আশার পাল তোলা নৌকা

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০

ফারহানা পল্লব

২০১৭ এর গরম কালের কথা। সব খবর আর পত্রিকায় একই সংবাদ- বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে চলেছে। কানাডা প্রবাসী আমরা তীর্থের কাকের মত দেশের সকল খবর খুটিয়ে খুটিয়ে পড়ি, ভাল খবরে যেমন আনন্দ আর উৎসবে মেতে উঠি, তেমনি যে  কোন দুঃসংবাদে আমাদের মনের আকাশে কাল মেঘের ছায়া পড়ে। এই সাত সমুদ্র তেরো নদীর এপারে বসে মন খারাপ করা ছাড়া কিছুই করার থাকেনা অধিকাংশ সময়। ভীষণ অসহায় লাগছিলো। ভাবতে ভাবতেই মাথায় এলো কিছু করা যায় কিনা বন্যার্তদের জন্য। আমাদের ‘বাঙ্গালী কালচারাল সোসাইটি’ আমার যে  কোন ইচ্ছা পূরণে সর্বাত্বক সহযোগিতা করে। ভাবলাম- কত পুরানো কাপড় যা আমরা  পুরানো কাপরের দোকানগুলোতে দান করে আসি, সেগুলো সবাই জমিয়ে দেশে পাঠালে তো নিঃস্ব মানুষগুলোর কিছু সাহায্য হয়।

পরবর্তী বোর্ড মিটিং এ প্রসঙ্গ তুলতেই সকলে এক বাক্যে রাজী হয়ে গেলেন। শুরু হলো নিজেদের মধ্যে থেকে কাপড় সংগ্রহ করা। সংগ্রহ করে আমাদের অফিসের পেছনে জমাতে থাকলাম। প্লাস্টিক ব্যাগ ভরে আসতে থাকল কাপড়। এই পরিস্থিতিতে সব সেচ্ছাসেবকদের দিন আর ঘন্টা ঠিক করে এগুলো বাছাই, আর বস্তাবন্দী করা শুরু হল। কাজে লেগে গেলো আমাদের আমাদের জাসিম ভাইয়ের ছেলে সেচ্ছাসেবক চয়ন। সে তার স্কুল আর হোম ওয়ার্ক সেরে বাবার সাথে এসে সে কাজ করতো। পুরা গুছানো আর বাছাইয়ের তদারকিতে ছিলেন আলো ভাবী। তার পর ঈশানও তার মা বাবা কে নিয়ে এসে হাত লাগায় এ কাজে। নিশাত ভাবী তার মেয়ে ছেলে আর সাজ্জাদ ভাইকে নিয়ে এসে পুরা পরিবার কাজে লেগে যান। আরো সহযোগিতা করে তনীমা, মারজিয়া, স্নিগ্ধা, তানিয়া, আজাদ ভাই, স্পন্দন, অহনা।

এদিকে চিন্তার বিষয় হল জাহাজে করে এগুলো দেশে পাঠানো অনেক খরচের ব্যাপার। এই খরচ কোথা থেকে আসবে?

