসি নিউজ সূত্রে জানা যায় জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল সরকার ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন এর বিতর্কিত লটারি পদ্ধতি বাতিল করে আগে আবেদন-আগে সেবার ভিত্তিতে আবেদনপত্র বিবেচনা করবে। ফেডারেল সরকার ঘোষণা দিয়েছে ২০১৯ সালে ২০,৫০০ পিতা-মাতা এবং তাঁদের পিতা-মাতাদের ইমিগ্রেশন দেয়া হবে। এবং ২০২০ সালে দেয়া হবে ২১ হাজার। চলতি বছর এই সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার। উৎসাহী আবেদনকারীরা অনলাইনে ফর্ম পূরণ করে তাঁদের পিতামাতা এবং পিতামহ-মাতামহীদের স্পন্সর করার উৎসাহের বিষয়টি জানাতে হবে। এবং তা করতে হবে আগামী বছরের শুরু থেকে। এখন থেকে স্পন্সর নির্বাচনের পদ্ধিতিও বদলে যাবে। আগের মতো র্যান্ডম সিলেকশন আর থাকছে না। ইমগ্রেশন বিভাগ স্পন্সরের চিঠি দিয়ে আবেদনপত্র জমা দেয়ার বিষয়ে অবহিত করবে।
গত বছর অনলাইনে ফর্ম পূরণের মাধ্যমে আবেদনের সংখ্যা ছিল ৯৫ হাজার। তার মধ্য থেকে র্যান্ডম সিলেকশন পদ্ধতিতে আবেদন করার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মাত্র ১০ হাজার। ইমিগ্রেশন, রিফিউজি এ্যান্ড সিটিজেনশীপ মন্ত্রী আহমেদ হোসেন বলেছেন, র্যান্ডম সিলেকশন পদ্ধতিটি ছিল ভাগ্যনির্ভর। আমরা পদ্ধতিটি উন্নত করেছি। লটারি পদ্ধতির বিরুদ্ধে স্পন্সররা হাজার হাজার চিঠি দিয়েছেন ইমিগ্রেশন মন্ত্রীকে। তারা বলেছেন পদ্ধতিটি অমানবিক এবং হৃদয়হীন। ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে আগামী বছরের নতুন পদ্ধতি এই প্রোগ্রামটিকে বাস্তব রূপ দিবে এবং আবেদনকারীরা হতাশা থেকে রেরিয়ে আসবেন।