রব ফোর্ড : আলোচিত সমালোচিত ও নিন্দিত এক মেয়রের নাম


খুরশিদ আলম
টরন্টোর ইতিহাসে সর্বাধিক আলোচিত সমালোচিত এবং নিন্দিত এক মেয়রের নাম রব ফোর্ড। তার আগে আরো ৬৩জন মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন এই শহরটিতে। কিন্তু তার মতো এত বিতর্কিত মেয়র আর কেউ ছিলেন না। এমনকি ইতিপূর্বে পরপর দুইবার নির্বাচিত মেয়র মেল লাস্টম্যানের (জানুয়ারী ১৯৯৮- নভেম্বর ২০০৩) পরকীয়া ও অবৈধ সন্তান কেলেংকারী ঘটনাও মলিন হয়ে গেছে রব ফোর্ডের কান্ডকীর্তির কাছে।
মেয়র রব ফোর্ড ক্ষমতায় আসেন ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে। গত তিন বছরে নানারকম বিতর্কের জন্ম দিয়ে সর্বাধিক আলোচিত ব্যক্তি হিসেবে মিডিয়ায় স্থান করে নিয়েছেন তিনি। বছরের সেরা আলোচিত ব্যক্তি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কানাডার প্রভাবশালী নিউজ এজেন্সি ‘কুইবেকর মিডিয়া ইনক. (ছগও) কর্তৃক। অন্য আরেক জরীপে দেখা গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপারকে যেখান মাত্র শতকরা ১৮ জন চিনেন, সেখানে টরন্টোর মেয়র রব ফোর্ডকে চিনেন শতকরা ৫০ জন। তবে ফোর্ডের এই পরিচিতি তার অপকর্মের কারণে। আর এই অপকর্মের কারণে আসলে পৃথিবীর অনেক দেশের লোকেরাই এখন মেয়র ফোর্ডকে চিনেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব কমেডি শোতে টরন্টোর মেয়র এখন হট টপিকস। তাকে নিয়ে সবাই হাঁসাহাঁসি করছেন। আর এতে করে সুনাম নষ্ট হচ্ছে টরন্টোর।
মেয়র ফোর্ড ব্যাপকভাবে সমালোচিত, বিতর্কিত ও নিন্দিত হয়েছেন তার কিছু ভাঁড়ামীসূলভ কর্মকান্ডের জন্য। টরন্টোর মত এমন একটি নামিদামী ও অভিজাত শহরের মেয়র হয়ে তিনি বিগত তিন বছরে অবৈধ ড্রাগসেবন, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, গাড়ি চালানোর সময় সেলফোন ব্যবহার করার মতো অনেক অপরাধমূলক ঘটনা ঘটিয়েছেন। জনসমক্ষে মাতলামী, নারী কেলেংকারী ও ক্ষমতার অপব্যবহার করার মত অনেক চমকপ্রদ ঘটনারও জন্ম দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরও টরন্টোর মেয়র হিসেবে তিনি এখনো টিকে আছেন। কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট এর এক মামলায় একবার তিনি মেয়রের পদ হারাতে বসেছিলেন। তবে তার ভাগ্য ভাল, সে যাত্রায় তিনি টিকে যান।
মেয়র রব ফোর্ডের ক্ষমতার মেয়াদ এ বছরই শেষ হয়ে যাবে। আগামী অক্টোবর মাসে টরন্টোতে মেয়র ইলেকশন। গত ২রা জানুয়ারী তিনি দ্বিতীয়মেয়াদে নির্বাচন করার জন্য নামও রেজিস্ট্রি করিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তিনি কি এত কান্ডকীর্তির পরও আবার নির্বাচত হবেন? টরন্টোবাসী কি তার মতো একজন ভাঁড়কে আবারো নির্বাচিত করবে? তার বিরুদ্ধে বউ পেটানোর অভিযোগও রয়েছে বলে শুনা যায়। কদিন আগে টরন্টোর ডাউনটাউনের ইউনিভারসিটি এ্যাভিনিউতে কে বা কার পোস্টারিং করেছে এই বলে যে, “ডরভব-নবধঃরহম ৎধপরংঃ ফৎঁহশ ভড়ৎ গধুড়ৎ!”