আমি কয়েকটা বড় সংগঠনের সাথে যোগাযোগ শুরু করলাম। খুঁজতে গিয়ে পেয়ে গেলাম অটোয়া শহরে এক সংগঠন তারা জাহাজে পাঠানোর পুরো খরচা দেবে বলে আশ্বস্ত করল। তখন জোরে সোরে প্রচার শুরু করলাম আমরা। সারাক্ষন আমাদের মাথায় এক্ই চিন্তা – বন্যার্তদের ত্রাণ সংগ্রহ করা আর পাঠানো। এই প্রচারের এক পর্যায়ে আমার ননাসের মেয়ে সারার বাসায় গিয়ে জানালাম, ওর বাচ্চাদের পুরানো কাপর যেন আমাদেরকে পৌঁছে দেয়। মেয়েটা পুরো পরিকল্পনা শুনে বলল, মামী ফেসবুকে একটা বড় গ্রুপ আছে বিসিসিবি, ওখানে প্রচার করেন ওরা অনেক সহযোগিতা করবে। কথা প্রসঙ্গে জানতে পারলাম, সারা নিজেও সেখানে খুব সক্রিয় , ও তার বন্ধুদের বলে আমার পোস্ট এপ্রুভ করে দিলো। সাথে সাথে প্রবল সাড়া পড়ে গেলো, বিভিন্ন শহর থেকে ফোন আসতে থাকলো তারা কোথায় কাপর জমা দেবে তা জানার জন্য। প্রতিদেন ফোন আর কালো প্লাস্টিক ব্যাগ এ অফিসের এক কোনা থেকে শুরু করে আরেক কোনা পর্যন্ত ভরে যেতে লাগলো। আমি আর আরীফ সারাদিন অফিসে বসে এই জমতে থাকা ত্রাণ দেখি আর ঘাবড়ে যেতে থাকি, এগুলো বাছাই আর বক্সিং করতে না জানি কত লোক লাগবে। আমাদের পর্যাপ্ত সেচ্ছাসেবকও তো নেই এই বিশাল কাজ সামলানোর জন্য!

তখন বিভিন্ন দিক থেকে ভলান্টিয়ার আহ্বান করতে শুরু করলাম। আমাদের সংগঠনের যে কোনো অনুষ্ঠানে যে  সবসময় সেচ্ছাসেবক পাঠান সে হলেন আলম্পীয়া স্কুল অফ মিউজিকের অধ্যক্ষ জনাব আলীমুজ্জামান। তাঁকে অনুরোধ করাতেই উনি নিজের ছেলে সহ আরো চার পাচজন হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রী পাঠিয়ে দিলেন। তারপর বিসিসিবি থেকে মাশহুদা ইসলাম নিজেতো কাজ করলোই সাথে আরও কয়েকজন মহিলাকেও পাঠালো স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে নিয়মিতভাবে কাজ করার জন্য।  সাহায্য লাগবে শুনেই লীনা ভাবি আরিফ ভাই চলে এসেছেন অনেক বক্স আর টেপ, কেঁচি , মার্কার নিয়ে। আমি যখন পুরাই হাল ছেড়ে বসে আছ কাপরের বস্তার দিকে তাকিয়ে তখন এই পুরা বিষয়টি দক্ষতার সাথে তদারকি করে গেছেন আলো ভাবী।

প্রতদিন উনি সকালে বা  বিকেলে এসে সবার কাজ বুঝিয়ে দেয়া থেকে শুরু করে কিভাবে বক্সে উঠানো হবে, কোন বক্সে শারী কথায় পুরুষের কাপড় আর কোনটায় বাচ্চাদের কাপড়, এসব সুন্দর মত বাছাই করে, বক্স করে, ভালমত টেপ লাগিয়ে আবার বক্সের উপর মার্কার দিয়ে লিখে দিয়েছেন, কোন বক্সে কি আছে। কাপড়ের ধুলায় যেনো কাজ করতে কষ্ট না হয় তার জন্য ব্যবস্থা করে এনেছেন মুখে লাগানোর মাস্ক আর হাতের গ্লাভসও। আলো ভাবির এইসব আয়োজন দেখে আমি আস্বস্ত হলাম, যে আমরা এ যাত্রায় হয়ত কাজটা সেরে ফেলতে পারবো।

