টরন্টোতে বর্ণিল সাজে উদযাপিত হলো বৈশাখী উৎসব ২০২৪
এপ্রিল ১৬, ২০১৭
প্রবাসী কণ্ঠ : জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাতে নিন্দা জানিয়ে টরন্টোতে উদযাপিত হলো বর্ণিল সাজে বৈশাখী উৎসব ২০২৪। উৎসবে অংশ নেন তিন সহস্রাধিক প্রবাসী বাঙ্গালী। মূলধারার রাজনীতিকদের কয়েকজনও উপস্থিত ছিলেন বাঙ্গালী অধ্যুষিত ড্যানফোর্থের এই বৈশাখী উৎসবে।
গত ১৫ এপ্রিল দুপুরে বৈশাখী উৎসব শুরু হয় ড্যানফোর্থ এভিনিউতে মঙ্গল শোভাযাত্রার যাত্রার মাধ্যমে। বৈশাখী উৎসবে অংশ নেয়া মহিলাদের লাল-সাদা শাড়ি, কপালে লাল টিপ, খোপায় নানা রঙ এর ফুল আর পুরুষদের লাল, সাদা ও গেরুয়া রঙ সহ নানা বর্ণের পাঞ্জাবী উৎসবকে করে তুলেছিল আরো বেশী রংধনুময়। মঙ্গল শোভাযাত্রায় নানা রঙ এর পোষাক পরা শিশুদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মত। শোভাযাত্রায় মূলধারার রাজনীতিকদের মধ্যে অংশ নেন বিচেস ইস্ট ইয়র্ক রাইডিং এর এমপি ন্যাথানিয়েল স্মিথ, কাউন্সিলর জেনেট ডেভিস, সাবেক লিবারেল এমপি ও মন্ত্রী মারিয়া মিন্না।
মঙ্গল শোভা যাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে হাতে ছিল বাংলার লোকজ সংস্কৃতির নানা প্রতীকের ব্যানার ও ফেস্টুন। ছিল মুখোশ। সেই সাথে ছিল ঢাকের বাদ্যের তালে তালে নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশনা।
উল্লেখ্য যে, এবারই প্রথম ড্যানফোর্থে সম্মিলিতভাবে অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শুধু তাই নয়, মঙ্গল শোভাযাত্রা এবারই প্রথম ড্যানফোর্থের ফুটপাথ থেকে নেমে আসে মূল রাস্তায়।
মঙ্গল শোভা যাত্রা শেষ হওয়ার পর ড্যানফোর্থের ঘরোয়া রেস্টুরেন্ট এর পার্কিং লটে শুরু হয় বৈশাখীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এখানে পার্শ্ববর্তী দেয়ালে প্রবাসী বাংলাদেশী চিত্র শিল্পীগণ আগে থেকেই অংকন করে রেখেছিলেন বাংলার লোকজ সংস্কৃতির সুদৃশ্য দেয়ালচিত্র। ভূমিতেও তারা একেছিলেন দৃষ্টিনন্দন আলপনা। পুরো অনুষ্ঠানটিকে এই দেয়ালচিত্র ও আলপনা একটি আলাদা বাংলাদেশী দ্যোতনা এনে দেয়।
বৈশাখীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী শিল্পীদের সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনা ছিল বেশ উপভোগ্য। দুপুরের পর আবহাওয়া ছিল খুবই চমৎকার। প্রায় সামারের আবহাওয়া। ফলে সকলেই ছিলেন বেশ খোশ মেজাজে এবং অনুষ্ঠান উপভোগে কোন ব্যাঘাত ঘটেনি যা বছরের এই সময়টাতে প্রায়শই ঘটে থাকে টরন্টোতে শীতের কারণে।
ড্যানফোর্থে বৈশাখী উৎসব চলে রাত পর্যন্ত। এই সময় আশপাশের বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টগুলোতেও ছিল উপচে পড়া ভীড়। ইলিশ, পান্তা ও নানাপদের শুটকী ভর্তা ছিল দিনের স্পেশাল মেন্যুতে।