কানাডায় ইমিগ্রেন্টদের বেতন বৈষম্যের অবসান ঘটানো দরকার

কানাডায় জন্মানো শ্রমিকদের চেয়ে ইমিগ্রেন্টদের বেতন অনেক কম এবং তা দীর্ঘ সময় ধরেই বিদ্যমান

জানুয়ারী ১৩, ২০২০

ইমিগ্রেন্ট বা অভিবাসীদের আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে কানাডা সফল। গত আগস্টে ওইসিডি আমাদের শ্রমিক অভিবাসন ব্যবস্থাকে সমন্বিত ও সংবেদনশীল বলে উল্লেখ করেছে- যা অভিবাসন ব্যবস্থাপনার এক বৈশ্বিক মডেল। এই সুনাম কেবল অন্যান্য দেশকে ছুঁয়েছে তাই নয়। সাম্প্রতিক এক গ্যাল আপ জরিপের তথ্য অনুযায়ী, সম্ভাব্য অভিবাসীদের ৬ শতাংশই তাদের কাক্সিক্ষত গন্তব্য হিসাবে কানাডার নামোল্লেখ করেছে যা জার্মানি, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে বেশি এবং শুধু যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে পেছনে। সুতরাং যেখানে সুদীর্ঘ শীতকাল বিরাজমান থাকে সেই তিন কোটি ৭০ লাখ মানুষের দেশের জন্য এটি অবশ্যই দারুণ একটা ব্যাপার।
উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন অভিবাসীদের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ায় যখন কানাডায় সেরা ও উজ্জ্বলতম অভিবাসীদের আগমন ঘটছে তখন তাদেরকে শ্রমবাজারে একীভূতকরণের ক্ষেত্রে আমাদের সাফল্য কিছুটা পিছিয়ে পড়ছে, অন্তত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের বিষয়ে: সেটি হলো, আয়। অভিবাসীদের ভারসাম্য যখন অধিকতর যোগ্য ও শিক্ষিতদের দিকে ঝুঁকে পড়েছে তখনও যেসব কারণে তাদেরকে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বলে মেনে নেওয়া হয়েছে সেইসব বৈশিষ্ট্যের কারণে তাদের জন্য যথাযোগ্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারছে না আমাদের শ্রমবাজার। তারা এখনও কানাডায় জন্মানো শ্রমিকদের চেয়ে গড়ে ১০ শতাংশ কম অর্থ আয় করছেন। কানাডার রয়েল ব্যাংক পরিচালিত সম্প্রতি এক গবেষণা পত্রে এ কথা বলা হয়েছে।
ঐ গবেষণায় আরো বলা হয়, অভিবাসীদের বেতনের ক্ষেত্রে ব্যবধান অনেক ব্যাপক এবং তা দীর্ঘ সময় ধরেই বিদ্যমান। গত তিন দশক ধরে এটি আরও বিস্তৃত হয়েছে। জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক অভিবাসীর অনুপাত যে দেশে সেই দেশের জন্য এটি এক সতর্কবার্তা। বর্তমানে কানাডার মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ অভিবাসী। এই সংখ্যা ২০৩৬ সালের মধ্যে ২৮ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অভিবাসীদের বেতনের ক্ষেত্রে ব্যবধান থাকাটা ক্ষতিকর (costly)। রয়েল ব্যাংক এর গবেষণা বলছে, অভিবাসীদের বেতন কাক্সিক্ষত জন্মগ্রহণকারীদের পর্যায়ে উন্নীত করা হলে তা উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সুফল বয়ে আনবে- যার পরিমাণ হতে পারে জিডিপির আড়াই শতাংশ বা প্রায় পাঁচ হাজার কোটি ডলার।

ইমিগ্রেন্টদের জন্য যথাযোগ্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারছে না কানাডার শ্রমবাজার। তারা এখনও কানাডায় জন্মানো শ্রমিকদের চেয়ে গড়ে ১০ শতাংশ কম অর্থ আয় করছেন। ছবি: অনলাইন

