প্রবাসে পরহিতকর্ম -৯

মার্চ ৯, ২০১৫

॥ রীনা গুলশান ॥

মারাত্মক ব্যস্ততায় দিন রাত্রি গুলো অতিবাহিত হচ্ছে। কখনো দিন আসছে, কখনো রাত চলে যাচ্ছে গভীর অন্ধকারে। বুঝতে পারছি না। আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না। কাউকে ফোন করার সময় পাচ্ছি না। এমন কি ক্রমাগত বেজে চলা ফোন ধরবারও সময় পাচ্ছি না। কেমন একটা ঘোরের মধ্যে আছি। ক্রিসমাসের সময় আমার এমনটাই হয়। শুধুই কাজ আর কাজ।

এমনি পরিস্থিতিতে একদিন রাত এগারোটার দিকে একটি ফোন এলো, তখন আমার টিভিতে নিউজ দেখার সময়। একটু বিরক্ত হলেও কলার আইডিটা দেখলাম। নামটা দেখে বেশ বিস্মিত হলাম। লং ডিস্টেন্স কল। অন্টারিওর বাইরে থেকে কলটি এসেছে। ফোন ধরলাম। কথা বলতে বলতে আমার হাত পা অবশ হয়ে আসছিল। আমাদের অনেকদিনের পরিচিত জন। অসম্ভব ভালমানুষ ধরণের গোটা পরিবারটি। মোবিন ভাই, ভাবী আর তাদের খুউব সুন্দর দেখতে দুটি কন্যা। বিয়ের ৫/৭ বছর পর বাচ্চা হয়েছিল, তাই বাচ্চারা তাদের বয়স অনুপাতে বেশ ছোট। গত বছর শুনেছিলাম, বড় মেয়ে মাহিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেছে আর ছোট মেয়ে শাহীন গ্রেড এলিভেনে। খুব ভাল লেগেছিল। মাহিন কেমিস্ট্রি নিয়ে পড়ছে। বাবা-মা খুশীর বন্যায় ভেসে যাচ্ছিল। আর আজকের এই ফোন!! আমি দুঃখে যতটা ভারাক্রান্ত হলাম তার চেয়ে অধিক ক্রোধে অধির হলাম। বড় মেয়ে মাহিন বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় সেমিস্টারে ফেল করেছে। এবং নর্থ আমেরিকার নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আউট হয়ে গেছে। মাহিন- এই মেয়ে মা-বাবার অনেক সাধনার ধন। জীবনে যা চেয়েছে তাই পেয়েছে সে। কখনো না শুনতি হয়নি তাকে। এই জন্যই গুণীজনরা বলে থাকেন, বাচ্চাদের মানুষ করতে হয় ‘অনেকটা দীনতা, কিছুটা ঐশ্বর্য্য এবং বেশ কিছুটা বাধ্য-বাধকতার মধ্য দিয়ে’।

আমাদের সময়ে, আমরা কিন্তু ঠিক এই ভাবেই মানুষ হয়েছি। বাবা-মা যতই ধনী থাকুক না কেন তাঁরা ঐ ভাবে একেবারে আত্মোৎসর্গ করার মত করে বাচ্চাদের মানুষ করেন নি।

তাঁদের তো আমাদের মতো ১/২টি বাচ্চা থাকতো না। ৫/৭টা মিনিমাম। তাই তাঁদের আবেগ প্রশমিত থাকতো। ক্লাসে প্রথম হলেও একেবারে আবেগে ভেসে যেতো না। বড়জোর গম্ভীর হয়ে বলতেন, (রেজাল্ট এর পত্রটা দেখতে দেখতে) “হু! ভাল। যাও…ভাল করে খেয়ে ঘুম দাও… তবে ভবিষ্যতে আরো ভালো করার চেষ্টা করবে।” মেজাজ যা খারাপ হতো! আরো কত ভাল করবো?

আর এখনকার আমরা যারা বাবা মা তারা কি করি? কি যে করবো তা বুঝেই পাইনা। মাথায় রাখলে উকুনে খায়! মাটিতে রাখলে ছাগলে খায়।! ক্লাশে প্রথম হলেই প্রথমে আত্মীয় স্বজন, তারপর পাড়া প্রতিবেশী (সাথে অবশ্যই প্রিমিয়ামের দূর্লভ মিষ্টি!!), এরপর সেল ফোনে, ল্যান্ড ফোনে যতদূর বলে পারা যায় বলতে বলতে একসময় গলা ভেঙ্গে যায় (কারণ সারা পৃথিবীতেই আত্মীয়স্বজন ছড়িয়ে আছে! বিশেষত বাংলাদেশে মাঝেমধ্যে যা রাশ – চেচিঁয়ে গলা ফাটাতে হয়)। কিন্তু তাতে সমস্যা কি? ফেসবুক আছেনা ? সেখানে তখন শুরু হয়…হা হা কি কান্ড, আমার মেয়েটা- গতকাল রিজাল্ট হাতে এলো.. ও মাই গড! দেখি ৪৮ জনের মধ্যে প্রথম হয়েছে, সব বিষয়ে এ প্লাস … ।

