দক্ষ অভিবাসীদের নিয়োগদানের জন্য অটোয়ার তহবিল গঠনের পরিকল্পনা

জুলাই ২৭, ২০১৪

টেরি ডেভিডসন : টরন্টো – কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী জেসন কেনি শনিবার বলেছেন, নবাগত দক্ষ কর্মী যারা অন্য কোথাও প্রশিক্ষণ নিয়েছে তাদেরকে নিয়োগদানের জন্য অটোয়ার সরকার দেশের ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গ্রহণ করবে।

এর আগে অভিবাসন বিষয় মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী মি. কেনি বলেন, দেশে দক্ষ শ্রমিকের অভাব দূর করার জন্য কানাডা সরকার ও কানাডার প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকরা যে চারটি যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তার একটি হলো, মানসম্মত কাজ না পাওয়া অভিবাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা, যারা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং ইঞ্জিনিয়ার, টেকনোলজিস্ট ও টেকনিশিয়ান হিসাবে যাদের বিদেশী প্রশংসাপত্র (ক্রেডেনশিয়ালস) রয়েছে।

টরন্টোর উত্তরে সিমেন্স-এর কারখানায় গিয়ে কেনি বলেন, নিজের দেশে উচ্চমানের জীবন ফেলে কানাডায় আসা শিক্ষিত ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মেধাবি লোকেরা নিজেদেরকে বেকার কিংবা নিুমানের কাজে নিয়োজিত দেখতে পায় এবং প্রায়ই শ্রমবাজারের সবচেয়ে নিুস্তরের কাজে নিয়োজিত হয় এটা দেখা আমার জন্য সবচেয়ে বড় একক হতাশার বিষয় ছিলো। তারা এমন অবস্থার মধ্যে পড়েন কারণ তাদের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার কোন স্বীকৃতি এখানে দেয়া হয় না।

অন্যান্য উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে, সিএমইকে (ঈগঊ) ৪০ লাখ ডলারের কিছু বেশি অর্থের তহবিল দেয়া যা দিয়ে তারা ‘‘পেশাগত মান’’ (ড়পপঁঢ়ধঃরড়হধষ ংঃধহফধৎফং) নির্ধারণ করবে যাতে কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কারিকুলামে এই খাতের চাহিদার প্রতিফলন ঘটানো যায়। সেইসাথে ১০ লাখ ডলার দেয়া হবে আঞ্চলিক বিভিন্ন কমিটি গঠনের জন্য যেসব কমিটি চাকরিদাতা ও শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শ্রমিক ঘাটতির বিষয় নিয়ে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি করবে। কেনি জানান, ম্যানুফেকচারিং খাতে দক্ষ শ্রমিকের অভাব মেটানোর উপায় নিয়ে চাকরিদাতা, নীতি-নির্ধারক ও শিক্ষবিদদের আলোচনার জন্য একটি ফোরাম হিসাবে ‘স্কিল ল্যাব’ বা ‘দক্ষতা গবেষণাগার’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। সিএমইর প্রেসিডেন্ট এবং সিইও জেসন মাইয়ের বলেন, কানাডার ম্যানুফেকচারারদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেরই শ্রমিকের অভাব রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘ম্যানুফেকচারারদের জন্য দক্ষ শ্রমিকের অভাবজনিত চ্যালেঞ্জ চরম আকার ধারণ করেছে। ৫০% এরও বেশি কোম্পানি বলছে, তাদের ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য যে ধরণের দক্ষতাসম্পন্ন লোক দরকার তেমন লোক তারা পাচ্ছে না। এই সমস্যার মোকাবিলা করা এককভাবে সরকারের পক্ষে যেমন সম্ভব নয় তেমনইভাবে ব্যবসায়ীদের পক্ষেও এর মোকাবিলা করা অসম্ভব। এজন্য দরকার অংশীদারিত্ব।’’

কেনির ঘোষণা এলো তার জার্মাানি সফরের প্রায় একমাস পর। তিনি জার্মানী সফর করেন সেদেশের তরুণদের জন্য কঠোর শিক্ষানবিসি কর্মসূচি (ধঢ়ঢ়ৎবহঃরপবংযরঢ় ঢ়ৎড়মৎধসং) সম্পর্কে জানার জন্য। অবশ্য সমালোচকরা বলছেন, শিশু ও তরুণদেরকে তাদের পছন্দমত পেশা বেছে নেয়ার পথ উন্মোচন করে দেয়ার পরিবর্তে তাদেরকে কারিগরি পেশার দিকে ঠেলে দেয়ার জার্মান নীতি খুবই কঠোর। -টরন্টো সান