রয়েল ব্যাংক এর জরিপের উল্লেখযোগ্য ফল

– অভিবাসীরা কানাডায় জন্মানো শ্রমিকদের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ কম আয় করে; ৩০ বছর আগে এই আয়ের ব্যবধান ছিলো ৪ শতাংশেরও কম।
– অভিবাসীদের আয়ের এই ব্যবধান পেশা, বয়স, জেন্ডার এবং বিভিন্ন অঞ্চলের ক্ষেত্রে বিদ্যমান।
– অভিবাসীরা কানাডায় জন্মানো শ্রমিকদের চেয়ে যথেষ্ট পরিমাণে অধিক শিক্ষিত হওয়ার পরও তাদের আয়ের ব্যবধান গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে।
– বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষায় শিক্ষিত ৪৫-৫৪ বছর বয়সী অভিবাসীদের আয়ের ব্যবধান প্রায় ১৮ শতাংশ।
– বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী ২৫-৫২ বছর বয়সের অভিবাসীদের মধ্যে মাত্র ৩৮ শতাংশ এমন কোনও পেশায় নিয়োজিত যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির প্রয়োজন আছে। তুলনায় কানাডায় জন্মানো নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৫২ শতাংশ।
– অভিবাসীদের শিক্ষার অনুপাতে কম বেতনের চাকরিতে নিয়োজিত থাকার প্রবণতার কারণে যে আয়ের ব্যবধান ঘটে তার পরিমাণ মাত্র ৪০%
– কানাডার শ্রমবাজার আপাতদৃষ্টিতে বিদেশের শ্রমবাজারের অভিজ্ঞতায় ছাড় দিচ্ছে।
– অভিবাসীদের বেতন ও কর্মসংস্থানের বিষয়টি কানাডায় জন্মানোদের সমপর্যায়ে উন্নীত করার সঙ্গে জিডিপিতে পাঁচ হাজার কোটি ডলার সংযোজনের সম্ভাবনা রয়েছে।

শিক্ষায় শ্রেয়তর কিন্তু আয় করেন কম

বাস্তব ঘটনা হলো, কানাডায় জন্মানো শ্রমিকদের চেয়ে অভিবাসীরা কম আয় করছেন এটা নতুন বিষয় নয়। যে বিষয়টি এর চেয়েও অধিকতর উদ্বেগের সেটি হলো, যতই আমরা অর্থনৈতিক অভিবাসীদের ব্যাপারে মনোযোগ দিচ্ছি ততই তাদের আয়ের ব্যবধান গুরুতর হয়ে উঠছে। অর্থনৈতিক অভিবাসীদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয় তাদের শিক্ষা ও দক্ষতার কারণে এবং দেশের প্রতি তাদের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক অবদানের কথা বিবেচনা করে। ১৯৮৬ সালে কানাডায় জন্মানো এবং অন্য কোথাও জন্মানো শ্রমিকদের মধ্যে মধ্যম পর্যায়ের আয়ের ক্ষেত্রে ব্যবধান ছিলো মাত্র ৩.৮%। এই ব্যবধান ২০১৬ সালের মধ্যে বেড়ে ১০.৩ শতাংশে দাঁড়ায়। এই অবনমন চলতেই থাকে যখন আগের অভিবাসীদের এবং স্থানীয় কানাডীয়দের চেয়েও তুলনামূলকভাবে অধিক শিক্ষিত অভিবাসীরা আসতে থাকে। ২০১৬ সালে প্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসীদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই ছিলো স্নাতক বা তার চেয়েও উচ্চতর ডিগ্রিধারী। ২৫-৫৪ বছর বয়সের শ্রমিকদের মধ্যে কানাডায় জন্মানোদের মাত্র ২৬ শতাংশের বিপরীতে ডিগ্রিধারী অভিবাসীদের সংখ্যা ছিলো ৪৩%। এতসব শিক্ষা ও দক্ষতার অধিকারী হলেও অভিবাসীদের আয় কমই থাকে। গড়ে ৪৫-৫৪ বছর বয়সী ডিগ্রিধারী অভিবাসীদের আয়ের ঘাটতি বর্তমানে প্রায় ১৮%।