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কানাডার প্রথমসারির দৈনিক এষড়ন ্ গধরষ পত্রিকায় মেয়র ফোর্ডের পরিবার সম্পর্কে বিশাল এক নিউজ স্টোরী প্রকাশ করে গত বছর মে মাসে যেখানে বলা হয় তার ভাই র্যান্ডি, বোন ক্যাথি এবং আরেক ভাই ডগ ফোর্ড অতীতে ড্রাগ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ডগ ফোর্ড বর্তমানে টরন্টো সিটির কাউন্সিলর। আশির দশকে টরন্টোর ইটবিকোক এলাকায় তিনি গাঁজা বিক্রি করতেন। র্যান্ডি একবার ড্রাগ রিলেটেড এক কিডন্যাপ ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন। বোন ক্যাথি ড্রাগ রিলেটেড গান ভায়োলেন্সের শিকার হয়েছিলেন।
এই পরিবারেরই আরেক সদস্য রব ফোর্ড টরন্টোর মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরও ড্রাগ সেবন করে ইতিমধ্যে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। আর মদ্যপান ছেড়ে দিবেন বলে একাধিকবার জনসমক্ষে প্রতিজ্ঞা করেও এখনো তা ছাড়তে পারেন নি। টরন্টোর বিভিন্ন পাবলিক গ্যাদারিং এ একাধিকবার মদ্যপানের পর মাতলামী করে নিউজের শিরোনাম হয়েছেন। গত সপ্তাহে টরন্টোর এক রেস্টুরেন্টে বসে মদ্যপান করে বদ্ধ মাতাল হয়ে পড়েছিলেন তিনি। রেস্টুরেন্টে বসে তার প্রাইভেট সময়ে তিনি মাতাল হলেন কি হলেন না তা ভাবনার বিষয় নয়। ভাবনার বিষয় হলো, শহরের কুখ্যাত একজন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ঐ রেস্টুরেন্টে বসে তিনি খোশ গল্প করছিলেন। ওই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন আছে এবং টরন্টো পুলিশ তার বিরুদ্ধে আনা বেশ কিছু অভিযোগ তদন্ত করছে। মেয়র ফোর্ড ঐ আড্ডায় মদ্যপ হয়ে টরন্টোর পুলিশ প্রধানকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করেন। না, পুলিশ প্রধান তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। তবে এই পুলিশ প্রধানের কাছে মেয়র রব ফোর্ডের ড্রাগ কেলেংকারীর ভিডিউটি রয়েছে।
মেয়রের কান্ডকীর্তির কারণে তার সাথে মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় তার চীফ অব স্টাফ মার্ক টওহিকে চাকরীচ্যূত করেন তিনি গত বছর মে মাসে। একই কারণে আরো বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। টরন্টো ট্রানজিট কমিশনের জেনারেল ম্যানেজারকেও চাকরীচ্যূত হতে হয়েছে মেয়র রব ফোর্ডের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেওয়ায়।
গত বছর ফেব্র“য়ারীতে কানাডার সেনাবাহিনীর একটি অনুষ্ঠান থেকে মেয়র ফোর্ডকে চলে যেতে বলা হয়েছিল। কারণ তিনি অতিরিক্ত মদ্যপান করে বেসামাল হয়ে পড়েছিলেন। পরের মাসে আরেকটি অনুষ্ঠানে তিনি এক মহিলার নিতম্বে হাত চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। ঐ মহিলার নাম সারা থমসন। তিনি ওইমেন পোস্ট এর প্রকাশক এবং গত মেয়র নির্বাচনে ফোর্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। সারা থমসন অভিযোগ করেন যে, মেয়র ঐ সময় সম্ভবত কোকেন সেবন করে বেসামল অবস্থায় ছিলেন। মেয়র অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
