কানাডায় ইমিগ্রেশন আবেদন প্রক্রিয়াকরণে বিলম্ব
দেশে-বিদেশে বহু মানুষ আটকে আছে
প্রায় ১৮ লাখ ইমিগ্রেশনপ্রত্যাশীর আবেদন এখনও প্রক্রিয়াকরণের বাইরে
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : ইমিগ্রেশন পদ্ধতি নিয়ে কানাডা যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে সে অনুযায়ী তার পারমানেন্ট রেসিডেন্সির (পিআর) আবেদন প্রক্রিয়াকরণের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে হয়রান হয়ে পড়েছেন দীপক তালবর।
কানাডার ইমিগ্রেশন, উদ্বাস্তু ও নাগরিকত্ব দপ্তরে (IRCC) অনলাইন ফরম, ই-মেল ও কল দিয়ে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে যোগাযোগ করার পর তিনি বলেন, ওই দপ্তরের কাছ থেকে তিনি এখনও কেবল গদবাঁধা জবাবই পাচ্ছেন।
তালবর ২০১৭ সালে ভারতের নয়াদিল্লিতে তার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায় ছেড়ে দেন, বাড়ি বিক্রি করেন এবং ইমিগ্রেন্ট হিসাবে কানাডার সাসকাচুনে চলে আসেন। ৫১ বছর বয়সী তালবর এ শহরে একটি আলমারি তৈরির ব্যবসার মালিক।
তিনি প্রভিন্সিয়াল নমিনি প্রোগ্রামের (PNP) আওতায় তার নিজের ও পরিবারের জন্য আরপি আবেদন জমা দেন। এটি হলো প্রাদেশিক সরকারের অভিবাসী বাছাইয়ের একটি কর্মসূচি।
কিন্তু ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত তার আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করা হয়নি। এখন তিনি তার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য দুঃখিত।
তিনি বলেন, ‘আমরা (ভারতে) বেশ স্বচ্ছন্দ জীবন যাপন করছিলাম। আরও ভালো জীবন অর্জনের জন্য আমিই সিদ্ধান্ত নিই কানাডায় আসার। এখন আমি রাতে ঘুমাতে পারি না। ভোর তিনটায় আমি জেগে উঠি, ভাবতে থাকি, এখন কী হবে।’
আইআরসিসি বলছে, চলমান কোভিড-১৯ মহামারির কারণে তাদের প্রক্রিয়াকরণে বিলম্ব হচ্ছে। কিন্তু এতে প্রায় দুই বছর চলে গেছে, বেশিরভাগ দপ্তরে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধ রয়েছে। অনেক আবেদনকারী সিবিসি নিউজকে বলেছেন, তাদের আবেদনের ভাগ্য সম্পর্কে জানার কোনও দৃশ্যমান উপায় না থাকায় তারা অস্থিরতায় আটকে আছেন বলে বোধ করছেন।
আইআরসিসি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত কানাডায় অন্তত ১৮ লাখ অভিবাসনের আবেদনপত্র প্রক্রিয়ার বাইরে রয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে:
– ১১২৩৯২টি শরাণার্থী হিসাবে আসার আবেদনপত্রসহ ৫৪৮,১৯৫ টি পারমানেন্ট রেসিডেন্সির আবেদন।
– ৭৭৫,৭৪১ টি অস্থায়ী রেসিডেন্সির আবেদন (শিক্ষার অনুমতি, ওয়ার্ক পারমিট, অস্থায়ী রেসিডেন্সির জন্য ভিসা এবং পর্যটকদের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন)।
– ৪৬৮,০০০ টি কানাডার নাগরিকত্বের আবেদন।
মহামারির আগে পিআর আবেদনপত্র প্রক্রিয়াকরণে সময় লাগতো গড়ে ছয় মাস।
তালবর জানান, তিনি যখন আবেদন করেন তখন আইআরসিসি ওয়েবসাইট বলেছিলো, তাকে সর্বোচ্চ ১৮ মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে। সেই ১৮ মাস এসে পেরিয়ে গেছে গত ২৩ এপ্রিল।
