চিকিৎসা সহায়তা বৈধ করার পর থেকে চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে ২০০০-এর বেশি কানাডীয়র মৃত্যু
এসব মৃত্যুর বেশিরভাগ ঘটেছে ক্যান্সার, মস্তিস্কেরস্নায়বিক বৈকল্যজনিত সমস্যা এবং রক্ত সঞ্চালন বা শ্বাসতন্ত্রের অকার্যকারিতার কারণে
৬ অক্টোবর ২০১৭ : চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে দুই হাজারের বেশি কানাডীয় বৈধভাবে নিজেদের জীবনাবসান ঘটিয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই চরম পর্যায়ের ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
হেল্থ কানাডার সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৬ সালের জুন মাসে চিকিৎসা সহায়তা বৈধ করার পরবর্তী এক বছরে চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন এক হাজার ৯৮২ জন রোগী। রিপোর্টে বলা হয়, কুইবেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এটির বৈধতা দেয়ার পর সেখানে ১৬৭ ব্যক্তি চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। খবর সিবিসি নিউজ এর।
চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে মৃত্যুবরণকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সারাদেশে এটি বৈধ করার পর প্রথম ছয় মাসে এভাবে মৃত্যুবরণকারীর সংখ্যা ছিলো ৮০৩ জন। আর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত পরবর্তী ছয় মাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,১৭৯ জনে।
এতে করে চিকিৎসকের সহায়তায় মৃত্যুবরণের হার ৪৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, তবে এর পরও এটি কানাডায় সব মিলিয়ে যত লোক মারা যায় তার মাত্র এক শতাংশেরও নিচে।
চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে মৃত্যুর পেছনে সবচেয়ে বেশি যে কারণটি কাজ করেছে সেটি হলো ক্যান্সার। এভাবে মৃত্যুবরণকারীদের প্রায় ৬৩ শতাংশই ছিলো ক্যান্সারে আক্রান্ত। বিশে^র অন্যান্য স্থানেও এমনটাই ঘটেছে, যেমন যুক্তরাষ্ট্রের অরেগনে (৭২ শতাংশ), বেলজিয়ামে (৬৯ শতাংশ) এবং নেদারল্যান্ডস-এ (৭১ শতাংশ)।
ডাক্তারের সহায়তা নিয়ে মৃত্যুর আরও যেসব কারণ রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে মস্তিস্কের ¯œায়বিক বৈকল্যজনিত সমস্যা এবং রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া বা শ^াসতন্ত্রের অকার্যকারিতা। যেসব রোগী ডাক্তারের সহায়তা নিয়ে মারা গেছেন তাদের বয়স ছিলো ১৮ থেকে ৯১ বছর। এদের বেশিরভাগের বয়স ছিলো ৫৬ থেকে ৮৫ বছর এবং তাদের গড় বয়স ছিলো ৭৩ বছর।
হাসপাতালের বাইরে আরও মৃত্যু :
রিপোর্টে হাসপাতালের বাইরে ডাক্তারের সহায়তা নিয়ে মৃত্যুবরণের সংখ্যাও বাড়ছে বলে জানানো হয়।
চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে ডাক্তারের সহায়তায় যেসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তার প্রায় ৪২ শতাংশ ঘটেছে কোনও হাসপাতালে, সেই তুলনায় আগের ছয় মাসে হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনা ছিলো ৫০ শতাংশ। এর বাইরে ডাক্তারের সহায়তায় অন্যান্য যেসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সেগুলো ঘটেছে রোগীর বাড়িতে, পুনর্বাসন কেন্দ্রে অথবা বৃদ্ধাশ্রমে।
রিপোর্টে বলা হয়, এই প্রবণতা “একটি উন্নততর ব্যবস্থার সুসংহতকরণ এবং নিজের বাড়িতে থেকে মৃত্যুবরণের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে গৃহীত নীতির প্রতি নির্দেশ্য কোনও দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের সূচনা” কিনা তা বলার মত সময় এখনও আসেনি।
রিপোর্টে বলা হয়, এই পরিবর্তন আরও কিছু কারণে ঘটে থাকতে পারে, “যেমন কোনও কোনও অঞ্চলে হাসপাতালে মৃত্যুর জন্য ডাক্তারি সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধা অথবা কোনও ক্ষুদ্রতর জনসমাজে স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে এধরণের সহায়তা দেয়ার অবকাঠামোগত সুবিধার অভাব” ইত্যাদি।