গত বছর এপ্রিল মাসের ২০ তারিখে খোয়া যায় তার সেলফোন। কিন্তু সেটি সমস্যা নয়। সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছিল যখন এটি একজন ড্রাগডিলারের কাছে পাওয়া যায়। ঐ ড্রাগ ডিলারের নাম লিবান সিয়াদ। পুলিশ রিপোর্টে দেখা যায় ঐ রাতে তিনি প্রচুর মদ ও ড্রাগ সেবন করেন টরন্টোর ১৫ উইন্ডসর রোডের একটি বাসায়। ঐ বাসার সামনে তোলা এক ছবিতে ফোর্ডকে দেখা গেছে কয়েকজন মাদকসেবীর সঙ্গে।
ফোর্ড এর ড্রাগ কেলেংকারীর ভিডিও নিয়ে টরন্টোতে যত ঝড়ই উঠুক, শুরু থেকেই তিনি এ ভিডিওর অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছিলেন। গতবছর মে মাসে তিনি আনুষ্ঠানিক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে সবাইকে জানালেন যে, তিনি মাদক সেবন করেন না এবং তিনি মাদকাশক্তও নন। যে ভিডিওতে তাকে মাদক গ্রহন করতে দেখা গেছে বলে বিভিন্ন মহল দাবী করে আসছে, সেটি সম্পর্কে তিনি বলেন, যে ভিডিওর অস্তিত্ব নেই এবং আমি যা দেখিনি সে সম্পর্কে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না।
উল্লেখ্য যে, পুলিশ পরবর্তীতে সেই ভিডিওটি উদ্ধর করে। তবে জনসমক্ষে তা প্রকাশ করা হয়নি এবং এতে কি আছ তাও সরাসরি পুলিশ প্রশাসন থেকে বলা হয়নি। অবশ্য টরন্টো পুলিশ প্রধান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনি ভিডিওটি দেখেছেন এবং মেয়র রব ফোর্ডকেও তিনি ঐ ভিডিওতে দেখেছেন। তিনি একথাও বলেন যে, ভিডিওটি দেখে তিনি হতাশ হয়েছেন। পুলিশ প্রধানের এই বক্তব্যের পর ফোর্ড ক্ষেপে গিয়ে তাকে পদত্যাগের কথা বলেছিলেন।
মেয়র ফোর্ডের মাদক কেলেংকারীর ঘটনা ওখানেই থেমে থাকেনি। অক্টোবর মাসে মেয়র ফোর্ডের এক বন্ধু লিসি ড্রাগ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে ধরা পড়েন পুলিশের হাতে। বিষয়টি যখন সাংবাদিকরা মেয়রের কাছে জানতে চান তখন তিনি স্বীকার করেন লিসি তার বন্ধু। তবে তিনি দাবী করেন যে, লিসি একজন ভালমানুষ।
অনেক চাপের পর মেয়র ফোর্ড অবশ্য অবশেষে স্বীকার করেছেন যে, তিনি ড্রাগ সেবন করেছেন। অনেকে তখন ধারণা করেছিলেন তিনি পদত্যাগ করবেন। টরন্টোর বিভিন্ন পত্রিকাগুলোও তাকে পদত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি। বরং প্রতিবাদী হয়ে উঠেন এবং বলেন, টরন্টোর জনগন তাকে নির্বাচিত করেছেন। তাই তিনি এই পদে থাকবেন এবং যে জন্য তাকে নির্বাচিত করা হয়েছে সে কাজ তিনি করে যাবেন। তিনি আরো বলেন, তিনি মেয়র পদে থাকবেন কি থাকবেন না তা জনগণ সিদ্ধান্ত নিবেন আগামী মেয়র নির্বাচনের সময়।
সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ বছর অক্টোবর মাসে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, ফোর্ড দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচন করার জন্য নামও রেজিস্ট্রি করিয়েছেন। এখন প্রশ্ন হলো, টরন্টোর জনগণ কি এই মদ্যপ, ড্রাগ সেবনকারী, ট্রাফিক আইনভঙ্গকারী ও দফায় দফায় মিথ্যা কথা বলা এক ব্যক্তিকে আবারো টরন্টোর মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করবেন? টরন্টোর জনগন কি এমন একজনকে পুনরায় নির্বাচিত করবেন যার বিরুদ্ধে বৌ পিটানোর অভিযোগও উঠেছে এবং তিনি বর্ণবাদী এরকম অভিযোগ এনে টরন্টোতে পোস্টারিংও হয়েছে?
