করোনার প্রভাবে টরন্টোতে বাড়ির দাম কমে গেছে
ভেঙ্গুভারে বিক্রি কমে গিয়ে গত ৩৮ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে
মে ১৮, ২০২০
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতির কারণে গ্রেটার টরন্টো এবং ভেঙ্গুভারে গত কয়েক সপ্তাহে বাড়ি বিক্রির হার অত্যধিক ভাবে কমে গেছে। একই সাথে বাড়ির মূল্যও চাপের মধ্যে রয়েছে। খবর হাফিংটন পোস্ট।
টরন্টো রিজিওনাল রিয়েল এস্টেট বোর্ড জানিয়েছে গ্রেটার টরন্টো এরিয়াতে গত এপ্রিল মাসে বাড়ি বিক্রির হার ৬৭% কমে গেছে। এই সময়ে বাড়ি বিক্রি হয়েছে ২,৯৭৫টি। গত বছর এই একই সময় (এপ্রিল) গ্রেটার টরন্টোতে বাড়ি বিক্রি হয়েছিল ৯,০০৫টি।
টরন্টো সিটিতে এপ্রিল মাসে বাড়ির দাম ২.৫% কমে গড় মূল্য দাড়িয়েছে ৮৮১,৪২৪ ডলার। গত বছর এই সময় গড় মূল্য ছিল ৯০৪,১৯৯ ডলার।
আর গত মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে গ্রেটার টরন্টোতে বাড়ির মূল্য কমেছে ১১.৮%।
রিয়েল এস্টেট বোর্ড অব গ্রেটার ভেঙ্গুভার জানিয়েছে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের তুলনায় এ বছর এপ্রিল মাসে সেখানে বাড়ি বিক্রির হার কমেছে ৪০%। গত ৩৮ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে এই হার।
করোনার ব্যপকতা বৃদ্বির আগের চিত্র
টরন্টোতে বাড়ির দাম এক বছরে বেড়েছে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার
করোনাভাইরাসের ভয়েও গত ফেব্রুয়ারীতে টরন্টোর রিয়েল এস্টেট মার্কেট বন্ধ হয়নি। বরং বাড়ির ক্রেতারা উচ্চদামে বাড়ি কিনেছেন। আঞ্চলিক রিয়েল এস্টেট বোর্ডের তথ্যে একথা বলা হয়েছে।
আর পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সুদের হার কমে যাওয়ার অর্থ হলো, এবারের বসন্তকালে বাড়ির দাম বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বাড়ির ক্রেতাদের হাতে বাড়তি বারুদ থাকবে। খবর হাফিংটন পোস্ট
বৃহত্তর টরন্টোতে এবারের ফেব্রুয়ারীতে বাড়ি বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে গত বছরের একই মাসের চেয়ে ৪৫.৬ শতাংশ বেশি। যদিও গত বছরের ফেব্রুয়ারির বিক্রয় ছিলো সবচেয়ে দুর্বল এবং সে সময় বিক্রির পরিমাণ ছিলো আগের ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ম। টরন্টোর আঞ্চলিক রিয়েল এস্টেট বোর্ড গত বুধবার এই তথ্য প্রকাশ করে।
সংস্থাটি জানায়, গত বছরের মত একইভাবে টরন্টোর বাড়ির বাজার ক্রেতাদের জন্য আরও বেশি কঠিন হয়ে উঠছে। কারণ বাজারে বিক্রয়যোগ বাড়ির যোগানের চেয়ে বিক্রি দ্রুততর হয়ে উঠেছে।
সব ধরণের বাড়ির দাম গড়ে বেড়েছে ১৭ শতাংশ এবং এখন তা গড়ে ৯১০,২৯০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। তার মানে হলো প্রতিটি বাড়ির দাম বেড়েছে গড়ে ১৩০,০০০ ডলার। কন্ডোর দাম ১৮.৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬৬,৩৫৮ ডলারে। টরন্টোর গৃহায়ন বাজারের এই তেজি ভাবের খবর এলো এমন সময়ে যেদিন ব্যাংক অব কানাডা সুদের হার ০.৫ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী মন্দার প্রেক্ষিতে সুদহার কমিয়েছে ব্যাংক অব কানাডা।
ব্যাংক অব কানাডার ঋণের সুদহারের সঙ্গে বন্ধকীর পরিবর্তনশীল সুদহারের সম্পর্ক রয়েছে এবং ঋণদাতারা এখন ব্যাংকের সুদহারের সঙ্গে তাদের বন্ধকীর সুদহারের সমন্বয় করে নেবেন।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপের ফলে বাড়ির দাম আরও দ্রুত বাড়তে পারে কারণ বন্ধকীর সুদহার কম থাকায় ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা বেশি থাকবে।
বন্ধকীর তুলনামূলক পর্যালোচনার সাইট রেটস্পাই-এর প্রতিষ্ঠাতা রব ম্যাকলিস্টার বিএনএন কে বলেন, “বন্ধকীর সুদহার যদি আরও কমে তাহলে স্বল্প মেয়াদে কী ঘটতে পারে তা সবাই ঠিকই জানে।”
তিনি বলেন, “এই সবই হলো গৃহায়ন ও বন্ধকির বাজারের জন্য বিরাট সুখবর- যদি না কানাডায় করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ ঘটে এবং/অথবা বড় ধরণের বেকারত্ব দেখা দেয়।”