এদিকে সাহায্যকারী সংগঠনের সাথে কাগজপত্র ঠিক্ঠাক করতে থাকলাম। জাহাজের খবর নিতে সকল গ্রোসারীতে ফোন করে জিজ্ঞেস করলাম ভাই কার মাধ্যমে একটা কন্টেইনারে ভাগে কিছু পুরানো কাপড় পাঠানো যাবে দেশে। অনেক খুঁজে পেলাম রতন দার নম্বর। রতন দার শিপিং ব্যবসা। উনাকে বলতেই উনি সাহায্যের হাত প্রসারিত করলেন। যা খরচা তার অর্ধেকে উনি পাঠাতে রাজি হলেন। তখন রতন দার কোম্পানির সাথে সাহায্যকারী সংগঠনের যোগাযোগ, বিল পাঠানো, এইসব কর্মকান্ড চলতে থাকলো। বাংলাদেশে একটি সংস্থা লাগবে যারা ওখানে কাপড় পোর্ট থেকে ছাড়ানো, বিলি করার জন্য বন্যা দুর্গত এলাকায় বহন করা, তারপর সঠিক মানুষগুলোর হাতে পৌঁছে দেয়া এ কাজগুলো করবে। এ বেশ ব্যাপক একটা কাজ। আমি আমার দেশের বান্ধবীদের নিয়ে একটা এনজিও শুরু করেছিলাম। কিন্তু সেটার মাত্র যাত্রা শুরু। তাই এতবড় কাজ হাতে নিতে গিয়ে একটু চিন্তায় পড়লো। তখন অটোয়ার যে সংগঠন আর্থিক সহযোগিতা করছিলো তার একজন আবার বাঙ্গালী, মাহামুদা নামের সেই চমৎকার মেয়েটি জানালো যে, বাংলাদেশে সুরভি নামের একটি প্রতিষ্ঠিত সংগঠন আছে। সে তাদের সাথে যোগাযোগ করে সব ব্যবস্থা করে দিলো আর সুরভি নামের সংগঠনটিও খুব আনন্দের সাথে বাংলাদেশে বিলি করার দায়িত্বটা নিলো।

এদিকে কাপড় সংগ্রহের মাত্রা বেড়েই চলেছে। বক্স করে ফেলার পরে অফিসের পিছনটা গোডাউনের মত হয়ে গেল। ছাদ ছুঁয়ে গেলো সেই বক্সের স্তুপ। আমরা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখি এই কর্মযজ্ঞ কি করে সম্ভব হল?