উপাত্তগুলি যেভাবেই সাজানো হোক না কেন ব্যবধান স্পষ্ট

রয়েল ব্যাংক এর মতে, অভিবাসীদের আয়ের ব্যবধান পেশার ওপর নির্ভর করে না। একমাত্র বিজ্ঞান খাতে কর্মরত অভিবাসীরা ছাড়া আর সবাই যে পেশাতেই নিয়োজিত থাকুক না কেন তাদের আয় কম। ম্যানুফ্যাকচারিং খাত (গড়ে ২০%এরও বেশি) থেকে শুরু করে ব্যবস্থাপনা খাতের (প্রায় ২%) পেশাতেও ব্যবধান থেকেই যায়।
অভিবাসীদের আয়ের ব্যবধান সারা কানাডাতেই রয়েছে। তবে কোনও কোনও এলাকায় এটি গুরুতর। এটি বিশেষভাবে দেখা যায় পশ্চিমের প্রদেশগুলো যেমন আলবার্টা, সাসকাচুন এবং মিনেটোবায়। সেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা যাই থাকুক না কেন, অভিবাসীদের ঘণ্টাপ্রতি আয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম। অভিবাসীদের আয়ের ব্যবধান সবচেয়ে কম আটলান্টিক তীরবর্তী প্রদেশগুলোতে। এর কারণ সম্ভবত অপেক্ষাকৃত তরুণ কর্মশক্তিকে নিয়ে আসার প্রয়াস। গত মার্চে কেন্দ্রীয় সরকার আটলান্টিক ইমিগ্রেশন পাইলট প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে দেয়। স্থানীয় শ্রমিক ঘাটতি পূরণে সম্প্রতি গ্রাজুয়েট হওয়া দক্ষ শ্রমশক্তি নিয়ে আসা সহজ করার লক্ষ্যে ওই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এই পাইলট কর্মসূচিসহ অন্যান্য কর্মসূচিগুলো শুরু থেকেই অভিবাসনের সঙ্গে কর্মসংস্থানের একটি যোগসূত্র রক্ষা করে এসেছে এবং এগুলোই অভিবাসন দ্রæততর করতে এবং অভিবাসীদের আয়ের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সমতা অর্জনে সহায়তার পথ হতে পারে।
অভিবাসীদের আয়ের বৈষম্য নারী ও পুরুষ ঊভয়ের ক্ষেত্রেই বিদ্যমান যা বর্তমানে প্রায় ১০ শতাংশ। ১৯৮৬ সাল থেকেই অভিবাসী নারী ও পুরুষ উভয়েরই আয় কানাডায় জন্মগ্রহণকারীদের চেয়ে কমতে থাকে। এই সময়ের মধ্যে অভিবাসী
পুরুষদের ক্ষেত্রে এই বৈষম্য কার্যত শূন্য থেকে বেড়ে ১০ শতাংশে পৌঁছায়।

অভিজ্ঞতার ব্যবধান

অভিবাসীদের আয়ের ব্যবধানের কিছু কারণ নিহিত রয়েছে তাদের নিজের শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কাজ খুঁজে না পাওয়া অথবা কানাডায় আসার পর সম্পূর্ণ নতুন করে তাদের ক্যারিয়ার শুরু করার মধ্যে। যেমন, আমরা জানি, অভিবাসীরা কানাডায় আসার আগে যে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেন ততটা শিক্ষা অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই এমন সব চাকরিতে তারা নিয়োজিত হচ্ছেন। ২৫-৫৪ বছর বয়সী অভিবাসীদের মাত্র ৩৮% ¯œাতক ডিগ্রির প্রয়োজন আছে এমন পেশায় কাজ করছেন। অথচ এর বিপরীতে ¯œাতক ডিগ্রির প্রয়োজন আছে এমন চাকরিতে কানাডায় জন্মানো নাগরিকদের ৫২% কর্মরত আছেন। ইমিগ্রেশন, রিফিউজি ও সিটিজেনশিপ কানাডার এক জরিপ অনুযায়ী, ৬৪ শতাংশ অভিবাসীর জন্যই তার শিক্ষা ও যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি খুঁজে পাওয়া কঠিন বা অত্যন্ত কঠিন। এ থেকেই কানাডায় অভিবাসীদের পেশাগত বা শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি স্বীকার না করার দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান সমস্যার আভাস পাওয়া যায়।
আমাদের গবেষণা থেকে দেখা গেছে, স্বল্প বেতনের পেশায় চাকরি করার কারণেই অভিবাসীদের বেতন বৈষম্যের ৪০ শতাংশের জন্য দায়ী। এমনকি যেসব অভিবাসী তাদের পছন্দের পেশায় চাকরি খুঁজে পান সেখানেও তারা কানাডায় জন্মগ্রহণকারীদের চেয়ে অনেক কম উপার্জন করেন। এথেকে বোঝা যায়, কানাডার বাইরে অর্জিত শিক্ষাগত যোগ্যতাই কেবল নয় তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতার স্বীকৃতিও গুরুত্বপূর্ণ।

যারা শৈশবে কানাডায় আসে তাদের আয়ে বৈষম্য নেই

১৬ বছর বয়সের আগে যেসব অভিবাসী কানাডায় আসে তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি কিছুটা অনুকূল। তাদের ক্ষেত্রে বৈষম্য নেই এবং কানাডীয়দের চেয়েও তারা বেশি আয় করছে, এমনকি প্রাপ্ত বয়সে পৌঁছার মধ্যে অনেকের আয় কানাডায় জন্মগ্রহণকারীদের চেয়েও পাঁচ শতাংশ বেশি। প্রাপ্তবয়স্ক হবার পর কানাডায় আসা অভিবাসী এবং ১৬ বছর বয়সের আগে আসা অভিবাসীদের মধ্যকার এই ব্যবধান থেকে প্রতীয়মান হয় যে, তারা কানাডার শ্রমবাজারে কত বেশি সময় ধরে কাজ করছে তার ওপর আয়ের বিষয়টি নির্ভর করছে।

আয় বৈষম্যের সমাধানে ব্যর্থতায় কানাডার পাঁচ হাজার কোটি ডলার তথা জিডিপির ২.৫ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে

অভিবাসীদের আয়ের বৈষম্য কেবল অভিবাসীদেরই সমস্যা নয়। কানাডার অধিকতর শিক্ষিত অভিবাসী-সমৃদ্ধ শ্রমশক্তির সুবিধা নিতে না পারার দিক থেকে এর একটি বৃহত্তর প্রভাব আছে। এই প্রভাব কতটুকু? আমাদের হিসাব অনুযায়ী এই প্রভাবের অর্থমূল্য হতে পারে এমনকি পাঁচ হাজার কোটি ডলার। এতে একজন অভিবাসীর তার পছন্দের পেশায় চাকরি খুঁজে না পাওয়া কিংবা পেলেও আয় সমতায় পৌঁছতে না পারার পরিণতির প্রতিফলন ঘটেছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার অভিবাসীর সংখ্যা বাড়ানোর যে পরিকল্পনা নিচ্ছে তাতে এই অঙ্কটি মাথায় রাখতে হবে। শ্রমবাজারে সফল হবে এমন অভিবাসীদের বাছাই করার কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনায় ২০১৫ সালে সূচিত এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রাম, সম্প্রসারিত প্রভিন্সিয়াল নমিনি প্রোগ্রাম এবং সম্প্রসারিত প্রি অ্যান্ড পোস্ট সেটেলমেন্ট সার্ভিস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যদিও আমরা এখনও জানি না, এসব কর্মসূচির মাধ্যমে বেতন বৈষম্য কমে এসেছে কিনা, তবে এর ফলে কর্মসংস্থানের ব্যবধান কমেছে এবং শ্রমবাজারে অভিবাসীদের অংশগ্রহণ কানাডায় জন্মগ্রহণকারীদের প্রায় সমপর্যায়ে পৌঁছেছে। আমাদের বিশ্বাস এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ।

আগামীর পথ

– অভিবাসীদের আয় কেন কম সে সম্পর্কে ভালো রকমের বোঝাপড়ার মাধ্যমেই আমাদেরকে শ্রমবাজার থেকে অভিবাসী সংগ্রহের প্রক্রিয়া উন্নততর করতে হবে।
– বিদেশে কাজের অভিজ্ঞতার যথাযোগ্য প্রাক্কলনে আমাদের চাকরিদাতাদের সাহায্য করতে হবে।
– কানাডায় আসার পর অভিবাসীদের শ্রমবাজারে ঢোকার ব্যাপারে সাহায্য করতে সরকারকে আরও বেশি সম্পদ বিনিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
– আটলান্টিক কানাডার প্রদেশগুলোতে বেতন বৈষম্য অপেক্ষাকৃত কম থাকার বিষয়টি থেকে আমরা কি শিক্ষা নিতে পারি এবং সেই শিক্ষা কিভাবে সারাদেশে কাজে লাগাতে পারি?