এই বিলম্বের অর্থ হলো, তালবর তার ব্যবসায় সম্প্রসারণ করতে পারবেন না কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত তার বড় মেয়েকে দেখতে যেতেও পারবেন না। সাসকাচুন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া তার ছোট মেয়ের জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের হিসাবে উচ্চ হারে ফি’ও দিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এমনকি গাড়ি কেনাও আমাদের জন্য কঠিন। এখানে লোকেরা গাড়ি কেনার জন্য ২.৯ শতাংশ হারে সুদ দেয়; কিন্তু অস্থায়ী আবাসন মর্যাদার কারণে আমাদেরকে দিতে হবে ৭.৯ শতাংশ হারে।’
এছাড়াও, তার পরিবারের সদস্যদের ভিসা নবায়নের জন্য তালবরকে বছরে পরিশোধ করতে হয় ১২,০০০ ডলার।
তিনি বলেন, ‘আইআরসিসিতে কল দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পর তারা জানায়, কমপিউটার কাজ করছে না অথবা সিস্টেম ডাউন। এমনকি এমপির সঙ্গে যোগাযোগ করেও কাজ হয় না।’
বৈষম্য আছে, অজুহাতের শেষ নেই
কানাডার ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া প্রায়শ অপ্রত্যাশিত ও স্বেচ্ছাধীন, বলেন রেজিনার একজন লাইসেন্সধারী ইমিগ্রেশন বিষয়ক উপদেষ্টা ক্যান্ডি হুই।
তিনি বলেন, ‘প্রক্রিয়াকরণের সময়টা একেবারেই বিক্ষিপ্ত এবং আইআরসিসির ওয়েবসাইটে যে সময় উল্লেখ করা হয় তা মোটেও নির্ভরযোগ্য নয়। এই বিলম্বের কারণে ইমিগ্রেন্টদের আদর্শ গন্তব্য হিসাবে কানাডার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।’
তিনি বলেন, এই বৈষম্য দক্ষিণ গোলার্ধের লোকেদের ক্ষেত্রে যেন বেশি ঘটে।
টরন্টোর ইমিগ্রেশন আইনজীবী লো জানসেন ড্যাংজালান বলেন, এমনকি আর্জেন্ট হিসাবে পেশ করা আবেদনও ‘বধির কানে’ পড়ে।
তিনি বলেন, আইআরসিসি তাদের বিলম্বের ন্যায্যতা দেয়ার জন্য অন্যায়ভাবে মহামারির অজুহাত দিচ্ছে। আর এখন দেখাচ্ছে আফগান সঙ্কটের অজুহাত। এই দপ্তরটি সম্প্রতি নাজুক পরিস্থিতিতে থাকা ২০,০০০ আফগানের বাড়তি আবেদন দ্রুত প্রক্রিয়াকরণে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ড্যাংজালান বলেন, ‘আপনি চিরদিন মহামারির পিঠে সওয়ার হতে পারেন না। প্রায় দুই বছরের মহামারিকালে এই অজুহাত শুনে মানুষ হয়রান হয়ে পড়েছে। এটি এখন মড়া ঘোড়া যার পিঠে তারা লাঠি মারতে চাচ্ছে।’
ড্যাংজালান বলেন, তার বিশ্বাস এই বিলম্বের কারণ প্রয়োজনীয় কর্মচারী ও সম্পদের অভাব, সেকেলে ইমিগ্রেশন অবকাঠামো ও প্রযুক্তি আর রাজনৈতিক সক্রিয়তার অনুপস্থিতি।
তিনি বলেন, ‘সরকার এমন এক ব্যবস্থা তৈরি করেছে যেখানে কেউ অফিসারদের সঙ্গে দেখা করতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না সে হাজার হাজার ডলার ব্যয়ে কোনও প্রতিনিধি ভাড়া করে। এটি খুবই অস্বচ্ছ ও অন্যায় ব্যবস্থা হয়ে উঠেছে।’
গত মে মাসে কানাডার ইনফরমেশন কমিশনার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন যাতে দেখা যায়, আইআরসিসি তথ্য-জানতে চেয়ে পেশ করা অনুরোধে প্লাবিত। এসব অনুরোধ করা হয়েছে শুধুই প্রত্যেকের অভিবাসন সম্পর্কিত ফাইলের পরিণতি জানার জন্য, কারণ তারা মনে করছে, এছাড়া তাদের হাতে সরাসরি সর্বশেষ অবস্থা জানার আর কোনও উপায় নেই।
২০১৯-২০ অর্থবছরে আইআরসিসি তথ্য জানার অনুরোধ পেয়েছে ১১৬,৯২৮ টিÑ যা আগের বছরে চেয়ে ৪২ শতাংশ বেশিÑ আর এসব অনুরোধের ৯৮.৯ শতাংশই হলো ইমিগ্রেশন সম্পর্কিত ফাইল নিয়ে।
