এক-তৃতীয়াংশ কানাডিয়ান আর নগর কেন্দ্রে বসবাস করতে চান না
অক্টোবর 9, 2020
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক, ২০ আগস্ট ২০২০: কোভিড-১৯ মহামারির চরম সময়ে কানাডার রিয়েল এস্টেট মার্কেট অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছিলো। কিন্তু এখন সরবরাহে ঘাটতি এবং সর্বকালের সর্বনিম্ন সুদহারের কারণে দাম হু হু করে বাড়ছে। রিম্যাক্স রিয়েলিটির করা এক সমীক্ষায় পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে যে, চলতি বছর কানাডায় বাড়ির দাম ৪.৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। আর অন্টারিওতে এই বৃদ্ধির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে পাঁচ শতাংশ।
কন্ডোমিনিয়ামের দাম স্থির আছে এবং বিক্রিও কম। রিম্যাক্স এবং ক্যাম ফোর্বেস যৌথভাবে যেটা বলছে সেটা হলো, ক্রেতারা আসলে বেশি জায়গাসহ পৃথক বাড়ি কিনতে আগ্রহী। খবর সিটিভি নিউজের। রিপোর্ট করেছেন প্যাট ফোরান।
ফোর্বেস বলেছে, “লোকেরা এখন একটু বড় খোলা জায়গা, ঘরোয়া অফিস ও বেশি সংখ্যক কক্ষবিশিষ্ট একটু বড় বাড়ি খুঁজছে যেখানে তারা নিরাপদে বাইরের বিনোদমমূলক কর্মকাণ্ডেরও আয়োজন করতে পারবে। এখন যেহেতু বেশি সংখ্যক মানুষ বাড়িতে বসে কাজ করছে এবং সম্ভবত ভবিষ্যৎ অনুমান করা যাচ্ছে সে কারণে ক্রেতারা নগরীর বাইরে বসবাসের সুযোগ নিতে পারছে। সমীক্ষায় দেখা যায়, ৩২ শতাংশ কানাডীয় এখন আর নগরীর কেন্দ্রে বসবাস করতে চায় না। তারা নগরীর উপকণ্ঠে বা ছোট টাউনের দিকে সরে যেতে চায়।
ফোর্বেস বলছে, “এখন মানুষের মধ্যে কিছুটা নমনীয়তা দেখা যাচ্ছে এবং আমরা টরন্টোর বাইরে বিশেষ করে নিউমার্কেট ও ডুরহ্যাম এলাকায় বাড়ির বাজারে জোরালো অবস্থান দেখতে পাচ্ছি।
সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে যে, ৪৮ শতাংশ কানাডীয় সবুজবেষ্টিত এলাকার কাছাকাছি থাকতে চায় এবং সমান সংখ্যক মানুষ কোনও হাসপাতাল ও ক্লিনিক আছে এমন মহল্লায় বসবাস করতে ইচ্ছুক। এর পাশাপাশি ৩৩ শতাংশ মানুষ চায় বাড়ি হবে আরও একটু বড় এবং ৪৪ শতাংশ চায় বাড়িতে ব্যালকনি বা জলাধারসহ বহিরাঙ্গনে আরও বেশি জায়গা যেন থাকে। মানুষের মধ্যে এমন আশঙ্কা আছে যে, কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় তরঙ্গের কারণে আবারও লকডাউন হতে পারে। এর ফলেও কটেজ ও বিনোদনমূলক স্থাপনার দাম বাড়ছে।
ফোর্বেস আরও বলছে, “অন্টারিওর মুসকোকা এলাকায় বাড়ির অবিশ্বাস্য চাহিদা রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এখানে বিনোদনমূলক স্থাপনার দাম বাড়তে বাড়তে প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
সমীক্ষায় দেখা যায়, বিক্রির তালিকায় নতুন বাড়ির অন্তর্ভুক্তি কম অথচ বাড়তি চাহিদা থাকার কারণে টরন্টো বাড়ি বিক্রির ভালো বাজার হিসাবেই থেকে যাবে।”
বাজারে বিক্রয়যোগ্য বাড়ির সংখ্যা কম হওয়ায় ক্রেতারা দর হাকার ক্ষেত্রে রীতিমত যুদ্ধ করছেন। যা দাম আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। বাড়ির এজেন্টরা জানাচ্ছেন, প্রতিটি বাড়িই এখন বিক্রি হচ্ছে বিক্রেতার দাবি করা পুরো দামে বা তার চেয়েও বেশি দামে।