আদালতে লড়াই করে ১৬ হাজার ডলার পেলেন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : ব্রাম্পটনের একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁর সঙ্গে শ্রমবিরোধের বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশ করার পর তার বকেয়া পাওনা ১৬ হাজার ডলারের বেশি অর্থ পেয়েছেন। খবর সিবিসি নউজের। রিপোর্ট করেছন ন্যাভ নানওয়া।
গত ফেব্রুয়ারিতে ২২ বছর বয়সী সতীন্দর কাউর গ্রেওয়ালের লড়াইয়ের বিষয়ে প্রথম রিপোর্ট প্রকাশ করে সিবিসি নিউজ যখন তিনি
তার সাবেক চাকরিদাতা চ্যাট হাট-এর বিরুদ্ধে অন্টারিওর শ্রম মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেওয়াল বলেন, রেস্তোরাঁ মালিকরা তাকে নগদ অর্থে বেতন দিতেন এবং ওভারটাইমের বিধি লংঘন করে ছয় মাস সময়ের মধ্যে ১৮ হাজার ডলারের বেশি পাওনা অর্থ চুরি করেছেন। এতে তিনি ভেঙ্গে পড়েন এবং ভয়ানক বিষন্নতায় আক্রান্ত হন।
সিবিসি নিউজকে এক ইমেল বার্তায় গ্রেওয়াল বলেন, “বকেয়া বেতন পাবার পর এটি আমার জীবন সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে।” তিনি বলেন, “যখন আমি চ্যাট হাটে কাজ করতাম তখন সেটি ছিল আমার জন্য খুবই বিষাদের সময়, কারণ আমি আমার পুরো জীবন দিয়ে তাদের কাজ করেছি।”
মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ২৩ ডিসেম্বর ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং অভিযোগের যথার্থতা খুঁজে পায়। কিন্তু তদন্তের সময় মন্ত্রণালয় নিশ্চিত হয় যে, চ্যাট হাট বিরোধ নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং গ্রেওয়ালকে তার প্রাপ্য ১৬,৪৯৫.২৯ ডলার পরিশোধ করেছে।
গ্রেওয়াল বলেন, “আমি এই শিক্ষা অর্জন করেছি যে, যখন জীবনে খারাপ কিছু ঘটে তখন রুখে দাঁড়াতে এবং নিজের কণ্ঠস্বর উচ্চকিত করতে হবে।”
প্রাথমিক রিপোর্টের বিষয়ে চ্যাট হাট কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। পরে গ্রেওয়ালের সঙ্গে নিষ্পত্তি করার বিষয়েও তারা সিবিসি নিউজের কাছে কোনও মন্তব্য করেননি।
গ্রেওয়াল হলেন অনেক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন যারা এখানকার বৃহৎ দক্ষিণ এশীয় কমিউনিটির কারণে ব্রাম্পটনে আসতে উদ্বুদ্ধ হন। তারা প্রায়শ এখানকার ছোটখাট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন কাজ জুটিয়ে নেন। তবে শিক্ষার্থীদের পক্ষের প্রবক্তারা বলেন, এসব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্বল্প মুনাফা অর্জন করে বলে তাদের কর্মচারীদের সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকে।