পিয়ারসনের অবস্থান উত্তর আমেরিকার বৃহৎ বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে নিচুতে
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : টরন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ‘জে. ডি. পাওয়ার’ এর সর্বশেষ গ্রাহক সন্তুষ্টির তালিকায় উত্তর আমেরিকায় বিমানের বৃহত্তর গন্তব্যগুলোর মধ্যে প্রায় তলানীর কাছাকাছি অবস্থান করছে। খবর দি কানাডিয়ান প্রেস এর।
বছরে অন্তত তিন কোটি ৩০ লাখ যাত্রী যাওয়া আসা করেন এমন বৃহৎ বিমানবন্দরগুলোর শ্রেণিতে ২০টির মধ্যে পিয়ারসন দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্থান পেয়েছে। জে. ডির এই ২০২১ সালের সমীক্ষা বুধবার প্রকাশ করা হয়।
জে. ডি. পাওয়ারের পর্যটন গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মাইকেল টাইলর বলেন, নির্দিষ্ট করে বললে, সুযোগ-সুবিধা ও মহামারীজনিত নীতির কারণে পিয়ারসনের বিষয়টি অপেক্ষাকৃত গৌনভাবে বিবেচনা করা হয়েছে।
“কোভিড সম্পর্কিত প্রক্রিয়া এজন্যে অনেকাংশে দায়ী, আর টার্মিনালের কিছু সুবিধার আরও মানোন্নয়নের দরকার আছে।”
তিনি বলেন, অপেক্ষার সময়, মালপত্র আনানেয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব এবং মহামারীর কারণে টার্মিনালে যত সংখ্যক লোককে ঢোকার অনুমতি দেয়া হয়েছে এই সবকিছুই তালিকায় অপেক্ষাকৃত নিম্ন অবস্থানের পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
“এই বছরটি ছিলো খুবই কঠিন। টরন্টোতে কোভিডজনিত বিধিনিষেধের কারণে বিমানবন্দর পরিচালনায় ভয়ানক চ্যালেঞ্জ ছিলো।”
বৃহত্তর টরন্টো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ( GTAA ) ব্যবস্থাপনাধীন এই বিমানবন্দরে বাড়তি পরীক্ষা নিরীক্ষা ও পরিদর্শনের প্রয়োজনে পুরো মহামারীকালেই অতিরিক্ত সময় অপেক্ষা করার সতর্কতা জারি ছিলো।
এ বিষয়ে মন্তব্য করতে বলা হলে জিটিএএ তাৎক্ষণিকভাবে কোনও সাড়া দেয়নি।
জে. ডি. পাওয়ার বলেছে, ২০২০ সালের আগস্ট থেকে ২০২১ এর জুলাই পর্যন্ত সমীক্ষা চলার প্রথমার্ধে সাধারণভাবে গ্রাহকদের দেয়া মান (রেটিং) বেশ উঁচুতেই ছিলো কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে যাত্রীসংখ্যা ও তাদের প্রত্যাশা বেড়ে যাবার পর তাদের দেয়া মানে ধস নামে।
জে. ডি. পাওয়ারের সমীক্ষায় পিয়ারসন নিম্নস্থান পেলেও চলতি বছরের শুরুর দিকে এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল এটিকে টানা চতুর্থ বছরের মত উত্তর আমেরিকার সেরা বৃহৎ বিমানবন্দরের পুরস্কার দেয়।