আজকে এরকম একজন ভাঁড়সম মেয়রের কারণে টরন্টোর সুনাম ও আভিজাত্য ভূলুন্ঠিত হবার উপক্রম হয়েছে। লোকজন তাকে নিয়ে হাঁসি-তামাশা করছেন। শুধু কানাডাতেই নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও তাকে নিয়ে হাঁসি-তামাশার শেষ নেই। কিন্তু তারপরও রব ফোর্ডের হুশ নেই। নেই নিজেকে শুধরাবার কোন চেষ্টা। উল্টো এখনো একের পর এক ঘটনার জন্ম দিচ্ছেন যা নিয়ে লোকজনের আলোচনা সামলোচনা ও ধিক্কারের শেষ নেই।
মেয়র ফোর্ড এমন এক ব্যক্তি যিনি নিজের উপর নিজেই আস্থা রাখতে পারেন না। এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে, নিজের উপর যার নিজেরই আস্থা নেই, সেই লোকের উপর নগরবাসী কি করে আস্থা রাখবেন?
উল্লেখ্য যে,টরন্টোর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সময়ের জরীপ রিপোর্টে দেখা যায় অধিকাংশ নগরবাসীই বর্তমান মেয়রকে আর চাচ্ছে না। গত নভেম্বরে ওঢ়ংড়ং জবরফ পরিচালিত এক জরীপে দেখা যায়, নগরবাসী আগামী নির্বাচনে ফোর্ডের বদলে অলিভিয়া চাউকে ভোট দিবেন বেশী। অন্যান্য জরীপেও দেখা গেছে অলিভিয়া চাউ নির্বাচনে অংশ নিলে অন্যান্যদেরকে পিছনে ফেলে ফ্রন্টরানার হিসেবে অনেক এগিয়ে যাবেন। অলিভিয়া চাউ হলেন এনডিপি’র প্রয়াত নেতা জ্যাক ল্যাটনের স্ত্রী ও বর্তমান পার্লামেন্ট মেম্বার। ইতিপূর্বে তিনি টরন্টোর সিটি কাউন্সিলরও ছিলেন। ঐ জরীপে দেখা যায় শতকরা ৩৬ ভাগ অলিভিয়া চাউকে ভোট দিবেন। আর ফোর্ডকে ভোট দিবেন শতকরা ২০ ভাগ।
টরন্টোর আগামী মেয়র নির্বাচনে এ পর্যন্ত যারা নাম নিবন্ধন করিয়েছেন তারা হলেন, বর্তমান মেয়র রব ফোর্ড, সাবেক কাউন্সিলর ডেভিড সোকনাককি। টরন্টো ট্রানজিট কমিশনের চেয়াম্যান কারেন স্টিন্জ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে এখনো নাম নিবন্ধন করাননি।
অন্যদিকে অলিভিয়া এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেননি যে, তিনি আগামী মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন
কি করবেন না। তবে এ কথাও তিনি জানিয়েছেন যে, নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি সিরিয়াসলী ভাবছেন।
মোটকথা, টরন্টোসহ কানাডার অন্যান্য অঞ্চলের লোকজন এবং অন্যান্য দেশের লোকজন তাকে নিয়ে যতই হাস্যরসে মেতে উঠুক – বিষয়টি কিন্তু আসলে হাস্যরসের নয়। খুবই গুরুতর একটি বিষয় এটি।
টরন্টোর মতো একটি অভিজাত শহরের মেয়র এভাবে একের পর অপকর্ম করে বেড়াবেন এবং তারপরও তিনি রেহাই পেয়ে যাবেন তা কি করে সম্ভব? আর সেই অপকর্মকারী কি করে মেয়র হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার স্বপ্ন দেখন তারও কোন হিসেব মিলেনা। মেয়র যদি একের পর এক অপকর্ম করে বেড়ান এবং সারাক্ষণ এই হাস্যকৌতুকের জন্ম দিতে ব্যস্ত থাকেন, তা হলে তিনি যে কাজের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন সে কাজ কখন করবেন?
মেয়র বর ফোর্ড যদি ড্রাগসেবনকারী হন, তিনি যদি মদ্যপ অবস্থায় বেসামল কান্ডকীর্তি করে বেড়ান তবে তার চিকিৎসা দরকার। ড্রাগ সেবনকারীরাতো স্বাভাবিক অবস্থার মানুষ নন। এরকম একজন ব্যক্তি যদি টরন্টোর মেয়র তথা নগরপিতা হন তবে সেই নগরের বাসিন্দারা কতটুকু নিরাপদ?
Ñ খুরশিদ আলম, সম্পাদক ও প্রকাশক , প্রবাসী কন্ঠ।

ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৪