প্রতি ছয়টি ব্যবসার মধ্যে একটির মালিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছেন
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক, ২১ জানুয়ারি ২০২১: কোভিড-১৯ সঙ্কটকালে কানাডার দুই লাখের বেশি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। দেশের বেশিরভাগ এলাকায় ভাইরাসজনিত পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এবং এর ফলে লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। নতুন এক গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে। খবর দি কানাডিয়ান প্রেস এর।
কানাডার Canadian Federation of Independent Business (CFIB) গত বৃহস্পতিবার বলেছে, দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের মালিকদের প্রতি ছয়টির মধ্যে একজন অর্থাৎ প্রায় এক লাখ ৮ হাজার ব্যবসায়ী এখন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছেন।
গত ১২ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ফেডারেশনের সদস্যদের মধ্যে পরিচালিত সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে আসে। এতে দেখা যায়, ২০২০ সালে ৫৮ হাজার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। CFIBএকটি প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে ৪,১২৯ জন সদস্যের মধ্যে এই সমীক্ষা চালায়।
গত গ্রীষ্মে পরিচালিত CFIB’র এক সমীক্ষায় বলা হয়েছিলো, মহামারির কারণে দেশের প্রতি সাতটির মধ্যে একটি বা এক লাখ ৫৮ হাজার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবার ঝুঁকিতে রয়েছে।
সংগঠনের হালনাগাদ পূর্বাভাসের ভিত্তিতে বলা যায়, ২৪ লাখের বেশি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়তে পারে যা দেশের বেসরকারি খাতের মোট চাকরির ২০ শতাংশ।
CFIB’র জাতীয় গবেষণা বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক সিমন গোড্রিওল্ট বলেন, বন্ধ করে দেবার কথা ভাবছে এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যার এই বৃদ্ধি উদ্বেগজনক।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমরা ঠিক পথে এগুচ্ছি না। আর ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিস্থিতির কোনওরকম উন্নতি ছাড়াই একেকটি সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি সংখ্যক মালিক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন। যত বেশি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে, তত বেশি লোক বেকার হবে এবং অর্থনীতির পুনরুদ্ধারও ততই কঠিন হবে।”
সংগঠনটি জানায়, মহামারির শেষে মোট হিসাবে প্রতি পাঁচটির মধ্যে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবার ঝুঁকিতে রয়েছে।
কানাডার ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে একটি নির্মম বছর শেষে এই ভয়ংকর গবেষণার তথ্য পাওয়া গেল।
CFIB’র নির্বাহী ভাইস-প্রেসিডেন্ট লরা জোনস এক বিবৃতিতে বলেন, “২০২১ সালের শুরুটা মনে হচ্ছে যেন নতুন বছর নয় বরং ২০২০ সালেরই পঞ্চমাংশ।”
তিনি “বিক্রির বিপরীতে ভর্তুকি” দেয়ার মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ে সহায়তার জন্য সরকারগুলোর প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, “স্থানীয় ফুটবল টিমগুলোকে সহায়তা দেবার কারণে চাকরি থেকে শুরু করে কর-রাজস্ব পর্যন্ত অনেক কিছুই এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আসুন আমরা ২০২১ সালকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়গুলোকে বাঁচানোর বর্ষে পরিণত করি এবং তারপর সমৃদ্ধি অর্জনের প্রয়াসে ফিরে যাই।”