কি যন্ত্রণা! তারপর বাংলা কাগজ গুলোতে ছবিসহ ক্যাপসন … প্রবাসী বাঙ্গালীর গর্ব… অচিন্তনীয় ফলাফল… প্রতি বিষয়ে এ প্লাস! এরপর বন্ধু-বান্ধবদের অনুরোধে (নিজেদের গরজ-ই বেশী ছিল রেজাল্ট এর পেপারটি দেখানোর!) বিশাল ভুরী ভোজ’ ক্যাটারিং, শাড়ী, চুড়ি আর মেকআপের ঝলকানি। পার্টি টাইপ মহিলাদের ন্যাকামি! কিছু কিছু মহিলাতো (বাঘের লেজ ২৬ ফুট ঐ গল্পের মত!) কন্ঠের স্বর শ্রেয়া ঘোষালের মত করার চেষ্টা করে বলবে, “ভাবী আপনার এই মেয়ে তো সক্রেটিসকেও (??) হার মানাবে!

শুনুন যন্ত্রণার কথা! মহিলার উদাহরণের নমুনা শুনুন। তোষামদের আদিখ্যেতায় ‘লিঙ্গের’ ও ভুল হয়ে যায় তাদের।

যাই হোক। ধান বানতে শিবের গীত একেই বলে। তবে মাহিন অনেকটা এভাবেই মানুষ হয়েছে। আমি তার প্রতিটি সাকসেসের খবর সুদূর টরন্টো থেকেই শুনেছি। তারা থাকে ক্যালগারিতে। আমি খুব খুশী হয়ে আশীর্বাদ করতাম। কিন্তু আমার হ্যাসবেন্ডকে ভ্রু কুচকাতে দেখতাম। আর বির বির করে বলতে শুনতাম , “যত্তসব…এগুলো আবার বলার মতো একটি বিষয় হলো?” আমি তখন বলতাম, ‘‘সবাই কি তোমার মত নাকি – যে কিনা এই জীবনে দুই ছেলের স্কুলের চেহারাটাও দেখলে না।” এটা আমার বড় ছেলের সব থেকে বড় দুঃখ। তার বাপী কোনদিন তার স্কুলে যায়নি। ছেলের বাবার কাছে এগুলো নাকি খুব আদিখ্যেতা মনে হয়। বলতো, “যেদিন যাবার সেদিন যাব।” পরে গিয়েছিলেন। ছেলের ১২গ্রেড গ্রাজুয়েশন পার্টিতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের (ব্যাচেলর) পার্টিতে, ঊহম গঅ পার্টিতে। এটাই আমাদের জন্য অনেক সৌভাগ্যের। যে ব্যক্তি প্রতি বছর শত শত ইঞ্জিনিয়ার তৈরী করতেন নিজ কর্মস্থল খুলনা ইউনিভারসিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনলজী থেকে তাঁর কাছে ৬ গ্রেডের গ্রাজুয়েশন পার্টিতে যাওয়াটা একটু কম গুরুত্বের মনে হতেই পারে।

আমিওতো ঐ পরিবেশে থেকে থেকে একটু বেশী রকম নরমাল মা হয়ে গেছি। সারা জীবন আমার দুই ছেলেকে একটি কথাই বলেছি, ‘যেদিন তোমরা অন্তত ডিগ্রিতে বাবাকে অতিক্রম করতে পারবে সেদিন আমি তোমাদের জন্য আনন্দে উদ্ভাসিত হবো। মুখে যতই

বলি ওদের প্রতিটি সার্টিফিকেট নিয়ে আমিও মনে মনে খুশীতে আত্মহারা হয়েছি বৈকি! কিন্তু ঐ পর্যন্তই। তার বেশী নয়। কারণ আমি আমার স্বামীকে সেই সত্য যুগের মহিলাদের মতো মান্য করি। আর এ কথা বলতে আমার কোন দ্বিধাও হয় না। আমি নারী স্বাধীনতার নামে স্বেচ্ছাচারিতায় বিশ্বাসী নই। আমি সুষ্ঠু পারিবারিক প্রথায় বিশ্বাসী।