এখন শিপিং এর সময় এগিয়ে এলো। যে  ট্রাক বক্সগুলো জাহাজে নিয়ে যাবে, সেটা ২ দিন রাখবে আমাদের অফিসের লোডিং ডকের পিছনে, আমাদেরকে এই নির্দিষ্ট  সময়ের মধ্যে পুরা ট্রাক লোড করতে হবে। আমরা রাজি হলাম। সবাই মিলে হাত লাগালে কাজ এগিয়ে নিতে অসুবিধা হবে না। যেদিন ট্রাক এল সেদিন আরেক সমস্যা দেখা দিলো। অফিস বিল্ডিং এ ট্রাক ঢোকার উচ্চতা সীমাবদ্ধ করা, মানে হলো, আমাদের বড় সাইজের ট্রাক পারর্কিং লটে ঢুকছে না। তখন ট্রাক ড্রাইভারকে অনুরোধ করলাম আমাদের অফিসের লাগোয়া পিছনের বিল্ডিং এর পার্কিং পার্ক করার জন্য। সেখানে পার্ক করলে, আমরা হাতে হাতে বক্স লোড করে নিতে পারবো। সেখানে আরেক সমস্যা, সারারাত পার্কিং করলে টিকেট দিতে পারে। তখন অফিসের অন্য পাশের  বিল্ডিং যেইটাতে চার্চ আছে সপ্তাহে শুধু রবিবার। বাকি দিন পার্কিং খালি থাকে আর এখানে ট্রাকের উচ্চতার সীমা নির্ধারিত নেই। সুতরাং ট্রাকের ড্রাইভার ঐ বিল্ডিং এর পেছনের পার্ক করে গেলো। এখানে সমস্যা একটাই, আমাদের অফিসের থেকে অনেকটা পথ ঘুড়ে ওখানে যেতে হয়। খালি হাতে গেলে কোন সমস্যা নেই কিন্তু এই ২০ ফিট উচ্চতা সমান এক গুদাম ঘর ভরা বক্স কি করে ১/২ দিনে বহন করে ঐ ট্রাকে লোড করবো সেটা ভাবতেই পারছিলাম না। আমার এরকম বিপদের সময় আল্লাহ একটা উপায় বেড় করে দেন। আমার আব্বা যেদিন মারা গেলেন, আমি মসজিদে লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় ভাবছিলাম, এই দেশে আমার কেউ নেই যে আব্বার লাশ বহন করবে, আর গোসল দেয়া সহ দাফনের বাকি কাজগুলো করবে। আব্বার মরদেহ নিয়ে যখনি মসজিদের গাড়িটা থামলো, সাথে সাথে আরেকটা ছোট ভ্যান ভরে লম্বা দেহী কয়েকজন ওবাঙ্গালী মুসল্লি নামলেন, নামাজ পড়তে এসেছিলেন মনে হয়। তারা সবাই মিলে আব্বার মরদেহটি মসজিদে বহন করে গোসল আর বাকি কাজে হাত দিয়েছিলেন। ঠিক সেদিনের মত ট্রাক লোড করতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছিলাম। তখন একদল বাঙ্গালী মুসল্লী এলেন মসজিদের থেকে । লীনা ভাবী এ বিরাট কাজ টা  করে দিয়েছিলেন। উনি যে মসজিদে নামাজ পড়তে যান, সেখানে জসিম ভাই নামের এক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি আছেন, তিনি মানুষের যে কোন উপকারে কোন প্রশ্ন ছাড়াই সবার আগে পৌঁছে যান। সেই জসিম ভাই ২ গাড়ি ভরা মানুষ এনে  তাদের গাড়ি বোঝাই করে করে সকল কাপরের বক্সগুলো ট্রাক বোঝাই করতে লেগে গেলেন। আমি তো খুশিতে আত্মহারা, আমার গাড়িও বোঝাই করে করে চয়ন আর আলো ভাবিকে নিয়ে ট্রাক বোঝাই এর কাজে লেগে গেলাম। ট্রাক যখন ভরে আসছিলো, আমি আর চয়ন ট্রাকে চড়ে বসলাম, সে কি আনন্দ, এরকম ভারী বক্স দিয়ে ট্রাক বোঝাই করাটা বেশ শারীরীক পরিশ্রমের কাজ, কিন্তু কাজের নেশায় সে খেয়ালই হয়নি। আমাদের সভাপতি জাসিমুদ্দিন ভাই নিজে হার্টের রোগী, তা সত্বেও তাকে এই কাজে থামিয়ে রাখা যায়নি। এভাবে এক বিকেল আর সন্ধ্যা মিলিয়ে আমাদের ট্রাক বোঝাই হয়ে গেলো। পরেরদিন ট্রাক রওনা করলো পোর্ট এর উদ্দেশ্যে। সব কাজ শেষ করে খালি অফিসের বিরাট গোডাউনের দিকটা খালি খালি লাগছিলো। সকল ছোট বড় ভলান্টিয়ারদের নিয়ে এতদিন কাজ করে দারুন সখ্যতা গড়ে উঠেছিলো, অদেরকেও মিস করতে থাকলাম। অচিরেই খবর পেলাম আমাদের কাপড় নিয়ে জাহাজ পাল তুলেছে সমুদ্র পথে। এই ১/২ মাসের কর্ম যজ্ঞে যোগ দিয়েছিলো সারা বাঙ্গালী কমিউনিটি, কত যে পরিচিত, অপরিচিত বাঙ্গালী ভাই বোনেরা এসময় এসেছেন কাপড় দিতে। সবার সাথে এক নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেলাম। বিসিসিবি , মাশহুদা, আর তাদের নেটওয়ার্ক  এই প্রচেষ্টাকে স্বার্থক করতে যথেষ্ট অবদান রেখেছে। তাছাড়া বাঙ্গালী কালচারাল সোসাইটির সকল সদস্য, ভলান্টিয়ার, আর আলম্পিয়া স্কুল অফ মিউসিকের ভলান্টিয়ার দের সহজোগিতা ছিল চোখে পড়বার মত।

মাস খানেক পড়ে আমাদের আশার জাহাজ দেশে চট্টগ্রাম পোর্ট এ ভিড়েছে। সেখানে অনেকদিন কাগজপত্রের লেনদেনের ঝামেলায় বসে থাকার পরে, সুরভির পক্ষ থেকে  একজন কর্মকর্তা নিজ দায়িত্বে বাঙালি কালচারাল সোসাইটির ব্যানারে পুরো ত্রাণ বন্টনের কাজটি সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করেন।

অনেক কৃতজ্ঞতা সুরভী  ও হিউম্যান কনসার্ন সংগঠনের কাছে, উনাদের সহযোগিতা না পেলে এতবড় দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হত না। এসময় ওসমানী তার অনলাইন পত্রিকাতে আমাদের গল্প প্রকাশ করে, আমাদের সাক্ষাৎকার, ভিডিও ও ফটো প্রচারণায় সহযোগিতা করে। সঠিক প্রচারণা ছাড়া এরকম বৃহৎ আয়জনে, পুরা বাংলাদেশী কমিউনিটিকে সাথে পাওয়া যেতো না।

আগামীর স্বপ্ন- এই ত্রাণ

পাঠানোর প্রক্রিয়া সফল হওয়াতে, আমরা আবারো স্বপ্ন দেখছি বাংলাদেশে বন্যা দুর্গত বা শীতার্ত নিঃস্ব মানুষদের পাশে দাড়ানোর জন্য। আবারো আমার প্রস্তাবে বাঙ্গালী কালচারাল সোসাইটির  তথা আমাদের সম্মানিত সভাপতি জসিমুদ্দিন ভাইয়ের পূর্ন সমর্থন পেলাম। এবারের প্রচেষ্টা হবে নিয়মিত। আমরা আশা করছি একটা নিয়মিত  বার্ষিক তহবিল উত্তলন করবো যা একটি ট্রাস্ট একাউন্টে জমা হবে, যে তহবিল শুধুই বাংলাদেশে এক কন্টেইনার পুরাণ / শীত বস্ত্র পাঠানোর কাজে ব্যাবহৃত হবে। মার্চ মাস থেকে কাপড় সংরহ শুরু হবে। নির্দিষ্ট স্থান, সময় জানিয়ে দেয়া হবে পরে। সকলে আপনাদের কাপড় চোপড় আর অন্য কোথাও দান না করে বাংলাদেশের গরীব মানুষদের দান করুন। আমরা প্রতি বছরেই দেশে কিছু না কিছু পাঠাই, যেহেতু আমার মা যান দেশে। কিন্তু সকলের তো সে সুযোগটা থাকে না, তাই, বাচ্চার ছোট হয়ে যাওয়া জাকেট জুতো থেকে শুরু করে, নিজের পুরানো শারী, সালোয়ার কামিজ, সোয়েটার, সব জমিয়ে ওবিসিএস এর এই কাজে সহযোগিতা করুন। সকলেই এই দলের সদস্য হয়ে  মাসে ১ ডলার বা বাৎসরিক ১২ ডলার চাঁদা দিয়ে এই প্রকল্পের সাথে জড়িত হয়ে দেখুন, কত আনন্দ নিজের মানুষের জন্য কিছু করার মাঝে। আমাদের এই ছোট্ট  প্রচেষ্টা একদিন বৃহৎ রূপ ধারণ করবে, আমাদের আশার এই নৌকা প্রতি বছর পাল তুলে ভেসে নিয়ে চলবে দেশের জন্যে ত্রাণ । যেদিন নিয়মিত দেশের মানুষগুলোর পাশে এভাবে দাঁড়াতে পারব, সেদিন হয়তো জন্মভূমির কিছুটা ঋন শোধ হবে।

গীতিকার নঈম গওহরের লেখা, আর সমর দাসের সুরে আজ আবার জেগে উঠি-

‘ নোঙ্গর তোল তোল সময় যে হল হল নোঙ্গর তোল তোল

হাওয়ার বুকে নৌকা এবার জোয়ারে ভাসিয়ে দাও, শক্ত মুঠির বাঁধনে বাঁধনে বজ্র বাধিয়া নাও।

নোঙ্গর তোল তোল সময় যে হল হল নোঙ্গর তোল তোল’

ফারহানা পল্লব

টরন্টো