টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন জরিপ: ভগ্নস্বাস্থ্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে অশ্বেতাঙ্গদের মধ্যে দ্বিগুণ
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক॥ ১২ মার্চ, ২০২২ : নতুন এক জরিপ রিপোর্টে দেখা গেছে, শ্বেতাঙ্গ শিক্ষার্থীদের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি সংখ্যক অশ্বেতাঙ্গ শিক্ষার্থী নিজের সার্বিক স্বাস্থ্যের অবস্থা দুর্বল বলে মনে করে। খবর টরন্টো স্টারের। রিপোর্ট করেছন অ্যাঞ্জেলিন ফ্রান্সিস।
ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর গবেষকরা ২০১৭ -১৮র মধ্যে বিভিন্ন অনুষদের ১,২৫০ জন শিক্ষার্থীর ওপর জরিপ চালান। তারা অন্যান্য প্রশ্নের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরকে তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে সাধারণ মূল্যায়ন করতে বলেন।
অশ্বেতাঙ্গ শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ক নিজস্ব মূল্যায়নে “লক্ষ্যণীয় পার্থক্য” দেখা গেছে। শ্বেতাঙ্গ/ককেসীয় হিসাবে পরিচয় দেওয়া শিক্ষার্থীদের তুলনায় সার্বিকভাবে অশ্বেতাঙ্গদের ২.৪৩ গুণ বেশি শিক্ষার্থী নিজের সাধারণ স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ বলে জানায়।
সবচেয়ে বেশি যারা স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ বলে জানিয়েছে তারা হলো এশীয় ও দক্ষিণ এশীয় শিক্ষার্থী। তাদের যথাক্রমে ২.৭৭ এবং ২.৫২ গুণ বেশি শিক্ষার্থী খারাপ স্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ করে।
অ্যাশলে লাউ এবং জ্যাকুলিন এল. বেন্ডার-এর সঙ্গে রিপোর্ট প্রণয়নে নেতৃত্ব দেয়া জনস্বাস্থ্য বিষয়ের অধ্যাপক অনন্যা টিনা ব্যানার্জি বলেন, “আমি সত্যি বিশ্বাস করি যে, টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যে ফলাফল পেয়েছি তা কানাডার সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই সত্য হতে পারে।”
রিপোর্টে বলা হয়, সাধারণ স্বাস্থ্য বিষয়ক রিপোর্ট সবকিছুর সঙ্গে জড়িত এবং দেখা গেছে যে মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গেও এর উল্লেখযোগ্য সংযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, “আমি সব সময়ই দেখতে পাচ্ছি, আমাদের অশ্বেতাঙ্গ শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে এবং প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশে অনেকটাই ভোগান্তি পোহাচ্ছে। এসব বিষয়ের মধ্যে কয়েকটি হলো, ছোটখাটো আগ্রাসী প্রবণতা বা বৈষম্যমূলক আচরণ, মানসিক স্বাস্থ্য, আর্থিক সঙ্কট এবং ওএসপি বা শিক্ষাঋণ। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এসব বিষয় তিনি জানতে পেরেছেন।
পিএইচডির শিক্ষার্থী ইয়াসমিন শেকখান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সব শিক্ষার্থীর কাছেই চাপের অভিজ্ঞতা, তবে অশ্বেতাঙ্গ শিক্ষার্থীদেরকে ভর্ৎসনা ও বৈষম্যের মত নানা অভিনব চাপের মোকাবেলা করতে হয়।
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ে অধ্যয়নরত শেকখান বলেন, “আমার মনে হয়, এসব প্রতিষ্ঠানের কিছু দায়িত্ব আছে অশ্বেতাঙ্গ শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সমতার বিষয়ে সংলাপ আরও এগিয়ে নেয়ার এবং তাদেরকে মদদ দেয়ার।”
তিনি আরও বলেন, তার অভিজ্ঞতা হলো, কোনও সঙ্কটে বিশ্ববিদ্যালয় শুভ উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসে কিন্তু সঙ্কট রোধের বিষয়ে মনোযোগ দেয়াই হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।