উচ্চ-প্রোটিনযুক্ত খাবারের ঝুঁকি
প্রবাসী কন্ঠ ডেস্ক : মধ্যবয়সে উচ্চ-প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেলে অকালেই ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসে মারা যাওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যেতে পারে। এমনটিই বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
‘হাফিংটন পোস্ট’ পত্রিকা বলছে, দু’দশক ধরে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ৬ হাজার ৩১৮ জনের ওপর গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। দেখা গেছে, যারা উচ্চ প্রাণীজ প্রোটিন খান, নিয়মিত ধূমপায়ীদের মতো তাদেরও ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকি বেশি। প্রাণীজ প্রোটিন জাতীয় খাবারের মধ্যে আছে মাংস, পনির, দুধ এবং ডিম।
অন্য কোনো কারণের চেয়ে কেবলমাত্র প্রাণীজ প্রোটিন গ্রহণেই মৃত্যুঝুঁকি ৭৪ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা গেছে গবেষণায়। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের খাবারে ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট পরিমিত পর্যায়ে রাখার পরও উচ্চ প্রাণীজ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে শিম, মটরশুঁটি কিংবা বাদামের মতো উচ্চ উদ্ভিজ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার প্রাণীজ প্রোটিনের মতো স্বাস্থ্যে অতটা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেনি।
গবেষক এইলিন ক্রিমিনস বলেন, “গবেষণা থেকে এটাই দেখা গেছে যে, মধ্যবয়সে কম-প্রোটিনযুক্ত খাবার আইজিএফ-ওয়ান হরমোন এবং খুব সম্ভবত ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধে এবং সর্বপোরি অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হয়”।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, ৬৫ বছর বয়সের পর আইজিএফ-ওয়ান এর মাত্রা আপনা থেকেই নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাওয়ায় ওই বয়সে উচ্চ-প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ৬৫ বছরের বেশি বয়সের মানুষেরা উচ্চ কিংবা মাঝারি-প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেলে তাদের ক্রনিক কোনো অসুস্থতায় ভোগার ঝুঁকি কমে।