ড্যাংজালান বলেন, কিন্তু, সরকার এই অচলাবস্থা নিরসনের জন্য এখন পর্যন্ত কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রকাশ করেনি।
এক ই-মেল বার্তায় আইআরসিসি বিলম্বের কথা স্বীকার করে বলেছে যে তারা প্রযুক্তিগত উন্নয়নে কাজ করছে এবং কর্মকাণ্ড ডিজিটাইজ করছে।
বিবৃতিতে দপ্তরটি জানায়, ‘ভ্রমণের ওপর চলমান আন্তর্জাতিক বিধি-নিষেধ, সীমান্তে বাধা, বিদেশে পরিচালন ব্যবস্থার সীমিত সক্ষমতা এবং কোভিড-১৯ এর প্রভাবে নথিপত্র সংগ্রহে গ্রাহকদের অপারগতা ইত্যাদি কারণে প্রক্রিয়াকরণের ধারাবাহিকতা ব্যাহত হচ্ছে। এটি আবেদন চূড়ান্তকরণের সক্ষমতায় বাধা সৃষ্টি করছে, বিলম্বিত করছে যা আইআরসিসির নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা জানি, কিছু আবেদনকারীকে তাদের আবেদন প্রক্রিয়াকরণে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে, তবে আমরা প্রক্রিয়াকরণের সময় কমিয়ে আনার জন্য যতটা সম্ভব কঠোর শ্রম দিয়ে চলেছি।’
স্টাডি পারমিট দিতেও বিলম্ব
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য স্টাডি পারমিটের আবেদনকারী বিদেশি শিক্ষার্থীরাও একইরকম বিলম্বের মুখোমুখি।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পিএইচডি পরীক্ষার্থী হাদী হোসেইনী ওনারি তার স্টাডি পারমিট পাবার আগে ২৭ মাস ধরে অপেক্ষার সময় ই-মেল ও ফোনে যোগাযোগ করে গেছেন। তিনি বলেন, অপেক্ষার ওই দীর্ঘ সময়ে ইরানের
তেহরানে তার জীবন হয়ে ওঠে স্থবির। এমন অনুভূত হচ্ছিলো যেন, ‘জীবনের তিনটি বছর নষ্ট হয়ে গেল, একটি স্বপ্ন প্রায় পরিত্যক্ত হলো।’
মেলিসা এনসানদোস্তও বলেন, তার স্বপ্ন যেন এক সুদূর বাস্তবতা। ইরানে দুই বছর ধরে অপেক্ষায় থেকেও তিনি এখনও স্টুডেন্ট ভিসা পাননি।
২০১৯ সালের শরতে তার আসার কথা ছিলো সাসকাচুন ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করতে। কিন্তু দুবার তার ভর্তিপ্রক্রিয়া স্থগিত করার পরও পারমিট পেতে বিলম্বের কারণে শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করতে হয়েছে।
৩৪ বছরের এই ছাত্রী বলেন, ‘আমি এই সুযোগের জন্য আবারও আবেদন করবো, কিন্তু তা হবে নিছক অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়ার মত।’
তিনি ইরানের প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থীকে ব্যক্তিগতভাবে জানেন বলে জানান যারা একই ধরণের বিলম্বের শিকার।
কানাডাজুড়েই বিলম্ব
অনেক ঘটনায় আবেদন প্রক্রিয়াকরণে বিলম্বের কারণে পরিবারগুলো বিচ্ছিন্ন থাকতে বাধ্য হয়।
সাসকাচুনের একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার কালাশ গেরা তার স্ত্রীকে ভারত থেকে নিয়ে আসার জন্য এক বছর আগে পিআর-এর জন্য আবেদন করেন। তিনি জানান, একটি বাড়ি কেনা ও সংসারজীবন শুরু করার তার পরিকল্পনা বিলম্বিত হচ্ছে।
গেরা বলেন, ‘আইআরসিসি বলে থাকে, তাদের অগ্রাধিকার হলো পরিবারের পুনরেকত্রীকরণ, কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে এক বছর হয়ে গেল। আমি ভারতে যেতেও পারছি না কারণ আমার ওয়ার্ক পারমিট মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে।’
গেরা বলেন, অনলাইনে পাঁচটি ফরম পূরণ করে জমা দেওয়া এবং কল করে দুই ঘণ্টার বেশি লাইনে অপেক্ষা করার পর শেষ পর্যন্ত লাইনটা শুধু কেটে দেয়া হয়েছে, তিনি এখনও আইআরসিসির কাছ থেকে এখনও কোনও জবাব পাননি।
২৮ বছর বয়সী গেরা পাঁচটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে চারটিই এখনও ঝুলে আছে। এগুলি হলো তার নিজের ও স্ত্রীর জন্য পিআর আবেদন, গেরার ওয়ার্ক ভিসা এবং স্ত্রীর ওয়ার্ক পারমিট ও ভিজিটরস ভিসার আবেদন।
তিনি বলেন, ‘আইআরসিসি সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, কেউ যদি ৭ সেপ্টেম্বরের পর নতুন ভিজিটরস ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে সেটি ১৪ থেকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে অনুমোদন দেওয়া হবে। অথচ সেই আবেদনটিও বিলম্বিত হচ্ছে।’
এখন গেরা তার স্ত্রীকে কানাডায় নিয়ে আসার জন্য ৩০,০০০ ডলার ব্যয় করার চিন্তা-ভাবনা করছেন বলে জানান। ভারতে ফিরে যাওয়া হবে তার জন্য শেষ উপায়।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করছি। আমার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। এটা সঙ্গত নয়। আমি এজন্যে নীতি-নির্ধারকদের দোষারোপ করি।’
আব্দুল হাফিজ রশিদ ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারে শহরের বাসিন্দা। তিনি তার পিআর-এর জন্য ২০২০ সালের পহেলা আগস্ট থেকে অপেক্ষা করছেন।
তিন সন্তানের জনক ৪০ বছর বয়সী রশিদ বলেন, ‘আমি পাঁচ বছর আগে শিক্ষার্থী হিসাবে এসেছি। আশা ছিলো শিগগিরই আমার পরিবারকে এখানে নিয়ে আসবো। কিন্তু অপেক্ষার কোনও শেষ হচ্ছে না।’ তিনি এসেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।
রশিদ চাকরি বদলাতেও পারছেন না। কারণ তার পিআর আবেদন কর্মসংস্থানভিত্তিক। পরিবার নিয়ে থাকার মত বড় বাড়িতে থাকার কারণে বিপুল ভাড়া গনার পাশাপাশি তাকে নিজের দেশে সন্তানদের পড়ালেখার জন্য অত্যধিক পরিমাণে ফি দিতে হচ্ছে।
‘আমি আমার সবচেয়ে ছোট বাচ্চাকে ফেলে এসেছিলাম যখন সে কেবল জন্ম নিয়েছে। এখন তার বয়স পাঁচ বছর অথচ সে তার বাবাকে সেভাবে দেখতেই পারেনি। আমি শুধু চাই আমার বাচ্চাদের জন্য একটি ভালো ভবিষ্যৎ তৈরি করে দিতে। কিন্তু ঘটনাবলি সেদিকে যাচ্ছে না।’
শার্লটিটাউনের বাসিন্দা আমানপ্রিত সিং পিআর দরখাস্ত জমা দেন গত বছরের ১৯ নভেম্বর। সে সময় ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছিলো তার আবেদন প্রক্রিয়াকরণে ছয় মাস লাগবে, কিন্তু এরই মধ্যে এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে।
শার্লটিটাউনে একইরকম পরিস্থিতিতে পড়ছেন এমন আরও প্রায় ২৫ জনকে তিনি চেনেন।
আমানপ্রিত স্টাডি পারমিট নিয়ে ২০১৭ সালের ১৪ আগস্ট ভারত থেকে কানাডায় আসেন। এর পর পরই তার বাবা মারা যান। এখন তার দাদা খুবই অসুস্থ। তিনি আমানকে দেখতে চান।
দাদাকে দেখতে যেতে না পারার বেদনা হৃদয় ভেঙ্গে দেয়। কিন্তু ২৪ বছরের আমানপ্রিত এই মুহূর্তে কানাডা ছাড়তে পারবেন না।
তিনি বলেন, ‘যেতে হলে আমাকে চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। যদি চাকরি ছেড়ে দিই তাহলে আমার পিআর আবেদনের আর যোগ্যতা থাকবে না।’ তিনি বলেন, ‘দাদা আমাকে শেষবারের মত দেখতে চান।’
-তথ্য সূত্র : প্রত্যুষ দয়াল – সিবিসি নিউজ