স্যার জন এ ম্যাকডোনাল্ডের ভাষ্কর্য দ্রুতই সরিয়ে ফেলা হলো শার্লটিটাউন কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের পর
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : প্রিন্স এ্যাডওয়ার্ড আইল্যান্ডের শার্লটিটাউনের নগর কাউন্সিল সোমবার সন্ধ্যায় ভোটের মাধ্যমে কানাডার প্রথম প্রধানমন্ত্রী স্যার জন এ ম্যাকডোনাল্ডের ভাষ্কর্য অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়। মঙ্গলবার সকাল ৭টার মধ্যে নগরকেন্দ্রের একটি চত্বরে সেটি আর দেখা যায়নি। খবর সিবিসি নিউজের।
ভাষ্কর্য অপসারণের বিষয়ে নগর কাউন্সিল সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই ভাষ্কর্য অপসারণের জন্য স্থানীয় আদিবাসী নাগরিকদের পক্ষ থেকে যে সুপারিশ করা হয়েছে তা গ্রহণের পক্ষে ভোট গ্রহণের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সেটি অপসারণ করা হলো।
কানাডায় আবাসিক স্কুল ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকার জন্য প্রায় এক বছর ধরে ম্যাকডোনাল্ডের মূর্তিটি বিতর্কের বিষয় হয়ে ওঠে। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার কামলুপস-এ প্রাচীন একটি আবাসিক স্কুলের জায়গায় অচিহ্নিত কবরে ২১৫ টি শিশুর দেহাবশেষ আবিষ্কারের ঘটনার পর গত সপ্তাহান্তে এই বিতর্ক নতুন পর্যায়ে উপণীত হয়।
নগর কাউন্সিলর গ্রেগ রিভার্ড মূর্তি অপসারণের উদ্যোগ এগিয়ে নেন। তিনি সিবিসি রেডিওর আইল্যান্ড মর্নিং অনুষ্ঠানে বলেন, নগরীর পক্ষে সিটি কাউন্সিলের একটি জোরালো অবস্থান নেওয়া জরুরী ছিলো।
রিভার্ড বলেন, ‘একটি মূর্তি আসলে ইতিহাস নয়। স্যার জন এ-কে অপসারণ করে কাউন্সিল কোনও ইতিহাসকে অপসারণ করছে না।’
‘আমি সামাজিক মাধ্যমে কিছু মন্তব্য দেখেছি যাতে বলা হয়েছে, তোমরা ইতিহাস মুছে ফেলতে পারো না। তবে আমি মনে করি না, একটি মূর্তি অপসারণে কোনও ইতিহাস মুছে যায়। ভাষ্কর্য হলো কোনও কিছুর প্রতীক আর ঠিক এই মুহূর্তে আমি মনে করছি না যে, এই মূর্তিটি যথাযথ কোনও বিষয়ের প্রতীক।’
গত এক বছরে শার্লটিটাউনের এই মূর্তির গায়ে অনেকবার কালিমা লেপন করা হয়েছে বিভিন্ন রঙ ও অন্য জিনিস দিয়ে এবং একবার এটি নাড়িয়ে ফেলা হয়।
সোমবার আদিবাসী জনগণ ও তাদের সমর্থকরা সদ্য দেহাবশেষ উদ্ধার করা শিশুদের প্রতি সম্মান জানাতে ভাষ্কর্যের জায়গায় সমবেত হয়ে সতর্ক অবস্থান নেন। কয়েক ঘণ্টা পরেই নগর কাউন্সিল সেটি অপসারণ করে মালখানায় রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
আদিবাসী আবেগুয়ে ফাস্ট নেশনের নেতা জুনিয়র গোল্ড বলেন, কাউন্সিলের সিদ্দান্তে তিনি সন্তুষ্ট।
তিনি বলেন, কামলুপস-এ খুঁজে পাওয়া ২১৫টি শিশুর দেহাবশেষকে উপেক্ষা করা ঠিক হবে না।