তো, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আউট হয়ে মাহিন ক্ষোভে, দুঃখে, হতাশায় দরজা বন্ধ করে হাতের রগ কেটে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছিল। সৌভাগ্যবশত (মুবিন ভায়ের এবং ভাবীর) ছুরিতে সম্ভবত ধার কম ছিল। এবং ভাবী ওকে বেশ খানিকটা নজরদারীতে রেখেছিল। যাই হোক ভাই এবং ভাবী দরজা ভেঙ্গে ঢুকে ওকে রক্ত ঝরা অবস্থায় দেখে খুউব চেচামেচি না করে হাতটা জলদি ব্যান্ডেজ করেই আমাদেরকে ফোন দিয়ে সব বলেছে। কারণ, ৯১১ এ কল করলেইতো আইনের ১০ ঘা খেতে হবে। এ যাত্রায় মাহিন খুউব ভালভাবেই বেঁচে গেলো। তবে তাকে নিদারুন বিষন্নতায় ছেয়ে গেল। মুবিন ভাই ও ভাবী খুব ব্যাকুল হয়ে পড়লো। অবশেষে আমরা সকলে মিলে ক্রমাগত ভাবে মাহিনের সাথে কথা বলে বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে ওকে তার পরের সেমিস্টারেই একটি কলেজে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলাম। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী ফেল করে। এতে এত হতাশ হবার কোন কারণ নেই। হয়তো বা একটি সেমিস্টারের সময় জীবন থেকে চলে যায়। তারপর অন্য কোন কলেজে ভর্তি হয়ে কোন বিষয়ে একটু ভাল রেজাল্ট করলেই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারে। নম্বর ভাল হলে পুনরায় নিজের বিষয়েই ভর্তি হতে পারে। আমি এরকম বেশ কিছু ছেলে-মেয়েকে জানি যাদের জীবনে এরকম ঘটনা ঘটেছে। আমার নিজের যেহেতু দুই পুত্র, তাই তাদের মারফত অনেক ছেলে-মেয়েদের চিনি এবং এসব বিষয়ে অবগত। এরকমই আমার পরিচিত একটি মেয়ে – অন্বেষা, রায়ারসন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল নার্সিং (রেজিস্টার্ড নার্স) কোর্সে। কিন্তু প্রথম সেমিস্টারেই ফেল করলো। তবে ও খুব ফাইটার ধরণের মেয়ে। একটুও বিচলিত না হয়ে পরের সিমিস্টারেই সেন্টিনিয়াল কলেজে ভর্তি হলো নার্সিং বিষয়েই। দুই বছরের একটি ডিপ্লোমা করলো। এর পর আবার যথারীতি রায়ারসনে ভর্তি হলো। এরপর অন্বেষা অত্যন্ত ভাল ফলাফল করে রায়ারসনের রেজিস্টার্ড নার্স হয়েই বের হয় । বর্তমানে অন্বেষা একটা ভালমানের হাসপাতালে কর্মরত। বিয়ে করেছে। অত্যন্ত সুখী এবং সাকসেসফুল একজন রমনী। তবে তার এই সাকসেস এর পথ খুউব সুগম ছিল না। প্রায় ৮/৯ বছরের সাধনার ফল। অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে তার সাকসেস কে সে জয় করেছে। কারণ, অন্বেষার বাবা-মা অত্যন্ত প্র্যাকটিক্যাল ধরণের মানুষ। খুউব লড়াকু ধরণের। খুউব কর্মঠ। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্টে কর্মরত দীর্ঘদিন ধরে। বাড়ী বানিয়েছে, গাড়ি কিনেছে, দুই সন্তানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠ অতিক্রম করিয়েছে। আমার মনে আছে, অন্বেষা (আমার ছোট ছেলের এক বছরের সিনিয়র) অস্টম গ্রেডে খুউব ভাল ফলাফল করলো। আমরা পরিচিতজনেরা অন্বেষার বাবাকে ধরলাম, ভাই পার্টি দেন। তিনি খুব বিনীত ভাবে বললনে, “খেতে চাইলে খাওয়াবো। কিন্তু এটাতো ওর জীবনের ক্যাবোল শুরু! ধরতে গেলে প্রথম ধাপও নয়। গ্রেড ১২ কে প্রথম ধাপ বলা যেতে পারে। তাই এই সব ফলাফলে বিষ্মিত এবং আপ্লুত হবার কোন কারণ নেই।”

