সমাজপ্রগতির অগ্রসৈনিক গোপেশ মালাকারের মৃত্যুতে কানাডা পিডিআই-এর শোক

অখিল সাহা, ১৯ এপ্রিল, ২০২৩ : উপমহাদেশের সমাজপ্রগতির আন্দোলনের অগ্রসৈনিক সংগ্রামী রাজনীতিবিদ লেখক, শিল্পী ও শিক্ষক গোপেশ মালাকার গত ১৯শে এপ্রিল বুধবার (২০২৩) ৯৫ বছর বয়সে টরন্টোর নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন। কানাডা প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক উদ্যোগ (পিডিআই)-এর এক বিবৃতিতে যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল মালিক এবং বিদ্যুৎরঞ্জন দে আজীবন সংগ্রামী প্রাজ্ঞ এই বিশিষ্ট রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যুতে গভীর শোক এবং সমবেদনা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, আজীবন সহজ-সরল এই মানবতাবাদী ব্যক্তিত্ত্বের মৃত্যু জাতির জন্য অপুরনীয় ক্ষতি। বর্তমানে দেশের লুটপাট-ক্ষমতাদখলের অগণতান্ত্রিক সর্বনাশা রাজনীতির মধ্যে সাধারণ শ্রমজীবি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার মত রাজনীতিবিদের অভাব কখনোই পুরণ হবার নয়। তিনি বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক। তাঁরা নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁর মানবতাবাদী বিপ্লবী আদর্শের অনুসরণ করার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য প্রগতিশীল রাজনীতির এই বরেণ্য ব্যক্তিত্ত্ব ১৯২৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ছাতকে জন্মগ্রহণ করেন। অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশুনাকালেই তিনি বৃটিশ বিরোধী কৃষক আন্দোলনে যোগ এবং কারাবরণ করেন। অবিভক্ত পুর্ববঙ্গে ১৯৩৪ সালে প্রথম কমিউনিষ্ট পার্টি গঠনকালে ছাত্রাবস্থায় বাম রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন এবং আজীবন সেই আদর্শ ধারণ করেন। বৃটিশ আমল থেকে শুরু করে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত তিনি জেল খেটেছেন। কারাগারে থেকেই তিনি মাষ্টারস্ ডিগ্রি পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকালে চারুকলা ইনষ্টিটিউটে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের সহকর্মী হিসাবে কাজ করেছেন। নতুন প্রজন্মের অনুকরণীয় জীবনের অধিকারী অবিস্মরনীয় এই বিপ্লবী ব্যক্তিত্ত্ব এ যাবত ৪২টি বই লিখে গিয়েছেন। মৃত্যুকালে তার দুই সন্তানের একজন সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এবং আরেকজন কানাডা প্রবাসী। (ছবি: বিশিষ্ট লেখক তাজুল মোহাম্মদের ”গোপেশ মালাকার তাঁর জীবন ও সময়” গ্রন্থের প্রচ্ছদ।)