সত্যি বলতে কি, বহুদিন পর অন্বেষার বাবার কথা শুনে, আমার মনে আমার স্বামীর প্রতি যে সুপ্ত অভিমান ছিল, তা শুদ্ধ আকাশের মত নির্মল হয়ে গেল। আসলে পড়াশুনার ব্যাপারটিতে বাবা-মায়ের মানসিকতা এমনটাই হওয়া উচিৎ। বিশেষত এই নর্থ আমেরিকায় প্রতিটি ছেলে-মেয়েকে যে কোন পরিস্থিতির জন্য নিজেকে সর্বদা তৈরী রাখা উচিৎ। কখনোই ‘গিভআপ’ মনোভাব থাকলে চলবে না। বিশেষত মেডিক্যালে যাদের সন্তানেরা পড়ছে তারা ভালমতই আমার কথাটা বুঝতে পারবে। প্রথমত: চার বছর লাইভ সাইন্স অথবা হেলথ সাইন্সে পড়ে এবং ভাল ফলাফল করেও ডাক্তারীতে চান্স না পাওয়ার পর একটি ছেলে বা মেয়ের মানসিক অবস্থা যে কি অবস্থানে যায় আমি নিজের চোখে তা দেখেছি। তাই আমি অভিবাকগনের কাছেই বলছি, মেডিক্যাল লাইনে দেবার আগেই তাদেরকে কিছু সম্ভাবনার কথা বলে রাখবেন। যেমন – ডাক্তারীতে চান্স নাও পেতে পারে এরকম একটা ধারণা তাদের মনে আগে থেকেই দিয়ে রাখা উচিৎ। ৪ বছর লাইফ সাইন্সে পড়ার পর ডাক্তারীতে চান্স না পেলে যাতে করে তারা অন্য কোন লাইনে স্বচ্ছন্দে চলে যেতে পারে সে ব্যাপারেও মানসিকভাবে তাদেরকে প্রস্তুত করে রাখা উচিৎ।

লাইফ সাইন্সে পাশ করার পর, আমি জানিনা ঠিক কত জন ডাক্তারীতে চান্স পায়। তবে দেখেছি এই লাইনে পড়ার জন্য অনেক ছেলে-মেয়ে ভর্তি হয়। আবার এও দেখেছি, ডাক্তারীতে চান্স না পেয়ে অনেকে হতাশার সাগরে ডুবে যেতে যেতে ড্রাগকেও আকড়ে ধরে। আমার নিজের চোখে দেখা। একটি মেয়েকে দেখেছিলাম লাইফ সাইন্সে অত্যন্ত ভাল রেজাল্ট করেও সে ডাক্তারীতে চান্স পেল না (আমার জীবনে দেখা একজন শ্রেষ্ঠ ছাত্রী সে)। অথচ আমার হার্ট সার্জন এর দুই কন্যাই ম্যাকমাস্টার ইউনিভারসিটিতে ডাক্তরীতে চান্স পেয়ে গেল। তখন আমার মনে দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে গেল যে, কানাডাতেও বর্ণবাদ আছে। ‘পরি’ নামের ঐ পরিচিত মেয়েটিকে দেখেছিলাম ডাক্তারীতে চান্স না পেয়ে হতাশায় ডুবে গিয়ে কি সব অদ্ভূত কান্ড করে যাচ্ছিল। মিষ্টির দোকানে ঢুকে গাদা গাদা মিষ্টি খেত। খেতে খেতে কিছুদিনের মধ্যেই ভয়ানক মোটা হয়ে গেল। একদিন আমার কাছে এলো ইটন সেন্টারে। আমি তাকে দেখে এতটাই বিষ্মিত হলাম যে বাক্যহারা হয়ে গেলাম। তারপর ওকে নিয়ে ফুটকোর্টে বসলাম। কথা বললাম অনেক্ষণ। অনেক প্রসঙ্গ নিয়ে। এরপর এলাম মূল প্রসঙ্গে। বলাম, পরি তুই নিজেকে কদ্দিন আয়নায় দেখিস না?

কি হবে আন্টি আয়নায় নিজেকে দেখে? জীবনে যখন লক্ষ্যেই পৌঁছাতে পারলাম না …তখন আর কিসে কি হবে?

আমি বললাম, তুই হলি হাতে গোনা কয়েকজন ইন্টেলিজেন্ট বাচ্চাদের একজন। তোর মুখে কি এসব বোকা বোকা কথা মানায়? মানুষের লক্ষ্য একটি হলে চলবে কি করে এরকম কমপিটিশনের যুগে? তুই কি দেখিস নি কত ইঞ্জিনিয়ার ট্যাক্সি চালাচ্ছে, ডাক্তার দিনের পর দিন কানাডিয়ান লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষার পর পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছে? কিন্তু তবু তারা গিভআপ করেনি। কত ছেলে-মেয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে গিয়ে পারেনি, পরে বিবিএ (ব্যাচেলর অব বিসনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশন) পড়ে সাকসেসের চরমে পৌঁছে গেছে! (চলবে)

রীনা গুলশান

aragulshan@hotmail.ca

বি.দ্র. এই লেখায় পাত্র-পাত্রীদের ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে।